ডায়াবেটিসে যত্নবান

&lt;p&gt;পরিবারে কেউ অসুস্থ হলে সেবা করবেন মা কিংবা স্ত্রী। দশভুজা নারী সংসারের সব দেখাশোনা করার সঙ্গে সঙ্গে বাড়ির সবার রোগ-শোকের দেখভালও তাঁকেই করতে হয়; কিন্তু সেই মা কিংবা স্ত্রী যখন অসুস্থ হন? তখন দেখা যায় তাঁর দিকে সচেতন হওয়ার কেউ থাকে না। তাই নারীর নিজের দেখভাল অনেকটা নিজেকেই করতে হয়। সচেতন হতে হয় নিজের ব্যাপারে।&lt;/p&gt; &lt;p&gt;১৪ নভেম্বর ডায়াবেটিস দিবস। এখন ঘরে ঘরেই দেখা যায় ডায়াবেটিক রোগী। ডায়াবেটিসে আক্রান্ত নারীর সংখ্যাও কম নয়। নারীর শরীরে ডায়াবেটিসের প্রতিক্রিয়া অনেক কঠিন হয়। কারণ এ রোগ বেশির ভাগ ক্ষেত্রে নারী ও তাঁর গর্ভস্থ সন্তানকে ক্ষতিগ্রস্ত করে। ডায়াবেটিসে আক্রান্ত নারীর বারবার ফাঙ্গাস বা ছত্রাক সংক্রমণের ঝুঁকি থাকে। এ ছাড়া মেনোপজ তুলনামূলক সময়ের আগেও হতে পারে। এ কারণে হৃদরোগের ঝুঁকি বেড়ে যায়। ডায়াবেটিসে আক্রান্ত নারীর জননাঙ্গে কিছু উপসর্গ বেশি থাকায় রোগ বেশি হতে পারে। যেমন&mdash;জননাঙ্গে ছত্রাকজাতীয় ইনফেকশন, ব্যাকটেরিয়ার ইনফেকশন, মূত্রনালি বা মূত্রথলিতে প্রদাহ ইত্যাদি। তাই ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ ছাড়াও নিয়মিতভাবে আক্রান্ত নারীর ডায়াবেটিস পরীক্ষা করা উচিত। নারীর ডায়াবেটিস ও সুস্থতা নিয়ে কথা বলেছেন স্যার সলিমুল্লাহ মেডিক্যাল কলেজের অধ্যাপক ডা. ফারহাত হোসেন।&lt;/p&gt; &lt;p&gt;ডায়াবেটিসে আক্রান্ত মায়েদের অনেক ধরনের ঝুঁকি থাকে। যেমন&mdash;গর্ভধারণের প্রথম দিকে সন্তান নষ্ট হয়ে যাওয়ার ঝুঁকি (অ্যাবরশন বা মিসক্যারেজ), সন্তান পরিপূর্ণতার আগেই জন্ম হওয়া (প্রিটার্ম লেবার), ওজন অত্যধিক বেড়ে যাওয়া, এমনকি সন্তান মায়ের পেটেই মরে যেতে পারে। জন্মের পর সন্তানের বিভিন্ন সমস্যা হতে পারে। ৯০ শতাংশ নারীর ক্ষেত্রে শিশু ভূমিষ্ঠ হওয়ার পর জেস্টেশনাল ডায়াবেটিস বা গর্ভকালীন ডায়াবেটিসে ভুগে থাকা নারীর রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা স্বাভাবিকে চলে আসে। সন্তান ভূমিষ্ঠ হওয়ার পরপর রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা দেখা উচিত। যদি তা স্বাভাবিক মাত্রায় নেমে আসে, তাহলে সন্তান জন্ম হওয়ার ছয় থেকে আট সপ্তাহ পর আবার রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা পরীক্ষা করে দেখা উচিত। অন্য কোনো কারণে নিষেধ না থাকলে আগে থেকে ডায়াবেটিস আক্রান্ত বা গর্ভাবস্থায় ডায়াবেটিস আক্রান্ত নারী&mdash;সবাই সন্তানকে বুকের দুধ পান করাতে পারবেন। সমীক্ষায় দেখা গেছে, যাঁরা গর্ভাবস্থায় ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হন, তাঁদের মধ্যে ৬০ শতাংশ নারী পরে ১০-২০ বছরের মধ্যে ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিতে থাকেন। মা-বাবার মধ্যে যেকোনো একজন ৫০ বছরের আগে টাইপ-২ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হলে তাঁদের সন্তানের ১৪ শতাংশ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিতে থাকে। এ ছাড়া মা-বাবা দুজনেরই টাইপ-২ ডায়াবেটিস থাকলে সন্তানের ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি ৪৫ শতাংশ।&lt;/p&gt; &lt;p&gt;শরীরে যদি সুগার বেশি থাকে, তাহলে একজন মানুষের চলতে-ফিরতে কোনো সমস্যা হবে না। রক্ত শরীরের প্রতিটি কণায় কণায় পৌঁছে। চোখ, মাথা, মস্তিষ্ক থেকে শুরু করে সব জায়গায়। আর রক্তে সুগার থাকে। ডায়াবেটিস হলে, তার চোখে সমস্যা হবে, কিডনিতে সমস্যা হবে, হার্টে সমস্যা হবে, নার্ভে সমস্যা হবে। বহু রোগীকে আপনি বলতে শুনবেন, তাঁর শরীর জ্বালাপোড়া করে, বিশেষ করে হাতের পাতায়, পায়ের পাতায়। এই জ্বালাপোড়া রোগ তাঁর স্নায়ুর অস্বস্তির জন্য হচ্ছে। এর মূলে রয়েছে ডায়াবেটিস।&lt;/p&gt; &lt;p&gt;ডায়াবেটিস প্রতিরোধের জন্য আমাদের এ রোগ নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করার জন্য আমাদের মূল কিছু জিনিস রয়েছে। একে বলা হয় ডায়েট (খাদ্যাভ্যাস), ড্রাগ (ওষুধ) এবং ডিসিপ্লিন (নিয়মানুবর্তিতা); একসঙ্গে এই তিনটিকে বলা হয় ডিডিডি। ডায়েট মানে হলো খাবার, আপনি কোন জিনিসগুলো খাবেন আর কোন জিনিসগুলো খাবেন না&mdash;এটি। ১ নম্বর হলো, আপনি কখনো চিনিজাতীয় জিনিস খাবেন না। আর কিছু খাবার আমরা খেতে নিষেধ করি। এর মধ্যে একটি হলো শর্করা। শর্করাকে আমরা একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ দিয়ে থাকি। সবজিকে আমরা বাড়িয়ে খেতে বলি। শর্করা মানে ভাত, রুটি। এটি সম্পূর্ণ নির্ভর করে, যখন একটি মানুষের ডায়াবেটিস নির্ণয় হয়, তখন তার ওজন ও উচ্চতা কত তার ওপর। ওজন ও উচ্চতা দেখে একটি খাদ্যতালিকা করা হয়। পুষ্টিবিদরা আমাদের সাহায্য করেন। একেকজনের জন্য একেক রকম খাদ্যতালিকা হয়।&lt;/p&gt; &lt;p&gt;ডিসিপ্লিন হচ্ছে নিয়মিত হাঁটা। আপনি প্রতিদিন একটি নির্দিষ্ট সময় হাঁটবেন। যে গ্লুকোজ আপনার শরীরে সংরক্ষিত অবস্থায় আছে, সেগুলোকে পোড়ানো।&lt;/p&gt; &lt;p&gt;&lt;img alt=&quot;&quot; src=&quot;/ckfinder/userfiles/images/print/Print- 2018/11 November/14-11-2018/KK_Dhaka360_18-11-14-23.jpg&quot; style=&quot;float:left; height:499px; margin:8px; width:300px&quot; /&gt;এগুলো ডায়াবেটিক রোগীর জন্য বেশি গুরুত্বপূর্ণ। কারণ তাঁর তো জটিলতা বেশি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। ডায়াবেটিস থেকে তাঁর তাৎক্ষণিক কিছু জটিলতা হয়, আবার দীর্ঘমেয়াদি কিছু জটিলতা হয়। যেহেতু তিনি একটি সমস্যা বহন করছেন, এটি যোগ হলে সমস্যা দ্রুত বাড়বে। ডায়াবেটিস যার আছে, যার সুগার বেশি, তার ওজন এমনিতেই বেড়ে যায়। আপনি যদি ইচ্ছামতো ক্যালরি গ্রহণ করেন, তাহলে তো জিনিসটি দিন দিন আরো খারাপ হতে থাকবে।&lt;/p&gt; &lt;p&gt;একজন রোগীর যখন রোগ নির্ণয় করা হয়, তার যদি অনেক সুগার থাকে, তখন এটাকে নিয়ন্ত্রণে আনতে হলে ইনসুলিন দিয়ে নিয়ে আসাটা সবচেয়ে নিরাপদ। কারণ আপনার শরীরে ইনসুলিন কম আছে। বাইরের থেকে ইনসুলিন দিয়ে সুগারকে স্বাভাবিক মাত্রায় নিয়ে আসা যায়। ইনসুলিন নিলেই যে সারা জীবন নিতে হবে&mdash;এমন কোনো কথা নেই। ইনসুলিন নেওয়ার পর ট্যাবলেটও খাওয়া যায়।&lt;/p&gt; &lt;p&gt;তবে মনে রাখতে হবে, ডায়াবেটিক রোগীর জন্য হাঁটা সবচেয়ে ভালো ব্যায়াম। সে হাঁটবে অন্তত ৪৫ মিনিটের কিছু বেশি। একটু গতি বেশি রাখতে হবে। যেকোনো সময়ই করতে হবে। তবে নির্দিষ্ট একটি সময়ে। কেউ যদি সকালে সুবিধা বোধ করে, সকালে করতে হবে। কেউ যদি সন্ধ্যায় মনে করে, তখন করতে হবে। আপনার সুবিধামতো একটি নির্দিষ্ট সময়ে হাঁটবেন। প্রতিদিন কাছাকাছি সময়ে হাঁটলে ভালো হয়। তবে যার অন্য ধরনের সমস্যা আছে, তাঁর হাঁটতে গিয়ে অন্য রোগ বাড়িয়ে ফেললে হবে না। তখন চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। পরিবারের সবার দেখভাল করার জন্য নারীকে সুস্থ থাকতে হবে। তাই নারীর নিজের স্বাস্থ্যের ব্যাপারে সচেতন হতে হবে সবার আগে।&lt;/p&gt;

ডায়াবেটিসে যত্নবান

মারুফা মিতু

মারুফা মিতু

প্রাসঙ্গিক

সম্পর্কিত খবর

উচ্চ মাত্রার বায়ুদূষণে বাড়ে ডায়াবেটিসের ঝুঁকি

নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ ৯২% রোগী

সর্বশেষ সংবাদ

অভিমত : ব্যাংকের সুদের হার বাড়ানোয় বাজারে অব্যাহত পতন

রাষ্ট্রের নিরাপত্তার স্বার্থে কোনো ছাড় নয়

শেয়ারবাজারে হাহাকার

হঠাৎ এত গরম কেন

প্লুটোর বুকে হৃদয় আঁকা হয়েছিল যেমন করে

গ্রন্থাগারিক থেকে কোটিপতি বশির

ব্রয়লার মুরগির দাম কিছুটা কমেছে, সোনালি চড়া

সাতক্ষীরায় মোটরসাইকেলের নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে যুবকের মৃত্যু

থাইল্যান্ডের রাজা-রানীর সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর সৌজন্য সাক্ষাৎ

বাংলাদেশ একটি অমিত সম্ভাবনাময় দেশ : শিল্পমন্ত্রী

‘বিশ্বের কোথাও মানবাধিকার পরিস্থিতি নিখুঁত নয়’

বাংলাদেশ-চীন সামরিক মহড়ায় দৃষ্টি ভারতের

নাশকতার মামলায় জামাত বিএনপির ৭ নেতাকর্মী কারাগারে

মাউশির ডিজি পদে নেহাল আহমেদকে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ

না বলে বাবার বাড়িতে যাওয়ায় স্ত্রীকে স্বামীর ২৭ কোপ!

দারুণ জয়ে সিরিজে এগিয়ে গেল নিউজিল্যান্ড

সিলেটে এক দিনের ব্যবধানে সড়কে ঝরল ৩ প্রাণ

গেলেন ২৮৮ বিজিপি ও সেনা সদস্য

বাল্যবিবাহ প্রতিরোধে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলার আহবান

রাশেদ বিন আমানের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা

বাইরে থেকে ঢাকায় ঢোকায় জরিমানা ১৩ অটোচালককে

এআইইউবির কিউএস ৪-স্টার অর্জন

প্রতিবন্ধী শিল্প উৎসব বসছে আজ

যশোর ডিওএইচএসে ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প মেলার উদ্বোধন

‘স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনে নানা কর্মসূচি গ্রহণ করেছে সরকার’

হাসপাতালে ১৯ ডেঙ্গু রোগী

সচিবালয় ক্লিনিকের ৭ চিকিৎসক বদলি

প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগের প্রশ্ন ফাঁস, গ্রেপ্তার ৫

প্লুটোর বুকে হৃদয় আঁকা হয়েছিল যেমন করে

জটিল হলেও ব্রাজিলের গরু আমদানি সম্ভব

সর্বাধিক পঠিত

বেনজীর ও তার পরিবারের নগদ অর্থের তথ্য চেয়ে বিএফআইইউতে দুদকের চিঠি

স্বামীর মৃত্যু, মানসিক অবসাদ! এখন কেমন আছেন ‘চাক দে ইন্ডিয়া’র অভিনেত্রী

মহানবী (সা.) যেসব উপায়ে উপার্জন করতেন

মন্ত্রী দেশে ফিরলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার বিষয়ে সিদ্ধান্ত

‘ব্রাজিল থে‌কে জীবন্ত গরু আনা কঠিন হলেও অসম্ভব নয়’

রবিবার খুলছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, প্রজ্ঞাপন জারি

কমলা রঙে ঢেকে গেছে গ্রিসের আকাশ

মাইদুলের ১১ বিয়ে ১১ তালাক, টার্গেট অসহায় সুন্দরী নারী!

শিল্পী সমিতিতে মারামারি : সবশেষ যা হলো

কোথায় বসবে অনন্ত-রাধিকার ‘রাজকীয়’ বিয়ের আসর?

বাবার সঙ্গে রোমান্সের প্রস্তাব, যে সিনেমা ফিরিয়ে দিয়েছিলেন সারা

‘আমি সব সময়ই আনন্দে থাকি’, বিচ্ছেদ প্রসঙ্গে শিমুল

সনদ পেল ১৪ পণ্য, টাঙ্গাইল শাড়ির জিআই-এর জন্য মামলা হবে ভারতে

না বলে বাবার বাড়িতে যাওয়ায় স্ত্রীকে স্বামীর ২৭ কোপ!

উল্টো চাঁদ

এই অঞ্চলে কারো আধিপত্য নয় : ঢাকায় মার্কিন কর্মকর্তা

এক দিনের ব্যবধানে ফের কমল সোনার দাম

বাংলাদেশ-চীন সামরিক মহড়ায় দৃষ্টি ভারতের

চুয়েট অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ, শিক্ষার্থীদের হল ছাড়ার নির্দেশ

‘মার্কিন দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র ইউক্রেনের জন্য আরো সমস্যা তৈরি করবে’

ক্ষমতায় আসার জন্য মরিয়া বিএনপি : ওবায়দুল কাদের

প্রীতি উরাংয়ের অস্বাভাবিক মৃত্যু: অপরাধ আড়ালের চেষ্টা করা হচ্ছে

আরেফীনের সিনেমায় পাওলি দাম

ভারতকে বদলে দিচ্ছেন মোদি

যে কারণে নিউজিল্যান্ডে ঘুমাতে পারছিলেন না মুস্তাফিজ

তীব্র গরমেও ফাটতে পারে ঠোঁট

মসজিদে আজান দিল নায়কপুত্র, উচ্ছ্বসিত বাবা

কাউকে পরোয়া করছেন না লাল মাটি ব্যবসায়ীরা

ট্রাফিক পুলিশ সদস্যদের জন্য ‘এসি হেলমেট’

ইসরায়েলের সঙ্গে সীমান্তে উত্তেজনা : লেবাননে ফের নির্বাচন স্থগিত

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন