<p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">মুসলিম মা-বাবার ঘরে জন্মগ্রহণ করলেই কিংবা নিজেকে মুসলিম দাবি করলেই প্রকৃত মুসলিম হওয়া যায় না; বরং প্রকৃত মুসলিম হওয়ার জন্য ঈমানের বিশুদ্ধতা অর্জন জরুরি। নিমগাছ লাগিয়ে আম ফলের আশা করা যেমন বোকামি, তেমনি ঈমানে ভেজাল ঢুকিয়ে নিজেকে প্রকৃত ঈমানদার ভাবাও বোকামি। মহান আল্লাহ ঈমানদারদের প্রকৃত মুসলমান হওয়ার নির্দেশ দিয়ে বলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">হে বিশ্বাসীরা! তোমরা পরিপূর্ণভাবে ইসলামে প্রবেশ করো এবং শয়তানের পদাঙ্ক অনুসরণ  কোরো না। নিশ্চয়ই সে তোমাদের প্রকাশ্য শত্রু।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"> (সুরা : বাকারা, আয়াত : ২০৮) </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">অন্য আয়াতে মহান আল্লাহ ইরশাদ করেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">হে মুমিনরা! তোমরা পরিপূর্ণরূপে বিশ্বাস স্থাপন করো আল্লাহর ওপর, তাঁর রাসুলের ওপর এবং ওই কিতাবের ওপর, যা তিনি নাজিল করেছেন তাঁর রাসুলের ওপর এবং ওই সব কিতাবের ওপর, যা তিনি নাজিল করেছিলেন ইতিপূর্বে। আর যে কেউ অবিশ্বাস করে আল্লাহকে, তাঁর ফেরেশতাদের, তাঁর কিতাবসমূহকে, তাঁর রাসুলদের ও কিয়ামত দিবসকে, সে দূরতম ভ্রষ্টতায় নিপতিত হলো।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">(সুরা : নিসা, আয়াত : ১৩৬)</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">উল্লিখিত আয়াত দুটির আলোকে ঈমানদারদের দুই ভাগে ভাগ করা যায়। (১) খাঁটি ঈমানদার (২) সাধারণ ঈমানদার। আয়াত দুটিতে আল্লাহ তাআলা সাধারণ ঈমানদারদের ঈমানের বিশুদ্ধতার মাধ্যমে পূর্ণরূপে ইসলামে প্রবেশের নির্দেশ দিয়েছেন। কেননা অনেকে ঈমান আনা সত্ত্বেও তাদের ঈমান শিরকমিশ্রিত। মহান আল্লাহ বলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">তাদের বেশির ভাগ আল্লাহকে বিশ্বাস করে। অথচ সেই সঙ্গে শিরক করে।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"> (সুরা : ইউসুফ, আয়াত : ১০৬)</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">উল্লিখিত আলোচনা থেকে জানা যায়, মুসলমান নাম ধারণ করলেই খাঁটি মুসলমান হওয়া যায় না। খাঁটি মুসলমান হওয়ার জন্য ঈমানের বিশুদ্ধতা জরুরি। এ জন্য মুসলমানদের ৭২ দল যাবে জাহান্নামে, শুধুমাত্র একটি দল যাবে জান্নাতে। রাসুল (সা.) বলেছেন, বনি ইসরাঈল ৭২ দলে বিভক্ত হয়েছিল, আর আমার উম্মত ৭৩ দলে বিভক্ত হবে। সবাই জাহান্নামে যাবে, একটি দল ছাড়া। সাহাবিরা বললেন, সেটি কোন দল হে আল্লাহর রাসুল? তিনি বললেন, যারা আমি ও আমার সাহাবিরা যার ওপর আছি, তার ওপর টিকে থাকবে (তারাই জান্নাতে যাবে)। (তিরমিজি, হাদিস : ২৬৪১)</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">মহান আল্লাহ আমাদের খাঁটি মুসলমান হওয়ার তাওফিক দান করুন।</span></span></span></span></p>
