<p>শিক্ষা, সভ্যতা-সংস্কৃতি, রাজনীতিসহ প্রায় সব বিষয়ে অবদান রেখেছেন এমন অসংখ্য অবিস্মরণীয় ব্যক্তির জন্মস্থান ফরিদপুর। বৃহত্তর ফরিদপুরে হাজী শরিয়তুল্লাহ, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, কবি জসীমউদ্দীন ছাড়াও এখানে জন্মগ্রহণ করেছেন দেশের খ্যাতিমান একাধিক আলেম। তাঁদের মধ্যে আল্লামা শামসুল হক ফরিদপুরী, আল্লামা আবদুল আজিজ ও মুফতি আব্দুল কাদের (রহ.) উল্লেখযোগ্য। মুফতি আব্দুল কাদের (রহ.) প্রতিষ্ঠিত জামিয়া আরাবিয়া শামসুল উলুম-ফরিদপুর, যা খাবাসপুর মাদরাসা নামে প্রসিদ্ধ। মাদরাসাটি অর্ধশতাব্দীর বেশি সময় ধরে অত্র অঞ্চলে ইসলাম ও মুসলমানদের মুখপাত্র হিসেবে কাজ করে চলেছে।</p> <p>এটি ১৯৬৯ খ্রিস্টাব্দে ফরিদপুর-বরিশাল মহাসড়কের পূর্বপাশে পশ্চিম খাবাসপুরস্থ শাহ আব্দুর রহমান গঞ্জেরাজ (রহ.) ওয়াকফ এস্টেটে কুমার নদের তীরে প্রতিষ্ঠিত হয়। প্রাথমিক স্তর থেকে শুরু হওয়া প্রতিষ্ঠানটিতে দাওরায়ে হাদিস (মাস্টার্স সমমান) চালু করা হয় ১৯৮৬ সালে। এখান থেকে এ পর্যন্ত ৩৯৮ জন শিক্ষার্থী দাওরা হাদিস সম্পন্ন করেছেন। ২০১১ সালে উচ্চতর ইসলামী আইন গবেষণা অনুষদও (ইফতা) খোলা হয়। মোট ৮৮ জন শিক্ষার্থী মুফতি হয়েছেন। তা ছাড়া হাফেজ হয়েছেন অন্তত পাঁচ শ শিক্ষার্থী।</p> <p>মাদরাসার অধ্যক্ষ মুফতি কামরুজ্জামান বলেন, বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়া বাংলাদেশের অধীনে ভারতের দারুল উলুম দেওবন্দের শিক্ষা কারিকুলাম অনুসারে ইসলামী শিক্ষা প্রদান করা হয়। মাতৃভাষা বাংলা ছাড়াও শিক্ষার্থীরা আরবি, উর্দু ও ফার্সি ভাষা শেখার সুযোগ পায়। এখানে বর্তমানে প্রায় পাঁচ শর কাছাকাছি শিক্ষার্থী আবাসিক পড়াশোনা করে। এতিম ও দরিদ্রদের ফ্রি শিক্ষাগ্রহণের সুযোগ আছে। মাদরাসায় কর্মরত শিক্ষক ও অন্য স্টাফের সংখ্যা মোট ৩৭ জন।</p> <p>উল্লেখযোগ্য সাবেক ছাত্রদের মধ্যে আছেন বর্তমান মুহতামিম মুফতি কামরুজ্জামান, আল আরাফাহ ব্যাংকের ভাইস প্রেসিডেন্ট মুফতি মাসউদুর রহমান এবং ফরিদপুর ইমাম কল্যাণ ফাউন্ডেশনের সেক্রেটারি মাওলানা ইসমাঈল প্রমুখ। এ অঞ্চলের বেশির ভাগ মাদরাসা এবং দেশের বিভিন্ন জায়গার মাদরাসাগুলোতে জামিয়া আরাবিয়া শামসুল উলুম-ফরিদপুরের সাবেক কীর্তি শিক্ষার্থীরা ইসলামী জ্ঞান-বিজ্ঞান ও ইলমে নববী (সা.)-এর আলো বিতরণে ব্যাপক খেদমত করে চলেছেন।</p> <p> </p> <p> </p>