<h4><strong>[নবম-দশম শ্রেণির তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বইয়ের দ্বিতীয় অধ্যায়ে ‘কম্পিউটার গেমে আসক্তি’ সম্পর্কে আলোচনা আছে]</strong></h4> <p>কম্পিউটার গেমে আসক্তিটা প্রায় সময়ই শুরু হয় শৈশব থেকে এবং বেশির ভাগ সময়ই সেটা ঘটে অভিভাবকদের অজ্ঞতার কারণে। কম্পিউটার একটা টুল (Tool) এবং এটা দিয়ে নানা ধরনের কাজ করা যেতে পারে। এই প্রযুক্তি সম্পর্কে এত সুন্দর সুন্দর কথা বলা হয়েছে যে অনেক সময়ই অভিভাবকরা ধরে নেন—এটা দিয়ে যা কিছু করা হয় সেটাই বুঝি ভালো, তাই যখন তাঁরা দেখেন তাঁদের সন্তানরা দীর্ঘ সময় কম্পিউটারের সামনে বসে আছে, তাঁরা বুঝতে পারেন না তার মাঝে সতর্ক হওয়ার ব্যাপার রয়েছে। কম্পিউটার গেম এক ধরনের বিনোদন এবং এই বিনোদনের নানা রকম মাত্রা রয়েছে। যারা সেটি খেলছে, তারা সেটাকে নিছক বিনোদন হিসেবে নিয়ে মাত্রার ভেতরে ব্যবহার করলে সেটি যেকোনো সুস্থ বিনোদনের মতোই হতে পারে। কিন্তু প্রায় সময়ই সেটি ঘটে না। দেখা গেছে, একটি ছোট শিশু থেকে পূর্ণবয়স্ক মানুষ পর্যন্ত সবাই কম্পিউটার গেমে আসক্ত হয়ে যেতে পারে। কোরিয়ায় একজন মানুষ টানা ৫০ ঘণ্টা কম্পিউটার গেম খেলে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েছিল, চীনের এক দম্পতি কম্পিউটার গেম খেলার অর্থ জোগাড় করতে তাদের শিশুসন্তানকে বিক্রি করে দিয়েছিল। এই উদাহরণগুলো আমাদের মনে করিয়ে দেয় কম্পিউটার গেমে আসক্ত হয়ে যাওয়া মোটেও বিচিত্র কিছু নয় এবং একটু সতর্ক না থাকলে একজন খুব সহজেই আসক্ত হয়ে যেতে পারে।</p>