<p>ইরানি এক নারী হিজাব পরতে অস্বীকার করায় তাঁকে ৭৪টি বেত্রাঘাত করা হয়েছে। ওই নারীর নাম রোয়া হেশমতি (৩৩)। স্থানীয় সময় গত শনিবার দেশটির বিচার বিভাগের মিজান অনলাইন ওয়েবসাইট বলা হয়েছে, ‘জনসাধারণের নৈতিকতা লঙ্ঘনের দায়ে ওই নারীকে শরিয়া আইন অনুযায়ী ৭৪টি বেত্রাঘাত করা হয়েছে ।’ হেশমতিকে ১২ মিলিয়ন রিয়াল (২২৫ পাউন্ড) জরিমানা দেওয়ারও নির্দেশ দেওয়া হয় বলে জানা গেছে। </p> <p>মিজানের প্রতিবেদনে আরো বলা হয়েছে, ‘দণ্ডপ্রাপ্তরা... তেহরানের ব্যস্ত জনবহুল স্থানে অপমানজনকভাবে (হিজাববিহীন) নিজেকে প্রকাশ করে বিষয়টিকে অনুমোদন দেওয়ার চেষ্টা করেছিল।’ ১৯৭৯ সালের ইসলামী বিপ্লবের পর থেকেই ইরানের সকল নারীর জন্য হিজাব পরিধান করা আইন অনুযায়ী বাধ্যতামূলক।</p> <p>হেশমতির আইনজীবী মাজিয়ার তাতাই সংস্কারপন্থী শার্ঘ দৈনিককে বলেছেন, ‘হিজাব না পরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছবি প্রকাশ করায় এপ্রিল মাসে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল।’ হেশমতির বিরুদ্ধে ‘জনসমক্ষে বোরকা না পরার’ অভিযোগও আনা হয়েছে বলে তিনি জানান। </p> <p>দেশটির কর্মকর্তারা কেউ হিজাব আইন লঙ্ঘন করছে কি না, তা নজরদারি করতে ক্যামেরা স্থাপন করেছেন। এ ছাড়া নিয়ম লঙ্ঘনকারী ব্যবসা তাঁরা বন্ধ করে দিয়েছেন। ইরানের পার্লামেন্ট একটি বিল নিয়েও আলোচনা করা হয়েছে, যেখানে পোশাকবিধি লঙ্ঘনকারীদের কঠোর শাস্তি দেওয়া হবে। তবে পোশাকবিধি লঙ্ঘনকারীদের ইরানে বেত্রাঘাত করা সচরাচর দেখা যায় না। </p> <p>যদিও ২০২২ সালের শেষের দিকে শুরু হওয়া সরকারবিরোধী বিক্ষোভের সময় পোশাকবিধি লঙ্ঘনকারীদের বিরুদ্ধে দমন ক্রমবর্ধমানভাবে বেড়ে গেছে। ২০২২ সালে পোশাকবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে গ্রেপ্তার হয়েছিলেন ২২ বছর বয়সী ইরানি কুর্দি মাহসা আমিনি। ১৬ সেপ্টেম্বর তিনি পুলিশি হেফাজতে মারা যান। এর পরেই ব্যাপক বিক্ষোভের সূত্রপাত হয়েছিল ইরানজুড়ে।</p> <p>সূত্র: দ্য টেলিগ্রাফ</p>