<p>ব্যাপক সমালোচনা সত্ত্বেও নরওয়ের সরকার গভীর সমুদ্রে খনিজসম্পদ উত্তোলনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সিদ্ধান্ত পরিবর্তনের জন্য তাদের ওপর প্রবল চাপ সৃষ্টি করেছে দেশ-বিদেশের বিভিন্ন পরিবেশবাদী সংগঠন। এর মধ্যে প্রভাবশালী আন্তর্জাতিক সংগঠন ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ফান্ড ফর নেচার (ডাব্লিউডাব্লিউএফ) সিদ্ধান্ত পরিবর্তন না করা হলে মামলা করার হুমকি দিয়েছে।</p> <p>ডাব্লিউডাব্লিউএফের নরওয়ে শাখার মহাসচিব করোলিন আন্দার বলেছেন, ‘খনিজ সম্পদ উত্তোলনের জন্য জলসীমা খুলে দেওয়ার কোনো আইনি ভিত্তি নেই। সিদ্ধান্তটি অবৈধ এবং সরকার তার সিদ্ধান্তে সুস্পষ্টভাবে আইন ভঙ্গ করছে।’</p> <p>নরওয়ে খনিজ সম্পদ আহরণের জন্য সমুদ্রতল উন্মুক্ত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া বিশ্বের প্রথম দেশগুলোর মধ্যে একটি। বিশ্বের সুবিশাল সাগরতলের বেশির ভাগ অংশই এখনো অজানা ও অনাবিষ্কৃত। বেশ কয়েকটি দেশ ও সংস্থার গবেষকরা এ সিদ্ধান্তের সমালোচনা করে বলেছেন, সমুদ্রতলের বিষয়ে পর্যাপ্ত জ্ঞান বা তথ্য না পাওয়া পর্যন্ত এর অনুমতি দেওয়া ঠিক হবে না। এতে বিশ্ব অপূরণীয় বিপর্যয়ের সম্মুখীন হতে পারে।</p> <p>ডাব্লিউডাব্লিউএফের নরওয়ে শাখার মহাসচিব করোলিন আন্দার সুইডিশ জাতীয় দৈনিক ডিএনকে বলেন, ‘খনির জন্য নরওয়েজীয় সমুদ্রসীমা উন্মুক্ত করার সিদ্ধান্তটি মূলত একটি ‘প্রভাব মূল্যায়নের’ ওপর ভিত্তি করে নেওয়া হয়েছে। এতে ন্যূনতম শর্ত পূরণ হয় না। তিনি আরো বলেন, ‘বিশেষজ্ঞ পর্যায়ের পরামর্শ এবং নিজস্ব পরিবেশ বিষয়ক কর্তৃপক্ষকে অগ্রাহ্য করে নরওয়ে সাগরতলে খনি খোঁড়ার অনুমতি দেওয়ার জন্য আন্তর্জাতিকভাবে একটি পরিবেশ বিষয়ে অবিশ্বাসী দেশ হিসেবে নিজেকে উপস্থাপন করেছে।’</p> <p>গত ফেব্রুয়ারি মাসে ইইউ পার্লামেন্ট সাগরতল থেকে খনিজ আহরণের প্রস্তাবের জন্য নরওয়ের কঠোর সমালোচনা করেছিল। পার্লামেন্ট বলেছিল, নরওয়ে সমুদ্র রক্ষার লক্ষ্যে বেশ কয়েকটি চুক্তি স্বাক্ষর করা ছাড়াও জলবায়ুর বিবেচনায় মহাসাগরগুলো সংরক্ষণের ওপর গুরুত্বারোপ করা একটি  দেশ। ইউরোপীয় পার্লামেন্টে তখন নরওয়ের সমুদ্রতলে খনির পরিকল্পনা স্থগিত করার দাবিতে একটি প্রস্তাবও পাস করে। এতে উদ্বেগ প্রকাশ করে বলা হয়, নরওয়ের খনিজ উত্তোলনে মাছসহ ওই অঞ্চলের সামুদ্রিক বাস্তুতন্ত্র প্রভাবিত হবে।</p> <p> </p>