<p><span style="font-size:20px"><strong>চতুর্থ অধ্যায় : জীবনীশক্তি</strong></span></p> <p> </p> <p><strong>সৃজনশীল প্রশ্ন</strong></p> <p> </p> <p><strong><img alt="" src="/ckfinder/userfiles/images/print/2019/20-05-2019/dese dese/kalerkantho-2019-09-20-15.jpg" style="height:242px; width:300px" /></strong></p> <p>ক) ফটোফসফোরাইলেশন কাকে বলে?</p> <p>খ) ATP-কে জৈব মুদ্রা বলা হয় কেন?</p> <p>গ) (ii) নম্বর প্রক্রিয়া অণুজীবে কিভাবে সংঘটিত হয় বর্ণনা করো।</p> <p>ঘ) (i) নম্বর ছাড়া (ii) নম্বর প্রক্রিয়া সংঘটিত হওয়া অসম্ভব বিশ্লেষণ করো।</p> <p><strong>সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর</strong></p> <p>ক) সালোকসংশ্লেষণ আলোকনির্ভর পর্যায়ে ক্লোরোফিল অণু আলোক রশ্মির ফোটন কণা শোষণ করে এবং শোষণকৃত ফোটন হতে শক্তি সঞ্চয় করে ADP-এর সঙ্গে অজৈব ফসফেট মিলিত হয়ে ATP তৈরির প্রক্রিয়াই হলো ফটোফসফোরাইলেশন।</p> <p>খ) ATP জীবন পরিচালনার জন্য জীবকোষ তথা জীবদেহে প্রতিনিয়ত হাজারো রকমের রাসায়নিক শক্তি জোগায়। ATP শক্তি জমা রাখে এবং প্রয়োজন অনুসারে অন্য বিক্রিয়ার জন্য উক্ত শক্তি সরবরাহ করে। এ জন্য ATP-কে জৈব মুদ্রা বলা হয়।</p> <p>গ) উদ্দীপকে উল্লিখিত (ii) নম্বর প্রক্রিয়াটি হলো শ্বসন প্রক্রিয়া। শ্বসন প্রক্রিয়াকে দুই ভাগে ভাগ করা যায়। যথা—সবাত শ্বসন ও অবাত শ্বসন। সবাত শ্বসন হলো উদ্ভিদ ও প্রাণীর স্বাভাবিক শ্বসন প্রক্রিয়া। অন্যদিকে কিছু অণুজীবে যেমন—ব্যাকটেরিয়া, ইস্ট ইত্যাদি অবাত শ্বসন হয়ে থাকে। নিচে অণুজীবে সংঘটিত অবাত শ্বসন প্রক্রিয়া বর্ণনা করা হলো—অবাত শ্বসন প্রক্রিয়ায় শ্বসনিক বস্তু অক্সিজেনের সাহায্য ছাড়াই কোষ মধ্যস্থ এনজাইম দ্বারা আংশিক রূপে জারিত হয়ে বিভিন্ন প্রকার জৈব যৌগ (ইথাইল অ্যালকোহল, ল্যাকটিক এসিড ইত্যাদি) কার্বন ডাই-অক্সাইড ও সামান্য পরিমাণ শক্তি উৎপন্ন করে,</p> <p><img alt="" src="/ckfinder/userfiles/images/print/2019/20-05-2019/dese dese/kalerkantho-2019-09-20-17.jpg" style="height:138px; width:300px" /></p> <p>অণুজীবে অবাত শ্বসন প্রক্রিয়া দুটি ধাপে সংঘটিত হয়। যথা :</p> <p><strong>ধাপ-১ (গ্লাইকোলাইসিস)</strong></p> <p>এ ধাপে এক অণু গ্লুুকোজ থেকে দুই অণু পাইরুভিক এসিড, চার অণু ATP (এর মধ্যে দুই অণু ব্যবহার হয়ে যায়) ও ২ AYy NADH+H<sup>+</sup> উৎপন্ন হয়।</p> <p><strong>ধাপ-২ (পাইরুভিক এসিডের অসম্পূর্ণ জারণ)</strong></p> <p>সাইটোপ্লাজমে অবস্থিত এনজাইমের কার্যকারিতায় পাইরুভিক এসিড অসম্পূর্ণরূপে জারিত হয়ে CO<sub>2</sub> এবং ইথাইল অ্যালকোহল অথবা শুধু</p> <p>ল্যাকটিক এসিড উৎপন্ন হয়।</p> <p>ঘ) উদ্দীপকের (i) নম্বর প্রক্রিয়াটি হচ্ছে সালোকসংশ্লেষণ এবং (ii) নম্বর প্রক্রিয়াটি হচ্ছে শ্বসন। সালোক-সংশ্লেষণ ছাড়া শ্বসন প্রক্রিয়া সংঘটিত হওয়া অসম্ভব। নিচে তা বিশ্লেষণ করা হলো—</p> <p>উদ্ভিদজীবনে সালোকসংশ্লেষণ ও শ্বসন প্রক্রিয়া দুটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এ দুটি শারীর বৃত্তীয় প্রক্রিয়ার মাধ্যমে উদ্ভিদে গ্যাসীয় বিনিময় ঘটে। উদ্ভিদের পাতার পত্ররন্ধ্র ও লেন্টিসেলের মাধ্যমে অক্সিজেন ও কার্বন ডাই-অক্সাইড গ্যাসের বিনিময় ঘটে। সালোকসংশ্লেষণের সময় উদ্ভিদ অক্সিজেন ত্যাগ করে এবং কার্বন ডাই-অক্সাইড গ্রহণ করে। উপজাত হিসেবে ত্যাগকৃত এ অক্সিজেন উদ্ভিদ শ্বসন প্রক্রিয়ায় ব্যবহার করে। যদি সালোকসংশ্লেষণ প্রক্রিয়া না ঘটত তাহলে অক্সিজেন উৎপন্ন হতো না। ফলে শ্বসন প্রক্রিয়াও ঘটতে পারত না।</p> <p>তাই বলা যায় উদ্ভিদে শ্বসন প্রক্রিয়া সংঘটিত হওয়া সালোকসংশ্লেষণ প্রক্রিয়া ছাড়া অসম্ভব।</p> <p> </p>