‘ঐকতান’ কবিতায় রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর শিল্পসাধনার ক্ষেত্রে পূর্ণতা আনার জন্য কাকে স্থান করে দেওয়ার কথা বলেছেন?
i. ব্র্যাত্য ii. প্রান্তিক iii. জাতিক
নিচের কোনটি সঠিক?
(ক) i, iii (খ) ii (গ) i, ii (ঘ) i, ii, iii
১৫। ‘মহাজাগতিক কিউরেটর’ গল্পে কিসের প্রতিফলন ঘটেছে?
(ক) মানবজাতির বিপর্যয়ের (খ) বৈশ্বিক সংকটের
(গ) লেখকের জীবনদৃষ্টির
(ঘ) পিঁপড়ার তাৎপর্যের
১৬। ‘প্রথমে চোখে জাগে ভীতি’—‘লালসালু’ উপন্যাসে কার চোখে এ ভীতি জাগে?
(ক) জমিলার (খ) রহিমার
(গ) আমেনার (ঘ) মজিদের
১৭। ‘এ দেশের বুকে আঠারো আসুক নেমে।’ কোন বৈশিষ্ট্যের কারণে কবি আঠারোর প্রত্যাশা করেছেন?
(ক) ইতিবাচকতা (খ) দুঃসাহসিকতা
(গ) প্রখরতা (ঘ) তারুণ্য
১৮। ‘সেই সুরটি যে আমার হৃদয়ের মাঝে আজও বাজিতেছে।’ কোন সুর?
(ক) বিনুদাদার আটকথা (খ) কল্যাণীর কণ্ঠস্বর
(গ) হরিশের সরস বর্ণনা (ঘ) শম্ভুনাথের দৃপ্তকণ্ঠ
১৯। ‘রবিউল সাহেব একজন প্রকৃতিপ্রেমিক। নদীর সঙ্গে তিনি মানবজীবনের সাদৃশ্য খুঁজে পান।’ তার এ দৃষ্টিভঙ্গির সঙ্গে কার সাদৃশ্য রয়েছে?
(ক) রবীন্দ্রনাথের (খ) নজরুলের
(গ) জীবনানন্দের (ঘ) মাইকেলের
২০। ‘রেইনকোট’ গল্পের ইসহাক কোন মাসের শুরু থেকে বাংলা বলা ছেড়ে দিয়েছে?
(ক) ডিসেম্বর (খ) ফেব্রুয়ারি
(গ) মার্চ (ঘ) এপ্রিল
২১। ‘মগজে হানিছে শূল?’—কথাটির মাধ্যমে কী বোঝানো হয়েছে?
(ক) ধর্মগ্রন্থ মুখস্থ করা খ) মৃত-পুঁথি কঙ্কালে দেবতাকে অন্বেষণ
(গ) ধর্মাচরণে মনোনিবেশ
(ঘ) অন্তর ধর্মে আস্থা রাখা
২২। ‘এই পৃথিবীতে এক স্থান আছে—সবচেয়ে সুন্দর করুণ।’ চরণটিতে ‘সুন্দর করুণ’ বলতে কবি কী বুঝিয়েছেন?
i. বেদনা মলিন সৌন্দর্য ii. সাধারণ সৌন্দর্য
iii. দুঃখের মাঝেও সৌন্দর্য
নিচের কোনটি সঠিক?
(ক) i, ii (খ) i, iii
(গ) ii, iii (ঘ) i, ii, iii
২৩। ‘লোক-লোকান্তর’ কবিতায় প্রকাশ পেয়েছে কবির—
i. দার্শনিক চিন্তা ii. আত্মপরিচয় iii. বিচ্ছিন্নতাবোধ
নিচের কোনটি সঠিক?
(ক) i, ii (খ) ii, iii
(গ) i, iii (ঘ) i, ii, iii
২৪। ‘মুহূর্তের অগ্ন্যুৎপাত’ দ্বারা ‘সেই অস্ত্র’ কবিতায় কী ইঙ্গিত করা হয়েছে?
(ক) মুক্তিযুদ্ধ (খ) ইন্দোনেশিয়ার সুনামি
(গ) ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলন
(ঘ) হিরোশিমায় বোমা বর্ষণ
২৫। ‘লালসালু’ উপন্যাসে ‘যেখানে সাপ জাগে সেখানে আবার কোমলতার ফুল ফোটে।’ এখানে ‘সাপ’ কী অর্থ প্রকাশ করে?
(ক) প্রতিহিংসা (খ) দুষ্ট
(গ) লালসা (ঘ) কামনা
২৬। ‘পক্ষিকুলের একটি বিশেষ শ্রেণি, ধার্মিক হিসেবে যার জবরদস্ত নাম’—এখানে কোন পাখির কথা বলা হয়েছে?
(ক) কাক (খ) বক (গ) টিয়া (ঘ) ময়না
২৭। রোকেয়া রচনাবলির প্রকাশক কে?
(ক) বঙ্গদর্শন পত্রিকা (খ) বাংলা একাডেমি
(গ) পূর্বাশা পত্রিকা (ঘ) সাহিত্য প্রকাশ
২৮। জিহ্বায় উচ্চারিত প্রতিটি ্ব কবিতা।
(ক) শস্যদানা (খ) আওয়াজ
(গ) শ্বাপদ (ঘ) সত্য শব্দ
২৯। ‘নৈয়ায়িক’ শব্দের অর্থ কী?
(ক) ন্যায় শাস্ত্রে পণ্ডিত ব্যক্তি (খ) নীতিবান
(গ) নৌকা চালনায় পারদর্শী (ঘ) নীতিবিবর্জিত ব্যক্তি
৩০। মীরজাফর ক্লাইভকে কোন জায়গার স্থায়ী মালিকানা দেন?
(ক) কলকাতার (খ) মুর্শিদাবাদের
(গ) জাফরগঞ্জের (ঘ) চব্বিশ পরগনার
[ উত্তর ডান পাশে ]
সৃজনশীল প্রশ্ন (মান : ৭০)
[ক-অংশ থেকে ন্যূনতম দুটি, খ-অংশ থেকে ন্যূনতম দুটি, গ-অংশ থেকে ন্যূনতম একটি এবং ঘ-অংশ থেকে ন্যূনতম একটিসহ মোট সাতটি উদ্দীপক-সংশ্লিষ্ট প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে। প্রতিটি প্রশ্নের মান ১০ (১+২+৩+৪)]
ক-অংশ : গদ্য
১। ক্ষুধার্তের কাছে নেই ইষ্টানিষ্ট, আইন কানুন।
সম্মুখে যা কিছু পাবো খেয়ে যাবো অবলীলাক্রমে:
থাকবে না কিছু বাকি, চলে যাবে হা-ভাতের গ্রাসে।
ক) মার্জারের মতে, সমাজের ধনবৃদ্ধির অর্থ কী?
খ) মার্জার কাকে তিন দিবস উপবাস করতে বলেছেন এবং কেন?
গ) উদ্দীপকের সঙ্গে ‘বিড়াল’ রচনার সাদৃশ্য চিহ্নিত করো।
ঘ) উদ্দীপকের ফুটে ওঠা দিকটি যেন ‘বিড়াল রচনার বিড়াল চরিত্রেরই প্রতিরূপ’ মন্তব্যটি কতটুকু যৌক্তিক তা আলোচনা করো।
২। মধ্যবিত্ত ঘরের স্কুল শিক্ষক বাবার শিক্ষিত মেয়ে নিরূপমা। গায়ের রং কালো বলে পাত্রের বাবা মোটা অঙ্কের যৌতুক দাবি করে; কিন্তু আধুনিক মানসিকতার পাত্র অজিত কোনোভাবেই যৌতুক নিতে রাজি নয়। তাই সে বাবাকে অনেক বুঝিয়ে যৌতুক ছাড়া বিয়ে করাতে রাজি করায়।
ক) বিয়ে ভাঙার পর কল্যাণী কোন ব্রত গ্রহণ করেছে?
খ) ‘তোমার পরিচয়ের শেষ হইলো না’—ব্যাখ্যা করো।
গ) উদ্দীপকের পাত্রের বাবার সঙ্গে ‘অপরিচিতা’ গল্পের মামার কতটুকু মিল রয়েছে? ব্যাখ্যা করো।
ঘ) ‘‘উদ্দীপকের অজিতের মানসিকতার মতো ‘অপরিচিতা’ গল্পের অনুপমের মানসিকতা হলে কাহিনি ভিন্ন ধারায় প্রবাহিত হতো।” যুক্তিসহ তোমার অভিমত ব্যাখ্যা করো।
৩। অপরিকল্পিত নগরায়ণের ফলে হাউজিং কম্পানিগুলো ফসলের ক্ষেত, বিল ও জলাশয়গুলো ভরাট করে ফেলছে। অন্যদিকে যত্রতত্র গড়ে উঠছে নানা ধরনের ফ্যাক্টরি। অথচ এসব অঞ্চলে পয়োনিষ্কাশন কিংবা ফ্যাক্টরির বর্জ্য অপসারণের যথার্থ ব্যবস্থা নেই। ফলে পরিবেশের বিপর্যয় ঘটছে।
ক) কিউরেটরদ্বয় কোন প্রজাতির নির্বুদ্ধিতায় শঙ্কিত?
খ) বুদ্ধিমান প্রাণী কোনটি? ব্যাখ্যা করো।
গ) উদ্দীপকের কোন বিষয়টি ‘মহাজাগতিক কিউরেটর’ গল্পে প্রতিফলিত হয়েছে? বর্ণনা করো।
ঘ) “উদ্দীপক ও ‘মহাজাগতিক কিউরেটর’ গল্পের চেতনাগত বৈসাদৃশ্য নেই”—মন্তব্যটি যাচাই করো।
৪। রমিজ সরকারি হাসপাতালের স্টোরকিপার। স্ত্রী-সন্তানদের চাহিদা পূরণ করতে গিয়ে সে গরিব রোগীদের ওষুধ না দিয়ে বিক্রি করে ফেলে। একসময় তার বিরুদ্ধে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ গেলে সে চাকরিচ্যুত হয়।
ক) ‘নেকলেস’ গল্পে অপরের চাকচিক্য দেখে কে ঈর্ষাকাতর ছিল?
খ) মাদাম লোইসেল দরিদ্র জীবনের ভয়াবহতা কিভাবে বুঝতে পারে?
গ) উদ্দীপকের রমিজ ও ‘নেকলেছ’ গল্পের মাদাম লোইসেলের মধ্যে সাদৃশ্য কতটুকু? আলোচনা করো।
ঘ) কাহিনির প্রেক্ষাপট ভিন্ন হলেও উদ্দীপকের রমিজ ও ‘নেকলেস’ গল্পের মাদাম লোইসেলের পরিণতি অনভিপ্রেত ও একই সুরে গাঁথা।
খ-অংশ : পদ্য
৫। ১৯৭১ সালের বর্ষার মাঝামাঝি সময়। কুসুমপুর গ্রামের চারদিকে পানি থইথই করে। তাই গ্রামবাসী নিশ্চিন্তে ঘুমায় এই ভেবে যে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী এই গ্রামে প্রবেশ করতে পারবে না। গ্রামের যুবকেরা মিলে যুদ্ধের প্রস্তুতি নিচ্ছিল। কিন্তু হঠাৎ করেই একদিন মাঝরাতে হানাদার বাহিনী গ্রামে প্রবেশ করে হত্যাযজ্ঞ চালায়। সে রাতে যারা পালিয়ে প্রাণে বেঁচে গিয়েছিল, তারা দেখেছে গ্রামের প্রতাপশালী হাসেম মাতবর হানাদার বাহিনীকে পথ দেখিয়ে নিয়ে এসেছে।
ক) সৌমিত্রি কে?
খ) ‘নির্গুণ স্বজন শ্রেয়ঃ পরঃ পরঃ সদা’—কেন?
গ) উদ্দীপকের হাসেম মাতবরের সঙ্গে তোমার পঠিত ‘বিভীষণের প্রতি মেঘনাদ’ কাব্যাংশের কোন চরিত্র সাদৃশ্যপূর্ণ? কেন? ব্যাখ্যা করো।
ঘ) “উদ্দীপকের হাসেম মাতবর এবং ‘বিভীষণের প্রতি মেঘনাদ’ কাব্যাংশের বিভীষণ উভয়ের চিন্তাধারা একই ধারায় প্রবাহিত, যা স্বদেশের জন্য হুমকিস্বরূপ”—উক্তিটির সপক্ষে যুক্তি দাও।
৬। কালো আর ধলো বাহিরে কেবল
ভিতরে সবার সমান রাঙা,
বাহিরের ছোপ আঁচড়ে সে লোপ
ভিতরের রং পলকে ফোটে,
বামুন, শূদ্র, বৃহৎ, ক্ষুদ্র
কৃত্রিম ভেদ ধুলায় লোটে।
ক) সাম্যবাদী কবিতায় বাঁশির কিশোর কাকে বলা হয়েছে?
খ) কবি নিজের প্রাণের মাঝে কেন শাস্ত্রকে খুঁজতে বলেছেন? বুঝিয়ে দাও।
গ) উদ্দীপকের বক্তব্য ‘সাম্যবাদী’ কবিতার কোন দিকটিকে নির্দেশ করে? ব্যাখ্যা করো।
ঘ) “উদ্দীপকটি ‘সাম্যবাদী’ কবিতার মূল চেতনাকে ধারণ করেছে”—উক্তিটির যথার্থতা বিচার করো।
৭। ‘কবিতা’ বাংলা সাহিত্যের সবচেয়ে প্রাচীন শাখা হলেও এর আবেদন সাহিত্যের অন্য সব শাখা থেকে ভিন্ন মাত্রার। এর এক অসাধারণ সম্মোহনী শক্তি রয়েছে। রয়েছে মানুষের অন্তরলোককে উজ্জীবিত করার সঞ্জীবনী শক্তি। তাই কবিতা যুগে যুগেই প্রেমে-দুঃখে, আবেগে-অনুরাগ, বিপ্লবে-নৈরাশ্যে সব সময় মানুষকে ক্রম উত্তরণের পথে পথ দেখায়।
ক) লোহাকে প্রজ্বলিত করলে কিসে পরিণত হয়?
খ) ‘সূর্যকে হৃপিণ্ডে ধরে রাখা’ কথাটি বুঝিয়ে লেখো।
গ) উদ্দীপকটি ‘আমি কিংবদন্তির কথা বলছি’ কবিতার কোন দিকটির সঙ্গে সাদৃশ্যপূর্ণ—ব্যাখ্যা করো।
ঘ) “উদ্দীপকটি ‘আমি কিংবদন্তির কথা বলছি’ কবিতার মূলভাবকে তুলে ধরলেও সমগ্র ভাবকে নয়।” তোমার উত্তরের সপক্ষে যুক্তি দাও।
গ-বিভাগ : উপন্যাস
৮। ‘পদ্মানদীর মাঝি’ উপন্যাসের কেন্দ্রীয় চরিত্র কুবের মাঝি নৌকা ও জালের মালিক ধনঞ্জয় কর্তৃক নানাভাবে বঞ্চিত হয়। অন্যদিকে সে-ও সুযোগ পেলে মাছ চুরি করে বিক্রি করে। কথায় বলে, ‘অভাবে স্বভাব নষ্ট।’
ক) ‘লালসালু’ উপন্যাস ইংরেজি ভাষায় অনুবাদ কত সালে করা হয়?
খ) ‘তাই তারা ছোটে ছোটে’—কারা, কোথায় ছোটে?
গ) উদ্দীপকের কুবের মাঝি ‘লালসালু’ উপন্যাসের কেন্দ্রীয় চরিত্রের সঙ্গে কতটুকু সাদৃশ্যপূর্ণ? আলোচনা করো।
ঘ) ‘‘উদ্দীপকের কুবের মাঝি ও ‘লালসালু’ উপন্যাসের মজিদের জীবিকার পথ ভিন্ন হলেও উভয়েরই নৈতিক স্খলন ঘটেছে’’—উক্তিটির সপক্ষে তোমার মতামত ব্যক্ত করো।
৯। সত্যজিৎ রায়ের ‘হীরক রাজার দেশে’ চলচ্চিত্রে হীরক রাজা সব পাঠশালা বন্ধ করে দেন। কারণ মানুষ যত বেশি জানে, তত কম মানে। তাই মূর্খদের শাসন করা সহজ।
ক) ‘এখন সে সচ্ছলতায় শেকড় গাড়া বৃক্ষ’—কে?
খ) ‘হে নাকি ইংরাজি পড়ছে, ইংরাজি পড়লে কী আর মাথা ঠাণ্ডা থাকে?’—কে, কেন বলেছে?
গ) উদ্দীপকের হীরক রাজার সঙ্গে ‘লালসালুর’ মজিদের চিন্তাধারা কতটুকু সামঞ্জস্যপূর্ণ? আলোচনা করো।
ঘ) ‘অবস্থানগত ভিন্নতা থাকলেও উদ্দীপকের হীরক রাজা আর ‘লালসালুর’ মজিদ উভয়েই শোষকের প্রতিভূ।’ মন্তব্যটির যথার্থতা মূল্যায়ন করে মত দাও।
ঘ-অংশ : নাটক
১০। হৃদেরাগে আক্রান্ত হয়ে হঠাৎ করেই মৃদুলের মা চলে যায় পরপারে। বাবা রফিক সাহেব দ্বিতীয় বিয়ে করে ঘরে তোলেন রাহেলাকে। রাহেলার আচরণ বিমাতাসুলভ ছিল না, এমনকি নিজের সন্তান হওয়ার পরও। কিন্তু মৃদুলের বাবা অসুস্থ হয়ে দীর্ঘদিন শয্যাশায়ী হলে রাহেলা কৌশলে সব বিষয়-সম্পত্তি নিজের নামে লিখিয়ে নেয়।
ক) নবাব আলিবর্দি খাঁর প্রকৃত নাম কী?
খ) ‘আমরা এমন কিছু করলাম, যা ইতিহাস হবে।’ উক্তিটি কার এবং কখন করেছে? ব্যাখ্যা করো।
গ) উদ্দীপকের রাহেলা ‘সিরাজউদ্দৌলা’ নাটকের ঘসেটি বেগম চরিত্রের সঙ্গে কতটুকু সাদৃশ্যপূর্ণ? ব্যাখ্যা করো।
ঘ) ‘রাহেলা কিংবা ঘসেটি বেগমের স্বার্থান্বেষী আচরণের কারণে সমাজের চিত্র বদলে যায়।’—যুক্তিসহ মত দাও।
১১। এ দেশের মাটির পরে
অনেক জাতির অনেক দিনের লোভ আছে
সে কথা ইতিহাস বলে।
ক) সিরাজউদ্দৌলাকে হত্যা করেছিল কে?
খ) ‘ঘুষ খেয়ে খেয়ে ঘুষ কথাটার অর্থই বদলে গেছে আপনার কাছে’—ব্যাখ্যা করো।
গ) উদ্দীপকের মূল ভাবধারার সঙ্গে ‘সিরাজউদ্দৌলা’ নাটকের কাহিনির প্রেক্ষাপটে কতটুকু সামঞ্জস্যপূর্ণ? আলোচনা করো।
ঘ) ‘উদ্দীপকে এ দেশের যে ঐতিহ্যের ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে, সিরাজউদ্দৌলার পতনের মূল কারণ এই ঐতিহ্য।’ ব্যাখ্যা করো।
[ উত্তর ডান পাশে ]
এইচএসসি বাংলা প্রথম পত্র
মডেল টেস্টের উত্তর
মডেল টেস্টের সৃজনশীল অংশের জ্ঞানমূলক (ক) ও অনুধাবনমূলক (খ) প্রশ্নের উত্তর :
১। (ক) মার্জারের মতে, সমাজের ধন বৃদ্ধির অর্থ ধনীর ধন বৃদ্ধি।
(খ) মার্জার বিচারককে তিন দিবস উপবাস করতে বলেছেন।
ন্যায়সংগতভাবে বিচার করাই বিচারকের কাজ। বিড়ালকে দুধ চুরির অপরাধে বিচার করতে হলে আগে এর কারণ অনুসন্ধান করতে হবে। কেননা স্বেচ্ছায় কেউ চুরি করে না। ক্ষুধার জ্বালায় অস্থির হয়ে বিড়াল চুরি করে। কেউ স্বেচ্ছায় চুরি করলে তার শাস্তি দিতে কোনো আপত্তি নেই; কিন্তু অভাবের তাড়নায় কেউ চুরি করলে তার অভাব দূরীভূত করে দেখতে হবে সে চুরি করে কি না। অভাব তথা ক্ষুধার তাড়নায়ও বিচারকের যদি চুরি করে খেতে ইচ্ছা না করে, তাহলে তিনি চোরকে শাস্তি প্রদান করতে পারবেন।
২। (ক) বিয়ে ভাঙার পর কল্যাণী মেয়েদের শিক্ষায় ব্রত গ্রহণ করেছে।
খ) ‘অপরিচিতা’ গল্পের নায়িকা কল্যাণী নায়ক অনুপমের কাছে শেষ পর্যন্ত অপরিচিতই থেকে গেল।
অনুপমের সঙ্গে কল্যাণীর বিয়ে হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু অনুপমের মামার কারণে হয়নি। বিয়ের আসর থেকে চলে আসতে হয়। বিয়ের কথা চলাকালে অনুপমের মনের মধ্যে কল্যাণীর একটি ছবি এঁকেছে, স্বপ্ন সাজিয়েছে। অথচ সারা জীবনের জন্য তাকে পাওয়া হয় না, জানা হয়ে ওঠে না। এমনকি পরবর্তী সময় একই রেলগাড়ির একই কক্ষে অবস্থান করলেও অনুপম বুঝতে পারেনি যে, এ-ই সেই তার আরাধ্য পাত্রী কল্যাণী। তাই অনুপমের কাছে কল্যাণী চিরকাল অপরিচিতই থেকে গেল।
৩। (ক) কিউরেটরদ্বয় মানুষের নির্বুদ্ধিতায় শঙ্কিত।
(খ) বুদ্ধিমান প্রাণী হচ্ছে পিঁপড়া, কিউরেটরদ্বয় দেখেছে পিঁপড়া অত্যন্ত সুবিবেচক এবং সংঘবদ্ধ হয়ে বাস করে। তাদের একটা সমাজ আছে। একজনের জন্য অপরজনও জীবন দিতে তারা প্রস্তুত থাকে। দুর্দিনের জন্য খাদ্য সঞ্চয় করে রাখে। এরা অত্যন্ত পরিশ্রমী, ঝগড়া-বিবাদবিরোধী এবং প্রাকৃতিক পরিবেশ সহায়ক। তাই এটি বুদ্ধিমান প্রাণী।
৪। (ক) ‘নেকলেছ’ গল্পে অপরের চাকচিক্য দেখে ঈর্ষাকাতর হয়েছিল মাদাম লোইসেল।
(খ) মাদাম লোইসেল ফোরস্টিয়ারের গলার হার হারিয়ে দরিদ্র জীবনের ভয়াবহতা বুঝতে পারে।
দরিদ্র হলেও মাদাম লোইসেল ছিল অত্যন্ত উচ্চাভিলাষী। আড়ম্বরপূর্ণ বিলাসী জীবনযাপন করতে সে বেশি পছন্দ করত। সে তার বান্ধবী ফোরস্টিয়ারের কাছে থেকে ধার করে আনা গলার হার নাচতে গিয়ে হারিয়ে ফেলে। ফলে ১৮ হাজার ফ্রাঁ ধার করে এবং মোট ৩৬ হাজার ফ্রাঁ দিয়ে কিনে দেয়। এই ধার শোধ করতে গিয়ে তাকে বিলাসী জীবন ত্যাগ করে কঠোর পরিশ্রম করতে হয়। আর এভাবেই সে দরিদ্র জীবনের ভয়াবহতা বুঝতে পারে।
৫। (ক) সৌমিত্রি হচ্ছে লক্ষণ।
(খ) পরজন যদি গুণীও হয়, তার চেয়ে নির্গুণ আপনজনই ভালো। কারণ প্রয়োজনে সে উপকারে আসে, কাছে পাওয়া যায়।
পার্থিব জগতে যে আপন সে-ই সুখে-দুঃখে এগিয়ে আসে। কিন্তু পরজনকে সুখ-দুঃখের সাথী হিসেবে পাওয়া যায় না। তাই পরজন গুণী হলেও কোনো লাভ নেই। আপনজন আত্মীয়তার টানে সাহায্য-সহযোগিতার জন্য এগিয়ে আসে। এ জন্যই গুণবান পরজন অপেক্ষা নির্গুণ স্বজন শ্রেষ্ঠ।
৬। ক) ‘সাম্যবাদী’ কবিতায় শ্রী কৃষ্ণকে বাঁশির কিশোর বলা হয়েছে।
খ) কবি নিজের প্রাণের মাঝে সব শাস্ত্রকে খুঁজতে বলেছেন। কেননা, সব শাস্ত্রের চেয়ে মহৎ শাস্ত্র মানুষের হৃদয়ে বসবাস করে।
বিভিন্ন ধর্মের ভিন্ন ভিন্ন শাস্ত্র রয়েছে। মানুষ সেসব শাস্ত্র পড়ে আত্মার পবিত্রতা উপলব্ধির চেষ্টা করে। কিন্তু কবির মতে, মহাপবিত্র শাস্ত্র মানুষের হৃদয়। যেখানে অবস্থান করে পৃথিবীর সব ধর্মের সব দেবতা, যেখানে বিরাজ করে মহাসত্য, মহাপবিত্রতার জ্ঞান, তা হলো মানব হৃদয়। তাই নিজের প্রাণের মাঝে শাস্ত্রকে খুঁজতে বলেছেন।
৭। (ক) লোহাকে প্রজ্বলিত করলে ইস্পাতের তরবারিতে পরিণত হয়। অন্তরকে সূর্যের মতো প্রদীপ্ত ও সর্বশক্তির আধারে রূপান্তরিত করার কথা বলা হয়েছে।
(খ) সব শক্তির উৎস হলো সূর্য। সূর্যের আলোকে সমগ্র সৌরজগৎ আলোকিত। সূর্যের আলো না থাকলে পৃথিবীর সব উদ্ভিদ ও প্রাণী নিঃশেষ হয়ে যেত। তাই এই সূর্যের সর্বশক্তিকে হৃদয়ে ধারণ করতে পারলে মুক্তি অনিবার্য। আর এই যোগ্যতা অর্জনের একমাত্র উপায় হলো কবিতা শোনা, কবিতার অমিয় বাণীকে হৃদয়াঙ্গম করা, অন্তরে লালন করা। কেননা, কবিতায় উচ্চারিত প্রতিটি শব্দই সত্য। আর সত্যই শক্তি। এই সত্য শক্তি অর্জিত না হলে কেউ মহৎ কাজে নিজেকে শঁপে দিতে পারে না। তখন ক্রীতদাস রূপেই জীবন অতিবাহিত করতে হয়। তাই কবি সূর্যকে হৃপিণ্ডে ধরে রাখতে বলেছেন।
৮। (ক) লালসালু উপন্যাসটি প্রথম ১৯৪৮ সালে প্রকাশিত হয়।
খ) শস্যবিহীন জনবহুল অঞ্চলের বাসিন্দারা জীবিকার অন্বেষণে ছোটে।
গ্রামপ্রধান এই বাংলাদেশের বেশির ভাগ মানুষ জীবিকা নির্ভর করে কৃষিকাজের ওপর। কিন্তু এ দেশে অনেক গ্রাম আছে, যেখানে জনসংখ্যার তুলনায় শস্য অপ্রতুল। তা ছাড়া নদীভাঙনেও ফসলের জমি বিলীন হয়ে যায়। তাই বেঁচে থাকার সংগ্রামে লিপ্ত এসব মানুষের যখন নিজ অঞ্চলে জীবিকার পথ রুদ্ধ হয়ে যায়, তখন তারা ছোটে সেখানে, যেখানে গেলে দুমুঠো খেয়ে বেঁচে থাকা যায়।
৯। (ক) এখন মজিদ সচ্ছলতায় শিকড় গাড়া বৃক্ষ।
(খ) মজিদ আক্কাসকে উদ্দেশ্য করে এ কথা বলেছে।
মজিদ মহব্বতনগর গ্রামে শক্তির শিকড় গেড়েছে। সে শক্তি আসে মাছের পিঠের মতো চির নীরব মাজার থেকে। মাজারটি তার শক্তির উৎস। কিন্তু এই শক্তি ধূলিসাৎ হয়ে যাবে, যদি লোকজন শিক্ষিত হয়ে যায়। কারণ শিক্ষার সঙ্গে সঙ্গে ধর্মান্ধতা দূরীভূত হয়। মজিদ এ কথা বোঝে। তাই আক্কাস গ্রামে স্কুল প্রতিষ্ঠা করতে চাইলে মজিদ প্রশ্নোক্ত উক্তিটি করে আক্কাসের পরিকল্পনা নস্যাৎ করে দেয়। আক্কাসকে দমানোর জন্যই মজিদ এ ধরনের উক্তি করেছে।
১০। (ক) নবাব আলিবর্দি খাঁর প্রকৃত নাম মির্জা মুহম্মদ আলি।
(খ) ইস্ট ইন্ডিয়া কম্পানির কর্নেল ক্লাইভ বলেন, ‘আমরা এমন কিছু করলাম, যা ইতিহাস হবে।’
ইস্ট ইন্ডিয়া কম্পানির প্রতিনিধিরা নবাব সিরাজউদ্দৌলকে পতনের জন্য উঠে পড়ে লেগে যায়। তারা নবাবের বেশির ভাগ অমত্যের সঙ্গে আঁতাত করে। সিরাজউদ্দৌলার পতন হলে কে কী পাবে, সে মর্মে একটি দলিল তৈরি করে। তাতে ষড়যন্ত্রকারীদের স্বাক্ষর নেয়। মীরজাফরের স্বাক্ষরের পর ক্লাইভ উক্তিটি করে। কারণ দূরদর্শী ক্লাইভ বুঝতে পেরেছিল যে এই স্বাক্ষরের মাধ্যমেই বাংলা-বিহার-ওড়িষ্যার স্বাধীনতা চিরতরে মুছে যাবে এবং এ ঘটনা ইতিহাসে ঠাই পাবে।
১১। (ক) নবাব সিরাজউদ্দৌলাকে হত্যা করেছিল মোহাম্মদি বেগ।
(খ) ‘ঘুষ খেয়ে খেয়ে ঘুষ কথাটার অর্থই বদলে গেছে আপনার কাছে’ কথাটি মার্টিন বলেছে ড্রেককে উদ্দেশ করে।
ইস্ট ইন্ডিয়া কম্পানির প্রতিনিধি রজার ড্রেক ছিলেন অত্যন্ত স্বার্থপর। প্রচুর অর্থের বিনিময়ে তিনি নবাবের আদেশ অমান্য করে কৃষ্ণবল্লভকে আশ্রয় দেন। ফলে নবাবের রোষানলে পড়েন। নবাবকে উদ্ধত ভাষায় চিঠি লেখার কারণে তারা কলকাতা থেকে বিতাড়িত হয়ে ভাগীরথী নদীতে ফোর্ট উইলিয়াম জাহাজে আশ্রয় নেয়। সেখানে তাদের দুর্দশা চরম আকার ধারণ করে। নবারের হুকুমে কেউ তাদের কাছে খাদ্যদ্রব্য বিক্রি করে না। করলেও গোপনে চড়া দামে। এই জাহাজে কিলপ্যাট্রিক ২৫০ জন সৈন্য নিয়ে হাজির হওয়ায় ড্রেক, হ্যারি, মার্টিন আলোচনায় বসে। তখন মার্টিন ড্রেককে উদ্দেশ করে প্রশ্নোক্ত উক্তিটি করে। কারণ ড্রেকের দুর্নীতির কারণেই তাদের আজ এই দুর্দশা।
বহু নির্বাচনী প্রশ্নের উত্তর
১. ক ২. ঘ ৩. গ ৪. ঘ ৫. গ ৬. ক ৭. খ ৮. গ ৯. গ ১০. খ ১১. ক ১২. গ ১৩. খ ১৪. গ ১৫. ক ১৬. ক ১৭. ক ১৮. খ ১৯. ক ২০. ঘ ২১. খ ২২. খ ২৩. গ ২৪. গ ২৫. গ ২৬. খ ২৭. খ ২৮. ঘ ২৯. ক ৩০. ঘ।
এইচএসসি বাংলা প্রথম পত্রের আরো একটি পূর্ণাঙ্গ মডেল টেস্ট আগামী সংখ্যায়