<p>হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলার ব্রাহ্মণডোরা ইউনিয়নের শেরপুর গ্রামে স্বামী রয়িক মিয়ার ছুরিকাঘাতে ফুলতারা (২৮) নামে প্রাণ কম্পানির এক শ্রমিক নিহত হয়েছেন। বুধবার (৮ মে) ভোরে সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। ফুলতারা হবিগঞ্জ সদর উপজেলার ছড়িপুর গ্রামের মকসুদ আলীর মেয়ে এবং শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলর শেরপুর গ্রামের রফিক মিয়ার স্ত্রী।</p> <p>স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, আট বছর আগে শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলার শেরপুর গ্রামের মৃত হুরন আলীর পুত্র রফিক মিয়ার (৩৫) সঙ্গে হবিগঞ্জ সদর উপজেলার ছড়িপুর গ্রামের মকসুদ আলীর মেয়ের বিয়ে দেওয়া হয়। বিয়ের পর তাদের কোলজুড়ে একটি পুত্র ও একটি কন্যা সন্তান জন্মগ্রহণ করে। কিন্তু রফিক জুয়া খেলতেন। জুয়া খেলার টাকার জন্য ফুলতারাকে প্রায়ই তিনি মারধর করতেন। দুই বছর আগে টাকার জন্য ফুলতারাকে মারধর করে দুই সন্তানসহ বাবার বাড়িতে পাঠিয়ে দেন। এরপর দুই শিশু ও নিজের খরচ জোগাতে ফুলতারা প্রাণ কম্পানিতে চাকরি নেন। এরপরও রফিক তার পিছু ছাড়েননি। তার নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে ফুলতারা  আদালতে রফিকের বিরুদ্ধে যৌতুকের মামলা করেন। এ মামলায় রফিকের এক  বছরের সাজা হয়। পুলিশ তাকে কারাগারে প্রেরণ করলে কিছুদিন জেল খেটে বেরিয়ে আসেন। এরপরই প্রতিশোধপরায়ণ হয়ে সুযোগ খুঁজতে থাকেন। </p> <p>গতকাল মঙ্গলবার রাত ৯টার দিকে চাকরি থেকে বাড়ি ফেরার পথে রফিকের বাড়ির কাছে পৌঁছামাত্র ফুলাতারাকে ছুরিকাঘাত করেন রফিক মিয়া। এক পর্যায়ে তার নাড়ি-ভুড়ি বেরিয়ে যায়। লোকজন তাকে উদ্ধার করে হবিগঞ্জ ২৫০ শয্যা আধুনিক জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন। তার অবস্থার অবনতি ঘটলে রাতেই তাকে সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। বুধবার ভোরে সেখানে তার মৃত্যু হয়।</p> <p>হবিগঞ্জ সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার খলিলুর রহমান এই তথ্য নিশ্চিত করে জানান, ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে সুরতহাল রিপোর্ট ও ময়নাতদন্তের কাজ চলছে। এ ব্যাপারে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। পুলিশ রফিক মিয়াকে গ্রেপ্তার করতে অভিযান পরিচালনা করছে।</p>