ব্রিটিশ পার্লামেন্টে রক্ষণশীল দলের সদস্যের পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। তাঁর দাবি, পার্টিগেট কেলেঙ্কারিকে কেন্দ্র করে জোরপূর্বক তাঁকে পার্লামেন্ট ছাড়তে বাধ্য করা হয়েছে।
লকডাউনের সময় ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ১০ নম্বর ডাউনিং স্ট্রিটে পার্টি করা নিয়ে বরিস জনসন পার্লামেন্টকে বিভ্রান্ত করেছিলেন কি না, তা খতিয়ে দেখেছে প্রিভিলেজ কমিটি। তাদের ভাষ্য আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশের আগে দেখার সুযোগ পান জনসন।
এক বিবৃতিতে সাবেক ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী এই কমিটিকে ‘ক্যাঙ্গারু কোর্ট’ আখ্যা দিয়ে বলেছেন, ‘তথ্য-উপাত্ত যা-ই থাক না কেন, আমাকে দোষী সাব্যস্ত করাই ছিল এর উদ্দেশ্য।’
প্রিভিলেজ কমিটি বলেছে, তদন্তের ক্ষেত্রে তারা যথাযথ প্রক্রিয়া ও নির্দেশনা অনুসরণ করেছে।
সংখ্যাগরিষ্ঠ রক্ষণশীল এমপি নিয়ে গঠিত এই কমিটি জানিয়েছে, সোমবার তদন্ত শেষ করা হবে। শিগগির প্রতিবেদন প্রকাশ করা হবে।
বরিস জনসনের পদত্যাগের ফলে তাঁর আসন আক্সব্রিজ ও সাউথ রাইস্লিপে এখন উপনির্বাচন হবে।
পদত্যাগের ঘোষণা দিয়ে গত শুক্রবার বরিস জনসন বলেন, ‘যে তদন্ত প্রতিবেদনটি দেখেছি, তা ত্রুটিপূর্ণ ও পক্ষপাতদুষ্ট কথায় সাজানো। এটা স্পষ্ট যে আমাকে পার্লামেন্ট থেকে বের করে দিতে সব ধরনের পদ্ধতি ব্যবহারে কমিটি বদ্ধপরিকর ছিল।’
জনসন বলেন, ‘আমি জেনেশুনে বা বেপরোয়াভাবে কমনসভাকে বিভ্রান্ত করেছি এসংক্রান্ত কোনো প্রমাণ তারা দিতে পারেনি।
’ তিনি জোর দিয়ে বলেন, ‘আমি মিথ্যা বলিনি।’
কমিটির চেয়ারম্যান ও লেবার পার্টির নেতা হ্যারিয়েট হারম্যানকে পক্ষপাতদুষ্ট আখ্যা দিয়ে বরিস বলেন, তাঁকে যেভাবে জোরপূর্বক বহিষ্কার করা হচ্ছে, তাতে তিনি হতবাক।
সূত্র : বিবিসি