<p>বাংলাদেশ রেলওয়ের পূর্ব ও পশ্চিম জোনের মধ্যে বৈষম্য চলছে বলে অভিযোগ। এ বৈষম্য লালমনিরহাট রেল বিভাগে প্রকটভাবে বিরাজমান। এ বিভাগের পার্বতীপুর থেকে পঞ্চগড় পর্যন্ত রেলপথটি দীর্ঘদিন পর উন্নয়ন করা হয়েছে। কিন্তু বিভাগের অন্য সব রেলপথে উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি। আর এ অবস্থাকে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান ও পশ্চিম পাকিস্তানের মধ্যে যে বৈষম্য ছিল তার সঙ্গে তুলনা করেছেন লালমনিরহাট রেল বিভাগে কর্মরত ট্রেনের লোকোমোটিভ মাস্টার (এলএম) আব্দুল মালেক ও অ্যাসিস্ট্যান্ট লোকোমোটিভ মাস্টার (এএলএম) আব্দুল কাদের।</p> <p>গতকাল রবিবার ৬১/৬২ নম্বর যাত্রীবাহী কমিউটার ট্রেন নিয়ে লালমনিরহাট থেকে দিনাজপুরের বিরল আসার পথে পার্বতীপুর রেল স্টেশনে এ তুলনা করেন তাঁরা।</p> <p>এলএম মালেক বলেন, ‘১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ হানাদারমুক্ত হয়। এর আগে ১৯৪৭ থেকে ১৯৭০ সাল পর্যন্ত তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান রেলওয়ে ব্যাপকভাবে বৈষম্যের শিকার হয়। পশ্চিম পাকিস্তান রেলওয়েকে সব দিক দিয়ে উন্নত, আধুনিক করা হলেও পূর্ব পাকিস্তান রেলওয়ে ছিল একেবারে অবহেলিত। স্বাধীনতার পরে যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশের সঙ্গে অচল রেলওয়ে সচল করে তোলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পরে ফের বৈষম্য শুরু হয়।’ তিনি আরো বলেন, ‘এর আগে ২৯০০ সিরিজের ৩৯টি ইঞ্জিন আমদানি করা হয়। এর মধ্যে লালমনিরহাট বিভাগে পাঠানো হয় মাত্র একটি ইঞ্জিন।’ লোকোবল নিয়োগেও এমন বৈষম্য হয়ে আসছে অভিযোগ করে তিনি বলেন, ‘নতুন কোচ, র‌্যাক আমদানি করার পর সব দেওয়া হয় পূর্ব জোনে। লালমনিরহাট বিভাগের ভাগ্যে জোটে পূর্ব জোনের অব্যবহৃত পরিত্যক্ত কোচ, র‌্যাকগুলো।’</p> <p>এএলএম কাদের বলেন, ‘স্বাধীনতার ৪৭ বছরের মধ্যে শুধু পার্বতীপুর থেকে পঞ্চগড় পর্যন্ত রেলপথটির উন্নয়ন করা হয়েছে সম্প্রতি।’ মিটার গেজ রেলপথের অন্য রুটের কোথাও উন্নয়নমূলক কাজ করা হয়নি বলে অভিযোগ তাঁর।</p> <p> </p>