আল্লাহ তাআলার সন্তুষ্টি অর্জন ঈমানদারের জীবনের সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি ও সফলতা। আল্লাহ বলেন, ‘মানুষের মধ্যে এমন লোকও আছে, যে আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের জন্য আত্মবিক্রয় করে থাকে। আল্লাহ তাঁর বান্দাদের ওপর অত্যন্ত স্নেহপরায়ণ।’ (সুরা : বাকারা, আয়াত : ২০৭)
অন্য আয়াতে আল্লাহ বলেন, ‘তাদের বেশির ভাগ গোপন পরামর্শে কোনো কল্যাণ নেই, তবে কল্যাণ আছে যে নির্দেশ দেয় সদকা, সৎকর্ম ও মানুষের মধ্যে শান্তি স্থাপনের জন্য। আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের আশায় কেউ তা করলে অবশ্যই আমি তাকে মহাপুরস্কার দেব।’ (সুরা : নিসা, আয়াত : ১১৪)
মুমিনের শেষ ঠিকানা চিরস্থায়ী জান্নাত। সেই জান্নাতের শ্রেষ্ঠ নিয়ামত আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন। রাসুলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেছেন, ‘আল্লাহ জান্নাতিদের ডেকে বলবেন, তোমরা কি সন্তুষ্ট হয়েছ?’ তারা জবাব দেবে, হে আমাদের প্রতিপালক, আপনি আমাদের যে অপরিসীম নিয়ামতে ধন্য করেছেন, তাতে কী করে আমরা অসন্তুষ্ট থাকতে পারি! তখন আল্লাহ বলবেন, ‘আমি তোমাদের এর চেয়েও উত্তম নিয়ামত দেব। তা হলো, এখন থেকে আমি তোমাদের প্রতি চিরসন্তুষ্ট হয়ে গেলাম। আর কখনো অসন্তুষ্ট হব না।’ (বুখারি ও মুসলিম)
আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনকারীর জাগতিক জীবনও কল্যাণ ও বরকতে ধন্য হয়। আল্লাহ তার চলার পথ সহজ করে দেন। তার জন্য রহমতের দ্বার উন্মুক্ত করে দেন। আয়েশা (রা.) থেকে বর্ণিত, মহানবী (সা.) ইরশাদ করেছেন, ‘যে ব্যক্তি মানুষের অসন্তুষ্টির বিনিময়ে (হলেও) আল্লাহর সন্তুষ্টি কামনা করে, আল্লাহ মানুষের দায়িত্ব নির্বাহে তার সাহায্যকারী হিসেবে যথেষ্ট হয়ে যান। আর যে ব্যক্তি আল্লাহর অসন্তুষ্টির বিনিময়ে মানুষের সন্তুষ্টি কামনা করে, আল্লাহ তাকে মানুষের ওপরই সোপর্দ করে দেন।’ (তিরমিজি শরিফ)
মন্তব্য