<p><span style="font-size:11pt"><span style="text-autospace:none"><span style="vertical-align:middle"><span style="line-height:115%"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ মহানগর আওয়ামী লীগের অধীন পর্যায়ে কোনো কমিটি হয়নি। অথচ ঢাকা মহানগরের অধীনে থাকা থানা ওয়ার্ডের সম্মেলন বছর পেরিয়ে গেছে। মূলত মহানগর সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের পছন্দ এক না হওয়ার কারণে কমিটির তালিকা চূড়ান্ত করা যাচ্ছে না। দলীয় সূত্রে এসব তথ্য জানা যায়।</span></span></span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="text-autospace:none"><span style="vertical-align:middle"><span style="line-height:115%"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">আবার খোদ ঢাকা মহানগরের কমিটির মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে। সর্বশেষ ২০১৯ সালের নভেম্বরে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সম্মেলন হয়। </span></span></span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="text-autospace:none"><span style="vertical-align:middle"><span style="line-height:115%"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">দলের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী এই কমিটির মেয়াদ তিন বছর। এতে ২০২২ সালের নভেম্বরেই কমিটির মেয়াদ শেষ হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে অধীন কমিটি দেওয়া সম্ভব হবে কি না, তা নিয়ে সংশয় তৈরি হয়েছে। </span></span></span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="text-autospace:none"><span style="vertical-align:middle"><span style="line-height:115%"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">দলের তৃণমূলের খবর, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমেদ মন্নাফি ও সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবিরের মতের মিল হচ্ছে না। এই অঞ্চলে কমিটির তালিকা নির্ধারণে পেছন থেকে ভূমিকা রাখার চেষ্টা করছেন দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ফজলে নূর তাপস। </span></span></span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="text-autospace:none"><span style="vertical-align:middle"><span style="line-height:115%"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">তাপস মহানগর দক্ষিণ কমিটির ও শেখ পরিবারের সদস্য এবং ঢাকা-১০ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য হওয়ায় এই অঞ্চলে তাঁর রাজনৈতিক প্রভাব রয়েছে। ফলে তাঁর অনুসারীদেরও তিনি কমিটিতে দেখতে চান। এতে দক্ষিণে ত্রিমুখী দ্বন্দ্ব তৈরি হয়েছে, যার প্রভাবে আটকে আছে কমিটি।</span></span></span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="text-autospace:none"><span style="vertical-align:middle"><span style="line-height:115%"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বজলুর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক মান্নান কচির মধ্যেও দ্বন্দ্বের খবর শোনা যাচ্ছে। এক পক্ষ অন্য পক্ষের বিরুদ্ধে কমিটিতে ঠাঁই দেওয়াকে কেন্দ্র করে আর্থিক লেনদেনেরও অভিযোগ তুলেছে। এমন পরিস্থিতিতে একবার একটি কমিটির খসড়া তালিকা করা হলেও তা পরে আর চূড়ান্ত হয়নি। </span></span></span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="text-autospace:none"><span style="vertical-align:middle"><span style="line-height:115%"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) নির্বাচন আগামী ৯ মার্চ। এতে সভাপতি প্রার্থী হয়েছেন এস এম মান্নান কচি। ফলে এখন তিনি বিজিএমইএর নির্বাচন নিয়েই ব্যস্ত। আপাতত কমিটি করা নিয়ে কারো মনোযোগ নেই।</span></span></span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="text-autospace:none"><span style="vertical-align:middle"><span style="line-height:115%"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">মহানগর পর্যায়ের একাধিক নেতার সঙ্গে কথা হলে তাঁরা জানান, মহানগরের পূর্ণাঙ্গ কমিটি দিতেই অনেক দিন সময় লেগেছে। তাই কার্যক্রম শুরু করতে গতি কমেছে। আবার করোনার কারণে প্রায় দুই বছর দলের সাংগঠনিক কাজ বন্ধ ছিল। এতে থানা ও ওয়ার্ড পর্যায়ের কমিটি দেওয়া যায়নি। </span></span></span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="text-autospace:none"><span style="vertical-align:middle"><span style="line-height:115%"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">এক প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ড. আব্দুর রাজ্জাক কালের কণ্ঠকে বলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">এত দিন জাতীয় নির্বাচন নিয়ে দলের সবাই ব্যস্ত ছিল। অন্যদিকে মনোযোগ দেওয়া সম্ভব হয়নি। এখন নির্বাচন শেষ হয়েছে। ধীরে ধীরে মহানগরের অধীন কমিটি চূড়ান্ত করা হবে। আমাদের এখনো বসা হয়নি। এ বিষয়ে দ্রুত বসব।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span></span></span></span></span></span></p> <p> </p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="text-autospace:none"><span style="vertical-align:middle"><span style="line-height:115%"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><b><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">মহানগর কমিটিরই মেয়াদ শেষ </span></span></b></span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="text-autospace:none"><span style="vertical-align:middle"><span style="line-height:115%"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">আওয়ামী লীগের গঠনতন্ত্রের ৩০-এর ২ (খ) বলছে, ৩৯ জন কর্মকর্তা ও ৩৬ জন সদস্য নিয়ে মোট ৭৫ জনের কমিটি হবে। ৩০-এর ২ (গ) বলছে, উপজেলা/থানা পর্যায়ে ৩৬ জন কর্মকর্তা ও ৩৫ জন সদস্য নিয়ে ৭১ জনের কমিটি হবে। মহানগর আওয়ামী লীগের ওয়ার্ড পর্যায়ে ৩২ জন কর্মকর্তা ও ৩৭ জন সদস্য নিয়ে কমিটি গঠন করতে গঠনতন্ত্রের ৩০-এর ২ (চ)-তে উল্লেখ করা হয়েছে। </span></span></span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="text-autospace:none"><span style="vertical-align:middle"><span style="line-height:115%"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">আওয়ামী লীগের গঠনতন্ত্রের ৩৫ অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, মহানগর আওয়ামী লীগের অধীনে ইউনিট, মহানগরের ওয়ার্ড ও সব থানা অন্তর্ভুক্ত থাকবে। প্রতি তিন বছরে থানা পর্যায়ের কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হবে। </span></span></span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="text-autospace:none"><span style="vertical-align:middle"><span style="line-height:115%"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">এ ক্ষেত্রে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ আওয়ামী লীগের কমিটির মেয়াদ তিন বছর থাকছে। সর্বশেষ ২০১৯ সালের ৩০ নভেম্বর উত্তর ও দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সম্মেলন হয়। ওই দিন দুই শাখার সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে চারজনের নাম ঘোষণা করা হয়েছিল। কিন্তু পূর্ণাঙ্গ কমিটি দিতে এক বছর চলে যায়। দলের নিয়ম অনুযায়ী, ২০২২ সালের নভেম্বরে সম্মেলন হওয়ার কথা ছিল। </span></span></span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="text-autospace:none"><span style="vertical-align:middle"><span style="line-height:115%"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারণী পর্যায়ের এক নেতা কালের কণ্ঠকে বলেন, সম্মেলন কবে হবে, সেটি জননেত্রী শেখ হাসিনা নির্ধারণ করবেন। পূর্ণাঙ্গ কমিটি হতে অনেক সময় গেছে। আবার করোনার কারণে বর্তমান কমিটি কার্যকর সময় অনেক কম পেয়েছে। সেসব বিষয়ও খেয়াল রাখতে হবে। </span></span></span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="text-autospace:none"><span style="vertical-align:middle"><span style="line-height:115%"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">গত ২০১২ সালের ২৭ ডিসেম্বর ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সম্মেলন হয়। এরপর ২০১৬ সালের ১০ এপ্রিল ঢাকা মহানগরকে দক্ষিণ ও উত্তরে বিভক্ত করে আলাদা কমিটি করা হয়েছিল। সে সময় প্রতিটি ওয়ার্ড, ইউনিয়ন ও থানা কমিটির সভাপতি-সম্পাদকও নির্বাচিত হন। পরে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে যুক্ত হওয়া আটটি ইউনিয়নকে ১৮টি ওয়ার্ডে পরিণত করা হয়।</span></span></span></span></span></span></span></p> <p> </p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="text-autospace:none"><span style="vertical-align:middle"><span style="line-height:115%"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><b><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">দক্ষিণের তালিকা জমা, উত্তরে খসড়াতেই আটকে</span></span></b></span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="text-autospace:none"><span style="vertical-align:middle"><span style="line-height:115%"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের থানা ও ওয়ার্ড পর্যায়ে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের তালিকা চূড়ান্ত করেছে মহানগর কমিটি। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে দলের সভাপতি শেখ হাসিনার কাছে তালিকা জমা দেওয়া হয়েছে। তবে এখনো পূর্ণাঙ্গ কমিটির তালিকা করা সম্ভব হয়নি। </span></span></span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="text-autospace:none"><span style="vertical-align:middle"><span style="line-height:115%"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">মহানগর দক্ষিণের সূত্র বলছে, ২৪টি থানা ও ৭৫টি ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের নাম চূড়ান্ত করতে দক্ষিণের সভাপতি আবু আহমেদ মন্নাফি, সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস কয়েক দফা বৈঠক করেছেন। তিনজনের পছন্দের ভিত্তিতেই তালিকা চূড়ান্ত হয়েছে। </span></span></span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="text-autospace:none"><span style="vertical-align:middle"><span style="line-height:115%"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">এক প্রশ্নের জবাবে দক্ষিণের এক নেতা কালের কণ্ঠকে বলেন, এটা ঠিক যে বেশ কিছু জায়গায় মতের অমিল ছিল। পছন্দ না মেলাটা অস্বাভাবিক কিছু না। সবারই আলাদা রাজনৈতিক কর্মী আছে। সংগঠন কার্যকর করতে হলে অনুসারীদের পদে আনতে হয়। তাপস ভাই (ফজলে নূর তাপস) অনেক সময় সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের ঊর্ধ্বে উঠে মত দিয়েছেন। সেটা সাংগঠনিক না হলেও কিছুই করার ছিল না। </span></span></span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="text-autospace:none"><span style="vertical-align:middle"><span style="line-height:115%"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">জানতে চাইলে মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির কালের কণ্ঠকে বলেন, তিনজন আলোচনা করেই ৮০ শতাংশ নাম ঠিক করেছেন। সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক ঠিক হয়ে গেলে পূর্ণাঙ্গ কমিটি করতে সময় লাগবে না। মূল প্রতিযোগিতা এই দুই পদের জন্যই হয়। </span></span></span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="text-autospace:none"><span style="vertical-align:middle"><span style="line-height:115%"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">এদিকে খসড়া তালিকাতেই আটকে আছে ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগ। আগামী মার্চের শেষ দিকে তালিকা চূড়ান্ত করে দলের সভাপতি শেখ হাসিনার কাছে জমা দিতে চায় তারা। এখন বিজিএমইএর নির্বাচন শেষ হওয়ার অপেক্ষায় আছেন উত্তরের নেতারা।  </span></span></span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="text-autospace:none"><span style="vertical-align:middle"><span style="line-height:115%"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">জানতে চাইলে মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বজলুর রহমান কালের কণ্ঠকে বলেন, তালিকা অনেকাংশে চূড়ান্ত হয়ে আছে। সাধারণ সম্পাদকের বিজিএমইএর নির্বাচন শেষে তালিকা পুরোপুরি চূড়ান্ত করা হবে। আর উত্তর দক্ষিণের সমন্বয় করারও একটি বিষয় রয়েছে। এখন নিজেদের মধ্যে আর কোনো ঝামেলা নেই। সব ঠিক আছে।</span></span></span></span></span></span></span></p>