<p>কেরালার ওয়েনাড় জেলার মেপ্পাদির নিকটবর্তী চুরমালায় ভূমিধসে শুক্রবার দুপুর পর্যন্ত নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৩০০ এর ওপরে পৌঁছেছে। এএনআইয়ের তথ্যানুযায়ী, কেরালার স্বাস্থ্যমন্ত্রী বীণা জর্জ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। ভারি বৃষ্টিপাত ও ভয়ংকর পাহাড়ি এলাকা সত্ত্বেও ৪০টি যৌথ উদ্ধারকারী দল অনুসন্ধান চালিয়ে যাচ্ছে।</p> <p>এই ৪০টি দলকে ভূমিধসকবলিত এলাকার ছয়টি জোনে অনুসন্ধান অভিযান পরিচালনার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এলাকাগুলো হচ্ছে, আত্তামালা ও অরণমালা, মুন্ডক্কাই, পুঞ্চিরিমাত্তম, ভেল্লারিমালা গ্রাম, জিভিএইচএসএস ভেল্লারিমালা এবং নদীর তীরবর্তী এলাকা। এসব যৌথ দলে সেনাবাহিনী, এনডিআরএফ, ডিএসজি, কোস্ট গার্ড, নৌবাহিনী ও এমইজি, তিনজন স্থানীয় এবং একজন বন বিভাগের কর্মী রয়েছেন।</p> <p>স্বাস্থ্যমন্ত্রী আরো জানান, চালিয়ার নদীতে একটি ত্রিমুখী অনুসন্ধান অভিযান চালানো হবে। নদীর ৪০ কিলোমিটারের মধ্যে অবস্থিত আটটি থানা স্থানীয় সাঁতার বিশেষজ্ঞদের নিয়ে সহযোগিতা করবে। তারা স্রোতে ভেসে যাওয়া বা নদীর তীরে আটকা পড়া মৃতদেহগুলো সন্ধান করবে। একই সঙ্গে পুলিশের হেলিকপ্টার ব্যবহার করে আরেকটি তল্লাশি অভিযান চালানো হবে।</p> <p>এদিকে কেরালার মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন বৃহস্পতিবার জানিয়েছেন, মুন্ডক্কাই, চুরামালা ও আত্তামালা গ্রামে কাউকে বাঁচানো যাবে না। উদ্ধারকর্মীরা এখন মৃতদেহ শনাক্ত ও উদ্ধারের দিকে মনোনিবেশ করছে। তদুপরি কোস্ট গার্ড, নৌবাহিনী ও বন বিভাগ যৌথভাবে নদীর তীর এবং যেখানে মৃতদেহ আটকে থাকতে পারে সেদিকে নজর রেখে অনুসন্ধান অভিযান পরিচালনা করবে।</p> <p>রাজ্যের রাজস্ব মন্ত্রী কে রাজন জানিয়েছেন, শনিবার দিল্লি থেকে একটি ড্রোনভিত্তিক রাডার কাদায় চাপা পড়া মৃতদেহ শনাক্ত করতে সহায়তা করবে। বর্তমানে ছয়টি কুকুর অনুসন্ধান অভিযানে সহায়তা করছে, আরো চারটি তামিলনাড়ু থেকে এসেছে।</p> <p>সূত্র : ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস</p>