<p>ইরান সোমবার বলেছে, তারা তার ভূখণ্ডে মার্কিন হামলার ক্ষেত্রে প্রতিক্রিয়া জানাতে ‘সংকোচ করবে না’। এর আগে হোয়াইট হাউস ইরানের ওপর হামলার সম্ভাবনা নাকচ করা হয়েছে কি না তা বলতে অস্বীকৃতি জানায়।</p> <p>হোয়াইট হাউসের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জেক সুলিভান রবিবার বলেছেন, ইরাক ও সিরিয়ায় ইরান সমর্থিত গোষ্ঠীগুলোর বিরুদ্ধে প্রতিশোধ নিতে যুক্তরাষ্ট্র চাপ দেবে। তবে যুক্তরাষ্ট্র সরাসরি ইরানে হামলার সম্ভাবনা নাকচ করে দেবে কি না—এমন প্রশ্নের জবাবে সুলিভান এনবিসিকে বলেন, ‘আমরা কী বিবেচনা করছি ও বাতিল করছি তা নিয়ে কথা বলা আমার পক্ষে বুদ্ধিমানের কাজ হবে না।’</p> <p>তিনি আরো বলেন, ‘যদি (ইরান) সরাসরি যুক্তরাষ্ট্রকে জবাব দিতে চায়, তাহলে তারা আমাদের কাছ থেকে দ্রুত ও জোরদার প্রতিক্রিয়ার মুখোমুখি হবে।’</p> <p>এরপর ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র নাসের কানানি সোমবার পাল্টা আঘাত করে বলেন, ‘ইরান সব সময় নিরাপত্তা, আঞ্চলিক অখণ্ডতা এবং সার্বভৌমত্বের প্রতি যেকোনো হুমকির বিরুদ্ধে নিষ্পত্তিমূলক প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে।’</p> <p>কানানি তাঁর সাপ্তাহিক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ইরান তার মাটিতে যেকোনো হামলার জবাব দিতে ‘তার ক্ষমতা ব্যবহার করতে দ্বিধা করবে না’।</p> <p>পাশাপাশি তিনি এ-ও পুনর্ব্যক্ত করেন, ইরান ‘এ অঞ্চলে উত্তেজনা ও সংকট বাড়াতে চায় না’।</p> <p>৭ অক্টোবর ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধ শুরুর পর থেকে আঞ্চলিক উত্তেজনা বেড়েছে। ইরাক, সিরিয়া, ইয়েমেন এবং লেবাননে ইরান-সমর্থিত গোষ্ঠীগুলো এতে জড়িয়ে পড়ার আশঙ্কাও তৈরি হয়েছে।</p> <p>এদিকে মার্কিন সেনাবাহিনী বলেছে, তারা রবিবার ইয়েমেনে পাঁচটি ক্ষেপণাস্ত্রের বিরুদ্ধে বিমান হামলা চালিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের বাহিনী ইয়েমেনের ইরান সমর্থিত হুতিদের বিরুদ্ধে বিমান হামলার ঢেউ শুরু করার এক দিন পর এই হামলা হয়, যা ছিল জাহাজে হুতিদের ক্রমাগত আক্রমণের প্রতিক্রিয়ায় তাদের তৃতীয় দফার যৌথ সামরিক পদক্ষেপ।</p> <p><strong><span style="background-color:#ecf0f1;">আরো পড়ুন : </span><a href="https://www.kalerkantho.com/online/world/2024/02/04/1360672"><span style="color:#3498db;"><span style="background-color:#ecf0f1;">হুতিদের ৩৬ স্থাপনায় যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের হামলা</span></span></a></strong></p> <p>অন্যদিকে হুতিরা বলছে, যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজায় ফিলিস্তিনিদের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করতে লোহিত সাগরে তারা হামলা চালিয়েছে।</p> <p>২৮ জানুয়ারি জর্দানের একটি ঘাঁটিতে ড্রোন হামলার প্রতিশোধ হিসেবে মার্কিন সামরিক বাহিনী শুক্রবার থেকে শনিবার রাতভর সিরিয়া ও ইরাকে লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত করেছে। জর্দানের ঘাঁটিতে তিন মার্কিন সেনা নিহত হয়েছিল।</p> <p>ইয়েমেন, সিরিয়া এবং ইরাকে হামলার নিন্দা করেছে তেহরান। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন জর্দানে হামলার জন্য ‘কট্টরপন্থী ইরান সমর্থিত সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলো’কে দায়ী করেছেন। পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্র মধ্যপ্রাচ্যে বিস্তৃত সংঘাত চায় না বলেও জানিয়েছেন তিনি।</p> <p>সূত্র : এএফপি</p>