<p>বিসমিল্লাহ : কোনো ভালো কাজ শুরু করার আগে বিসমিল্লাহ পাঠ করতে হয়।</p> <p>আলহামদুলিল্লাহ : আলহামদুলিল্লাহ শব্দের অর্থ সমস্ত প্রশংসা মহান আল্লাহর জন্য। যেকোনো সুখবর বা ভালো অবস্থার সংবাদের বিপরীতে সাধারণত এটি বলা হয়ে থাকে। যেমন—ভাই আপনি কেমন আছেন? জবাবে বলা উচিত, আলহামদুলিল্লাহ, ভালো আছি।</p> <p>পছন্দনীয় কিছু দেখলে বা শুনলে বলতে হয়—‘আলহামদু লিল্লাহিল্লাজি বিনিয়মাতিহি তাতিম্মুস সালিহাত।’</p> <p>অপছন্দনীয় কিছু দেখলে বা শুনলে বলতে হয়—‘আলহামদুলিল্লাহি আলা কুল্লি হাল।’</p> <p>অর্থ : যেকোনো অবস্থায় সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর জন্য।</p> <p>(সূত্র : তিরমিজি ও ইবনে মাজাহ)</p> <p>ইনশাআল্লাহ : ইনশাআল্লাহ শব্দের অর্থ—মহান আল্লাহ যদি চান, তাহলে...। ভবিষ্যতে হবে, ঘটবে বা করব—এমন বিষয়ে ইনশাআল্লাহ বলা সুন্নাত। যেমন—ইনশাআল্লাহ আমি আগামীকাল আপনার কাজটি করে দেব।</p> <p>মাশাআল্লাহ : মাশাআল্লাহ শব্দের অর্থ, আল্লাহ যেমন চেয়েছেন। এটি আলহামদুলিল্লাহ শব্দের মতোই ব্যবহৃত হয়ে থাকে। তবে বিস্ময়কর কোনো কিছু দেখলে এই শব্দ বলা যায়। অর্থাৎ যেকোনো সুন্দর ও ভালো ব্যাপারে এটি বলা হয়। যেমন—মাশাআল্লাহ, তুমি তো অনেক বড় হয়ে গেছ।</p> <p>সুবহানাল্লাহ : সুবহানাল্লাহ শব্দের অর্থ আল্লাহ পবিত্র ও সুমহান। আশ্চর্যজনক ভালো কোনো কাজ হতে দেখলে সাধারণত এটি বলা হয়ে থাকে। যেমন—সুবহানাল্লাহ! আগুনে পুরো ঘর পুড়ে গেলেও পবিত্র কোরআন অক্ষত আছে!</p> <p>নাউজুবিল্লাহ : নাউজুবিল্লাহ শব্দের অর্থ হলো, আমরা মহান আল্লাহর কাছে এর থেকে আশ্রয় চাই। যেকোনো মন্দ ও গুনাহর কাজ দেখলে তার থেকে নিজেকে আত্মরক্ষার্থে এই শব্দ বলা হয়ে থাকে।</p> <p>আসতাগফিরুল্লাহ : আসতাগফিরুল্লাহ শব্দের অর্থ আমি মহান আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাই। অনাকাঙ্ক্ষিত কোনো অন্যায় বা গুনাহ হয়ে গেলে আমরা এটি বলব।</p> <p>ইন্নালিল্লাহ বা ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন : এ বাক্যের অর্থ হলো, নিশ্চয়ই আমরা মহান আল্লাহর জন্য এবং আমরা তাঁর দিকেই ফিরে যাব। যেকোনো দুঃসংবাদ বা বিপদের সময় ইন্নালিল্লাহ পড়ার কথা রয়েছে।</p> <p>লা হাওলা ওয়া লা কুওয়াতা ইল্লা বিল্লাহ : বাক্যটির অর্থ হলো, মহান আল্লাহর সাহায্য ও সহায়তা ছাড়া আর কোনো আশ্রয় ও সাহায্য নেই।</p> <p>শয়তানের দুরভিসন্ধিমূলক কোনো প্রতারণা ও তাড়না থেকে বাঁচার জন্য এই দোয়াটি পড়া হয়।</p> <p>হ্যালো নয়, সালাম : কারো সঙ্গে দেখা হলে হাই! হ্যালো! —এসব না বলে বলুন, আসসালামু আলাইকুম। (আপনার ওপর শান্তি বর্ষিত হোক)।</p> <p>থ্যাংক ইউ নয়, জাজাকাল্লাহ : কাউকে ধন্যবাদ জানাতে থ্যাংক ইউ নয়, জাজাকাল্লাহ বলুন। অথবা আরো বৃদ্ধি করুন—জাজাকাল্লাহু খায়রান। (মহান আল্লাহ আপনাকে সর্বোত্তম প্রতিদান দান করুন)।</p> <p>আল্লাহ হাফেজ ও ফি আমানিল্লাহ : কারো কাছ থেকে বিদায় নেওয়ার সময় ‘টা টা’ না বলে বলুন, আল্লাহ হাফেজ (মহান আল্লাহ সর্বোত্তম হেফাজতকারী) বা ফি আমানিল্লাহ (তোমাকে আল্লাহর নিরাপত্তায় দিয়ে দিলাম)।</p>