ঢাকা, বুধবার ০৯ জুলাই ২০২৫
২৫ আষাঢ় ১৪৩২, ১৩ মহররম ১৪৪৭

ঢাকা, বুধবার ০৯ জুলাই ২০২৫
২৫ আষাঢ় ১৪৩২, ১৩ মহররম ১৪৪৭

হাসপাতালে ১৯% ডেঙ্গু রোগী শিশু

শিমুল মাহমুদ
শিমুল মাহমুদ
শেয়ার
হাসপাতালে ১৯% ডেঙ্গু রোগী শিশু
হঠাৎ করেই ডেঙ্গুতে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে গেছে। প্রতিদিনই হাসপাতালগুলোতে ভর্তি হচ্ছে ডেঙ্গু রোগী। গতকাল রাজধানীর শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল থেকে তোলা। ছবি : লুৎফর রহমান

দেশে এডিস মশাবাহিত ডেঙ্গুতে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। পূর্ণবয়স্ক ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী বেশি হলেও শিশুর সংখ্যাও তুলনামূলকভাবে অনেক। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য বিশ্লেষণে দেখা গেছে, হাসপাতালে ভর্তি ১৯ শতাংশ রোগীই শিশু। এদের বয়স ১৫ বছর বা তার কম।

হাসপাতালে ১৯% ডেঙ্গু রোগী শিশুগতকাল সোমবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের ডেঙ্গু পরিস্থিতির সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টার তথ্যে বলা হয়েছে, নতুন ৮৬৬ জন হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি হয়েছে। মারা গেছে দুজন। এ নিয়ে ডেঙ্গুতে এ বছর মৃত্যুর সংখ্যা ১৩৩ জনে পৌঁছালে। এর মধ্যে ২১ জনই শিশু।

চলতি বছর ডেঙ্গুতে এ পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছে ২৪ হাজার ৯০০ জন। আক্রান্ত রোগীদের বয়সভিত্তিক হিসাবে দেখা গেছে, ১৬ থেকে ৩০ বছর বয়সীদের মধ্যে আক্রান্তের হার সবচেয়ে বেশি। যা মোট আক্রান্তের ৪১.৬৮ শতাংশ। ১৫ বছরের কম বয়সীদের মধ্যে ১৯.০৬ শতাংশ।

৩১ থেকে ৪৫ বছরে ২৩.৩০ শতাংশ। ৪৬ থেকে ৬০ বছরে ১১.১০ শতাংশ এবং ষাটোর্ধ্ব ৪.৮৬ জন।

অধিদপ্তরের তথ্য বিশ্লেষণে দেখা গেছে, ১৬ থেকে ৩০ বছর বয়সীদের মধ্যে মৃত্যুর হার সবচেয়ে বেশি, যা মোট মৃত্যুর ২৯.৩২ শতাংশ। ১৫ বছরের কম বয়সীদের মধ্যে ১৫.৭৮ শতাংশ। ৩১ থেকে ৪৫ বছরে ১৮.৭৮ শতাংশ।

৪৬ থেকে ৬০ বছরে ১৫.৭৮ শতাংশ ও ষাটোর্ধ্ব ২০.৩০ জন।

জনস্বাস্থ্য ও কীটতত্ত্ববিদরা বলছেন, আগস্ট থেকে অক্টোবর পর্যন্ত সময়টাকে ডেঙ্গুর মৌসুম ধরা হয়। এই সময় বৃষ্টিপাত, বাতাসের আর্দ্রতা ও তাপমাত্রা এডিস মশা প্রজননের উপযোগী হওয়ায় ডেঙ্গুর বিস্তার ও মৃত্যু বেশি হয়।

তাঁরা বলছেন, এ বছর ডেঙ্গু পরিস্থিতি পুরোপুরি বৃষ্টিপাতের ওপর নির্ভর করছে। তবে পরিস্থিতি যে খুব বেশি ভালো হবে না, তা বোঝা যায়। এর পেছনের কারণের মধ্যে রয়েছে কোথায় এডিস মশার লার্ভার উপস্থিতি কততা জানতে বর্ষা জরিপ হয়নি। এতে মশা নিধন কার্যক্রম যথাযথ হয়নি। অন্যদিকে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ডেঙ্গু রোগীর সঠিক তথ্য ও সংখ্যা দিতে ব্যর্থ হচ্ছে।

 

অক্টোবরে ডেঙ্গু পরিস্থিতি আরো খারাপের শঙ্কা

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যার অধ্যাপক ও কীটতত্ত্ববিদ ড. কবিরুল বাশার কালের কণ্ঠকে বলেন, আমাদের ফোরকাস্টিং মডেল (পূর্বাভাস) বলছে, অক্টোবর মাসে ডেঙ্গু পরিস্থিতি খারাপ থাকবে। আক্রান্ত ও মৃত্যু দুটিই বাড়বে।

কবিরুল বাশার বলেন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে হলে সিটি করপোরেশনগুলোকে মশক নিধনে কার্যকর বিজ্ঞানভিত্তিক ব্যবস্থায় জোর দিতে হবে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে কাজ হবে, রোগীর সঠিক তথ্য দেওয়া, রোগী ঠিকানা অনুযায়ী ২০০ মিটারের মধ্যে ক্রাশ কর্মসূচি করতে হবে। উড়ন্ত এডিস মশাগুলো ও লার্ভা ধ্বংস করতে হবে।

 

হাসপাতালে বাড়ছে রোগীর চাপ

গত দুই সপ্তাহে ডেঙ্গু পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায়, হাসপাতালগুলোয় রোগীর চাপ বাড়ছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য মতে, বর্তমানে সারা দেশে দুই হাজার ৭৭২ জন ডেঙ্গু রোগী চিকিৎসাধীন। এর মধ্যে ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি এক হাজার ৪৩৭ জন।

শয্যার বিপরীতে রোগীর সংখ্যা অনেক বেশি হওয়ায় অনেকের ঠাঁই হয়েছে হাসপাতালের মেঝে ও করিডরে। আবার অনেকে হাসপাতালে শয্যার বেশি রোগী ভর্তি না করায় তারা ফেরত যাচ্ছে। আক্রান্ত রোগীর চাপ সামলাতে হিমশিম খাচ্ছে রাজধানীর হাসপাতালগুলো। ঢাকার কয়েকটি হাসপাতালে ভর্তি রোগী, রোগীর স্বজন, নার্স ও হাসপাতাল পরিচালকদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা যায়।

ঢাকায় ডেঙ্গু আক্রান্তদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি দুই হাজার ছয়জন রোগী চিকিৎসা নিয়েছে মুগদা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। হাসপাতালটিতে এ পর্যন্ত মৃত্যু হয়ে ১৯ জনের।

হাসপাতালটির পরিচালক ডা. এস এম হাসিবুল ইসলাম বলেন, বর্তমানে ডেঙ্গু রোগী ভর্তি ৯১ জন। বেশির ভাগ রোগী আসছে জ্বর, শরীর ব্যথা বা মাথা ব্যথা নিয়ে। তবে এবার নতুন কিছু উপসর্গও দেখা যাচ্ছে। অনেকের পেট ও লিভারের সমস্যা তৈরি হচ্ছে।

ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দেওয়া তথ্য মতে, এ পর্যন্ত চিকিৎসা নিয়েছে এক হাজার ২৪১ জন, মারা গেছে ২৮ জন। গতকাল হাসপাতালে গিয়ে দেখা যায়, মেডিসিন বিভাগের চতুর্থ তলায় শুধু পুরুষ রোগীদের ডেঙ্গু ওয়ার্ড করা হয়েছে। এ ওয়ার্ডে শয্যার বাইরে বারান্দায় সিঁড়িকোঠায় মেঝেতে অনেক রোগী ভর্তি আছে। রোগীদের জন্য কোনো মশারির ব্যবস্থা হয়নি।

হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, গত এক সপ্তুাহের ব্যবধানে ডেঙ্গু আক্রান্ত ভর্তি রোগীর সংখ্যা বেড়েছে প্রায় দ্বিগুণ। ১২ থেকে ৩০ বছরের কম বয়সীদের মধ্যে আক্রান্তের হার সবচেয়ে বেশি।

 

মশক কর্মসূচি বন্ধ হওয়ার শঙ্কা বেড়েছে

সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের উপদেষ্টা ও জনস্বাস্থ্যবিদ মুশতাক হোসেন কালের কণ্ঠকে বলেন, এ বছর শুরু থেকে মশক নিধন কার্যক্রম নিয়ে আলোচনা থাকলেও মাঝে সেটি ব্যাহত হয়েছে। বিশেষ করে গত দেড় মাস সেই অর্থে জোরালো মশক নিধন কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়নি বা নেওয়া যায়নি। যে কারণে ডেঙ্গু পরিস্থিতির অবনতি হচ্ছে। 

 

ডেঙ্গু মোকাবেলায় কাজ করবে ১০ টিম

চলতি মৌসুমে ডেঙ্গু প্রতিরোধ কার্যক্রম সমন্বয় ও তদারকির জন্য ১০টি টিম গঠন করেছে সরকার। গতকাল এক জরুরি সভায় এসব টিম গঠনের কথা এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়।

এর মধ্যে ঢাকা দক্ষিণ সিটিতে ডেঙ্গু মোকাবেলায় চারটি টিম এবং উত্তর সিটির জন্য তিনটি টিম কাজ করবে। নারায়ণগঞ্জ, গাজীপুর ও চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনসহ অন্যান্য সিটি করপোরেশনের জন্য গঠন করা হয়েছে একটি টিম।

প্রতি টিমে স্থানীয় সরকার বিভাগের অতিরিক্ত সচিব ও যুগ্ম সচিব পর্যায়ের কর্মকর্তাকে প্রধান করা হয়েছে। দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা সিটি করপোরেশন ও পৌরসভার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তাদের সঙ্গে সমন্বয় করে প্রতিদিন কমপক্ষে তিনটি ডেঙ্গু প্রাদুর্ভাব এলাকা পরিদর্শন করে ডেঙ্গু প্রতিরোধ কার্যক্রম তদাকর করবেন।

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

চাঁদা দাবির অডিও ফাঁস

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দুই নেতাকে শোকজ

খুলনা অফিস
খুলনা অফিস
শেয়ার
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দুই নেতাকে শোকজ

খুলনা মহানগরীর শিববাড়ী মোড়ে জিয়া হলের পরিত্যক্ত ফাঁকা জায়গায় জুলাই স্মৃতি উদযাপন আয়োজনে মেলা বসানো নিয়ে ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবির কথোপকথনের অডিও ফাঁস হয়েছে। খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা পরিচয়ধারী জহুরুল হক তানভীর ও সাজ্জাদুল ইসলাম আজাদের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ উঠেছে। এ নিয়ে খুলনায় ব্যাপক গুঞ্জন চলছে।

মেলার আয়োজক বগুড়ার মন্টু ইভেন্ট ম্যানেজমেন্টের স্বত্ব্বাধিকারী মন্টুর কাছে চাঁদা দাবির এক মিনিট ৩৬ সেকেন্ডের একটি কল রেকর্ডের অডিও ফাঁস হয়।

গত রবিবার থেকে এটি সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে।

ফাঁস হওয়া রেকর্ডে সাজ্জাদুল ইসলাম আজাদকে মেলার আয়োজকের কাছে ১০ লাখ টাকা দাবি করতে শোনা যায়। কল রেকর্ডে আয়োজক মন্টুকে বলতে শোনা যায়, আমার দ্বারা সবাইকে কি ঠাণ্ডা করা সম্ভব? আমার কাছে দুই টাকা (দুই লাখ) রেডি আছে, আপনি বললে এখনই দিয়ে যাব।

জবাবে আজাদ বলেন, আমি পারব সবাইকে ঠাণ্ডা করতে, অন্তত সবাই ঠাণ্ডা থাকবে, কেউ ওই দিকে ঘুরেও তাকাবে না, যদি ১০ টাকা (১০ লাখ) দেন।

আর যদি না দেন, তাহলে আজ এ গ্রুপ যাবে, কাল অন্য গ্রুপ যাবে, আপনি কয়জনকে ঠাণ্ডা করবেন?

এ সময় মন্টু বলেন, আমার দ্বারা তো সবাইকে ঠাণ্ডা করা সম্ভব না।

জবাবে আজাদ বলেন, আপনার পুলিশ কমিশনারও ঠাণ্ডা করতে পারবে না, বলে দিয়েন তারে।

পরে মন্টু বলেন, আপনাদের ছোট ভাইয়েরা এসে তানভীর ভাইয়ের কথা বলছে।

জবাবে আজাদ বলেন, মেলা ভাঙতে তো আমরা কাউকে পাঠাইনি, তাহলে ওদেরই দিয়ে দেন।

মন্টু বলেন, দুই টাকা দিবার চাচ্ছি, আজকেই আসতেছি, ভাই। আর প্রতি গ্রুপে তো দিতে পারব না, ভাই। আপনারা বড় ভাই হয়ে যদি কন্ট্রোল করতে না পারেন।

এ বিষয়ে মেলার আয়োজক মন্টু বলেন, ফাঁস হওয়া রেকর্ডিং আমার এবং সাজ্জাদের কল রেকর্ডিং। রেকর্ডিংয়ে যা শুনেছেন, সব সত্য।

অবশ্য কল রেকর্ডটি মন্টুর মোবাইলের কাছে বসে ভিডিও করাএটি বোঝা যাচ্ছে।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন খুলনা মহানগরের আহবায়ক আল শাহরিয়ার বলেন, আমি ভিডিওটি দেখেছি। এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে কেন্দ্র। ঢাকায় বসেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

সাজ্জাদুল ইসলাম আজাদ বলেন, পুলিশ কমিশনারের শ্যালক মন্টু আমার কাছে কমপক্ষে ১০০ বার ফোন দিয়েছে। ওর কাছে আমি কখনো টাকা-পয়সা চাই নাই, কোনো কিছুই চাই নাই। ওর সঙ্গে কোনো টাকা-পয়সা লেনদেন হয়নি। এটা পুরোপুরি উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে করেছে। এটা তো ছয় মাস আগের ঘটনা। ও তো টাকা নিজেই অফার করেছে। যদি জবরদস্তি করতাম, তাহলে এত দিন বলতে পারত। এখন কেন বলছে?

জহুরুল হক তানভীর খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যান ডিসিপ্লিনের অনার্সের শিক্ষার্থী এবং সাজ্জাদুল ইসলাম আজাদ একই বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা ডিসিপ্লিনের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী। তাঁরা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন খুলনা মহানগরীর সদস্যসচিব ও মুখ্য সংগঠক। গত বছরের ৫ আগস্ট পরবর্তী সময়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও এনসিপির কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে নানা কর্মসূচিতেও তাঁদের সক্রিয়ভাবে অংশ নিতে দেখা যায়।

এর আগে গত ৪ ফেব্রুয়ারি থেকে নগরীর সোনাডাঙ্গা আবাসিক এলাকার বায়তুল মোকাররম মসজিদ ও খুলনা প্রি-ক্যাডেট স্কুলসংলগ্ন মাঠে এক মাসের জন্য খুলনা শিল্প ও বাণিজ্য মেলা শুরু হয়ে দেড় মাস চলে। পরে পত্রিকায় খবর ছাপা হলে সেটি বন্ধ হয়। ওই মেলার আয়োজক ছিল মন্টু ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট, যেটি পরিচালনা করেন সাবেক এমপি এস এম কামালের সহযোগী রাসেল ওরফে মেলা রাসেল।

কারণ দর্শানোর নোটিশ : এদিকে মেলার আয়োজকের কাছে ১০ লাখ টাকা চাঁদাবাজির অভিযোগ ওঠায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন খুলনা মহানগর কমিটির সদস্যসচিব জহুরুল ইসলাম তানভীর ও মুখ্য সংগঠক সাজ্জাদুল ইসলাম আজাদকে কারণ দর্শানোর নোটিশ (শোকজ) দিয়েছে কেন্দ্রীয় কমিটি। সংগঠনের অফিশিয়াল ফেসবুক পেজে গত সোমবার রাতে শোকজের চিঠি আপলোড করা হয়।

সংগঠনের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মুঈনুল ইসলামের স্বাক্ষর করা শোকজের চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, সংগঠনের শৃঙ্খলা ও নীতিমালার পরিপন্থী কার্যকলাপের সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন। এ ধরনের কর্মকাণ্ড একজন দায়িত্বশীল হিসেবে আপনার অবস্থানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক এবং সংগঠনের ভাবমূর্তির জন্য হানিকর। কেন আপনার বিরুদ্ধে স্থায়ীভাবে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে নাতা এই নোটিশ প্রাপ্তির ৩ (তিন) কার্যদিবসের মধ্যে লিখিতভাবে কেন্দ্রীয় দপ্তরে জমা দেওয়ার জন্য নির্দেশনা প্রদান করা হচ্ছে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সন্তোষজনক জবাব না পাওয়া গেলে সংগঠন আপনার বিরুদ্ধে একতরফা সাংগঠনিক সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য থাকবে।

মন্তব্য
কেএমপি কমিশনার

পুলিশকে দূরে ঠেলে দেবেন না

খুলনা অফিস
খুলনা অফিস
শেয়ার
পুলিশকে দূরে ঠেলে দেবেন না

খুলনার আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে এবং সাধারণ মানুষ নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি এবং সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিতে গত ২৫ জুন থেকে খুলনার মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনারের (কেএমপি) অপসারণ চেয়ে সাধারণ ছাত্র-জনতার ব্যানারে আন্দোলন অব্যাহত আছে। গতকাল মঙ্গলবারও আন্দোলনকারীরা খুলনার বিভাগীয় কমিশনারের মাধ্যমে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বরাবর স্মারকলিপি দিয়ে কেএমপি কমিশনারের আপসারণ দাবি করেছে।

এসবের মধ্যেই গতকাল কেএমপি কমিশনার মো. জুলফিকার আলী হায়দার কেএমপি সদর দপ্তরে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন।

সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, পুলিশকে দূরে ঠেলে দেবেন না। মনোবল ভেঙে গেলে পুলিশ আর কাজ করতে পারবে না।

আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে আয়োজিত এই সংবাদ সম্মেলনে তাঁর অপসারণ দাবির প্রসঙ্গ উঠে এলে তিনি বলেন, চাকরি থেকে পদত্যাগের সুযোগ নেই। কর্তৃপক্ষ চাইলে আমাকে বদলি করতে পারে।

সে জন্য আমি প্রস্তুত আছি। তবে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা এবং পরিস্থিতির উন্নতির জন্য পুলিশকে সহযোগিতা করতে হবে। চাপ দেওয়া বা দাবি আদায়ের নামে পুলিশের মনোবল ভাঙার চেষ্টা করা সমীচীন হবে না।

খুলনার আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি সম্পর্কে তিনি বলেন, গত ১০ মাসে খুলনা মেট্রোপলিটন এলাকায় ২৬টি হত্যাকাণ্ড ঘটেছে।

এর মধ্যে দুটি লাশ নদীতে ভেসে আসায় ওই দুটি হত্যাকাণ্ডের মামলা নৌ পুলিশ তদন্ত করছে। বাকি ২৪টির মধ্যে ২২টি হত্যাকাণ্ডের পেছনের ঘটনা মেট্রোপলিটন পুলিশ তদন্তের মাধ্যমে উদঘাটন করতে সক্ষম হয়েছে। আসামিদের আটকও করা হয়েছে। বাকি দুটি মামলা তদন্তাধীন। তবে তদন্তে অগ্রগতি আছে।

এ সময় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে কেএমপি কমিশনার বলেন, মাদকের কারণে আমাদের তরুণ প্রজন্মের ভবিষ্যৎ নষ্ট হচ্ছে। মাদকের বিক্রেতা, বাহক এবং যারা খুলনার বাইরে থেকে মাদক নিয়ে আসে তাদের ওপর পুলিশের কঠোর নজরদারি আছে। গত সপ্তাহেও হরিণটানা থানা এলাকা থেকে ১৯ হাজার পিস ইয়াবা আটক করা হয়েছে। এ ছাড়া নিয়মিত অভিযানে মাদকদ্রব্য উদ্ধার হচ্ছে।

তিনি বলেন, স্কুল-কলেজপড়ুয়ারা আমাদের সন্তান। সন্ধ্যায় তাদের পড়ার টেবিলে ফিরিয়ে আনতে হবে। তারা যেন সন্ধ্যার পর ঘরের বাইরে অযথা আড্ডা না দেয়, সেদিকে অভিভাবকসহ সবাইকে নজর দিতে হবে।

সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ কমিশনার জানান, খুলনা শহরে ২০ থেকে ২২ হাজার ইজি বাইক চলাচল করে। এর অন্তত ৬০ শতাংশ প্রতিদিন বাইরে থেকে শহরে প্রবেশ করে। ইজি বাইকের চালকরা ট্রাফিক আইন সম্পর্কে সচেতন না হওয়ায় যানজট সৃষ্টি হয়। কেএমপির উদ্যোগে এ পর্যন্ত ছয় হাজার ৫০০ ইজি বাইক চালককে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। অন্যদেরও তিন-চার মাসের মধ্যে প্রশিক্ষণ দেওয়া সম্ভব হবে। এ ছাড়া খুলনার সব ইজি বাইককে দুই রঙে বিভক্ত করে রং অনুযায়ী এক দিন বাদে এক দিন চলাচলের ব্যবস্থা করার বিষয়ে ভেবে দেখা যেতে পারে বলেও তিনি মন্তব্য করেন।

সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস) মোহাম্মদ রাশিদুল ইসলাম খান, উপপুলিশ কমিশনার (উত্তর) মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম, উপপুলিশ কমিশনার (দক্ষিণ) মো. আবু তারেক, উপপুলিশ কমিশনার (সিটিএসবি) আবুল বাশার মোহাম্মদ আতিকুর রহমান, উপপুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) সুদর্শন কুমার রায় প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

মন্তব্য

উত্তাল সমুদ্রে নেমে চবির এক শিক্ষার্থীর মৃত্যু নিখোঁজ আরো দুজন

বিশেষ প্রতিনিধি, কক্সবাজার
বিশেষ প্রতিনিধি, কক্সবাজার
শেয়ার
উত্তাল সমুদ্রে নেমে চবির এক শিক্ষার্থীর মৃত্যু নিখোঁজ আরো দুজন

কক্সবাজারে সমুদ্রসৈকতের হিমছড়ি পয়েন্টে উত্তাল সমুদ্রে গোসলে নেমে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে। নিখোঁজ হয়েছেন তাঁর সহপাঠী আরো দুই শিক্ষার্থী। গতকাল মঙ্গলবার সকালে এই ঘটনা ঘটে।

মারা যাওয়া কে এম সাদমান রহমান সাবাব চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী।

তাঁর বাড়ি ঢাকার মিরপুরে। সাবাবের নিখোঁজ দুই সহপাঠী হলেন অরিত্র হাসান ও আসিফ আহমেদ। এঁরা তিনজনই বিশ্ববিদ্যালয়টির ২০২৩-২৪ সেশনের ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজের শিক্ষার্থী। তিনজনই বিশ্ববিদ্যালয়টির শহীদ ফরহাদ হোসেন হলের আবাসিক শিক্ষার্থী।

অরিত্র হাসান বগুড়ার নিধনিয়া দক্ষিণ পাড়া এলাকার বাসিন্দা আর আসিফ বগুড়ার দক্ষিণ নারুলি এলাকার বাসিন্দা।

সাবাবের বন্ধু আরবি বিভাগের শিক্ষার্থী রিয়াদ মিয়া বলেন, প্রথম বর্ষের ফাইনাল পরীক্ষা শেষ করে সোমবার আমরা পাঁচ বন্ধু কক্সবাজার বেড়াতে আসি। উঠেছি মেরিন ড্রাইভের সাগরপারের একটি হোটেলে। ভোর সাড়ে ৫টার দিকে আমরা হিমছড়ি সৈকতে যাই।

ছবি তোলার সময় বৃষ্টি শুরু হলে দুই বন্ধু দৌড়ে নিরাপদ আশ্রয়ে যাই। অন্য তিনজন উত্তাল সাগরে নেমে পড়ে। বারবার তাদের ডাকার পরও তারা আসছি, আসছি বলতে থাকে। স্থানীয় জেলেরাও তাদের উঠে আসতে বারবার অনুরোধ করে। কিন্তু তারা কিছু না মেনে সাগরে নেমে পড়ে।
এরপর এক পর্যায়ে তারা পানিতে তলিয়ে যায়।

রিয়াদ আরো বলেন, কিছু সময় পর সাবাবের লাশ তীরে ভেসে আসে। অন্য দুজনকে পাওয়া যাচ্ছে না।

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর তানভীর মোহাম্মদ হায়দার আরিফ কালের কণ্ঠকে বলেন, সকালে খবর পেয়ে ট্যুরিস্ট পুলিশ ও কক্সবাজারের ফায়ার সার্ভিস কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করি। তারা আমাকে জানায়, সাগর উত্তাল থাকায় উদ্ধার কার্যক্রম চালাতে বেগ পেতে হচ্ছে।

কক্সবাজার হিমছড়ি তদন্ত কেন্দ্রের পুলিশ পরিদর্শক সোমনাথ বসু বলেন, বন্ধুরা মিলে উত্তাল সাগরে নেমেছিল। ঢেউয়ে তিনজন তলিয়ে যায়। একজনের লাশ ভেসে এলেও দুজন নিখোঁজ রয়েছে। আমরা সৈকতে আছি। তাদের উদ্ধারে চেষ্টা চলছে।

কক্সবাজার ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তা দোলন আচার্য জানান, ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে গিয়ে নিখোঁজ ছাত্রদের সন্ধান করছে। সাগর উত্তাল। এ সময়ে সাগরে উদ্ধার অভিযান চালাতে যে ধরনের সরঞ্জাম প্রয়োজন তা কক্সবাজার স্টেশনে নেই। তাই উদ্ধারকাজে বেগ পেতে হচ্ছে।

সাবাবের মরদেহ জেলা হাসপাতাল মর্গে রয়েছে। সেখান থেকে তাঁর মরদেহ বাড়িতে নিয়ে যাওয়ার প্রক্রিয়া চলছে।

গত রাত সাড়ে ৮টায় এই প্রতিবেদন লেখার সময় পর্যন্ত নিখোঁজ দুই শিক্ষার্থীকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।

মন্তব্য

রাজধানীতে স্বামীকে শ্বাসরোধে হত্যা ও স্ত্রীকে কুপিয়ে ডাকাতি

    আরো ৪ জেলায় ৫ খুন
কালের কণ্ঠ ডেস্ক
কালের কণ্ঠ ডেস্ক
শেয়ার
রাজধানীতে স্বামীকে শ্বাসরোধে হত্যা ও স্ত্রীকে কুপিয়ে ডাকাতি

রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে ডাকাতির সময় হামলায় এক বৃদ্ধের মৃত্যু হয়েছে। তা ছাড়া দেশের সাত জেলায় আরো পাঁচ খুন এবং চার লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আমাদের নিজস্ব প্রতিবেদক ও প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর :

রাজধানীর যাত্রাবাড়ীর বিবির বাগিচা এলাকায় বাসায় গৃহস্থদের শ্বাস রোধ করে হত্যা ও ছুরিকাঘাতের ঘটনা ঘটেছে। নিহত ব্যক্তির নাম ইসমাইল খান (৮০)।

গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি আছেন তাঁর স্ত্রী সালেহা বেগম (৭৫)।

পুলিশ জানিয়েছে, গতকাল মঙ্গলবার ভোরে বারান্দার গ্রিল কেটে ডাকাতদল ওই বাসায় ঢোকে। এরপর তারা বাসার লোকজনকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে স্বর্ণালংকারসহ মালপত্র লুট করতে শুরু করে। বাধা পেয়ে তারা ওই বৃদ্ধ দম্পতিকে আঘাত করে।

তাতে ইসমাইল খান নিহত হন এবং তাঁর স্ত্রীকে ছুরিকাঘাত করা হয়। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কাউকে আটক করা যায়নি।

 

কক্সবাজারে ইউপি সদস্য খুন

কক্সবাজারের উখিয়ায় জালিয়াপালং ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ও যুবলীগ নেতা কামাল হোসেনকে হত্যা করে মরদেহ খালে ফেলে দেওয়া হয়। তিনি উপজেলার জালিয়াপালং ইউনিয়ন পরিষদের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বার ও উখিয়া উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম সম্পাদক ছিলেন।

সোমবার রাত ১১টার দিকে তিনি মনখালীর নিজ বাড়ি থেকে ওষুধ আনার জন্য স্থানীয় বাজারের ফার্মেসিতে গিয়ে আর ফিরে আসেননি। তাঁকে খোঁজাখুঁজির পর গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে স্থানীয় একটি খাল থেকে তাঁর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।

মরদেহ উদ্ধারের সময় তাঁর নাক দিয়ে রক্ত পড়তে দেখা গেছে। তাঁকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে বলে স্থানীয় লোকজন মনে করছে। পুলিশ বলছে, হত্যাকারীদের শনাক্ত করতে অভিযান চলছে।

 

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় দুই শিশু ধর্ষণ ও হত্যা

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া ও সরাইল উপজেলায় দুই শিশুকে ধর্ষণের পর হত্যার অভিযোগ উঠেছে। আখাউড়ায় মাজার এলাকা থেকে এক বাকপ্রতিবন্ধী শিশুর (১৪) মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় এক তরুণকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সরাইলে মসজিদের দোতলায় পাওয়া গেছে ৯ বছরের স্কুলছাত্রী ময়নার মরদেহ। এ ঘটনায় মসজিদের ইমাম ও মুয়াজ্জিনকে আটক করা হয়েছে।

 

ভোলায় রিকশাচালক খুন

ভোলা সদরে রিকশাচালক মতলব ফরাজীকে (৬০) ছুরি মেরে হত্যা করা হয়েছে। সোমবার রাতে এই ঘটনা ঘটে। পুলিশ বলছে, যাত্রীর ছদ্মবেশে দুর্বৃত্তরা এই ঘটনা ঘটিয়েছে। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।

 

ঝিনাইদহে সম্পত্তির বিরোধে যুবক নিহত

সুদীপ জোয়ার্দ্দার (৩৫) নামের এক যুবকের মৃত্যুকে কেন্দ্র করে পারিবারিক বিরোধের অভিযোগ উঠেছে। গত শনিবার রাতে নিজ বাড়িতে রহস্যজনকভাবে মৃত্যু হয় সুদীপের। প্রথমে আত্মহত্যা বলে প্রচার করা হলেও পরবর্তী সময়ে তাঁর শরীরে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়। অসামঞ্জস্যপূর্ণ তথ্যের ভিত্তিতে বিষয়টি নিয়ে সন্দেহ দেখা দিলে পুলিশ তদন্ত শুরু করে। যুবকের মৃত্যুর পর তাঁর সত্ভাই পলাতক রয়েছেন।

 

মুন্সীগঞ্জে যমজ শিশুর মরদেহ পুকুরে

মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগরে ছয় মাস বয়সী দুই যমজ শিশুর মরদেহ বাড়ির পেছনের পুকুর থেকে উদ্ধার করা হয়। স্থানীয় লোকজনের অভিযোগ, মা-বাবাই শিশুদের হত্যা করেছেন। সোমবার রাতের এ ঘটনায় পুলিশ দুজনকেই আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করছে।

 

ভালুকায় পোশাককর্মীর মরদেহ

ময়মনসিংহের ভালুকায় আকলিমা আক্তার (২৫) নামের এক নারী শ্রমিকের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গতকাল মঙ্গলবার দু্পুরে উপজেলার সিডস্টোর এলাকার একটি বাসা থেকে ওই মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এটা আত্মহত্যা নাকি হত্যাকাণ্ড, তা জানতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

 

বগুড়ায় নদীতে নবজাতকের মরদেহ

বগুড়ার ধুনট উপজেলায় ইছামতী নদী থেকে বাজারের ব্যাগে মোড়ানো নবজাতকের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল দুপুরে উপজেলার কালেরপাড়া ইউনিয়নের আড়কাটিয়া গ্রামে নদীর ঘাট এলাকা থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়। পুলিশ প্রাথমিকভাবে এটিকে অবাঞ্ছিত গর্ভ থেকে জন্ম নেওয়া শিশুর লাশ বলে ধারণা করছে। এ ঘটনায় মামলা করা হয়েছে।

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ