<p>আঞ্চলিক অর্থনৈতিক প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে ইসলামী অর্থনীতির ওপর আস্থা বাড়ছে কেনিয়ার। পূর্ব ও মধ্য আফ্রিকার নেতৃত্ব দিতেই কেনিয়া নিজেকে ইসলামী অর্থনীতির কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলার চেষ্টা করছে। খ্রিস্টানপ্রধান এ দেশে মুসলিম জনসংখ্যা ১১ শতাংশ। অথচ এক দশকের বেশি সময় ধরে সেখানে ইসলামী ব্যাংক ও তাকাফুল (বীমা) ব্যবস্থা প্রচলিত। পূর্ব আফ্রিকান দেশগুলো ভবিষ্যৎ উন্নয়নের লক্ষ্যে শিল্প পরিকল্পনা, স্বতন্ত্র ‘সুকুক’ ও অর্থকরী শিক্ষাব্যবস্থাসহ বেশ কিছু পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করছে। বিদেশি বিনিয়োগ আকৃষ্ট করার জন্য কেনিয়া ২০১৭-১৮ অর্থবছরের বাজেটে ইসলামী অর্থনীতির ওপর বিশেষ গুরুত্বারোপ করে। এর পর থেকে দেশটি নিজেকে ‘ইসলামিক ফিন্যান্স’-এর পণ্যগুলোর কেন্দ্র হিসেবে নিজেকে গড়ে তোলার চেষ্টা করছে। কেনিয়ার ‘ক্যাপিটাল মার্কেট অথরিটি’র ‘রেগুলেটরি পলিসি অ্যান্ড স্ট্র্যাটেজি’-এর পরিচালক লুক ওমবারা বলেন, ‘ইসলামিক ফিন্যান্সকে কেনীয় সরকার একটি গুরুত্বপূর্ণ চাবিকাঠি মনে করে, যার মাধ্যমে এই অঞ্চল মাথা তুলে দাঁড়াতে পারবে।’ ১৯৯০ সালের পর কেনিয়ায় ইসলামী অর্থনীতির বিকাশ শুরু হয়। ২০০৪ সালে কেনিয়ায় ‘ফার্স্ট কমিউনিটি ব্যাংক’ নামে একটি ইসলামী ব্যাংক প্রতিষ্ঠিত হয়। কেনিয়া ভিশন ২০৩০-এর অংশ হিসেবে ইসলামী অর্থনীতির উন্নয়নে বেশ কিছু উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। যার মধ্যে আছে ১. স্বতন্ত্র সুকুক ইস্যু করা, ২. ইসলামিক ফিন্যান্সের ব্যাপারে জাতীয় নীতি প্রণয়ন, ৩. ইসলামিক ফিন্যান্সের পরিভাষাগুলোর অনুমোদন, ৪. ইসলামী অর্থনীতির ব্যাপারে সচেতনতা বৃদ্ধি, ৫. অনুকূল প্রশাসন প্রতিষ্ঠা করা ইত্যাদি।</p> <p>সূত্র : সালাম গেটওয়ে</p>