দেশের স্বনামধন্য রিয়েল এস্টেট প্রতিষ্ঠান শান্তা হোল্ডিংস লিমিটেড, রাজধানী ঢাকার অভিজাত এলাকাগুলোতে যার পদচারণ। নান্দনিক সব বাণিজ্যিক আর আবাসিক ভবন নির্মাণ করে এরই মধ্যে সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করে নিয়েছে শান্তা। আবাসন নির্মাণ প্রতিষ্ঠান হিসেবে একটি আস্থার নাম এখন শান্তা। সম্প্রতি নিজেদের বিভিন্ন প্রকল্প নিয়ে কথা বলেছেন প্রতিষ্ঠানটির বিক্রয় ও গ্রাহকসেবা বিভাগের মহাব্যবস্থাপক শিহাব আহমেদ।
শান্তা হোল্ডিংস, আধুনিক জীবনযাত্রার পথিকৃৎ
notdefined

আজকের আধুনিক ঢাকা, যার শুরু বুড়িগঙ্গার কোল ঘেঁষে গড়ে ওঠা ঐতিহ্যবাহী পুরান ঢাকা থেকে। বিশ্বের আধুনিক সব শহরের মতো জীবনযাত্রার মান উন্নয়নের সঙ্গে তাল মিলিয়ে বিস্তৃত হয়ে পরিণত হয়ে উঠছে ঢাকা। বসবাসকারী সবাই চায় এই ঢাকায় একটি নিজের বাসস্থান ও ব্যবসাকেন্দ্র। জনবসতি বেড়ে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে কমে যাচ্ছে ঢাকার জমি।

শান্তা হোল্ডিংস লিমিটেড ২০০৫ সালে যাত্রা শুরু করে মানুষের সামনে নতুন কিছু তুলে ধরার উদ্দেশ্য নিয়ে। রাজধানীর পরীবাগে সাড়ে চার বিঘা জায়গা কিনে শুরু করে ‘দিগন্ত’ নামের বাংলাদেশের প্রথম কন্ডোমিনিয়াম প্রকল্প আর তেজগাঁওয়ে শুরু হয় শান্তা ওয়েস্টার্ন টাওয়ার নামে বাণিজ্যিক ভবনের কাজ। শেষ হয়ে যাওয়ার পর চোখ খুলে যায় ঢাকাবাসীর। একটি বাড়ি বা অফিস বিল্ডিং কতটা আধুনিক হতে পারে, দেখিয়ে দেয় শান্তা। এরপর একের পর এক নান্দনিক স্থাপনা শান্তাকে নিয়ে আসে আজকের অবস্থানে। কী এর রহস্য? শান্তা শুধু ফ্ল্যাট বানানো নিয়ে চিন্তা করে না, চিন্তা করে যারা শান্তা থেকে ফ্ল্যাট বা অফিস কিনবে তাদের ভবিষ্যৎ, নিরাপত্তা, কমফোর্ট, নিশ্চিত মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে। প্রথমত লোকেশন, এরপর জমির পরিমাণ, ছোট জমিতে ক্রেতার জন্য অনেক কিছু করা সম্ভব হয় না, তাই ছোট জমিতে কাজ করতে পারে না শান্তা। জমির মালিকের মূল্যবোধ আর সামাজিক অবস্থানকে অনেক বেশি প্রাধান্য দেয় শান্তা। এর পরই আসে একজন স্বনামধন্য স্থপতি, স্ট্রাকচারাল ইঞ্জিনিয়ার, এমইপি ইঞ্জিনিয়ার, ল্যান্ডস্কেপার, লাইটিং এক্সপার্টস, ইন্টেরিয়র ডিজাইনারসহ আরো কয়েকজন। শান্তা কখনোই ইনহাউস ডিজাইনে বিশ্বাসী নয়। যিনি যে বিষয়ে অভিজ্ঞ, শান্তা তাঁর কাছেই যায় কাজ করার জন্য।
এহসান খান, নাহাস আহমেদ খলিল, রফিক আযম, ইশতিয়াক জহিরের মতো আরো অনেক স্বনামধন্য স্থপতি নকশা করছেন শান্তা হোল্ডিংসের প্রকল্পগুলোতে। উন্নত দেশের বহুতল ভবন নির্মাণে অভিজ্ঞ পরামর্শকদের নিয়ে আন্তর্জাতিক মানের বহুতল আবাসিক ও বাণিজ্যিক ভবন তৈরির সব নিয়ম মেনে দেশি-বিদেশি বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে পর্যালোচনার মাধ্যমে অত্যাধুনিক সব নিরাপত্তাব্যবস্থা নিশ্চিত করে কাজ করা হয় প্রতিটি প্রকল্পে। পাশাপাশি পর্যাপ্ত আলো-বাতাস নিশ্চিত করতে এবং ল্যান্ডস্কেপিং নিয়েও অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে কাজ করেন স্থপতিরা।
শান্তা মনে করে, এই নির্মাণশিল্পে তারা অনেক দিন থাকবে, আর দেশের মানুষকে বিশ্বের সঙ্গে তাল মেলানোর মতো স্থাপনা উপহার দিয়ে যাবে। যেকোনো আবাসিক প্রকল্পে গ্রাউন্ড ফ্লোরে কখনোই কার পার্কিং রাখে না শান্তা। ডাবল হাইট বা ট্রিপল হাইট খোলা গ্রাউন্ড ফ্লোর, সুন্দর ল্যান্ডস্কেপ, শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত রিসেপশন, লাউঞ্জ, আসবাবসজ্জিত কমিউনিটি ফ্লোর, পরিপূর্ণ জিম, সুইমিংপুল, বিলিয়ার্ড রুম, স্টিম, সাউনা, বাচ্চাদের খেলার জায়গা, বেইসমেন্ট ভেন্টিলেশন, সিকিউরিটি সিস্টেম, অগ্নিনির্বাপণব্যবস্থা থেকে শুরু করে কী থাকে না শান্তার প্রজেক্টে! ক্রেতাদের বিনিয়োগকে কিভাবে সার্থক করা যায়, এ ব্যাপারে শান্তার প্রতিটি কর্মকর্তা সব সময় সচেতন থাকেন।
বাড়ির অন্দরমহলের ব্যাপারে তো শান্তা আরো অনেক খুঁতখুঁতে, কিভাবে বাসার প্রতিটি জায়গাকে আরো বেশি ব্যবহারোপযোগী করা যায়, এ ব্যাপারে শান্তা সব সময় নতুন নতুন চিন্তা নিয়ে আসছে। বেডরুম, বাথরুম, রান্নাঘর, লিভিংরুম, বারান্দা—এমনকি বাসার কাজের মানুষের রুমটির দিকেও সমান নজর থাকে শান্তার। শান্তা বিশ্বাস করে, প্রতিটি স্থাপনার কমন জায়গাগুলো পর্যন্ত ব্যবহারোপযোগী হতে হবে। সবাই যেন কমিউনিটি লিভিংয়ের অনুভূতি পরিপূর্ণভাবে উপভোগ করতে পারে।
শান্তার স্লোগান হচ্ছে ‘সেটিং স্ট্যান্ডার্ডস’। শান্তা শুরু থেকেই এই স্লোগান নিয়ে মানুষকে নতুন কিছু দিয়ে আসছে এবং রিয়েল এস্টেট সেক্টরে বিলাসবহুল ও অত্যাধুনিক অ্যাপার্টমেন্ট তৈরি করে সর্বোচ্চ স্ট্যান্ডার্ডের প্রচলন করছে। নয়নাভিরাম ডিজাইন ও অনবদ্য নির্মাণশৈলী শান্তাকে সবার থেকে আলাদা করেছে। সর্বোচ্চ মানের সেবা দিয়ে গ্রাহকের বিশ্বাস ও নির্ভরযোগ্যতা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে শান্তা। যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে অত্যাধুনিক সব সুযোগ-সুবিধা নিয়ে মানুষের জীবনযাত্রার মান উন্নয়নের লক্ষ্যে অনবরত কাজ করে যাচ্ছে প্রতিষ্ঠানটি।
অনুলিখন : ইমরান হোসেন মিলন
সম্পর্কিত খবর