<p>♦ এক প্যাকেট স্যালাইন আধালিটার পানিতে গুলিয়ে খাবেন।</p> <p>♦ বড়দের (১০ বছরের বেশি বয়সী) ডায়রিয়া হলে প্রতিবার পায়খানার পর এক গ্লাস (২৫০ মিলি) খাওয়ার স্যালাইন খাবেন।</p> <p>♦ শিশুদের ডায়রিয়া হলে প্রতিবার পায়খানার পর শিশুর যত কেজি ওজন, তত চা চামচ বা যতটুকু পায়খানা হয়েছে আনুমানিক সেই পরিমাণ খাওয়ার স্যালাইন খাওয়াবেন।</p> <p>♦ শিশু বমি করলে ধীরে ধীরে খাওয়ান, যেমন—তিন বা চার মিনিট পর পর এক চা চামচ করে খেতে দিন।</p> <p>♦ খাওয়ার স্যালাইনের পাশাপাশি দুই বছরের নিচের শিশু অবশ্যই মায়ের বুকের দুধ খাবে এবং শিশুকে কোনো অবস্থায়ই বুকের দুধ খাওয়ানো বন্ধ করা যাবে না।</p> <p>♦ ছয় মাসের অধিক বয়সী রোগী খাওয়ার স্যালাইনের পাশাপাশি সব ধরনের স্বাভাবিক খাবার খাবে।</p> <p>♦ রোগীকে খাওয়ার স্যালাইনের পাশাপাশি বেশি বেশি তরল খাবার, যেমন—ডাবের পানি, চিড়ার পানি, স্যুপ ইত্যাদি খাওয়াবেন।</p> <p>♦ রোগীকে কোমল পানীয়, ফলের জুস, আঙুর, বেদানা খাওয়াবেন না।</p> <p>♦ ছয় মাস থেকে পাঁচ বছরের শিশুকে প্রতিদিন একটি করে জিংক ট্যাবলেট পানিতে গুলিয়ে ১০ দিন খাওয়াবেন।</p> <p>♦ তার পরও রোগীর অবস্থার উন্নতি না হলে বা বেশি খারাপ হলে অতি দ্রুত কাছের হাসপাতাল বা স্বাস্থ্যকেন্দ্র বা ডাক্তারের সঙ্গে যোগাযোগ করবেন।</p> <p> </p> <p><strong>ডায়রিয়া থেকে বাঁচার উপায়</strong></p> <p>♦ পানি ফোটানোর সময় বলক ওঠার পর আরো পাঁচ মিনিট চুলায় রাখুন এবং ঠাণ্ডা করে পান করুন। ফোটানোর ব্যবস্থা না থাকলে প্রতি তিন লিটার পানিতে একটি পানি বিশুদ্ধকরণ ক্লোরিন ট্যাবলেট দিয়ে পানি নিরাপদ করা যেতে পারে।</p> <p>♦ রাস্তার পাশে অস্বাস্থ্যকর ও উন্মুক্ত খাবার খাবেন না।</p> <p>♦ খাবার খাওয়ার আগে ২০ সেকেন্ড ধরে সাবান দিয়ে ভালোভাবে হাত ধোবেন।</p> <p>♦ পায়খানা করার পর অথবা শিশুর পায়খানা পরিষ্কার করার পর সাবান দিয়ে ভালো করে হাত ধুয়ে নেবেন।</p> <p>♦ ফিডারে শিশুকে কিছুই খাওয়াবেন না। যদি খাওয়াতেই হয়, তবে ফোটানো পানি ও সাবান দিয়ে ভালো করে ফিডারটি ধুয়ে নেবেন। ফিডারের নিপলের ছিদ্রটি ভালোভাবে পরিষ্কার করে নিতে হবে।</p> <p>সূত্র : আইসিডিডিআরবি</p> <p> </p>