ঢাকা, শনিবার ২৬ জুলাই ২০২৫
১১ শ্রাবণ ১৪৩২, ৩০ মহররম ১৪৪৭

ঢাকা, শনিবার ২৬ জুলাই ২০২৫
১১ শ্রাবণ ১৪৩২, ৩০ মহররম ১৪৪৭

কারুশিল্প

  • সপ্তম শ্রেণির চারু ও কারুকলা বইয়ের তৃতীয় অধ্যায়ে তোমরা কারুশিল্প সম্পর্কে জেনেছ। একটি দেশের ঐতিহ্যের ধারক এই হস্তশিল্প বিষয়ে আরো যা জানতে পারো—
শেয়ার
কারুশিল্প
মেলার স্টলে শোভা পাচ্ছে বিভিন্ন ধরনের কারুশিল্প। ছবি : সংগৃহীত

নান্দনিকতা, উপযোগিতা ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের বহিঃপ্রকাশ ঘটায় কারুশিল্প। একই সঙ্গে দৃষ্টিনন্দন ও ব্যবহার উপযোগী হতে পারে এই শিল্প। অনেক ক্ষেত্রে তা ঐতিহ্যগত জ্ঞান ও দক্ষতার মাধ্যমে প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে চলে আসে। মেশিনের পরিবর্তে হাতে তৈরি হওয়াই এই শিল্পের মূল বৈশিষ্ট্য।

স্থানীয় উপকরণ ব্যবহার করে এটি মূলত তৈরি হয়। আমাদের দেশে কারুশিল্পের স্থানীয় উপাদান বাঁশ, কাঠ, মাটি, কাপড়, পাট ও ধাতু। নকশিকাঁথা, মাটির পাত্র বা খেলনা, পাটের তৈরি ব্যাগ বা চটের সামগ্রী, বাঁশ ও বেতের তৈরি ঝুড়ি, কাঠের খোদাই করা ফার্নিচার, জামদানি শাড়ি প্রভৃতি বাংলাদেশের কারুশিল্পের উদাহরণ।

মানুষ যখন থেকে বাসস্থান, পোশাক ও দৈনন্দিন জীবনের প্রয়োজনে নিজ হাতে বিভিন্ন বস্তু তৈরি করা শুরু করে, তখন থেকেই কারুশিল্পের সূচনা।

এটি শুধু প্রয়োজন মেটানোর জন্যই নয়, বরং সৌন্দর্যবোধ ও সংস্কৃতির বিকাশের অংশ হিসেবেও গড়ে উঠেছে। প্রাচীন মেসোপটেমিয়া, চীন, ভারত ও গ্রিসে কারুশিল্প ছিল উচ্চমানের। ওই সময় মৃিশল্প, কাপড় বয়ন, ধাতব শিল্প, গয়না ইত্যাদি ছিল অত্যন্ত সমৃদ্ধ। ভারতীয় উপমহাদেশে কারুশিল্পের ইতিহাস প্রায় ৫০০০ বছরের পুরনো।
সিন্ধু সভ্যতায় (মহেঞ্জোদারো ও হরপ্পা) উন্নত মৃিশল্প, ধাতবপাত্র, গয়না ও টেক্সটাইলের প্রমাণ পাওয়া যায়। মৌর্য, গুপ্ত ও মোগল যুগে কারুশিল্প রাজকীয় পৃষ্ঠপোষকতায় বিকশিত হয়। মোগল আমলে জামদানি, মসলিন, হাতের কাজ করা পোশাক ও ধাতব কাজ বিশ্বজুড়ে খ্যাতি অর্জন করে। বাংলার মসলিন, জামদানি ও নকশিকাঁথার ঐতিহ্য বিশ্ববিখ্যাত। ব্রিটিশ আমলে স্থানীয় কারুশিল্প অনেকটাই ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
স্বাধীনতার পর থেকে বাংলাদেশে আবার নতুন করে কারুশিল্প চর্চা ও সংরক্ষণ শুরু হয়। বর্তমানে এটি একটি বড় হস্তশিল্প ও রপ্তানি খাত।

বাংলাদেশের কারুশিল্প দেশের অর্থনীতিতেও একটি গুরুত্বপূর্ণ খাত। এই শিল্প গ্রামীণ ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জীবিকার উৎস, রপ্তানি আয় বৃদ্ধিতে সহায়ক ও নারীর ক্ষমতায়নে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখে।

বাঁশ, বেত, মাটি, পাট, কাঠ ইত্যাদি স্থানীয় উপকরণ ব্যবহার করে এই শিল্পের পণ্য উত্পাদন করা হয়। ফলে স্থানীয় এই উপকরণগুলোরও  অর্থনীতিক গুরুত্ব বাড়ে। কারুশিল্প খাতে নারীদের অংশগ্রহণ উল্লেখযোগ্য। যেমননকশিকাঁথা, জামদানি বয়ন ও পাটের কাজ। এটি গ্রামাঞ্চলের নারীদের ঘরে বসে আয়ের সুযোগ করে দেয়। জামদানি, পাটজাত পণ্য, নকশিকাঁথা, মৃিশল্প, কাঠ খোদাই ইত্যাদির কদর বহির্বিশ্বেও ব্যাপক। বাংলাদেশ লোক ও কারু শিল্প ফাউন্ডেশনের আয়োজনে প্রতিবছর নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ে মাসব্যাপী লোক ও কারুশিল্প মেলা বসে। এ ছাড়া দেশি-বিদেশি বিভিন্ন মেলায় কারুশিল্প প্রদর্শনের মাধ্যমে ক্রেতাদের আকৃষ্ট করা হয়।

ইন্দ্রজিৎ মণ্ডল

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

এইচএসসি স্থগিত পরীক্ষার সময়সূচি

শেয়ার

অষ্টম শ্রেণি : বিজ্ঞান

    সাধন সরকার, সহকারী শিক্ষক, লৌহজং বালিকা পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়, মুন্সীগঞ্জ
শেয়ার
অষ্টম শ্রেণি : বিজ্ঞান

অষ্টম অধ্যায় : রাসায়নিক বিক্রিয়া

জ্ঞানমূলক প্রশ্ন

১।        রাসায়নিক বিক্রিয়া কী?

  উত্তর : যে প্রক্রিয়ায় এক বা একাধিক বস্তু নতুন এক বা একাধিক বস্তুতে পরিণত হয় তাকে রাসায়নিক বিক্রিয়া বলে।

২।        সংযোজন বিক্রিয়া কী?

  উত্তর : যে রাসায়নিক বিক্রিয়ায় একাধিক মৌল বা যৌগ মিলে নতুন এক বা একাধিক যৌগ গঠন করে তাকে সংযোজন বিক্রিয়া বলে।

৩।        তুঁতের সংকেত কী?

  উত্তর : তুঁতের সংকেত CuSO4.5H2O।

 

 

৪।        পটাসিয়াম ক্লোরেটের বিযোজনে উৎপন্ন গ্যাসের নাম কী?

  উত্তর : পটাসিয়াম ক্লোরেটের বিযোজনে উৎপন্ন গ্যাসটি হলো অক্সিজেন।

৫।        প্রশমন বিক্রিয়া কী?

  উত্তর : যে বিক্রিয়ায় এসিড ও ক্ষার বিক্রিয়া করে লবণ ও পানি উৎপন্ন করে তাকে প্রশমন বিক্রিয়া বলে।

৬।        তুঁতে কী?

  উত্তর : পাঁচ অণু পানিযুক্ত কপার সালফেট লবণকে তুঁতে বলে।

৭।        দহন বিক্রিয়া কী?

  উত্তর : যে রাসায়নিক বিক্রিয়ায় কোনো মৌল বা যৌগ অক্সিজেনের সঙ্গে বিক্রিয়া করে তাপ উৎপন্ন করে, তা-ই দহন বিক্রিয়া।

৮।        বিযোজন কী?

  উত্তর : যে বিক্রিয়ায় কোনো যৌগ ভেঙে একাধিক নতুন পদার্থ তৈরি হয়, সেই বিক্রিয়াকে বিযোজন বিক্রিয়া বলে।

৯।

       হাইড্রোজোয়িক এসিডের রাসায়নিক সংকেত কোনটি?

    উত্তর : হাইড্রোজোয়িক এসিডের রাসায়নিক সংকেত HN3।

 

মন্তব্য

পঞ্চম শ্রেণি : বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয়

    অনামিকা মণ্ডল, সহকারী শিক্ষক, পাজরাপাড়া, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, নাজিরপুর, পিরোজপুর
শেয়ার
পঞ্চম শ্রেণি : বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয়

অষ্টম অধ্যায় : নারী-পুরুষ সমতা

সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন

১। নারী নির্যাতন দমনে কত সালে নারী উন্নয়ন নীতি প্রবর্তন করা হয়েছে?

  উত্তর : নারী নির্যাতন দমনে ২০১২ সালে নারী উন্নয়ন নীতি প্রবর্তন করা হয়েছে।

২।        যৌতুক কী?

  উত্তর : বিয়ের সময় কিংবা বিয়ের আগে বা পরে বরপক্ষ অন্যায়ভাবে চাপ প্রয়োগের মাধ্যমে কনেপক্ষের কাছ থেকে যে অর্থসম্পদ আদায় করে নেয় তাকে যৌতুক বলে।

৩।        তুমি বিদ্যালয় থেকে বাড়ি ফেরার পথে দেখতে পেলে তোমার বিদ্যালয়ের একজন ছাত্রীকে রাস্তায় উচ্ছৃঙ্খল ছেলেরা বিরক্ত করছে। তুমি কী করবে?

  উত্তর : আমি নির্যাতন বন্ধের জন্য আশপাশের মানুষের সাহায্য নেব।

৪।

       ন্যায্য মজুরির দাবিতে কোথায় নারী শ্রমিকরা প্রথম রাজপথে নেমে আসে?

  উত্তর : ন্যায্য মজুরির দাবিতে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক শহরের একটি সেলাইয়ের কারখানায় নারীরা প্রথম রাজপথে নেমে আসে।

৫।        মায়েরা নির্যাতনের শিকার হলে শিশুদের কী সমস্যা হতে পারে?

  উত্তর : যেসব পরিবারে মায়েরা নির্যাতনের শিকার হয়, সেই পরিবারে শিশুদের শারীরিক ও মানসিক বিকাশ বাধাগ্রস্ত হয়।

৬।

       কিসের জন্য নারী নির্যাতন ক্ষতিকর?

  উত্তর : সমাজের জন্য নারী নির্যাতন ক্ষতিকর।

৭।        কত সালে ক্লারা জেটকিন ৮ মার্চকে আন্তর্জাতিক নারী দিবস হিসেবে ঘোষণা করার প্রস্তাব দেন?

  উত্তর : ১৯১০ সালে ক্লারা জেটকিন ৮ মার্চকে আন্তর্জাতিক নারী দিবস হিসেবে ঘোষণা করার প্রস্তাব দেন।

৮।        নারী নির্যাতন প্রতিরোধে সরকারের কোন মন্ত্রণালয় কাজ করছে?

  উত্তর : নারী নির্যাতন প্রতিরোধে সরকারের মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় কাজ করছে।

৯।        স্কুলে নারী দিবস উপলক্ষে একটি সেমিনারের আয়োজন করা হয়। এই দিবসের তাৎপর্য কী?

  উত্তর : এই দিবসের তাৎপর্য হচ্ছে নারী-পুরুষ সমতা।

১০। কে নারীদের ভোটাধিকার এবং নারী দিবস ঘোষণার দাবি জানান?

  উত্তর : ক্লারা জেটকিন নারীদের ভোটাধিকার এবং নারী দিবস ঘোষণার দাবি জানান।

১১।       ৮ মার্চ সারা বিশ্বে একটি দিবস পালিত হয়। এখানে কোন দিবসের কথা বলা হয়েছে?

  উত্তর : এখানে নারী দিবসের কথা বলা হয়েছে।

১২।       রাশেদা বেগমের মতে, নারী-পুরুষের মধ্যে বিভাজন নয়, বরং সহযোগিতা প্রয়োজন। তাঁর মনোভাবের সঙ্গে কোন মহীয়সী নারীর মিল আছে?

  উত্তর : তাঁর মনোভাবের সঙ্গে বেগম রোকেয়ার মিল আছে।

১৩।       নারী-পুরুষের সমতার বিষয়ে কবি কাজী নজরুল ইসলাম কী বলেছেন?

  উত্তর : নারী-পুরুষের সমতার বিষয়ে কবি কাজী নজরুল ইসলাম কাব্যিক ভাষায় বলেছেন, ‘বিশ্বে যা-কিছু মহান সৃষ্টি চির-কল্যাণকর, অর্ধেক তার করিয়াছে নারী, অর্ধেক তার নর।’

 

 

মন্তব্য

নবম ও দশম শ্রেণি : জীববিজ্ঞান

    সুনির্মল চন্দ্র বসু, সহকারী অধ্যাপক, সখীপুর সরকারি কলেজ, সখীপুর, টাঙ্গাইল
শেয়ার
নবম ও দশম শ্রেণি : জীববিজ্ঞান

একাদশ অধ্যায় :  জীবের প্রজনন

বহু নির্বাচনী প্রশ্ন

[পূর্বপ্রকাশের পর]

  উদ্দীপকের আলোকে ২০ ও ২১ নম্বর প্রশ্নের উত্তর দাও :

নবম ও দশম শ্রেণি : জীববিজ্ঞান

২০।  নিষেকের ফলে চিত্র X অংশটি কিসে পরিণত হয়?

  ক. শস্যকলায় খ. বীজে
গ. গর্ভপত্রে   ঘ. ভ্রূণে

২১।  চিত্রে  Y অংশটি যা সৃষ্টি করে তা হলো

  i. শস্যকলা   ii. ৩হ নিউক্লিয়াস
iii. বীজপত্র

  নিচের কোনটি সঠিক?

  ক. iii    খ. iiii
গ. iiiii   ঘ. i. ii I iii

  উদ্দীপকের আলোকে ২২ ও ২৩ নম্বর প্রশ্নের উত্তর দাও :

নবম ও দশম শ্রেণি : জীববিজ্ঞান

২২।  নিচের  P অংশটি নিষেকের পর পরিণত হয়

  ক. জাইগোটে খ. শস্যকোষে
গ. ডিম্বকে    ঘ. ভ্রুণে

২৩।

  চিত্র  XY-এর ক্ষেত্রে

  i. MN মিলিত হয়ে শস্যকোষ তৈরি করে

  ii. MP-এর সঙ্গে ঘ-এর মিলনে দ্বিনিষেক ঘটে

  iii. PN মিলিত হলে চারাগাছ হতে পারে

  নিচের কোনটি সঠিক?

  ক. iii    খ. iiii
গ. iiiii   ঘ. i. iiiii

  উদ্দীপকের আলোকে ২৪ ও ২৫ নম্বর প্রশ্নের উত্তর দাও :

নবম ও দশম শ্রেণি : জীববিজ্ঞান

২৪।  নিষেকের পর ‘P’ হতে তৈরি হয়

  i. জাইগোট    ii. ভ্রূণ   iii. শস্যকলা

  নিচের কোনটি সঠিক?

  ক. iii    খ. iiii
গ. iiiii   ঘ. i. iiiii

 

  উত্তর : ২০. ঘ ২১. ক ২২. ক ২৩. ঘ ২৪. ক। 

 

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ