<p>সুদানের ক্ষমতাসীন সামরিক কাউন্সিল ও প্রধান বিরোধী জোট নতুন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কার্যপরিধি নিয়ে সাংবিধানিক ঘোষণায় একমত হয়েছে। গতকাল শনিবার আফ্রিকান ইউনিয়নের মধ্যস্থতাকারী মোহাম্মদ হাসান লেবাট দুই পক্ষের মধ্যে এ সমঝোতার খবর দেন।</p> <p>তাঁর এ ঘোষণার পরপরই রাজধানী খার্তুমসহ বিভিন্ন শহরে আন্দোলনকারীরা উল্লাসে মেতে ওঠে। তিন দশকের শাসক ওমর আল-বশির ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর থেকেই আফ্রিকার এ দেশটিতে টালমাটাল পরিস্থিতি বিরাজ করছিল। বশির জরুরি ব্যয় সংকচন কর্মসূচি ঘোষণা করলে গত বছরের ডিসেম্বর থেকে তাঁর বিরুদ্ধে ব্যাপক আন্দোলন শুরু হয়। কয়েক মাসের অস্থিরতার পর চলতি বছরের এপ্রিলে সেনাবাহিনী তাঁকে ক্ষমতাচ্যুত করে।</p> <p>এর পর থেকে সামরিক কাউন্সিল দেশ চালালেও আন্দোলনকারীরা বেসামরিক নেতৃত্বের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তরের দাবিতে একের পর এক বিক্ষোভ করে আসছে। রাজনৈতিক অস্থিরতা কমাতে আফ্রিকান ইউনিয়নের মধ্যস্থতায় রাজি হয় সুদানের ক্ষমতাসীন সেনা কাউন্সিল ও বিরোধীরা।</p> <p>আলোচনার একপর্যায়ে দুই পক্ষ পরবর্তী নির্বাচনের আগ পর্যন্ত ক্ষমতা ভাগাভাগিতে সম্মত হয়। এরই অংশ হিসেবে শুরু হয় সাংবিধানিক ঘোষণা নিয়ে আলোচনা। সেনা কাউন্সিল ও বিরোধীদের মধ্যে জুলাইয়ে ক্ষমতা ভাগাভাগির চুক্তি অনুযায়ী, তিন বছর তিন মাসের জন্য ছয়জন বেসামরিক ও পাঁচ জেনারেলের সমন্বয়ে একটি শাসন পরিষদ গঠনে সিদ্ধান্ত হয়েছে।</p> <p>গতকাল লেবেট সেনা কাউন্সিল ও বিরোধীরা সাংবিধানিক ঘোষণা নিয়ে একমত হয়েছে জানালেও ঘোষণার খুঁটিনাটি নিয়ে বিস্তারিত বলেননি। সাংবিধানিক ঘোষণার খসড়ায় সুদানের র‌্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেস (আরএসএফ) বাহিনীকে সামরিক বাহিনীর অধীনে এবং গোয়েন্দা সংস্থাকে সার্বভৌম শাসন পরিষদ ও মন্ত্রিসভার অধীনে নিয়ে আসার প্রস্তাব ছিল। সূত্র : বিবিসি, রয়টার্স।</p>