<p>যুক্তরাষ্ট্র যে যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব দিয়েছে তা মেনে নিচ্ছেন নেতানিয়াহু। সোমবার তেল আবিবে এক বৈঠক শেষে এই তথ্য  জানিয়েছেন ব্লিনকেন। তিনি এখন হামাসকে এই প্রস্তাব মেনে নেওয়ার জন্য আহ্বান জানিয়েছেন। </p> <p>ব্লিনকেন বলেছেন, ‘ইসরায়েলের বন্দিদের মুক্তি দিয়ে গাজায় ফিলিস্তিনিদের স্বস্তি ফেরানোর বিষয়টি এখন হামাসের ওপর নির্ভর করছে।’ হামাসকে সন্ত্রাসবাদী সংগঠন বলে মনে করে ইইউ, যুক্তরাষ্ট্র, ইসরায়েলসহ কয়েকটি দেশ।</p> <p>ব্লিনকেন বলেছেন, ‘এটা নির্ণায়ক মুহূর্ত। যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব গ্রহণ করে বন্দিদের ঘরে ফেরানোর এবং দীর্ঘস্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠার এর থেকে ভালো সুযোগ সম্ভবত আর পাওয়া যাবে না।’</p> <p>ব্লিনকেন এখন কাতার যাবেন। কাতারও মধ্যস্থতার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। কাতারের সঙ্গে তিনি যুদ্ধবিরতির বিষয়টি নিয়ে কথা বলবেন। পরবর্তী পদক্ষেপ নিয়ে আলোচনা করবেন।</p> <p>মধ্যস্থতাকারীদের একাংশ মনে করছেন, যুদ্ধবিরতি চুক্তি এবার হয়ে যাবে, তবে ইসরায়েল ও ইরানের মধ্যে উত্তেজনার ফলে এই সংঘাত আরো বাড়ার আশঙ্কাও করছেন অনেকে। এই সপ্তাহের শেষদিকে মিসরে যুদ্ধবিরতি নিয়ে আলোচনা হবে। ইসরায়েল-হামাস সংঘাত শুরুর পর ১০ মাসে এ নিয়ে ৯ বার মধ্যপ্রাচ্য সফর করলেন ব্লিনকেন।</p> <p>নেতানিয়াহু জানিয়েছেন, তার সঙ্গে ব্লিনকেনের বৈঠক সফল হয়েছে। এ সময় কেউ যেন এমন কোনো কাজ না করে, যাতে এই প্রক্রিয়া বানচাল হয়ে যায়।</p> <p><strong>দায় স্বীকার করল হামাস, ইসলামিক জেহাদ</strong></p> <p>রবিবার তেল আবিবে বিস্ফোরণের দায় স্বীকার করল হামাস ও ইসলামিক জেহাদ। এই বিস্ফোরণে একজন পথচারীর মৃত্যু হয়েছে। হামাস ও ইসলামিক জেহাদ জানিয়েছে, তারা এই আত্মঘাতী হামলা করেছে।</p> <p>ইসরায়েলি সরকারের মুখপাত্র সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, ব্যাকপ্যাক ভর্তি বিস্ফোরক নিয়ে একজন ফিলিস্তিনি যাচ্ছিলেন। জনবহুল জায়গায় যাওয়ার আগেই বিস্ফোরণ হয়। ব্লিনকেন তেল আবিবে পা রাখার ঘণ্টাখানেক আগে এই বিস্ফোরণ হয়। ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে ১০ মাসের সংঘাতে ৪০ হাজারেরও বেশি মানুষ মারা গেছে।</p> <p><strong>দক্ষিণ লেবাননে সহিংসতা বেড়েছে</strong></p> <p>দক্ষিণ লেবাননে ইসরায়েলের হামলায় দুইজন হিজবুল্লাহ সদস্যের মৃত্যু হয়েছে। ইসরায়েল জানিয়েছে, হিজবুল্লাহ তাদের বাহিনীকে লক্ষ্য করে একাধিক আক্রমণ করে। তার ফলে একজন সেনার মৃত্যু হয়েছে, বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে বলেও তারা জানিয়েছে। হিজবুল্লাহকে ইরান সমর্থন করে, তবে ইইউ তাদের সন্ত্রাসবাদী সংগঠন বলে মনে করে। হিজবুল্লাহর অভিযোগ, ইসরায়েল লেবানন সীমান্ত দিয়ে ঢুকে পড়তে চাইছে।</p>