<p>উত্তর কোরিয়ার সাবেক গুরুত্বপূর্ণ কর্মকর্তা কিম কি নাম ৯৪ বছর বয়সে গতকাল মঙ্গলবার মারা গেছেন। উত্তর কোরিয়ায় তিন প্রজন্ম ধরে শাসনক্ষমতায় থাকা নেতাদের সবার সঙ্গেই কাজ করার অভিজ্ঞতা রয়েছে তার। উত্তর কোরিয়া সরকারের প্রচার বিভাগের (প্রপাগান্ডা) সামনের সারির নেতা হয়ে উঠেছিলেন তিনি। উত্তর কোরিয়ার শাসকদের গুণগান গাওয়াই এই প্রচার বিভাগের কাজ। কয়েক দশক ধরে তিনি রাজনৈতিক নেতাদের পক্ষে প্রচার চালিয়েছেন। </p> <p>রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমে বলা হয়, বার্ধক্যজনিত কারণ ছাড়াও আরো কিছু শারীরিক সমস্যায় ভুগছিলেন তিনি। ২০২২ সাল থেকে চিকিৎসা নিচ্ছিলেন। উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন মঙ্গলবার দিবাগত রাত ২টার দিকে কিম কি নামের মরদেহের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। দেশের প্রতি অপরিসীম আনুগত্য দেখানো এ প্রবীণ বিপ্লবীর মৃত্যুতে তিনি গভীরভাবে শোকাহত।</p> <p>কিম জং উনের বাবা কিম জং ইলের ঘনিষ্ঠ ছিলেন কিম কি নাম। ২০১১ সালে কিম ইল মারা যান। ২০০৯ সালে দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট কিম দে-জুংয়ের মৃত্যুর পর তার অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ায় অংশ নিতে উত্তর কোরিয়ার প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন কিম কি নাম। কিম দে-জুং হলেন সেই নেতা, যিনি তার ‘সানশাইন নীতি’ দিয়ে পিয়ংইয়ংয়ের সঙ্গে পুনর্মিলনের যুগের সূচনা করেছিলেন।</p> <p>দক্ষিণ কোরিয়ার সরকারি তথ্য অনুযায়- ১৯৬৬ সালে কিম কি নাম উত্তর কোরিয়ার প্রপাগান্ডাবিষয়ক উপপ্রধান হিসেবে দায়িত্ব নেন। ১৯৮৫ সালে কিম ইল সাংয়ের শাসনের সময়ে তিনি ‘প্রপাগান্ডা’ প্রধান হন এবং ২০১৭ সালে অবসর নেন। উত্তর কোরিয়ায় কিম পরিবারের তিন প্রজন্মের শাসন টিকিয়ে রাখতে যেসব কর্মকর্তা অনুগত থেকে কাজ করে গেছেন, তাদেরই একজন কি নাম।</p> <p>সূত্র : বিবিসি</p>