<p> খাতুনগঞ্জের পাইকারি বাজারে ভারতীয় পেঁয়াজের দাম কমে গতকাল মঙ্গলবার কেজি ৬০ থেকে ৬২ টাকায় বিক্রি হয়েছে। গত সোমবার এই পেঁয়াজ ৭৫ থেকে ৭৭ টাকায় বিক্রি হয়েছিল। আর মিয়ানমারের পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৫০ থেকে ৫২ টাকায়। হঠাৎ করে দাম বেড়ে যাওয়ায় পাইকারি বাজার দুই দিন ধরে ক্রেতাশূন্য হয়ে পড়েছে, এতে দাম কমে গেছে।</p> <p> এদিকে গতকাল দেশের সবচেয়ে বড় পাইকারি আড়ত খাতুনগঞ্জের পাইকারি বাজার পরিদর্শন শেষে টিসিবি চেয়ারম্যান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এ কে এম ইকবাল বলেছেন, আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে বাজারে পেঁয়াজের দাম কমবে। পেঁয়াজের দাম নিয়ে কারসাজি করা ব্যবসায়ীদের চিহ্নিত করতে বন্দরগুলোতে কাজ করছে গোয়েন্দারা। বেশ কয়েকজনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ারও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।</p> <p> খাতুনগঞ্জ ট্রেড ও ইন্ডাস্ট্রিজ অ্যাসোসিয়েশন কার্যালয়ে গতকাল সকালে ব্যবসায়ীদের নিয়ে বৈঠক করেন টিসিবি চেয়ারম্যান। পেঁয়াজের বাজারে অস্থিরতা ও স্থিতিশীল রাখতে ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে তিনি পরামর্শ চান। পরে ব্যবসায়ীদের নিয়ে তিনি চাক্তাই ও খাতুনগঞ্জের বাজার ঘুরে দেখেন। বৈঠক থেকে বের হয়ে খাতুনগঞ্জ ট্রেড ও ইন্ডাস্ট্রিজ অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক ছৈয়দ ছগীর আহমদ কালের কণ্ঠকে বলেন, খাতুনগঞ্জের ব্যবসায়ীদের মধ্যে পেঁয়াজের আমদানিকারক নেই। স্থলবন্দর থেকে পাঠানো পেঁয়াজ তারা শুধু কমিশনে বিক্রি করেন। সুতরাং স্থলবন্দর থেকে পাইকারি বাজারে সরবরাহ বাড়ানো উচিত।</p> <p> খাতুনগঞ্জ হামিদ উল্লাহ মার্কেট কাঁচা পণ্য আড়তদার সমিতির সহসভাপতি মো. আবসার উদ্দিন কালের কণ্ঠকে বলেন, দেশে পেঁয়াজের উৎপাদিতগুলো হিমাগারে সংরক্ষণের ব্যবস্থা করা গেলে সংকট মুহূর্তে সরবরাহ দিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ সম্ভব হতো। একই সঙ্গে পেঁয়াজ উৎপাদনের সময় বিদেশ থেকে আমদানি পারমিট দেওয়াও বন্ধ রাখতে হবে, এতে কৃষকরা ভালো দাম পেয়ে উৎপাদনে মনোযোগী হবেন। প্রতিবারই আমরা এই কথাগুলো বলি শুধু পেঁয়াজের বাজার অস্থির হলেই সবাই খোঁজ-খবর নেন। এরপর আর খোঁজ থাকে না। চাকতাই শিল্প ও ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ জামাল হোসেন বলেন, মিয়ানমারে পেঁয়াজের দাম এখনো অনেক কম। তাই সেগুলো টেকনাফ স্থলবন্দরের বদলে সরাসরি চট্টগ্রাম বন্দরে আমদানি করা গেলে অনেক সাশ্রয়ী হতো এবং দ্রুত বাজারে চলে আসত।</p>
