ঢাকা, রবিবার ২৭ জুলাই ২০২৫
১২ শ্রাবণ ১৪৩২, ০১ সফর ১৪৪৭

ঢাকা, রবিবার ২৭ জুলাই ২০২৫
১২ শ্রাবণ ১৪৩২, ০১ সফর ১৪৪৭

চাকরির প্রস্তুতিমূলক মডেল টেস্ট : চর্যাপদ

  • চাকরির নিয়োগ পরীক্ষাগুলোতে প্রায়ই ‘চর্যাপদ’ বিষয়বস্তুর ওপর প্রশ্ন করা হয়। বহু নির্বাচনী (এমসিকিউ) পদ্ধতিতে প্রস্তুতিমূলক এই মডেল টেস্টটি তৈরি করেছেন রাকিবুল ইসলাম
অন্যান্য
অন্যান্য
শেয়ার
চাকরির প্রস্তুতিমূলক মডেল টেস্ট : চর্যাপদ

এমসিকিউ

 

১। বাংলা সাহিত্যের যুগ বিভাগ কত পর্যায়ে বিভক্ত?

            ক) ৪   খ) ৩   গ) ২    ঘ) ৫

২। বাংলা সাহিত্যের প্রাচীন যুগের একমাত্র নিদর্শনের নাম কী?

            ক) পদ্মাবতী     খ) শূন্যপুরাণ  

            গ) চর্যাপদ   ঘ) সেক শুভোদয়া

৩। চর্যাপদের আবিষ্কারকের নাম—

            ক) হরপ্রসাদ চন্দ্র    খ) আলাওল  

            গ) দৌলত উজির   

            ঘ) হরপ্রসাদ শাস্ত্রী

৪।

কোথা থেকে ‘চর্যাপদ’ আবিষ্কার করা হয়?

            ক) ঢাকার জাতীয় গ্রন্থাগার 

            খ) নেপালের রাজগ্রন্থশালা 

            গ) ভুটানের রাজগ্রন্থশালা 

            ঘ) শান্তিনিকেতন

৫। ‘চর্যাপদ’ আবিষ্কার করা হয়—

            ক) ১৯০৫ সালে  খ) ১৯০৬ সালে   

            গ) ১৯০৭ সালে  ঘ) ১৯০৮ সালে

৬।         কত সালে পত্রিকায় সর্বপ্রথম ‘চর্যাপদ’ প্রকাশিত হয়?

            ক) ১৯১৬ সালে খ) ১৯১৭ সালে

            গ) ১৯১৮ সালে  ঘ) ১৯১৯ সালে

৭।         বাংলা ভাষার কোন পত্রিকায় সর্বপ্রথম ‘চর্যাপদ’ প্রকাশিত হয়?

            ক) বঙ্গ সাহিত্য পরিষদ পত্রিকা  

            খ) বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষদ পত্রিকা

            গ) বেগম পত্রিকা  ঘ) সবুজপত্র

৮।

‘চর্যাপদ’ কোন ছন্দে রচিত?

            ক) অক্ষরবৃত্ত খ) মাত্রাবৃত্ত

            গ) ষাণ্মাসিক  ঘ) কোনোটিই সঠিক নয়

৯। সুকুমার সেনের মতে, চর্যাপদের মোট কবির সংখ্যা কত?

            ক) ২২ খ) ২৩ গ) ২৪ ঘ) ২৫

১০। ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহর মতে, চর্যাপদের মোট কবির সংখ্যা—

            ক) ২২ জন  খ) ২৩ জন 

            গ) ২৪ জন  ঘ) ২৫ জন

১১। চর্যাপদে মোট কবিতার সংখ্যা—

            ক) ৪৬টি  খ) ৪৯টি গ) ৫১টি  ঘ) ৫২টি

১২।

সর্বমোট কতটি চর্যাপদ পাওয়া গিয়েছে?

            ক) ৪৬টি  খ) সাড়ে ৪৬টি 

            গ) ৪৯টি  ঘ) ৫১টি

১৩। চর্যাপদের কোন পদগুলো পাওয়া যায়নি?

            ক) ২৩, ২৫, ৪৮ 

            খ) ২২, ২৬, ৫২ 

            গ) ২৪, ২৫, ৪৮ 

            ঘ) ২৪, ২৫, ৪৯

১৪। চর্যাপদের প্রাচীনতম কবির নাম—

            ক) ভুসুকুপা           খ) লুইপা 

            গ) কাহ্নপা            ঘ) শবরপা

১৫। চর্যাপদের আধুনিক কবির নাম—      ক) লুইপা             খ) জয়ানন্দ 

            গ) সরহপা            ঘ ভুসুকুপা

১৬। চর্যাপদের প্রথম পদ রচয়িতা কে?

            ক) জয়ানন্দ          খ) লুইপা 

            গ) কাহ্নপা            ঘ) শবরপা

১৭।

চর্যাপদে সবচেয়ে বেশি ১৩টি পদের রচয়িতা কে?

            ক) লুইপা             খ) ভুসুকুপা 

            গ) কাহ্নপা            ঘ) শবরপা

১৮। ভুসুকুপা কতটি পদ রচনা করেন?

            ক) ৮টি  খ) ৮টি  

            গ) ১১টি              ঘ) ১৩টি

১৯। কোন আমলে চর্যাপদ রচিত হয়?

            ক) মৌর্য  খ) পাল 

            গ) সেন  ঘ) গুপ্ত

২০। পুঁথিতে চর্যাপদের মূল নাম কী ছিল?

            ক) সরহপাদের দোহা 

            খ) চর্যাচর্যবিনিশ্চয়

            গ) কৃষ্ণপাদের দোহা 

            ঘ) ডাকার্নব

 

উত্তর মিলিয়ে নিন

১. খ, ২. গ, ৩. ঘ, ৪. খ, ৫. গ, ৬. ক, ৭. খ, ৮. খ, ৯. গ, ১০. খ, ১১. গ, ১২. খ, ১৩. গ, ১৪. ঘ, ১৫. গ, ১৬. খ, ১৭. গ, ১৮. ক, ১৯. খ,  ২০. খ।

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

ভাইভা অভিজ্ঞতা

পশু ও মানুষ ব্যবস্থাপনাকে আপনি এক করতে চাচ্ছেন?

    বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের পশুপালন অনুষদ থেকে স্নাতক এবং পশুপুষ্টি বিভাগ থেকে স্নাতকোত্তর করেছেন নাজমুল হক। তিনি ৪৪তম বিসিএসে লাইভস্টক ক্যাডারে সুপারিশ পেয়েছেন। তাঁর ভাইভা অভিজ্ঞতা শুনেছেন এম এম মুজাহিদ উদ্দীন
শেয়ার
পশু ও মানুষ ব্যবস্থাপনাকে আপনি এক করতে চাচ্ছেন?
নাজমুল হক

ভাইভা হয়েছিল ২৪ মার্চ ২০২৫। ডাক পাওয়ার পর অনুমতি নিয়ে ভাইভা রুমে ঢুকে সবাইকে সালাম দিই। এরপর চেয়ারম্যান স্যার বসতে বলেন।

 

চেয়ারম্যান : আপনার প্রথম পছন্দ কী?

—বিসিএস প্রশাসন ক্যাডার।

পড়াশোনা কোন বিষয়ে?

—বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের পশুপালন অনুষদ থেকে স্নাতক এবং পশুপুষ্টি বিভাগ থেকে স্নাতকোত্তর।

পশুপালনবিষয়ক জ্ঞান কিভাবে প্রশাসনিক কাজে ব্যবহার করবেন?

—পশুপালন একটি ব্যবস্থাপনাভিত্তিক বিষয়। এই বিষয়ে পড়ালেখা করা ব্যক্তি বাস্তব জীবনেও দক্ষ ব্যবস্থাপক হিসেবে গড়ে ওঠে। আর প্রশাসনিক কাজেও ব্যবস্থাপনা দক্ষতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

তাই পশুপালন বিষয়ক জ্ঞানও প্রশাসনিক কাজে ইতিবাচক ভূমিকা রাখতে পারে।

আপনি কি পশু ও মানুষ ব্যবস্থাপনাকে এক করতে চাচ্ছেন?

—না স্যার। আমি তা বলতে চাইনি। তবে আমি বিশ্বাস করি, সুশৃঙ্খল ব্যবস্থাপনার ধারণা সব ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য।

আর প্রশাসন এমন একটি বহুমুখী ক্যাডার, যেখানে বিভিন্ন বিষয়ের শিক্ষার্থীদের অংশ নেওয়া প্রয়োজন। বিভিন্ন পেশাগত ও শিক্ষাগত পটভূমি থেকে আসা এই কর্মকর্তারা প্রশাসন পরিচালনায় নানামুখী দৃষ্টিভঙ্গি ও দক্ষতা যোগ করতে পারেন, যা রাষ্ট্রীয় কর্মকাণ্ডে ইতিবাচক প্রভাব রাখতে পারে।

 

এক্সটার্নাল-১ : আপনি বর্তমানে বাগেরহাটের মহিষ উন্নয়ন ও প্রজনন খামারে সহকারী ব্যবস্থাপক হিসেবে কর্মরত। সেখানে কি কাজ করার যথেষ্ট সুযোগ নেই?

(আমি সেই চাকরির কিছু সুযোগ ও প্রতিবন্ধকতার কথা বিস্তারিত তুলে ধরি।)

 

এক্সটার্নাল-২ : আপনি যে খামারে কর্মরত, সেখানে গত বছর বেশ কিছু মহিষ একসঙ্গে মারা গেছে।

এর পেছনে কী কারণ ছিল?

(আমি তদন্ত প্রতিবেদন অনুযায়ী ব্যাখ্যা দিই।)

 

চেয়ারম্যান : হরিণ বাণিজ্যিকভাবে পালন করলে আমাদের কী কী লাভ হতে পারে?

—বাণিজ্যিক ভিত্তিতে হরিণ খামার তৈরি হলে তা আমাদের প্রাণিজ আমিষের চাহিদা পূরণে সহায়ক হবে এবং এটি পরিবেশ রক্ষায়ও অবদান রাখবে।

আপনি কি সুন্দরবনে গিয়েছেন?

—জি স্যার।

এক্সটার্নাল-২ : বাগেরহাটে কোন কৃষিভিত্তিক অর্থনৈতিক খাত আছে?

—চিংড়ি চাষ।

 

এক্সটার্নাল-১ : বাগেরহাটের কয়েকটি বিখ্যাত স্থান এবং কয়েকজন খ্যাতিমান ব্যক্তির নাম বলুন।

—বিখ্যাত স্থানের মধ্যে রয়েছে ষাটগম্বুজ মসজিদ, ঘোড়াদীঘি, খানজাহান আলীর মাজার, দশগম্বুজ মসজিদ এবং মংলা সমুদ্রবন্দর। এই জেলার খ্যাতিমান ব্যক্তিদের মধ্যে আছেন—খানজাহান আলী, কবি রুদ্র মুহম্মদ শহিদুল্লাহ।

(চেয়ারম্যান স্যার ইশারা দিয়ে থামতে বলেন)।

 

চেয়ারম্যান : কয়েকটি গ্রিনহাউস গ্যাসের নাম বলুন।

—কার্বন ডাই-অক্সাইড, মিথেন, নাইট্রাস অক্সাইড।

মহিষ পালনে কী ধরনের লাভ আছে বলে আপনি মনে করেন?

—স্যার, মহিষের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অনান্য প্রাণীর তুলনায় বেশি। এতে খামারিদের চিকিৎসা ব্যয় অনেক কম হয়। এ ছাড়া মহিষের মাংসে কোলেস্টেরলের পরিমাণ তুলনামূলক কম হওয়ায় দিন দিন এর জনপ্রিয়তা ও চাহিদা বৃদ্ধি পাচ্ছে।

এক্সটার্নাল-২ : দেখতে পাচ্ছি আপনি এর আগেও কয়েকটি চাকরি করেছেন। সেগুলো কেন ছেড়েছেন?

—স্যার, আমি মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তান। তাই পড়াশোনা সম্পন্ন করে বেকার বসে থাকার সুযোগ ছিল না। যখনই কোনো চাকরির বিজ্ঞপ্তি পেয়েছি, আবেদনের জন্য ন্যূনতম যোগ্য হলেই আবেদন করেছি। যখন যেখানে যোগ দেওয়ার সুযোগ হয়েছে, যোগ দিয়েছি।

 

চেয়ারম্যান : এখন পর্যন্ত কী কী চাকরি করেছেন?

—সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক, অগ্রণী ব্যাংকে অফিসার (ক্যাশ) এবং সহকারী ব্যবস্থাপক (মহিষ খামার)। সহকারী ব্যবস্থাপক পদটি মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অধীন নন-ক্যাডার পদ।

 

এক্সটার্নাল-১ : তাহলে আপনি আগেও বিসিএস ভাইভা বোর্ডে উপস্থিত হয়েছেন?

—জি স্যার।

 

চেয়ারম্যান : ঠিক আছে, আপনি যেতে পারেন।

 

(‘ধন্যবাদ স্যার’ বলে সালাম দিয়ে রুম থেকে বেরিয়ে আসি।)

মন্তব্য

মেডিক্যাল কোরে চিকিৎসক নিয়োগ দেবে সেনাবাহিনী

    ‘৮৬তম বিএমএ’তে বিশেষ কোর্সে আর্মি মেডিক্যাল কোরে (এএমসি) পুরুষ ও মহিলা চিকিৎসক নিয়োগ দেবে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। আবেদনের শেষ তারিখ ৯ আগস্ট ২০২৫। চূড়ান্তভাবে নির্বাচিতরা সফল প্রশিক্ষণ শেষে পাবেন ক্যাপ্টেন পদে কমিশন। বাছাই পদ্ধতি, যোগ্যতাসহ বিস্তারিত জানাচ্ছেন সাজিদ মাহমুদ
শেয়ার
মেডিক্যাল কোরে চিকিৎসক নিয়োগ দেবে সেনাবাহিনী

প্রার্থী বাছাই পদ্ধতি : প্রথমে পেশাগত বিষয়ে ১০০ নম্বরের লিখিত পরীক্ষা নেওয়া হবে। ঢাকা সেনানিবাসের শহীদ বীরবিক্রম রমিজউদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট কলেজে, ১৫ আগস্ট ২০২৫, সকাল ৯টায় হবে এ পরীক্ষা। পরীক্ষার সময় দরকারি কাগজপত্র সঙ্গে রাখতে হবে। ফল প্রকাশ করা হবে সেপ্টেম্বরের (২০২৫) তৃতীয় সপ্তাহে।

উত্তীর্ণদের প্রাথমিক স্বাস্থ্য ও প্রাথমিক মৌখিক পরীক্ষা নেওয়া হবে ২১ থেকে ২৫ সেপ্টেম্বর ঢাকা সেনানিবাসের ডিজিএমএস অফিসে। লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রার্থীদের আইএসএসবি পরীক্ষা হবে ঢাকা সেনানিবাসে। আইএসএসবি পরীক্ষা বা সাক্ষাৎকারের চূড়ান্ত ফল সেনাবাহিনীর অফিশিয়াল ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হবে। এর পর প্রার্থীদের মেধাক্রম ও বাংলাদেশ মিলিটারি একাডেমিতে (বিএমএ) যোগ দেওয়ার নির্দেশনাসংবলিত নোটিশ প্রকাশ হবে।
বিএমএতে যোগ দেওয়ার সম্ভাব্য তারিখ ২৪ ডিসেম্বর ২০২৫।

প্রশিক্ষণ ও সুযোগ-সুবিধা : চূড়ান্তভাবে নির্বাচিতরা বিএমএতে ২৪ সপ্তাহের প্রশিক্ষণ নেবেন। প্রশিক্ষণ শেষে সফল ট্রেইনি অফিসাররা ক্যাপ্টেন পদে কমিশন পাবেন। কর্মকর্তারা সরকার নির্ধারিত বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা ও সশস্ত্র বাহিনীর বেতনক্রম অনুযায়ী বেতন-ভাতা পাবেন।

এ ছাড়া থাকছে উচ্চশিক্ষা, বিদেশে প্রশিক্ষণ, বাসস্থান, চিকিৎসা, সন্তানদের অধ্যয়নসহ নির্ধারিত সুযোগ-সুবিধা।

 

আবেদনের শিক্ষাগত যোগ্যতা : মেডিক্যাল কলেজ থেকে এমবিবিএস ডিগ্রি এবং ইন্টার্নশিপ থাকতে হবে প্রার্থীর। এসএসসি ও এইচএসসি দুই পরীক্ষা মিলে জিপিএ হতে হবে ৯। তবে কোনো পরীক্ষায় জিপিএ ৪.৫ এর কম থাকা যাবে না। ১ জানুয়ারি ২০২৬ তারিখ অনুযায়ী বয়স হতে হবে অনূর্ধ্ব ২৮ বছর।

 

আবেদন ও বিস্তারিত : http://join.army.mil.bd

মন্তব্য
যেভাবে চাকরি পেলাম

প্রথমবার বিসিএস প্রশাসন দ্বিতীয়বার পররাষ্ট্র ক্যাডার

    বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বুয়েট) তড়িৎ ও ইলেকট্রনিক কৌশল বিভাগে পড়েছেন মো. আসওয়াদ দেওয়ান আবির। ৪৪তম বিসিএসে পররাষ্ট্র ক্যাডারে মেধাতালিকায় তিনি তৃতীয় হয়েছেন। বিসিএসে তাঁর প্রস্তুতি ও সফল হওয়ার গল্প শুনেছেন আব্দুন নুর নাহিদ
শেয়ার
প্রথমবার বিসিএস প্রশাসন দ্বিতীয়বার পররাষ্ট্র ক্যাডার
মো. আসওয়াদ দেওয়ান আবির

৪৪তম বিসিএসের আগে কতগুলো চাকরির আবেদন করেছেন, এর মধ্যে কোনগুলোতে ডাক পেয়েছিলেন?

একাধিক চাকরির আবেদন করেছিলাম। বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)-এর নিয়োগ পরীক্ষায় প্রথম অংশ নিয়েছিলাম। এখানে সহকারী পরিচালক পদে নির্বাচিত হওয়ায় অন্য আবেদনকৃত পরীক্ষায় অংশ নিইনি। পরে ৪৩তম বিসিএসে অংশ নিয়ে কক্সবাজার জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে প্রশাসন ক্যাডারে সিভিল সার্ভিস কর্মজীবন শুরু করি।

আমার প্রথম পছন্দ ছিল পররাষ্ট্র ক্যাডার। কাঙ্ক্ষিত এই ক্যাডার পেয়েছি ৪৪তম বিসিএসে।

 

বুয়েটে প্রকৌশলে পড়েও কেন বিসিএসে?

স্বপ্নের শুরুটা কিভাবে?

বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময় একাডেমিক পড়াশোনার পাশাপাশি আইডিয়া জেনারেশন, পোস্টার প্রেজেন্টেশন বা হ্যাকাথন-জাতীয় প্রতিযোগিতায় অংশ নিতাম। বিভাগে অনুষ্ঠানের আয়োজন এবং ক্লাবসংশ্লিষ্ট কর্মকাণ্ডে সক্রিয় থাকার চেষ্টা করতাম।

আমি বুয়েট এনার্জি ক্লাবে প্রথমে ট্রেজারার ও পরে প্রেসিডেন্ট হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছি। এসব এক্সট্রা কারিকুলার কার্যক্রমে যুক্ত থাকায় অগণিত মানুষের সঙ্গে যোগাযোগের সুযোগ তৈরি হয়েছে। তাদের পেশাগত জীবনের গল্পও শোনা হয়েছে। স্নাতক তৃতীয় বর্ষের শেষে নিজের ক্যারিয়ার নিয়ে গভীরভাবে ভাবতে শুরু করি।
তখন আমার বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনিয়র ভাইয়েরা প্রকৌশলের পাশাপাশি আর কোন কোন পেশা কেমন হবে, ধারণা দিলেন। যেহেতু পারিবারিক কারণে স্নাতকের পর বিদেশে যাওয়ার পরিকল্পনা ছিল না, তাই নিজের ব্যক্তিত্ব ও বৈশিষ্ট্যের সঙ্গে মিলিয়ে সিভিল সার্ভিসে (বিসিএস) ক্যারিয়ার গঠনের চিন্তা মাথায় আসে। সেখান থেকেই প্রস্তুতি শুরু।

 

প্রিলি ও লিখিত পরীক্ষার প্রস্তুতি কৌশল ও রুটিন কেমন ছিল? কোন বিষয়গুলোতে বাড়তি গুরুত্ব দিয়েছেন?

প্রিলিমিনারি ও লিখিত পরীক্ষার প্রস্তুতির সময় আমি অন্য চাকরিতে কর্মরত ছিলাম। অফিস ঠিক রেখে প্রস্তুতির জন্য সময় বের করতে হতো।

তাই গতানুগতিক রুটিন মেনে পড়াশোনার সুযোগ হয়নি। আমার জন্য পড়াশোনার উপযুক্ত সময় ছিল রাত।  প্রিলিমিনারি ও লিখিত পরীক্ষার বিভিন্ন বিষয়ে যে টপিকগুলো কমন, সেগুলোতেই প্রথমে জোর দিয়েছি। প্রিলিমিনারিতে বাংলা ও ইংরেজি সাহিত্যের জন্য সহায়ক বই পড়েছি। গণিত ও বিজ্ঞানের জন্য বোর্ড বইগুলো অনুশীলন করেছি। বাংলাদেশ ও আন্তর্জাতিক বিষয়াবলিতে যে অধ্যায়গুলোর তথ্য মোটামুটি অপরিবর্তনীয়, সেগুলোতে বাড়তি গুরুত্ব দিয়েছি। যেমন—বাংলাদেশ বিষয়াবলির ক্ষেত্রে বাংলাদেশের জাতীয় বিষয়াবলি, ভৌগোলিক পরিচিতি, ডেমোগ্রাফি, সংবিধান, সরকারব্যবস্থা এবং আন্তর্জাতিক বিষয়াবলির ক্ষেত্রে বৈশ্বিক ইতিহাস, আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক ব্যবস্থা, ভূ-রাজনীতি, পরিবেশগত ইস্যু, আন্তর্জাতিক সংগঠন ও বৈশ্বিক আর্থিক প্রতিষ্ঠানবিষয়ক টপিকে জোর দিয়েছি। প্রিলিমিনারিতে এভাবে প্রস্তুতি নেওয়ায় প্রাথমিকভাবে এটা লিখিত পরীক্ষার প্রস্তুতিতেও বেশ কাজে দিয়েছে। নিয়মিত সংবাদপত্র পাঠের অভ্যাস করেছি। প্রায় প্রতিদিনই বৈশ্বিক গুরুত্বপূর্ণ ঘটনাগুলোর সঙ্গে সম্পর্কিত স্থানগুলো গুগল ম্যাপের গ্লোব ভার্সনে ঘুরে ঘুরে দেখতাম। ভূগোল সম্পর্কিত জ্ঞান বাড়াতে এটা দারুণ কাজে দিয়েছে। লিখিত পরীক্ষার প্রস্তুতির সময় গতানুগতিকভাবে নোট করে পড়ার মতো সময় বের করতে পারিনি। তাই পুরো প্রস্তুতিতে অনেকটাই অনলাইন রিসোর্সের ওপর নির্ভর করতে হয়েছে। অফিসের কাজে বিভিন্ন প্রতিবেদন তৈরির সময় বিভিন্ন সরকারি ওয়েবসাইট ব্রাউজ করতে হতো। তখন লিখিত পরীক্ষায় ব্যবহারের মতো কোনো কনটেন্ট চোখে পড়লে সংরক্ষণ করে রাখতাম। যেমন—অর্থনীতি, বাণিজ্য, শিক্ষা, কৃষিসংক্রান্ত সরকারি উদ্যোগের তথ্য নোট করেছি। ফলে অ্যাম্পিরিক্যাল ইস্যু ও পলিসি ব্রিফে যথাযথ রেফারেন্স জুড়ে দেওয়া সহজ হয়েছিল। পরীক্ষার খাতা উপাত্ত ও তথ্যসমৃদ্ধ করতে পারলে অন্যদের চেয়ে এগিয়ে থাকা সহজ হয়ে যায়। বিজ্ঞানের প্রশ্নের উত্তরে ভূমিকা ছাড়াই উত্তর লিখেছি। গণিত ও মানসিক দক্ষতায় ভালো করতে বেশি বেশি অনুশীলন করেছি। তবে বাংলা ও ইংরেজির জন্য প্রায় পুরোটাই ফ্রিহ্যান্ড রাইটিং চর্চার ওপর নির্ভর ছিলাম। সংবাদপত্রে বিভিন্ন প্রেক্ষাপটে কেমন শব্দ ও বাক্যের গঠন বারবার ব্যবহার হচ্ছে, এটা বুঝে তা নিজের লেখায় ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা করতাম। প্রিলিমিনারি ও লিখিত উভয় পরীক্ষার সময়ই আমি মডেল টেস্ট দেওয়ার পাশাপাশি বিগত প্রশ্নপত্র সমাধান করেছি। এভাবে নিজের দুর্বলতা বা ভুলগুলো ধরে সংশোধন করেছি।

 

ভাইভায় প্রস্তুতি কেমন ছিল? প্রশ্নোত্তর পর্ব কেমন ছিল?

ভাইভা প্রস্তুতির সময় বিভিন্ন ক্যাডার নিয়ে জানার চেষ্টা করেছি। বিশেষ করে পছন্দের তালিকায় থাকা ক্যাডারগুলো সম্পর্কে। ভাইভা বোর্ডে নিজেকে কিভাবে উপস্থাপন করব সে ব্যাপারেও প্রস্তুতি ছিল। প্রশ্নোত্তর পর্ব ছিল ২০ মিনিটের মতো। ৪৪তম ভাইভার সময় আমি ৪৩তম বিসিএসের প্রশাসন ক্যাডার। তাই পররাষ্ট্র ক্যাডারে কেন আসতে চাই, এমন প্রশ্ন থাকা খুবই স্বাভাবিক ছিল। এর উত্তরে ভাইভা বোর্ডকে যৌক্তিকভাবে সন্তুষ্ট করাটাই আমার কাছে সবচেয়ে চ্যালেঞ্জিং মনে হয়েছে। প্রায় পুরো ভাইভায় ইংরেজিতে প্রশ্ন হওয়ার পরও আমার কথোপকথনে বেগ পেতে হয়নি। আমার মতে, গুরুত্বপূর্ণ কিছু ক্ষেত্রে গতানুগতিক উত্তর না দিয়ে সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য সামনে নিয়ে উপস্থাপন করা উচিত।

 

 

 

মন্তব্য

৪৯তম বিশেষ বিসিএসে নেওয়া হবে ৬৮৩ শিক্ষা ক্যাডার

    ৪৯তম বিসিএসের (বিশেষ) নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে সরকারি কর্ম কমিশন। এর মাধ্যমে সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারে ৬৮৩ কর্মকর্তা নিয়োগ দেওয়া হবে। আবেদনের শেষ তারিখ ২২ আগস্ট ২০২৫। পরীক্ষা পদ্ধতি, প্রস্তুতি ও আবেদন প্রক্রিয়া নিয়ে বিস্তারিত জানাচ্ছেন বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারের কর্মকর্তা রবিউল আলম লুইপা
শেয়ার
৪৯তম বিশেষ বিসিএসে নেওয়া হবে ৬৮৩ শিক্ষা ক্যাডার
ছবি : এআই দিয়ে তৈরি

আবেদনে খেয়াল রাখুন

১.   কম্পিউটার দোকান বা অন্য কারো মাধ্যমে আবেদন না করে নিজে নিজে অনলাইন আবেদন ফরম পূরণের চেষ্টা করুন।

২.   এসএসসি সার্টিফিকেটে নাম, বাবার নাম, মায়ের নাম, জন্ম তারিখ যেভাবে আছে, সেভাবেই আবেদন ফরম পূরণ করুন। এসএসসি সার্টিফিকেটে নেই এমন কোনো নতুন শব্দ নামের সঙ্গে যোগ করবেন না।

৩. বর্তমানে কোনো চাকরিতে কর্মরত থাকলে ‘এমপ্লয়মেন্ট স্ট্যাটাস’ অপশনে এই তথ্য উল্লেখ করতে হবে।

সরকারি চাকরিজীবী হলে কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিয়ে আবেদন করুন। তাহলে ভাইভার সময় অনাপত্তিপত্র (এনওসি) নিতে সুবিধা হবে।

৪.   মেয়েদের ক্ষেত্রে স্থায়ী ঠিকানায় বাবার বাড়ির ঠিকানা ব্যবহার করতে পারেন।

৫.   স্নাতক পর্যায়ের পরীক্ষার সব কার্যক্রম যদি ২২ আগস্ট ২০২৫ তারিখের মধ্যে শেষ হয়, তাহলে ৪৯তম বিসিএসে ‘অ্যাপিয়ার্ড’ প্রার্থী হিসেবে আবেদন করতে পারবেন।

ভাইভার সময় ‘অ্যাপিয়ার্ড প্রত্যয়নপত্র’ জমা দিতে হবে।

৬.   আবেদনের সময় আপলোড করা পাসপোর্ট আকারের ছবিতে ক্লিনিক্যাল চশমা বা হিজাব ব্যবহার করা যাবে। তবে মুখমণ্ডল স্পষ্ট থাকতে হবে।

৭.   আবেদন জমার সময় পাওয়া ইউজার আইডি ও পাসওয়ার্ড সংরক্ষণ করে রাখুন।

পরবর্তী কার্যক্রমে এগুলো দরকার হবে।

 

পরীক্ষা পদ্ধতি

প্রথম ধাপে ২০০ নম্বরের এমসিকিউ পদ্ধতির লিখিত পরীক্ষা এবং পরবর্তীতে ১০০ নম্বরের ভাইভা নেওয়া হবে। এমসিকিউ পরীক্ষায় সাধারণ বিষয় অর্থাৎ বাংলায় ২০, ইংরেজিতে ২০, বাংলাদেশ বিষয়াবলিতে ২০, আন্তর্জাতিক বিষয়াবলিতে ২০, গণিতে ১০, মানসিক দক্ষতায় ১০ নম্বরের প্রশ্ন থাকবে। ১০০ নম্বরের এই পরীক্ষা পিএসসি প্রণীত ‘প্রিলিমিনারি পরীক্ষার সিলেবাস’ অনুযায়ী হবে। লিখিত পরীক্ষার বাকি ১০০ নম্বরের প্রশ্ন হবে পদসংশ্লিষ্ট।

৪৯তম বিশেষ বিসিএসের সাধারণ বিষয় (১০০ নম্বর) এবং পদসংশ্লিষ্ট বিষয়ের (১০০ নম্বর) সিলেবাস প্রকাশ করেছে সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি)।

সাধারণ বিষয়ের প্রস্তুতির জন্য বাজারের প্রচলিত যেকোনো সহায়ক বই সিলেবাস ধরে ধরে পড়তে পারেন। পদসংশ্লিষ্ট বিষয়ের ক্ষেত্রে বিষয়ভিত্তিক সিলেবাস অনুযায়ী প্রার্থীর নির্ধারিত বিষয়ের উচ্চ মাধ্যমিক, স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পর্যায়ের বই থেকে প্রস্তুতি নিতে হবে।

 

প্রস্তুতি

৪৯তম বিসিএসের এমসিকিউ পরীক্ষা হবে অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহে। প্রস্তুতির জন্য এখন থেকে দুই মাসের মতো সময় পাওয়া যাবে। যাদের প্রস্তুতি ভালো, তাদের রিভাইসের জন্য এটা পর্যাপ্ত সময়। কিন্তু নতুন প্রার্থীদের জন্য এই সময়টা যথেষ্ট না। এ ক্ষেত্রে রুটিন সাজিয়ে পরিকল্পিত প্রস্তুতির বিকল্প নেই।

এখানে ৬০ দিনে প্রস্তুতি নেওয়া সম্ভব। নমুনা রুটিন দেওয়া হলো :

৪৯তম বিশেষ বিসিএসে নেওয়া হবে ৬৮৩ শিক্ষা ক্যাডার

একনজরে বিসিএস শিক্ষা ক্যাডার

বিসিএস (সাধারণ শিক্ষা) ক্যাডার কর্মকর্তারা শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ এবং মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের মাধ্যমে পদায়ন, পদোন্নতি, বদলিসহ পরিচালিত ও নিয়ন্ত্রিত হয়। কারিগরি শিক্ষা ছাড়া শিক্ষার সব পর্যায়ের (প্রাথমিক, মাদরাসা, মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিক, উচ্চশিক্ষা ইত্যাদি) কার্যক্রম পরিচালনার জন্য সাধারণ শিক্ষা ক্যাডার গঠন করা হয়েছে। তবে বর্তমানে বিভিন্ন দপ্তরে সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারের পদ ও কাজের পরিধি সংকুচিত হয়েছে। সরকারি সাধারণ কলেজ, শিক্ষা বোর্ড, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি), জাতীয় শিক্ষা ব্যবস্থাপনা একাডেমি (নায়েম), শিক্ষা ও পরিদর্শন অধিদপ্তর, শিক্ষা তথ্য ও পরিসংখ্যান ব্যুরো (ব্যানবেইস), জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি)-সহ শিক্ষাসংশ্লিষ্ট দপ্তর ও প্রকল্পগুলোতে বিসিএস (সাধারণ শিক্ষা) ক্যাডারের কর্মকর্তাদের পদায়ন করা হয়।

সরকারি কলেজগুলোতে এই ক্যাডারের পদক্রম হলো প্রভাষক>সহকারী অধ্যাপক>সহযোগী অধ্যাপক>অধ্যাপক। মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর ও জাতীয় শিক্ষা ব্যবস্থাপনা একাডেমিতে পদসোপান হলো শিক্ষা/গবেষণা কর্মকর্তা>সহকারী পরিচালক>উপপরিচালক> পরিচালক> মহাপরিচালক।

 

প্রশিক্ষণ ও বেতন-ভাতা

চাকরিতে যোগ দেওয়ার পর সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারের একজন কর্মকর্তাকে জাতীয় শিক্ষা ব্যবস্থাপনা একাডেমি অথবা সরকার নির্ধারিত প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠানে চার মাস মেয়াদি বনিয়াদি প্রশিক্ষণ (ফাউন্ডেশন ট্রেনিং কোর্স-এফটিসি) নিতে হয়। এই ক্যাডারের কোনো বিভাগীয় প্রশিক্ষণ নেই। তবে শিক্ষাসংশ্লিষ্ট শিক্ষা গবেষণা কোর্স, বিষয়ভিত্তিক প্রশিক্ষণ, শিক্ষক প্রশিক্ষণ, সিনিয়র স্টাফ কোর্স অন এডুকেশন অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট—এ ধরনের শিক্ষাসংশ্লিষ্ট প্রশিক্ষণ নিতে হয়। এ ছাড়া অফিস ব্যবস্থাপনা, ই-ফাইলিং, প্রজেক্ট ম্যানেজমেন্ট, প্রকিউরমেন্ট, বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তিসহ অন্যান্য সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীর মতো দেশে-বিদেশে প্রশিক্ষণ নিতে হতে পারে। সরকারি-বেসরকারি বৃত্তি নিয়েও দেশে-বিদেশে মাস্টার্স ও পিএইচডির সুযোগ আছে। সব ক্যাডারের কর্মকর্তারা সরকারি বেতন স্কেল-২০১৫ অনুযায়ী ২২,০০০ টাকা মূল বেতনে চাকরিজীবন শুরু করেন। যোগ দেওয়ার সময় একটি অতিরিক্ত ইনক্রিমেন্ট দেওয়া হয়। একাডেমিক পরীক্ষায় প্রথম শ্রেণি (সমমান) থাকলে আরো একটি ইনক্রিমেন্ট দেবে। মূল বেতনের ওপর নির্ধারিত হারে বাড়িভাড়া ভাতা (জেলা শহরে ৪০%, অন্যান্য বিভাগে ৪৫%, ঢাকা বিভাগে ৫০%) দেওয়া হয়। এ ছাড়া ১৫০০ টাকা চিকিৎসা ভাতা, সন্তানের জন্য শিক্ষা সহায়ক ভাতা, উৎসব ভাতা, নববর্ষ ভাতা, সরকারি দায়িত্ব ও যাতায়াতের জন্য টিএ/ডিএ ভাতাসহ সরকারি আর্থিক সুবিধা পান এ ক্যাডারের কর্মকর্তারা।

 

পদায়ন ও দায়িত্ব

এই ক্যাডারে শিক্ষকতা ও দপ্তর উভয় পর্যায়ে চাকরির সুযোগ আছে। বাংলাদেশ সরকারের উপসচিব পদে পুলের সুযোগসহ অন্যান্য ক্যাডারের মতো সিভিল সার্ভিসের সুযোগ-সুবিধা পাওয়া যায়। পর্যাপ্ত কর্মস্থল থাকায় বাংলাদেশের সব জেলায়ই পদায়নের সুযোগ আছে। তবে শিক্ষা ক্যাডারে ব্যাচভিত্তিক পদোন্নতি না হয়ে বিষয়ভিত্তিক/সাব-ক্যাডারভিত্তিক পদোন্নতি হয়। তাই পদোন্নতি নিয়ে জটিলতা তৈরি হয়! এই ক্যাডারে গাড়ি সুবিধা, আবাসন ও কর্মপরিবেশ অন্যান্য দপ্তরের মতো নয়। কর্মস্থলভেদে কাজের চাপ কম-বেশি হতে পারে।

 

আবেদন যেভাবে

শুধু একটি ক্যাডারের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেওয়ায় এবার পছন্দক্রম নির্ধারণের সুযোগ নেই। এই বিসিএসের পরীক্ষা শুধু ঢাকা কেন্দ্রে নেওয়া হবে। আবেদনের প্রক্রিয়া ও অন্যান্য যোগ্যতা সাধারণ বিসিএসগুলোর মতোই। প্রতিটি পদে আবেদনের জন্য সংশ্লিষ্ট বিষয়ে স্নাতক সম্পন্ন হতে হবে। নির্ধারিত বিষয়ে স্নাতক নেই, কিন্তু স্নাতকোত্তর আছে, এমন হলে আবেদন করা যাবে না।

কোনো কোনো পদে সংশ্নিষ্ট বিষয় একটি আবার কোনো কোনো ক্ষেত্রে একাধিকও হতে পারে। যেমন—প্রভাষক (গণিত) পদের জন্য গণিত এবং ফলিত গণিত উভয় বিষয়ের স্নাতকধারী প্রার্থীরা আবেদন করতে পারবেন।

 

আবেদন লিংক

http://bpsc.teletalk.com.bd/bcs49

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ