ঢাকা, বুধবার ০৯ জুলাই ২০২৫
২৫ আষাঢ় ১৪৩২, ১৩ মহররম ১৪৪৭

ঢাকা, বুধবার ০৯ জুলাই ২০২৫
২৫ আষাঢ় ১৪৩২, ১৩ মহররম ১৪৪৭
এসএসসি মডেল টেস্ট

বাংলা দ্বিতীয় পত্র

লুৎফা বেগম, সিনিয়র শিক্ষক, বিএএফ শাহীন কলেজ, কুর্মিটোলা, ঢাকা
লুৎফা বেগম, সিনিয়র শিক্ষক, বিএএফ শাহীন কলেজ, কুর্মিটোলা, ঢাকা
শেয়ার
বাংলা দ্বিতীয় পত্র
পহেলা বৈশাখ বা বাংলা নববর্ষ বাঙালির এক অনন্য ও অন্যতম জাতীয় উৎসব। নববর্ষ মানেই পুরনো, জীর্ণ এক অস্তিত্বকে বিদায় দিয়ে সতেজ, সজীব নবীন এক জীবনের মধ্যে প্রবেশ করার আনন্দানুভূতি।

রচনামূলক প্রশ্ন

(মান : ৭০)

১।  অনুচ্ছেদ রচনা করো

    (যেকোনো একটি)    ১০

    ক) বাংলা নববর্ষ/ পহেলা বৈশাখ

    খ) মর্ত্য প্রীতি

২।  পত্র লেখো (যেকোনো একটি)   ১০

    ক) তোমাদের বিদ্যালয়ের এসএসসি পরীক্ষার্থীদের বিদায় উপলক্ষে একটি বিদায় সংবর্ধনা রচনা করো।

    খ) দরিদ্র তহবিল/ছাত্রকল্যাণ তহবিল থেকে সাহায্যের আবেদন।

৩।  (ক) সারাংশ লেখো :     ১০

    এ জগতে যিনি উঠেন, তিনি সাধারণের মধ্যে জন্মিয়া, সাধারণের ওপর মস্তক তুলিয়া দাঁড়ান। তিনি অভ্যন্তরীণ মাল মসলার সাহায্যেই বড় হইয়া থাকেন। কুষ্মাণ্ডলতার সাহায্যেই বড় হইয়া থাকেন।

কুষ্মাণ্ডলতা যেমন যষ্ঠির সাহায্যে মাচার ওপর ওঠে, তেমনি কোনো কাপুরুষ, কোনো শ্রমকাতর মানুষ কেবল অপরের সাহায্যে জগতে প্রকৃত মহত্ত্ব লাভ করিতে পারিয়াছে? এ জগতে উঠিয়া-পড়িয়া, রহিয়া-সহিয়া, ভাঙিয়া-গড়িয়া, কাঁদিয়া-কাটিয়া মানুষ হইতে হয়। ইহা ছাড়া মনুষ্যত্ব ও মহত্ত্ব লাভের আর কোনো পথ নাই।

    অথবা, (খ) সারমর্ম লেখো :

    এই সব মূঢ় ম্লান মূক মুখে

    দিতে হবে ভাষা,

    এই সব শ্রান্ত শুষ্ক ভগ্ন বুকে

    ধনিয়া তুলিতে হবে আশা; ডাকিয়া বলিতে হবে—

    “মুহূর্ত তুলিয়া শির একত্র দাঁড়াও দেখি সবে,

    যার ভয়ে তুমি ভীত সে অন্যায় ভীরু তোমা-চেয়ে,

    যখনি জাগিবে তুমি তখনই সে পলাইবে ধেয়ে।

    যখনি দেখিবে তুমি সম্মুখে তাহার তখনি সে

    পথ কুক্কুুরের মত-সংকোচে সন্ত্রাসে যাবে মিশে।

    দেবতা বিমুখ তারে,

    কেহ নাহি সহায় তাহার;

    মুখে করে আস্ফাালন, জানে সে হীনতা আপনার মনে মনে।।

৪।  ভাব সম্প্রসারণ করো

    (যেকোনো একটি)            ১০

    ক) ‘দ্বার বন্ধ করে দিয়ে ভ্রমটারে রুখি,

    সত্য বলে, ‘আমি তবে কোথা দিয়ে ঢুকি?’

    খ) স্পষ্টভাষী শত্রু নির্বাক মিত্র অপেক্ষা ভালো।

৫।

  যেকোনো একটি বিষয়ে প্রতিবেদন রচনা করো :            ১০

    ক) তোমার স্কুল পাঠাগার জরিপ করে প্রধান শিক্ষক বরাবর একটি প্রতিবেদন লেখো।

    ক) ‘খাদ্যে ভেজালের কারণ ও প্রতিকার’ শিরোনামে সংবাদপত্রে প্রকাশের জন্য একটি প্রতিবেদন তৈরি করো।

৬।  প্রবন্ধ রচনা (যেকোনো একটি)        ২০

    ক) বাংলাদেশের প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও প্রতিকার

    খ) কম্পিউটার : বিজ্ঞানের বিস্ময়

    গ) জাতি গঠনের নারী সমাজের ভূমিকা

 

মডেল টেস্টের উত্তর

১। (ক) বাংলা নববর্ষ/ পহেলা বৈশাখ

পহেলা বৈশাখ বা বাংলা নববর্ষ বাঙালির এক অনন্য ও অন্যতম জাতীয় উৎসব। নববর্ষ মানেই পুরনো, জীর্ণ এক অস্তিত্বকে বিদায় দিয়ে সতেজ, সজীব নবীন এক জীবনের মধ্যে প্রবেশ করার আনন্দানুভূতি। এর ঐতিহ্য সুপ্রাচীন ও গৌরবমণ্ডিত। অবশ্য কালের যাত্রাপথ ধরে এর উদ্‌যাপন রীতিতে পালাবদল ঘটে তা বিভিন্ন মাত্রিকতা অর্জন করেছে। কৃষিনির্ভর বাংলাদেশে ফসল উৎপাদনের সঙ্গে সামঞ্জস্য রক্ষা করে প্রাচীনকাল থেকেই বাংলা নববর্ষ উদ্‌যাপনের ধারণা তৈরি হয়। এ উৎসব বাঙালির জাতীয় জীবনে আরো গুরুত্বপূর্ণ এ জন্য যে, আজকের বাংলাদেশ যে স্বাধীন হতে পেরেছে, তার পেছনে নববর্ষের প্রেরণাও সক্রিয় ছিল। কারণ ক্ষীণদৃষ্টি, ধর্মান্ধ পাকিস্তানিরা বাঙালির প্রাণের এ উৎসব উদ্‌যাপনে যে বাধা দিয়েছিল তা ন্যক্কারজনক বলে এর প্রতিবাদে রুখে দাঁড়িয়েছিল তারা। বাংলা নববর্ষ পালনের মধ্য দিয়ে তারা বাঙালি জাতীয়তাবাদী চেতনাকে তুলে ধরেছে। এ স্বতন্ত্র সাংস্কৃতিক পরিচয় তাদের দীর্ঘদিনের ধর্মনিরপেক্ষ আদর্শের প্রতিফলন ঘটিয়েছে। তাই স্বাধীন বাংলাদেশে নানা কর্মকাণ্ডের মধ্য দিয়ে এই দিনটি উৎসবমুখর হয়ে ওঠে। ব্যবসায়ী মহলে হালখাতা ও মিষ্টি বিতরণ অনুষ্ঠানের পাশাপাশি নানা ধরনের ক্রীড়া প্রতিযোগিতা, প্রদর্শনী, মেলার আসর, সংগীতানুষ্ঠান, কবিতা আবৃত্তি, আলোচনাসভা ও বক্তৃতা-ভাষণ ইত্যাদির আয়োজন করা হয়। এ উৎসব সর্বজনীন অর্থাৎ বাংলার হিন্দু-মুসলমান, বৌদ্ধ-খ্রিস্টান-নির্বিশেষে সমগ্র বাঙালি জাতির। বাংলাদেশে বসবাসকারী উচ্চবিত্ত, মধ্যবিত্ত বা দীন-দরিদ্র কৃষক থেকে শুরু করে বাংলা ভাষাভাষী মানুষের প্রাণের উৎসব এটি। পহেলা বৈশাখে গ্রাম-নগর-নির্বিশেষে বাংলার সব মানুষ নববর্ষের উৎসবে যোগ দেয়। পরস্পরের বাড়িতে যাওয়া-আসা, শুভেচ্ছা-বিনিময়, খাওয়াদাওয়া, নানা রকম খেলাধুলা ও আনন্দ-উৎসব মেলা প্রদর্শনী মিলে সারা বছরের অন্যান্য দিন থেকে পহেলা বৈশাখ দিনটি সম্পূর্ণ স্বতন্ত্র ও গৌরবমণ্ডিত হয়ে ওঠে। তবে একসময় যে গ্রামবাংলা পহেলা বৈশাখের আনন্দানুষ্ঠানের প্রাণকেন্দ্র ছিল, অর্থনৈতিক কারণে তা অনেকটাই নগরকেন্দ্রিক হয়ে উঠেছে, বিশেষ করে মধ্যবিত্ত ও উচ্চবিত্ত নাগরিকের বুর্জোয়া বিলাস ও ফ্যাশনের একটি বড় অংশে এ আনন্দ-উৎসব কেন্দ্রীভূত হয়ে পড়েছে। পহেলা বৈশাখকে এ অবস্থা থেকে উদ্ধার করে বৃহত্তর জনজীবনের অর্থাৎ শ্রমজীবী মানুষের অন্তর সত্তার সঙ্গে সম্পৃক্ত করতে হবে। ধর্মীয় সংকীর্ণতার বৃত্ত অতিক্রম করে বছরের প্রথম দিনটি যে আমাদের জাতীয় চেতনার ধারক হয়ে উঠেছে, তা মনে রেখে নববর্ষের মাধ্যমে সচেতনভাবে নতুন মাত্রিকতা যোগ করতে হবে।

১। (খ) মর্ত্য প্রীতি

পৃথিবীর সবচেয়ে বড় সত্য হচ্ছে মানুষের মৃত্যু। এ চরম সত্য জানার পরও মানুষের বেঁচে থাকার আকাঙ্ক্ষা প্রবল। এ আকাঙ্ক্ষা শুধু ভোগের মাঝে সীমাবদ্ধ নয়, সৌন্দর্যবোধের পরম আনন্দ তাকে প্রবল ও পরিপূর্ণভাবে আকর্ষণ করে পৃথিবীর প্রতি। মহান স্রষ্টা এই পৃথিবীর প্রকৃতি রাজ্যে যে অফুরন্ত, বৈচিত্র্যপূর্ণ সৌন্দর্য সৃষ্টি করেছেন তার রূপ ও সৌন্দর্যে মোহিত হয় প্রতিটি মানুষের হৃদয়-মন। জল, স্থল, অন্তরীক্ষের এই অপার, রহস্যময় সৌন্দর্য ছেড়ে অবধারিত, অনিবার্য মৃত্যুকে মানুষ কামনা করে না। মানবজীবনের জন্ম-মৃত্যু এই অধ্যায়ের মাঝে যে স্বল্প সময়টুকু, তার মধ্যেই সুখ-দুঃখ, হাসি-কান্না, ব্যথা-বেদনা, বিরহ-মিলন জড়িয়ে আছে। মৃত্যু, জীবনের অমোঘ বিধান। এর হাত থেকে কেউ রক্ষা পায়নি, পাবেও না। তাই মানুষ দৈহিক মৃত্যুকে মেনে নিয়ে আত্মার অমরত্ব প্রার্থনা করে। মানুষ বিশ্বাস করে দেহ-নশ্বর, কিন্তু আত্মা অবিনশ্বর। তাই সৃষ্টিশীল মানুষ তার সৃষ্ট কর্মের মাধ্যমে এ জগৎ-সংসারে মানুষের হৃদয় বেঁচে থাকতে চায়, অমরত্ব পেতে চায়। এই বিশ্ব-প্রকৃতির উদ্ভিদরাজি, প্রাণিকূল, পাহাড়-পর্বত, আকাশ-বাতাস, চন্দ্র-সূর্য, গ্রহ-তারা, নদী-সাগর, মরুর দেশ, তুষার দেশ, ঝর্ণাধারা, ফুল-ফলের বাগান, ছায়াবীথি প্রকৃতির এই রহস্যময় সৌন্দর্যগুলো মানুষকে আবেগে আপ্লুত করে। বসন্তে কোকিলের কুহুতান, বর্ষার প্রকৃতির স্নিগ্ধ শ্যামল রূপ মানুষের মনে স্বপ্ন জাগায়। এ কারণে এই সুন্দর পৃথিবী ছেড়ে মানুষের মন মৃত্যুর পরপারে যেতে চায় না। মৃত্যুর পরে তো এ পৃথিবীর রূপ দুই চোখ ভরে, মন ভরে দেখা যাবে না। তাই মানুষের চিরন্তন বাসনা—

‘মরিতে চাহিনা আমি সুন্দর ভুবনে,

মানবের মাঝে আমি বাঁচিবারে চাই।’

(প্রাণ—রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর)

২। (ক) ‘ক’ উচ্চ বিদ্যালয়ের ২০১৭ সালের এসএসসি

পরীক্ষর্থী ভাই-বোনদের বিদায় সংবর্ধনা

হে বিদায়ী,

‘ছায়া-সুনিবিড় শান্তির নীড়’—এর সবুজ প্রাঙ্গণে আজ তোমাদের বিদায়ের রাগিণী বেজে উঠেছে। শীতের রিক্ততার বার্তা আমাদের সবার প্রাণে ছড়িয়ে পড়েছে; জানান দিচ্ছে—তোমরা চলে যাচ্ছ। বিদায়ের এই লগ্নে তোমাদের জন্য রইল আমাদের শুভেচ্ছা।

হে অভিযাত্রিক,

আলোকিত মানুষ হওয়ার লক্ষ্য নিয়ে তোমরা এসেছিলে এ ঐতিহ্যবাহী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে। এই দীর্ঘ ১০ বছরে তোমাদের যা অর্জন, তা নিয়ে তোমরা এক উচ্চতর শিক্ষাজীবনের সন্ধানে যাত্রা করছ। তোমাদের এই অভিযাত্রার সব প্রতিবন্ধকতা তোমরা যেন সাহসিকতার সঙ্গে মোকাবেলা করে জীবনযুদ্ধে সফলকাম হয়ে সুকীর্তির স্বাক্ষর রাখতে পারো, সে জন্য আমাদের শুভ কামনা থাকল।

হে অগ্রজ,

অনেক বছর আমরা তোমাদের ঘনিষ্ঠ সাহচর্যে থেকে পেয়েছি উৎসাহ-উদ্দীপনা ও সার্বক্ষণিক সহযোগিতা। এ প্রতিষ্ঠানের মেধা ও মননের বহুমাত্রিক সৃজন-উৎসবে আমরা একই সঙ্গে মেতে উঠেছিলাম। আজ এই বিদায় বেলায় সেই সোনালি দিনগুলোর কথা মনে করে আমরা বেদনার সঙ্গে গভীর কৃতজ্ঞতাও প্রকাশ করছি।

হে আলোক সন্ধানী,

আমরা জানি, তোমাদের এই বিদায় শুধু শিক্ষাজীবনের এক অধ্যায় থেকে আরেক অধ্যায়ে অনুপ্রবেশের ধাপ মাত্র। তাই যাবার বেলায় কবি গুরুর ভাষায় গভীর আবেগে ‘যেতে আমি দিব না তোমায়’—এ কথা উচ্চারণ না করে বরং সমবেত কণ্ঠে বলতে চাই—‘যাও গো এবার যাবার আগে রাঙিয়ে দিয়ে যাও’—যেন তোমাদের সন্ধানী আলোকে আমরাও আলোকিত মানুষরূপে গড়ে উঠতে পারি।

হে নতুনের সন্ধানী,

আজকের এই মহতী বিদায় অনুষ্ঠানে আমাদের প্রার্থনা, সত্যের আলোকে উদ্ভাসিত ও সাফল্যের ধারায় পরিপূর্ণ হোক তোমাদের জীবন। আর উত্তরসূরি হিসেবে আমাদের প্রত্যাশা—তোমাদের আদর্শকে যেন জীবনে গ্রহণ করে বরণীয় হতে পারি। তোমাদের সঙ্গে চলতে গিয়ে মনের অজান্তে আমরা যেসব ভুল করেছি, আশা করি তা ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবে। পরিশেষে, তোমাদের সুস্থ, সুন্দর জীবনের প্রত্যাশায়—

 

তারিখ : ২৯ নভেম্বর ২০১৭        

 

তোমাদের গুণমুগ্ধ

দশম শ্রেণির সব শিক্ষার্থী,

‘ক’ উচ্চ বিদ্যালয়, ঢাকা।

 

২। (খ) তারিখ : ২৯ নভেম্বর ২০১৭

প্রধান শিক্ষক

‘ক’ উচ্চ বিদ্যালয়

ঢাকা-১২০৬

 

বিষয় : ছাত্রকল্যাণ তহবিল থেকে আর্থিক সাহায্যের আবেদন

মহোদয়,

আমি আপনার স্কুলের দশম শ্রেণির একজন নিয়মিত ছাত্র। পাঁচ বছর ধরে আমি এ স্কুলে পড়ালেখা করছি। গত বার্ষিক পরীক্ষায়ও আমি প্রথম স্থান অধিকার করে নবম শ্রেণিতে উত্তীর্ণ হয়েছি। কিন্তু সম্প্রতি আর্থিক অনটনে আমার লেখাপড়া বন্ধ হয়ে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে।

আমার বাবা একজন সামান্য কেরানি। কয়েক মাস ধরে তিনি দুরারোগ্য ব্যাধিতে আক্রান্ত হয়ে বর্তমানে শয্যাশায়ী। তাঁর চিকিৎসার জন্য প্রচুর অর্থ দরকার। এ বিপদে সাহায্য করবে এ রকম আত্মীয়-স্বজনও তেমন নেই। ভাই-বোনের লেখাপড়া, ভরণ-পোষণ, বাবার চিকিৎসার ব্যয়—সব মিলিয়ে আমাদের পরিবারের অবস্থা বিপন্ন। তাই নিরুপায় হয়ে আপনার শরণাপন্ন হয়েছি। পারিবারিক দুরবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে আমাকে বিনা বেতনে পড়ার সুযোগ এবং ছাত্রকল্যাণ তহবিল থেকে আর্থিক কিছু সাহায্য প্রদান করলে বিশেষভাবে উপকৃত হব; না হয় আমার পড়ালেখা চিরতরে বন্ধ হয়ে যাবে। পরিবারের বড় সন্তান হিসেবে আমার জীবনে নেমে আসবে গভীর অন্ধকার।

অতএব বিনীত প্রার্থনা, আমাকে বিনা বেতনে পড়ার সুযোগ এবং দরিদ্র তহবিল থেকে এককালীন কিছু অর্থ অনুদানের ব্যবস্থা করে বাধিত করবেন।

 

বিনীত—

মো. সাকিব আহমেদ

দশম শ্রেণি

রোল ৩

‘ক’ উচ্চ বিদ্যালয়

 

রচনামূলক মডেল টেস্টের উত্তরের বাকি অংশ পরবর্তী সংখ্যায় ছাপা হবে

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

নবম ও দশম শ্রেণি : গণিত

    ফারজানা ইয়াসমিন, প্রভাষক, ছাগলনাইয়া মহিলা কলেজ, ছাগলনাইয়া, ফেনী
শেয়ার
নবম ও দশম শ্রেণি : গণিত

পরিমিতি

বহু নির্বাচনী প্রশ্ন

১। একটি ঘনকের কতটি তল?

  ক. ৪টি   খ. ২টি

  গ. ৩টি   ঘ. ৬টি

২।        সমবৃত্তভূমিক বেলনের বৃত্তাকার অংশের মোট ক্ষেত্রফল কত?

  ক. πr2      খ. 2πr2   
গ. 2πrh          ঘ. 2πr (r+h)

      ৩। সমবৃত্তভূমিক বেলনের আয়তন কত?

  ক. 2πr   খ. πr2  
গ.
πr2h   ঘ. 2πr2h

  নিচের তথ্যের আলোকে ৪ ও ৫ নম্বর প্রশ্নের উত্তর দাও :

  ABCD একটি বর্গক্ষেত্রের দুটি কর্ণ ACBD

কর্ণ দুটির ছেদবিন্দু ঙ। বর্গক্ষেত্রটির এক বাহুর দৈর্ঘ্য 4 একক।

৪।        বর্গক্ষেত্রটির কর্ণের দৈর্ঘ্য কত?

  ক. 2√2  খ. 4

  গ. 2√4          ঘ. 4√2

৫।

ΔOAB এর ক্ষেত্রফল কত 

  ক. 4 একক  খ. 6 একক

  গ. 8 একক  ঘ. 2 একক

৬।        একটি সমবাহু ত্রিভুজের কোন ৩টির পরিমাপ
ক. 900, 450, 450       L. 900, 300, 400

  গ. 600, 600, 600       N. 700, 600, 500

৭।        একটি ঘনক আকৃতির পাথরের এক বাহুর দৈর্ঘ্য

৫ সেন্টিমিটার হলে এর সমগ্রতলের ক্ষেত্রফল কত হবে?

  ক. 100 বর্গ সেন্টিমিটার
খ.
150 বর্গ সেন্টিমিটার

  গ. 200 বর্গ সেন্টিমিটার

  ঘ. 250 বর্গ সেন্টিমিটার

 

    উত্তর : ১. ঘ ২. খ ৩. গ
৪. ঘ ৫. ক ৬. গ ৭. খ।

মন্তব্য

সপ্তম শ্রেণি : বাংলা প্রথম পত্র

    সাধন সরকার, সহকারী শিক্ষক, লৌহজং বালিকা পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়, মুন্সীগঞ্জ
শেয়ার
সপ্তম শ্রেণি : বাংলা প্রথম পত্র

কবিতা

নতুন দেশ

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

বহু নির্বাচনী প্রশ্ন

১।        নতুন দেশ কবিতার উদ্দেশ্য কী?

  ক. ইচ্ছা জাগ্রত করা
খ. পাঠে মনোযোগ বাড়ানো

  গ. শিশুদের মনোবল বাড়ানো        
ঘ. সৃজনশীলতা জাগ্রত করা

২।        রবীন্দ্রনাথের শিশুতোষ গ্রন্থ কোনটি?

  ক. খাপছাড়া খ. খেলনা

  গ. মানসী             ঘ. হ-য-ব-র-ল  

৩।        বাংলা সাহিত্যের কোন শাখা রবীন্দ্রনাথের হাতে প্রতিষ্ঠা লাভ করে?

  ক. কবিতা             খ. নাটক

  গ. ছোটগল্প           ঘ. উপন্যাস

৪।

       নাইতে যখন যাই, দেখি সে-এর পরের চরণ কী?

  ক. ডুবতে পারলে দেখি কে        
খ. থাকে কেমন বেশে

  গ. জলের ঢেউয়ে নাচে             
ঘ. দাঁড়িয়ে নদীর তীরে

৫।        নতুন দেশ কবিতায় যে বিষয়গুলো ফুটে উঠেছে

i. প্রকৃতির রহস্য উন্মোচনের আকাঙ্ক্ষা

  ii. শিশুর অভিমান

  iii. অপার বিস্ময়   

  নিচের কোনটি সঠিক?

  ক. iii    খ. iiii           

  গ. iiiii       ঘ. i, iiiii

৬।        রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কী অভিধায় অভিহিত?

  ক. পল্লীকবি   খ. বিশ্বকবি

  গ. জাতীয় কবি    ঘ. বিদ্রোহী কবি  

৭।        শিশুটি প্রথম দিন কোথায় নৌকা দেখেছিল?

  ক. মাঝ নদীতে    খ. ঘাটের কাছে

  গ. খালের পাশে   ঘ. সমুদ্রে

৮।

       জলের ধারে কী দাঁড়িয়ে আছে?

  ক. শহর         খ. পাহাড়

  গ. বাঘের ছানা         ঘ. নারিকেল বন

৯।        নৌকা চলে কিসের টানে?

  ক. দাঁড়ের বলে    খ. ভাটার টানে

  গ. মাঝির শক্তিতে       ঘ. পালের টানে

১০। ভাটার সাথে সম্পৃক্ততা রয়েছে

  i. সূর্য    ii. চন্দ্র

  iii. পৃথিবী

  নিচের কোনটি সঠিক?

  ক. iii        খ. iiii           

  গ. iiiii       ঘ. i, iiiii

  নিচের উদ্দীপকটি পড়ে ১১ ও ১২ নম্বর প্রশ্নের উত্তর দাও :

  থাকব নাকো বদ্ধ ঘরে, দেখব এবার জগত্টাকে

১১।       উদ্দীপকের কবিতাংশের সাথে তোমার পঠিত কবিতা কোনটি?

  ক. সবার আমি ছাত্র  খ. কুলি-মজুর

  গ. নতুন দেশ      ঘ. আমার বাড়ি

১২।

       কবিতাংশে ফুটে উঠেছে

  i. শিশুসুলভ আচরণ

  ii. শিশুর মনের সাধ

  iii. নতুনকে জানার ইচ্ছা  

  নিচের কোনটি সঠিক?

  ক. iii    খ. iiii           

  গ. iiiii       ঘ. i, iiiii

১৩।       সোনার তরী’—কাব্যগ্রন্থের রচয়িতা কে?

  ক. কাজী নজরুল ইসলাম      
খ. রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

  গ. জসীমউদ্দীন     ঘ. মহাদেব সাহা

১৪।       রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কত সালে সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার লাভ করেন?

  ক. ১৯১১             খ. ১৯১২

  গ. ১৯১৩        ঘ. ১৯১৪

১৫।       রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রথম কাব্যগ্রন্থের নাম কী?

  ক. বনফুল        খ. গীতাঞ্জলি

  গ. নতুন দেশ          ঘ. খাপছাড়া

১৬।       রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর মৃত্যুবরণ করেন কত সালে?

  ক. ১৮৯৯        খ. ১৯২০ 

  গ. ১৯৪৩        ঘ. ১৯৪১

১৭।

       রবীন্দ্রনাথের কোন গ্রন্থ থেকে নতুন দেশ কবিতাটি নেওয়া হয়েছে?

  ক. বলাকা    খ. ক্ষণিকা

  গ. সহজ পাঠ      ঘ. তৃণাঙ্কুর

১৮।       ভাটা শব্দের অর্থ কী?

  ক. জলের আগমন  
খ. ভাটার গান

  গ. বর্ধিত জল কমে যাওয়া   
ঘ. জলের পতন

১৯।       নাইতে যখন যাই, দেখি সে/জলের টেউয়ে নাচে’—এখানে কোন দিকটি ফুটে উঠেছে?

  ক. চেতনা   খ. সৌন্দর্য চেতনা

  গ. দৃষ্টিভঙ্গি            ঘ. শিল্পবোধ

২০।       জলের ঢেউয়ে কী নাচে?

  ক. নৌকা    খ. মাঠ

  গ. শস্য          ঘ. মাছ

 

  উত্তর : ১. ঘ ২. ক ৩. গ ৪. গ ৫. খ
৬. খ ৭. খ ৮. ঘ ৯. খ ১০. ঘ ১১. গ
১২. গ ১৩. খ ১৪. গ ১৫. ক ১৬. ঘ
১৭. গ ১৮. গ ১৯. খ  ২০. ক।

 

 

 

মন্তব্য

এইচএসসির প্রস্তুতি : পদার্থবিজ্ঞান প্রথম পত্র

    বিশ্বজিৎ দাস, সহযোগী অধ্যাপক, পদার্থবিজ্ঞান বিভাগ দিনাজপুর সরকারি কলেজ, দিনাজপুর
শেয়ার
এইচএসসির প্রস্তুতি : পদার্থবিজ্ঞান প্রথম পত্র

বিষয়ভিত্তিক পরামর্শ

  তোমাদের অনেকের কাছে পদার্থবিজ্ঞান অনেক কঠিন লাগে। ভয়ের কিছুই নেই। এ বিষয়ে রয়েছে দুটি অংশ। ২৫ নম্বরের এমসিকিউ এবং ৫০ নম্বরের সিকিউ।

এমসিকিউ ২৫টি প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে। ভুল হলে কোনো নম্বর কাটা যাবে না। উত্তর দিতে হবে ২৫ মিনিটে। সময় নির্দিষ্ট, তাই অপেক্ষাকৃত সহজ প্রশ্নগুলোর উত্তর আগে দেওয়া ভালো।
অনেক সময় জটিল অঙ্কের এমসিকিউ দেওয়া থাকে। শর্টকাট পদ্ধতি জানা না থাকলে সেই সব অঙ্কের সমাধান দ্রুত বের করা কঠিন। তাই সহজ ও জানা উত্তরগুলো আগে দেওয়া জরুরি।
এমসিকিউ অংশে সাধারণত বিভিন্ন রাশির মান, একক ও মাত্রা সম্পর্কে প্রশ্ন থাকে।
গ্রাফ সম্পর্কিত একটি বা দুটি এমসিকিউ থাকে। জ্ঞানমূলক প্রশ্নের উত্তর হিসেবে সাধারণত সংজ্ঞা থেকে কুইজ টাইপ প্রশ্ন করা হয়। এসব তথ্য পদার্থবিজ্ঞানের মূল বইগুলোতেই পাবে। বিভিন্ন বোর্ডে আসা বিগত পাঁচ বছরের প্রশ্নগুলো সমাধান করলে এমসিকিউ অংশে ভালো করতে পারবে।

  পদার্থবিজ্ঞান প্রথম পত্রে ভৌত জগত ও পরিমাপ, ভেক্টর, নিউটনিয়ান বলবিদ্যা, মহাকর্ষ, কাজ, শক্তি ও ক্ষমতা, পদার্থের গাঠনিক ধর্ম (আংশিক), পর্যায়বৃত্ত গতি এবং আদর্শ গ্যাস ও গ্যাসের গতিতত্ত্বএই আটটি অধ্যায় রয়েছে।

প্রথম পত্রের সিকিউ অংশে আটটি করে প্রশ্ন থাকবে। পাঁচটি প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে। প্রতি সিকিউতে চারটি অংশ থাকবে। জ্ঞানমূলক-১, অনুধাবনমূলক-২, প্রয়োগমূলক-৩ এবং উচ্চতর দক্ষতামূলক-৪, মোট ১০ নম্বর। একই প্রশ্নের উত্তর ধারাবাহিকভাবে লেখা ভালো। 

  পদার্থবিজ্ঞানের একটা সুবিধা হলোপ্রতিটি অধ্যায় থেকে সাধারণত একটি করে সিকিউয়ের উত্তর দিতে হয়। যেহেতু তোমাকে আটটি মধ্যে পাঁচটি প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে, সেহেতু তুমি অল্প কয়েকটি অধ্যায় ভালোমতো পড়লেই সিকিউয়ের জন্য পর্যাপ্ত প্রস্তুতি নিতে পারবে। 

  স্পষ্টভাবে উত্তর লিখবে। কাটাকাটি এড়িয়ে চলবে। গাণিতিক সমস্যার ক্ষেত্রে সঠিকভাবে একক লিখবে। উচ্চতর দক্ষতাভিত্তিক সমাধানের ক্ষেত্রে সাধারণত তোমার কাছে একটি সিদ্ধান্ত চাওয়া হয়। সেটি লিখতে ভুলবে না। খাতা জমা দেওয়ার আগে অবশ্যই রিভিশন দেবে।

মন্তব্য

ভর্তির খোঁজখবর : ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

শেয়ার
ভর্তির খোঁজখবর : ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের লোক প্রশাসন বিভাগ। ছবি : সংগৃহীত

এক্সিকিউটিভ মাস্টার্স অব পাবলিক অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (ইএমপিএ)

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) লোক প্রশাসন বিভাগে সামার-২০২৫ শিক্ষাবর্ষে ভর্তির সুযোগ রয়েছে। ভর্তি পরীক্ষায় শীর্ষস্থান অধিকারীদের জন্য শতকরা ২০ ভাগ বৃত্তি ও সেমিস্টারসেরাদের উপবৃত্তি দেওয়া হবে।

 

কোর্স

হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট, ইনোভেশন অ্যান্ড চেঞ্জ ম্যানেজমেন্ট, ক্লাইমেট চেঞ্জ অ্যান্ড ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট, পাবলিক পলিসি অ্যানালিসিস।

 

যোগ্যতা

আগ্রহী প্রার্থীকে ইউজিসি অনুমোদিত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে চার বছর মেয়াদি ব্যাচেলর ডিগ্রিধারী হতে হবে।

ব্যাচেলর পরীক্ষায় সর্বনিম্ন সিজিপিএ ২.৫০ (৪.০০ এর মধ্যে) এবং এসএসসি ও এইচএসসি বা সমমান পরীক্ষায় সর্বনিম্ন জিপিএ ৩.৫০ (৫.০০ এর মধ্যে) থাকতে হবে।

 

আবেদন

এরই মধ্যে আবেদনপ্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। সামাজিক বিজ্ঞান ভবনের ১১ তলার লোক প্রশাসন বিভাগের কার্যালয় থেকে আবেদন ফরম উত্তোলন করা যাবে। আবেদনের শেষ সময় ১৭ জুলাই।

ভর্তি পরীক্ষা ২৫ জুলাই।

 

যোগাযোগ

সামাজিক বিজ্ঞান ভবন (১১ তলা)

লোক প্রশাসন বিভাগ

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা

মোবাইল : ০১৭১১৯৮৫১৮৬, ০১৪০০৯৮৫১৮৬

 

ওয়েবসাইট
www.dupublicad.com

 

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ