ঢাকা, বৃহস্পতিবার ১০ জুলাই ২০২৫
২৬ আষাঢ় ১৪৩২, ১৪ মহররম ১৪৪৭

ঢাকা, বৃহস্পতিবার ১০ জুলাই ২০২৫
২৬ আষাঢ় ১৪৩২, ১৪ মহররম ১৪৪৭
৭ ব্যাংকে সিনিয়র অফিসার পদে সমন্বিত নিয়োগ

এক চান্সেই ব্যাংকে চাকরি পেতে কৌশল ঠিক করুন, নিন জোরদার প্রস্তুতি

অন্যান্য
অন্যান্য
শেয়ার
এক চান্সেই ব্যাংকে চাকরি পেতে কৌশল ঠিক করুন, নিন জোরদার প্রস্তুতি
মডেল : ফাহাদ, অর্পা ছবি : মোহাম্মদ আসাদ

বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যাংকার্স সিলেকশন কমিটির সদস্যভুক্ত ৭ ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে ‘সিনিয়র অফিসার’ পদে নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি সম্প্রতি প্রকাশিত হয়েছে। মোট পদ ৭৭১টি (সোনালী ব্যাংক ২৬৪টি, জনতা ব্যাংক ১৩৯টি, রূপালী ব্যাংক ২১১টি, রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক ১১৩টি, বাংলাদেশ হাউস বিল্ডিং ফিন্যান্স করপোরেশন ৮টি, ইনভেস্টমেন্ট করপোরেশন অব বাংলাদেশ ৩০টি, কর্মসংস্থান ব্যাংক ৬টি)। সমন্বিত এ নিয়োগ পরীক্ষায় বাছাই পরীক্ষার জন্য ঠিকঠাক পরিকল্পনা-কৌশল নিয়ে প্রস্তুতি নিলে হয়তো এক চান্সেই পেয়ে যাবেন চাকরি! দরকারি তথ্য ও পরামর্শ নিয়ে লিখেছেন সোনালী ব্যাংকের সিনিয়র অফিসার আরিফুল ইসলাম

 

প্রথম শ্রেণির চাকরি, কম সময়ে পদোন্নতি, বছরে একাধিক ইনসেন্টিভ বোনাস, ইনক্রিমেন্ট—এসব কারণে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকে সিনিয়র অফিসার পদের চাকরি অনেকের কাছেই লোভনীয়। প্রার্থী বেশি থাকায় বাছাই পরীক্ষায়ও হয় তুমুল প্রতিদ্বন্দ্বিতা।

তাই প্রস্তুতি পর্বটাও সারতে হবে বুঝে-শুনে। পরিকল্পিত, গোছালো প্রস্তুতির জন্য শুরুতেই ঠিক করতে হবে কী কী পড়তে হবে, কতটুকু পড়তে হবে।

সাধারণত বাছাই পরীক্ষা হয় প্রিলি (এমসিকিউ) ও লিখিত পরীক্ষার মাধ্যমে। প্রিলিতে পাস করলেই লিখিত পরীক্ষা দেওয়া যাবে।

প্রিলি পরীক্ষার অল্প কিছুদিন পরই হয় লিখিত পরীক্ষা। অর্থাৎ প্রিলির পর লিখিত পরীক্ষার প্রস্তুতির জন্য খুব বেশি সময় পাওয়া যাবে না। তাই প্রিলির প্রস্তুতি নেওয়ার সময় লিখিত পরীক্ষার প্রস্তুতিটাও অল্প অল্প করে সারতে হবে। নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি যেহেতু কিছুদিন আগে প্রকাশিত হয়েছে, তাই ধরে নেওয়া যায়—বাছাই পরীক্ষার জন্য বেশ কিছুদিন সময় পাওয়া যাবে।

 

গণিত : ব্যাংকের নিয়োগ পরীক্ষায় গণিতে ভালো করা মানে চাকরির পাওয়ার দৌড়ে অনেকটাই এগিয়ে থাকা। তাই প্রস্তুতির শুরু থেকেই গণিতে বাড়তি জোর দিতে হবে। একেবারে বেসিক লেভেল থেকে প্রস্তুতি শুরু করুন। এর জন্য পর্যায়ক্রমে ষষ্ঠ, সপ্তম, অষ্টম ও নবম-দশম শ্রেণির গণিত বইয়ের পরিমিতি, ত্রিকোণমিতি অংশের সব নিয়ম বা ধরনের অঙ্ক করতে হবে। এর পর হাতে সময় থাকলে বাজারের ভালো মানের প্রকাশনীর ‘বেসিক ম্যাথ’ বই থেকে চর্চা করতে পারেন।

এ ক্ষেত্রে খাইরুল’স বেসিক ম্যাথ, আরিফুর রহমান, জাফর ইকবাল আনসারি অথবা আপনার পছন্দমতো যেকোনো একটি বই অনুসরণ করতে পারেন।

চাকরি ও প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার প্রস্তুতিমূলক ভারতীয় ওয়েবসাইট যেমন—sawaal.com, examveda.com থেকে বিগত বিভিন্ন পরীক্ষায় অনেক অঙ্ক এসেছে। তাই এ ধরনের ওয়েবসাইটের অঙ্কগুলো করতে পারলে খুব ভালো হয়। এভাবে এগোলে গণিতের ওপর দখল যে কতটা মজবুত হচ্ছে, তা নিজেই টের পাবেন। আর অবশ্যই গণিতের শর্টকাট পদ্ধতি এড়িয়ে চলবেন।

 

ইংরেজি : ব্যাকরণে শক্ত দখল থাকলেই ইংরেজিতে ভালো করা যাবে। সেই সঙ্গে মাথায় অনেক ভোকাবুলারি জমা রাখতে হবে। সাধারণত Synonyms, Antonyms, Analogy, Fill in the blanks, Sentence correction, Sentence convert/change ইত্যাদি টপিক থেকে প্রশ্ন থাকে। তাই ইংরেজি বিষয়ের প্রস্তুতির সময় এই টপিকগুলোর ওপর বিশেষভাবে গুরুত্বারোপ করতে হবে।

Synonyms, Antonyms, Analogy-এর প্রস্তুতির জন্য বিগত বিভিন্ন ব্যাংক পরীক্ষায় আসা এজাতীয় প্রশ্নগুলো ভালোভাবে পড়তে হবে। বেশি বেশি ইংরেজি শব্দ রপ্ত করার জন্য নিয়মিত ইংরেজি পত্রিকা, গল্পের বই কিংবা অনলাইনে আর্টিকল পড়া যেতে পারে। নতুন কিংবা অপরিচিত কোনো শব্দ চোখে পড়লেই অভিধানে অর্থ দেখে সঙ্গে সঙ্গে খাতায় নোট করে রাখতে হবে। পরে অবসরে এ শব্দগুলোতে চোখ বুলালে তখন অনেক শব্দই মনে থাকবে।

‘জবস ব্যাংক ইংলিশ’ অথবা ‘ইংলিশ ডট ব্যাংক’ বই দুটির যেকোনো একটি পড়া যেতে পারে। ব্যাকরণের জন্য সহায়ক বই হিসাবে চৌধুরী অ্যান্ড হোসাইনের ‘অ্যাডভান্স ইংলিশ গ্রামার অ্যান্ড কম্পোজিশন’ অথবা পি সি দাসের ‘অ্যাপ্লাইড ইংলিশ গ্রামার অ্যান্ড কম্পোজিশন’ বই পড়তে পারেন।

 

বাংলা : ব্যাংকের বেশির ভাগ বাছাই পরীক্ষায়ই বাংলা বিষয়ের ওপর গতানুগতিক ধারার প্রশ্ন হয়। বাংলা ব্যাকরণ ও বাংলা সাহিত্য—এই দুই অংশ থেকেই প্রশ্ন আসে। বাংলা সাহিত্যে ভালো করার জন্য বাজারের যেকোনো একটি বই অনুসরণ করা যেতে পারে। ব্যাকরণ অংশে ভালো করার জন্য নবম দশম শ্রেণির ব্যাকরণ বোর্ড বই সবচেয়ে বেশি কার্যকর। এই বইয়ের পাশাপাশি বাংলা এমপিথ্রি এবং ব্যাংকের বিগত বিভিন্ন পরীক্ষার প্রশ্নের বাংলা অংশের সমাধান পড়লে বাংলা সাহিত্য ও বাংলা ব্যাকরণে ভালো করা সম্ভব।

 

আইসিটি : আইসিটি বিষয়েও গতানুগতিক ও সাধারণ প্রশ্ন থাকার সম্ভাবনা বেশি। ‘ইজি কম্পিউটার’ বই পড়ুন এবং বিভিন্ন ব্যাংকের বিগত পরীক্ষায় আসা প্রশ্নগুলো ভালোভাবে পড়ুন। আরো ভালো প্রস্তুতির জন্য এক্সামভেডা ওয়েব সাইট দেখতে পারেন।

 

সাধারণ জ্ঞান : সাধারণ জ্ঞানে ভালো করতে হলে সমসাময়িক বিষয়গুলো জানা থাকতে হবে। কারেন্ট অ্যাফেয়ার্স পড়তে হবে নিয়মিত। ফেসবুকে চাকরি সম্পর্কিত বিভিন্ন গ্রুপে নিয়মিত চোখ রাখতে হবে।

 

সার্বিক প্রস্তুতির জন্য : ব্যাংকের বাছাই পরীক্ষার সার্বিক প্রস্তুতির (সব বিষয়ের) জন্য ভালো মানের প্রকাশনীর ‘গভর্নমেন্ট ব্যাংক জব সলিউশন’ বই সংগ্রহ করুন। বইটি বেশ বড়; তাই সম্পূর্ণ শেষ করাটা সময়সাপেক্ষ ব্যাপার। তবে একটু গুছিয়ে পরিকল্পনামাফিক পড়লে হাতে যে সময় পাওয়া যাবে তাতেই ঠিকঠাক প্রস্তুতি নেওয়া যাবে। এর জন্য আপনি বইটিকে তিন বা চার ভাগে ভাগ করে নিতে পারেন।

প্রতিটি ভাগ শেষ করার জন্য নির্দিষ্ট সময় ঠিক করে নিন। ওই সময়ের মধ্যে নির্দিষ্ট ভাগটি যেভাবেই সম্ভব শেষ করুন। প্রথমে বিভিন্ন পরীক্ষায় আসা অঙ্কগুলো করে ফেলুন। যেগুলো গুরুত্বপূর্ণ সেগুলো মার্ক করে রাখুন। আর যেগুলো বুঝতে অসুবিধা হবে সেগুলো অন্য বইয়ের সাহায্য নিয়ে সমাধান করে ফেলুন। এভাবে ইংরেজি, বাংলা, কম্পিউটার, সাধারণ জ্ঞান অংশ পড়ে ফেলুন।

 

প্রস্তুতি পরিকল্পনা ও রুটিন : দিনভর একই বিষয় পড়তে পড়তে হয়তো বিরক্তি চলে আসতে পারে। তাই দিনের কখন কোন বিষয় পড়বেন তা রুটিন বা সূচি তৈরি করে ঠিক করুন। তবে দিনে দুটি বিষয়ের বেশি পড়া ঠিক হবে না।

সুবিধা অনুযায়ী সময় ও বিষয় ভাগ করে নিন।

যেমন—সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত গণিত; দুপুরে গোসল-খাওয়া শেষে বিশ্রাম নিতে নিতে পত্রিকার খুঁটিনাটি পড়তে পারেন, যেগুলো পড়লে সাধারণ জ্ঞান বাড়বে। রাতে আপনার সুবিধা অনুযায়ী যেকোনো একটি বিষয় পড়তে পারেন এবং একটি বাংলা থেকে ইংরেজি ও একটি ইংরেজি থেকে বাংলা অনুবাদ চর্চা করতে পারেন। রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে অবশ্যই সারা দিন কী কী পড়লেন সেগুলো স্মরণ করার চেষ্টা করুন।

সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর পরই ইংরেজি শব্দার্থ পড়া শেষ করুন এবং সারা দিন অন্যান্য পড়ার ফাঁকে ফাঁকে এই শব্দার্থগুলো রিভিশন দিন।

বেশি কঠিন শব্দার্থগুলো ছোট একটি হোয়াইট বোর্ড কিনে সেখানে লিখে রাখুন। বোর্ডটি এমনভাবে রাখুন, যেন সারা দিন পড়াশোনা এবং অন্য কাজের সময়ও চোখে পড়ে। এভাবে কঠিন শব্দার্থগুলো খুব সহজেই আয়ত্ত করা যাবে। প্রতিদিন আপনার সামর্থ্য অনুযায়ী দশ-বিশ বা তারও বেশি শব্দার্থ আয়ত্ত করার চেষ্টা করুন।

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

বিমানবাহিনীর অফিসার ক্যাডেট হওয়ার সুযোগ

    ‘ডিই-২০২৬এ’ ও ‘এপিএসএসসি-২০২৬এ’ কোর্সে অফিসার ক্যাডেট নিয়োগ দেবে বাংলাদেশ বিমানবাহিনী। আবেদন করতে হবে অনলাইনে ২৭ আগস্ট ২০২৫ এর মধ্যে। নির্বাচনী পরীক্ষার ধাপ, পরীক্ষা পদ্ধতিসহ দরকারি তথ্য জানাচ্ছেন সাজিদ মাহমুদ
শেয়ার
বিমানবাহিনীর অফিসার ক্যাডেট হওয়ার সুযোগ
ছবি : বাংলাদেশ বিমানবাহিনী

নির্বাচন পদ্ধতি ও পরীক্ষার ধরন

প্রথমে নেওয়া হবে প্রাথমিক লিখিত পরীক্ষা। উত্তীর্ণদের দ্বিতীয় ধাপে নেওয়া হবে প্রাথমিক ডাক্তারি পরীক্ষা। এরপর ধাপে ধাপে প্রাথমিক মৌখিক, আন্তঃবাহিনী নির্বাচন পর্ষদ (আইএসএসবি বা এসএসবি), কেন্দ্রীয় চিকিৎসা পর্ষদ (সিএমবি) কর্তৃক চূড়ান্ত স্বাস্থ্য পরীক্ষা এবং ক্যাডেট চূড়ান্ত নির্বাচন পর্ষদ (সিএসএসবি) পরীক্ষার মাধ্যমে প্রার্থী নির্বাচন করা হবে। ইঞ্জিনিয়ারিং, এটিসি, এডিডব্লিউসি, ফিন্যান্স ও মিটিওরলজি শাখায় স্বল্পমেয়াদি কমিশন (ডিই-২০২৬এ) এবং শিক্ষা (পদার্থ ও গণিত) শাখায় বিশেষ স্বল্পমেয়াদি কমিশন (এপিএসএসসি-২০২৬এ) কোর্সে জনবল নেওয়া হবে।

ইঞ্জিনিয়ারিং, এটিসি, এডিডব্লিউসি ও মিটিওরলজি শাখার প্রার্থীদের আইকিউ, ইংরেজি, গণিত ও পদার্থবিজ্ঞান বিষয়ে লিখিত পরীক্ষা নেওয়া হবে। শিক্ষা শাখার (পদার্থ ও গণিত) প্রার্থীদের আইকিউ, ইংরেজি ও সাধারণ জ্ঞান বিষয়ে এবং ফিন্যান্স শাখার প্রার্থীদের আইকিউ, ইংরেজি ও বিজনেস স্টাডিজ বিষয়ে লিখিত পরীক্ষা নেওয়া হবে।

 

নির্বাচনী পরীক্ষার স্থান ও সূচি

সব জেলার প্রার্থীদের পরীক্ষা নেওয়া হবে এই ঠিকানায়—বাংলাদেশ বিমানবাহিনী তথ্য ও নির্বাচনী কেন্দ্র, পুরাতন বিমানবন্দর, তেজগাঁও, ঢাকা। প্রার্থীদের আবেদনের ভিত্তিতে নিয়োগ পরীক্ষা নেওয়া হবে ২৭ ও ৩০ জুলাই ২০২৫ এবং ৩, ৬, ১০, ১৩, ১৭, ২৪, ২৭ ও ৩১ আগস্ট ২০২৫ পর্যন্ত।

প্রয়োজনীয় সব সনদ ও কাগজপত্রসহ নির্ধারিত তারিখে সকাল ৮টার মধ্যে কেন্দ্রে উপস্থিত হতে হবে।

 

প্রশিক্ষণ ও সুযোগ-সুবিধা

নির্বাচিতদের বাংলাদেশ বিমানবাহিনী একাডেমিতে ছয় মাস প্রশিক্ষণ নিতে হবে। স্বল্পমেয়াদি কমিশনে সরাসরি ফ্লাইং অফিসার এবং বিশেষ স্বল্পমেয়াদি কমিশনে সরাসরি ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট পদে কমিশন দেওয়া হবে। প্রশিক্ষণকালীন অফিসার ক্যাডেটরা পাবেন ১০ হাজার টাকা মাসিক ভাতা।

এর পর ইঞ্জিনিয়ারিং শাখার ক্ষেত্রে এককালীন ৫৯,১৫০ টাকা এবং বিশেষ স্বল্পমেয়াদি কমিশন কোর্সের ক্ষেত্রে এককালীন ৪২,২৫০ টাকা বিশেষ ভাতা দেওয়া হবে। অফিসার ক্যাডেটরা সরকার নির্ধারিত বিভিন্ন সুবিধার পাশাপাশি সশস্ত্র বাহিনীর বেতনক্রম অনুযায়ী মাসিক বেতন-ভাতা পাবেন। এ ছাড়া রয়েছে বিদেশে প্রশিক্ষণ, উচ্চশিক্ষা, জাতিসংঘ মিশন ও বাংলাদেশ দূতাবাসে কাজের সুযোগ, বাসস্থান ও রেশন, সন্তানদের অধ্যয়ন, চিকিৎসা, গাড়িঋণ ও ডিওএইচএসে প্লটসহ অন্যান্য সরকারি সুবিধা।

 

শারীরিক যোগ্যতা

‘ডিই-২০২৬এ’ প্রার্থীর বয়সসীমা ২০ থেকে ৩০ বছর এবং ‘এপিএসএসসি ২০২৬এ’ প্রার্থীর বয়সসীমা ২১ থেকে ৩৫ বছর হতে হবে। বয়সের হিসাব হবে ২১ ডিসেম্বর ২০২৫ অনুযায়ী।

পুরুষ প্রার্থীদের বেলায় উচ্চতা ৬৪ ইঞ্চি। বুকের মাপ স্বাভাবিক অবস্থায় ৩২ ইঞ্চি, প্রসারণে ৩৪ ইঞ্চি। মহিলা প্রার্থীদের উচ্চতা ৬২ ইঞ্চি। বুকের মাপ স্বাভাবিক অবস্থায় ২৮ ইঞ্চি, প্রসারণে ৩০ ইঞ্চি। বয়স ও উচ্চতা অনুসারে ওজন। দুই চোখের দৃষ্টিশক্তি এটিসি/এডিডব্লিউসি শাখার জন্য ৬/১২ এবং ইঞ্জিনিয়ারিং, শিক্ষা, ফিন্যান্স ও মিটিওরলজি শাখার জন্য ৬/৩৬ পর্যন্ত। অবিবাহিত বা বিবাহিত বাংলাদেশি পুরুষ ও মহিলা প্রার্থীরা আবেদনের সুযোগ পাবেন।

 

শিক্ষাগত যোগ্যতা

শিক্ষাগত যোগ্যতার বিস্তারিত ও দরকারি তথ্য পাওয়া যাবে বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর ওয়েবসাইটে (joinairforce.baf.mil.bd)|

 

আবেদনের অযোগ্য যাঁরা

সেনা/নৌ/বিমানবাহিনী বা যেকোনো সরকারি চাকরি থেকে অপসারিত, বরখাস্ত বা স্বেচ্ছায় অবসর নিয়েছেন এমন প্রার্থীরা আবেদনের অযোগ্য। বিগত পাঁচ বছরের মধ্যে আইএসএসবি পরীক্ষায় দুবার প্রত্যাখ্যাত প্রার্থীরা আবেদন করতে পারবেন না। ফৌজদারি অপরাধে আদালত কর্তৃক দণ্ডপ্রাপ্ত, সিএমবি আপিল মেডিক্যাল বোর্ড কর্তৃক অযোগ্য, দ্বৈত নাগরিক অথবা অন্য কোনো দেশে স্থায়ী বসবাসের অনুমতি আছে—এমন প্রার্থীরাও আবেদনের অযোগ্য।

মন্তব্য
ভাইভা অভিজ্ঞতা

প্রভাবশালীরা প্রতিবন্ধকতা তৈরি করলে কী করবেন?

শেয়ার
প্রভাবশালীরা প্রতিবন্ধকতা তৈরি করলে কী করবেন?
মো. মেহেদী হাসান

আসসালামু আলাইকুম, স্যার।

চেয়ারম্যান : ওয়া আলাইকুমুস সালাম। বসুন। আপনি এখন কী করছেন?

—ধন্যবাদ স্যার।

আমি বর্তমানে বাংলাদেশ দুগ্ধ উৎপাদনকারী সমবায় ইউনিয়ন লিমিটেডে (মিল্ক ভিটা) সহকারী ব্যবস্থাপক হিসেবে কর্মরত।

আপনি কী কী দায়িত্ব পালন করেন?

—শীতলীকরণ কেন্দ্রের যাবতীয় কাজ আমার তত্ত্বাবধানেই হয়। যেমন—প্রাণিচিকিৎসা, দুধের মান নিয়ন্ত্রণ, সব হিসাব রক্ষণাবেক্ষণ, সম্প্রসারণ কাজ পরিচালনা ইত্যাদি।

মিল্ক ভিটায় পদক্রম কী?

—সহকারী ব্যবস্থাপক>উপব্যবস্থাপক> ব্যবস্থাপক>উপমহাব্যবস্থাপক>অতিরিক্ত মহাব্যবস্থাপক>মহাব্যবস্থাপক।

বাহ! আমার প্রগ্রামে দুধ লাগবে। আপনি ৩০-৪০ লিটার দুধ দিতে পারবেন?

—দুঃখিত স্যার, পারব না!

কেন পারবেন না?

—শীতলীকরণ কেন্দ্র থেকে দুধ বিক্রি বা সাপ্লাইয়ের সুযোগ নেই। তবে সেলস সেন্টার থেকে দেওয়া সম্ভব।

—প্রতিষ্ঠানের নিয়ম ভালোই মেনে চলেন তাহলে! গুড।

আচ্ছা, আপনি তো ভেটেরিনারি নিয়ে পড়াশোনা করেছেন; প্রাণিসম্পদের ক্ষতিকর প্রভাব কী?

—গরু-ছাগলের মতো প্রাণীগুলো উদগিরণের মাধ্যমে প্রকৃতিতে মিথেন গ্যাস নিঃসরণ করে। এটি একটি গ্রিনহাউস গ্যাস, যা জলবায়ুতে বিরূপ ভূমিকা রাখে। একটি গরু দিনে প্রায় ৪০০-৫০০ লিটার মিথেন গ্যাস নিঃসরণ করে।

পরিবেশদূষণ বা জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবেলায় সরকার কী করছে?

—জলবায়ু পরিবর্তন ট্রাস্ট ফান্ড গঠন, ক্লাইমেট চেঞ্জ স্ট্র্যাটেজিক প্ল্যান ও অ্যাকশন প্ল্যান প্রণয়ন ইত্যাদি।

এসডিজি কী? কয়টি গোলস (লক্ষ্য)?

—স্যার, এসডিজির পূর্ণরূপ হলো—সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট গোলস (টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য)।

এতে ১৭টি গোলস রয়েছে।

এসডিজির সঙ্গে আমাদের মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা প্রদত্ত একটি তত্ত্বের মিল আছে। সেটি কী?

—থ্রি-জিরো তত্ত্ব।

থ্রি-জিরোর সঙ্গে এসডিজির সম্পর্ক কী?

—নোবেল বিজয়ী বিশ্বখ্যাত অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূস স্যারের থ্রি-জিরো তত্ত্ব অনুযায়ী তিনটি বিষয়কে শূন্যের কোটায় নামিয়ে আনার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। এগুলো হলো—শূন্য দারিদ্র‍্য, শূন্য বেকারত্ব ও শূন্য কার্বন নিঃসরণ। এই তিনটি শূন্য বাস্তবায়ন হলে সামাজিক, অর্থনৈতিক ও পরিবেশগত টেকসই উন্নয়ন সম্ভব। এর ফলে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার ১৭টি গোল পূরণ হবে।

স্থানীয় সরকারের স্তরগুলো বলুন?

—স্যার, শহরে—পৌরসভা ও সিটি করপোরেশন এবং গ্রামে—জেলা পরিষদ, উপজেলা পরিষদ, ইউনিয়ন পরিষদ।

কিছুদিন আগে পেপারে দেখলাম কেউ কেউ ব্যয় কমাতে সরকারের আকার ছোট করতে পরামর্শ দিচ্ছে। আপনার মত কী? 

—জি স্যার। আমার মতে, সরকারের আকার ছোট করা যেতে পারে। সে ক্ষেত্রে স্থানীয় সরকার ব্যবস্থার সাহায্যে শাসনকার্য চালানো যেতে পারে।

প্রাণিসম্পদে বর্তমান সরকারের চলমান কিছু প্রকল্প সম্পর্কে বলুন?

—লাইভস্টক অ্যান্ড ডেইরি ডেভেলপমেন্ট প্রকল্প, পিপিআর রোগ নির্মূলকরণ প্রকল্প, প্রাণিপুষ্টি উন্নয়ন প্রকল্প, ক্ষুদ্র-নৃগোষ্ঠীর প্রাণিসম্পদ উন্নয়ন প্রকল্প ইত্যাদি।

 

এক্সটারনাল-১ : আপনি ইউএনও হলে জনগণকে সরাসরি কী কী সেবা দেবেন?

—আইনশৃঙ্খলা রক্ষা, মোবাইল কোর্ট পরিচালনা, ভূমিবিরোধ নিষ্পত্তি, নির্বাচন পরিচালনা, বিভিন্ন ভাতা প্রদান, ত্রাণ বিতরণ, অনুদান প্রদান ইত্যাদি।

অনুদান প্রদানের সময় স্থানীয় প্রভাবশালীরা প্রভাবিত করলে বা দায়িত্ব পালনে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করলে কী করবেন?

—আমি যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করে অনুদান প্রদান করতে থাকব। যদি কেউ প্রভাবিত করে, সে ক্ষেত্রে তাঁদের বিরুদ্ধে হুঁশিয়ারি দেব। পুনরায় এমন করলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেব।

ধরুন, আপনি উপসচিব হওয়ার পর আর প্রমোশন পাননি। এ অবস্থায় আপনার সেবা দেওয়ার গতি কি কমে যাবে?

—না স্যার। বিধি অনুযায়ী আমার ওপর অর্পিত দায়িত্ব যথাযথ পালন করব।

মন্ত্রণালয়ে প্রশাসন ক্যাডারের পদক্রম বলুন।

—সহকারী সচিব>সিনিয়র সহকারী সচিব>উপসচিব>যুগ্ম সচিব>অতিরিক্ত সচিব>সচিব।

 

এক্সটারনাল-২ : আপনার বাড়ি আবু সাঈদের এলাকায়, আপনি গর্বিত?

—অবশ্যই স্যার।

 ঠিক আছে, কাগজপত্র নিয়ে যান।

 

 

 

মন্তব্য

দেড়শ সিনিয়র অফিসার নেবে পূবালী ব্যাংক

    সিনিয়র অফিসার পদে ১৫০ জন নিয়োগ দেবে বেসরকারি বাণিজ্যিক ব্যাংক পূবালী ব্যাংক। বৈদেশিক বাণিজ্য বিভাগে আমদানি, রপ্তানি ও রেমিট্যান্স-সংশ্লিষ্ট কাজের জন্য এসব কর্মকর্তা নেওয়া হবে। অনলাইনে আবেদন করতে হবে ২০ জুলাই ২০২৫ এর মধ্যে। আবেদন প্রক্রিয়া, পরীক্ষা পদ্ধতি ও নিয়োগ পরীক্ষার প্রস্তুতি নিয়ে লিখেছেন সাজিদ মাহমুদ
শেয়ার
দেড়শ সিনিয়র অফিসার নেবে পূবালী ব্যাংক
ছবি : এআই দিয়ে তৈরি

পরীক্ষা পদ্ধতি

প্রার্থী বাছাই করা হবে তিন ধাপের পরীক্ষার মাধ্যমে—এমসিকিউ (প্রিলিমিনারি), লিখিত ও ভাইভা। প্রথমেই এমসিকিউ পরীক্ষা। পরীক্ষার আগে প্রার্থীর দেওয়া মোবাইল নম্বরে পরীক্ষার কেন্দ্র, তারিখ ও সময় জানানো হবে। অনেক সময় একই দিনে এমসিকিউ ও লিখিত (রচনামূলক) পরীক্ষা নেওয়া হয়।

দুই পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের সব শেষে ভাইভা (মৌখিক) পরীক্ষায় ডাকা হবে। প্যানেল তৈরির মাধ্যমে চূড়ান্তভাবে নির্বাচিত প্রার্থীদের নিয়োগ দেবে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ।

 

বিগত পরীক্ষার প্রশ্নপত্র বিশ্লেষণ

২০২৩ সালের সিনিয়র অফিসার নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নপত্র বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, ১০০ নম্বরের এমসিকিউ পরীক্ষা হয়েছে এক ঘণ্টায়। এখানে বাংলা ব্যাকরণ ও সাহিত্যে ২৫টি প্রশ্ন, ইংরেজি সাহিত্য ও ব্যাকরণে ২৫টি প্রশ্ন, গণিতে ২৫টি প্রশ্ন এবং সাধারণ জ্ঞান, ব্যাংকিং ও আইসিটি মিলে ২৫টি প্রশ্ন করা হয়েছে।

এ ছাড়া ১০০ নম্বরের লিখিত (রচনামূলক) পরীক্ষায় বাংলা, ইংরেজি, গণিত, সাধারণ জ্ঞান ও ব্যাংকিং বিষয়ে প্রশ্ন করা হয়েছে। বিগত প্রশ্নপত্র অনুযায়ী প্রস্তুতি নিতে পারেন। তবে এবারের পরীক্ষার বিষয়ভিত্তিক নম্বর বণ্টন ভিন্নও হতে পারে।

 

প্রস্তুতির জন্য করণীয়

বেসরকারি বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর পরীক্ষা পদ্ধতি ও ধরন প্রায় একই রকম।

তাই বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর বিগত প্রশ্নপত্র বেশি বেশি অনুশীলন করতে হবে। এর ফলে বিষয়বস্তুর ওপর ভালো প্রস্তুতির পাশাপাশি নিজের দুর্বলতাগুলোও শনাক্ত করা যাবে। পাশাপাশি মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শ্রেণির বাংলা ব্যাকরণ, গদ্য ও সাহিত্য, ইংরেজি গ্রামার, বীজগণিত, পাটিগণিত, জ্যামিতি, পরিমিতির অংশগুলো আয়ত্তে রাখতে হবে। জেনারেল ব্যাংকিং, অ্যানালিটিক্যাল অ্যাবেলিটি, বৈদেশিক বাণিজ্য (ফরেন ট্রেড) বিভাগের আমদানি, রপ্তানি ও রেমিট্যান্স-সংশ্লিষ্ট ব্যাংকিং বিষয়ে পর্যাপ্ত প্রস্তুতি নিতে হবে। কম্পিউটার বিষয়ে স্বচ্ছ ধারণাসহ এমএস ওয়ার্ড, এমএস এক্সেলে কাজের দক্ষতা বাড়াতে হবে।
ইংরেজিতে কথা বলা ও লেখার দক্ষতাও বাড়াতে হবে। এমসিকিউ ও রচনামূলক পরীক্ষার প্রস্তুতির জন্য বাজারে ব্যাংকিং পরীক্ষার প্রস্তুতিমূলক সহায়ক বই পাওয়া যায়। বইগুলো নিয়োগ পরীক্ষার প্রস্তুতিতে বেশ কাজে দেবে।

 

আবেদনের যোগ্যতা

সরকার স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে যেকোনো বিষয়ে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি থাকতে হবে প্রার্থীদের। বিদেশে পড়াশোনা করা প্রার্থীদের সমমানের সনদ থাকতে হবে। শিক্ষাজীবনের সবগুলো পরীক্ষায় প্রথম শ্রেণি বা সমমানের জিপিএ বা সিজিপিএ থাকতে হবে। এ ছাড়া গার্মেন্টস এক্সপোর্ট (ব্যাকওয়ার্ড ও ফরওয়ার্ড লিংকেজ) বিষয়ে অফিসার বা সমপদে কোনো ব্যাংক বা সমজাতীয় প্রতিষ্ঠানে ন্যূনতম এক বছরের কাজের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। কম্পিউটারে দরকারি কাজের দক্ষতা থাকতে হবে। প্রার্থীর বয়স হতে হবে ৩০ জুন ২০২৫ তারিখ অনুযায়ী অনূর্ধ্ব ৩৫ বছর।

শর্ত—ব্যাংকের যেকোনো শাখায় কাজের মানসিকতা থাকতে হবে। নিয়োগের পর এক বছরের প্রবেশন শেষে ব্যাংকটিতে পাঁচ বছর চাকরি করার নিশ্চয়তা দিতে হবে।

 

পদায়ন

যোগদানের পর প্রথম এক বছর ‘প্রবেশন সময়’ হিসেবে কাজ করতে হবে। প্রবেশনের সময় প্রতিষ্ঠানের নিয়ম অনুযায়ী বেতন-ভাতা দেওয়া হবে। প্রবেশন সময় মূল্যায়ন করে এক বছর পর সিনিয়র অফিসার পদে পদায়ন করা হবে। এরপর ব্যাংকটির সিনিয়র অফিসার পদের নির্ধারিত বেতনকাঠামো অনুসারে মাসিক বেতন, উৎসব বোনাস, বৈশাখী বোনাসসহ অন্যান্য আর্থিক সুবিধা দেওয়া হবে।

 

আবেদন লিংক

www.pubalibangla.com/career

 

মন্তব্য

এসএসসি পাসে কনস্টেবল নিয়োগ

    সারা দেশ থেকে ট্রেইনি রিক্রুট কনস্টেবল (টিআরসি) পদে নিয়োগ দেবে বাংলাদেশ পুলিশ। জিপিএ ২.৫ পাওয়া এসএসসি বা সমমানের পুরুষ ও নারী প্রার্থীরা আবেদনের সুযোগ পাবেন। অনলাইনে আবেদন করতে হবে ২৪ জুলাই ২০২৫ এর মধ্যে। বাছাই প্রক্রিয়া, পরীক্ষা পদ্ধতি, প্রস্তুতিসহ বিস্তারিত জানাচ্ছেন রাকিবুল ইসলাম
শেয়ার
এসএসসি পাসে কনস্টেবল নিয়োগ
ছবি : বাংলাদেশ পুলিশ

খেয়াল রাখুন

প্রার্থী বাছাই হবে শারীরিক মাপ, সক্ষমতা যাচাই, লিখিত পরীক্ষা, স্বাস্থ্যসহ কয়েক ধাপের পরীক্ষা ও যাচাই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে। অনলাইনে আবেদনের সময় ট্রেকিং নম্বর ও আবেদনের রঙিন প্রিন্ট সংরক্ষণ (প্রিন্ট) করে রাখুন। বাছাই পরীক্ষার দিন নির্ধারিত কেন্দ্রে সময়মতো উপস্থিত থাকতে হবে। দরকারি পোশাকও সঙ্গে রাখতে হবে।

লিখিত পরীক্ষার জন্য ষষ্ঠ থেকে অষ্টম শ্রেণির বাংলা, ইংরেজি ও গণিত পাঠ্যবই পড়ে প্রস্তুতি নিতে হবে। সাধারণ জ্ঞান সম্পর্কিত তথ্য সম্পর্কেও জানাশোনা থাকতে হবে। এর জন্য নিয়মিত পত্রিকার পাশাপাশি সাধারণ জ্ঞানের বইও পড়তে হবে।

 

বাছাই পদ্ধতি ও পরীক্ষা

প্রার্থী বাছাই হবে বেশ কয়েকটি ধাপে।

প্রথমেই নেওয়া হবে প্রিলিমিনারি স্ক্রিনিং টেস্ট। পর্যায়ক্রমে নেওয়া হবে শারীরিক মাপ, কাগজপত্র যাচাই ও ফিজিক্যাল এনডোরেন্স বা পিইটি পরীক্ষা। এরপর প্রার্থীদের ৪৫ নম্বরের লিখিত পরীক্ষা নেওয়া হবে। লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের ১৫ নম্বরের ভাইভা ও মনস্তাত্ত্বিক পরীক্ষায় অংশ নিতে হবে।
পরীক্ষার ফল অনুসারে মেধাক্রম ও সরকারের প্রযোজ্য নিয়ম অনুযায়ী প্রাথমিক প্রার্থী নির্বাচন করা হবে। স্বাস্থ্য পরীক্ষা ও পুলিশ ভেরিফিকেশনের মাধ্যমে এসব প্রার্থীর মধ্য থেকে চূড়ান্ত তালিকা করা হবে। চূড়ান্তভাবে বাছাই করা প্রার্থীদের প্রশিক্ষণের জন্য নির্বাচিত করা হবে। প্রশিক্ষণ শেষে শিক্ষানবিশ হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হবে।

 

লিখিত পরীক্ষার প্রস্তুতি

বিগত কয়েক বছরের প্রশ্নপত্রে দেখা গেছে, লিখিত পরীক্ষা হয়েছে রচনামূলক পদ্ধতিতে ৪৫ নম্বরে।

সময় দেড় ঘণ্টা। এই পরীক্ষার প্রশ্ন হয় মাধ্যমিক পর্যায়ের বাংলা, ইংরেজি, সাধারণ গণিত ও সাধারণ জ্ঞান বিষয়ের ওপর। সাধারণত বাংলায় ১৫, ইংরেজিতে ১৫ এবং গণিত ও সাধারণ জ্ঞানে ১৫ নম্বরের পরীক্ষা নেওয়া হয়। বাংলায় রিপরীত শব্দ, বাক্য রচনা ও বাগধারা, সমোচ্চারিত শব্দ, সন্ধিবিচ্ছেদ, রচনা, প্রবাদ-প্রবচনের ওপর প্রশ্ন থাকতে পারে। এর বাইরে পত্রলিখন/দরখাস্ত অথবা ভাবসম্প্রসারণও আসতে পারে। তাই গুরুত্বপূর্ণ রচনা ও ব্যাকরণের উল্লিখিত অধ্যায়গুলো খুব গুরুত্ব দিয়ে পড়তে হবে। ইংরেজিতে ট্রান্সলেশন, আর্টিকল, প্যারাগ্রাফ, ফিল ইন দ্য ব্ল্যাংকস, প্রিপজিশন অধ্যায়গুলো গুরুত্বপূর্ণ। এ ছাড়া লেটার রাইটিংয়েও প্রশ্ন থাকতে পারে। ইংরেজির এই অংশ বা অধ্যায়গুলোতে বাড়তি গুরুত্ব দিতে হবে। গণিতের পাটিগণিতের শতকরা, ঐকিক, সুদকষা এবং বীজগণিতের উৎপাদকের বিশ্লেষণ, সেট অধ্যায় থেকে প্রশ্ন আসতে পারে। তাই পাটিগণিত ও বীজগণিতের সহজ ও গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়গুলোতে প্রস্তুতি নিতে হবে। সাধারণ জ্ঞান প্রশ্নে সমসাময়িক বিষয়ের ওপর ‘এককথায়’ প্রশ্ন থাকতে পারে। এই অংশে ভালো করতে হলে সমসাময়িক সংবাদ, তথ্য ও গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা সম্পর্কে জানাশোনা থাকতে হবে। টিআরসি পদের লিখিত পরীক্ষার প্রশ্ন অন্যান্য নিয়োগ পরীক্ষার তুলনায় সহজ করা হয়। প্রশ্নপত্র সম্পর্কে ভালো ধারণা পেতে বিগত বছরের প্রশ্নগুলো অনলাইন থেকে দেখে নিন। তবে ভালো প্রস্তুতির জন্য প্রস্তুতিমূলক সহায়ক বই সংগ্রহ করতে পারেন। এসব বইয়ে বিগত প্রশ্নপত্র (উত্তরসহ), সাজেশন ও বিষয়ভিত্তিক গুরুত্বপূর্ণ টপিকস গোছানো থাকে।

 

বাছাই পরীক্ষায় সঙ্গে রাখবেন

বাছাই পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার সময় প্রার্থীকে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সঙ্গে রাখতে হবে। শারীরিক পরীক্ষার (ফিজিক্যাল টেস্ট) সময় প্রবেশপত্রের ডাউনলোডকৃত দুই কপি, শিক্ষাগত যোগ্যতা পরীক্ষার মূল বা সাময়িক সনদ, সর্ব শেষ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রধান কর্তৃক চারিত্রিক সনদের মূল কপি, স্থায়ী নাগরিকত্ব সনদের মূল কপি, অভিভাবকের সম্মতিপত্র সঙ্গে রাখতে হবে। একই সঙ্গে জাতীয় পরিচয়পত্রের মূল কপি, সরকারি গেজেটেড কর্মকর্তার সত্যায়িত তিন কপি পাসেপোর্ট আকারের ছবি, মুক্তিযোদ্ধা ও ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী কোটার ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় সনদ, শারীরিক প্রতিবন্ধীদের ক্ষেত্রে সুবর্ণ নাগরিক কার্ডের মূল কপি, তৃতীয় লিঙ্গের ক্ষেত্রে সিভিল সার্জন কর্তৃক সনদ এবং চাকরিজীবী প্রার্থীদের প্রয়োজনীয় সনদ দেখাতে হবে।

 

প্রশিক্ষণ ও সুযোগ-সুবিধা

নির্বাচিত প্রার্থীদের পুলিশ প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে ট্রেইনি রিক্রুট কনস্টেবল (টিআরসি) হিসেবে ছয় মাসের মৌলিক প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। প্রশিক্ষণ চলাকালে বিনামূল্যে পোশাক, থাকা-খাওয়াসহ মাসিক প্রশিক্ষণ ভাতা দেওয়া হবে। সফলভাবে প্রশিক্ষণ শেষ করলে শিক্ষানবিশ কনস্টেবল হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হবে। শিক্ষানবিশ কনস্টেবল পদধারীদের বেতন জাতীয় বেতন স্কেল-২০১৫ অনুযায়ী ১৭তম গ্রেডে ৯,০০০-২১,৮০০ টাকা। ন্যূনতম দুই বছর শিক্ষানবিশ কনস্টেবল হিসেবে চাকরির পর কনস্টেবল পদে চাকরি স্থায়ী করা হবে। কনস্টেবল পদের কর্মীরা বেতনের পাশাপাশি বিনামূল্যে পোশাক, ঝুঁকিভাতা, বাসস্থান, খাওয়া ও চিকিৎসা ভাতা পাবেন। এ ছাড়া থাকছে স্বল্পমূল্যে পারিবারিক রেশন সুবিধা, পদোন্নতি ও জাতিসংঘের শান্তি রক্ষা মিশনে কাজের সুযোগ। চাকরি থেকে অবসরের পর যথারীতি পেনশন সুবিধাও পাবেন।

 

সুযোগ যাঁদের

এসএসসি বা সমমানের পরীক্ষায় জিপিএ অন্তত ২.৫০ থাকলেই আবেদন করা যাবে। প্রার্থীদের জন্মসূত্রে বাংলাদেশি নাগরিক (পুরুষ অথবা মহিলা) এবং অবিবাহিত হতে হবে। পুরুষ প্রার্থীদের বেলায় মেধা কোটার ক্ষেত্রে উচ্চতা ৫ ফুট ৬ ইঞ্চি। মুক্তিযোদ্বা ও ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী কোটার ক্ষেত্রে প্রার্থীর উচ্চতা ৫ ফুট ৪ ইঞ্চি। বুকের মাপ—মেধা ও ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী কোটার ক্ষেত্রে স্বাভাবিক অবস্থায় ৩১ ইঞ্চি, সম্প্রসারণে ৩২ ইঞ্চি। মুক্তিযোদ্বা কোটার ক্ষেত্রে স্বাভাবিক অবস্থায় ৩০ ইঞ্চি, সম্প্রসারণে ৩১ ইঞ্চি। মহিলা প্রার্থীদের বেলায় মেধা কোটার ক্ষেত্রে উচ্চতা ৫ ফুট ৪ ইঞ্চি। মুক্তিযোদ্ধা ও ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী কোটার ক্ষেত্রে উচ্চতা ৫ ফুট ২ ইঞ্চি। ওজন বয়স ও উচ্চতা অনুসারে এবং চোখের দৃষ্টি ৬/৬। ২৪ জুলাই ২০২৫ তারিখ অনুযায়ী প্রার্থীর বয়স হতে হবে ১৮ থেকে ২০ বছর।

    

আবেদন লিংক ও নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি

http://police.teletalk.com.bd 

https://www.police.gov.bd

 

 

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ