<p>চারিদিকে সব শুকিয়ে কাঠ। কান পাতলেই শোনা যাচ্ছে একফোঁটা পানির জন্য হাহাকার। পাগলের মতো পানির খোঁজ করে চলেছেন বাড়ির বড়রা। এই সময় দল বেঁধে স্কুলে যাওয়ার কথা ভাবতেও পারে না তারা। তাই স্কুলের পথ না ধরে ইউনিফর্ম পরেই ছোটো ছোটো শিক্ষার্থীরা নেমে পড়েছে প্রায় শুকিয়ে যাওয়া কুয়োয়। এমনই ছবি ধরা পড়েছে ভারতের মধ্য প্রদেশের দিন্দোরি গ্রামে।</p> <p>একটু এদিক-ওদিক হলেই স্তব্ধ হয়ে যেতে পারে হৃদয়ের স্পন্দন। বিচ্ছিন্ন হতে পারে জীবনের সুতো। কিন্তু, জলেরও তো অপর নাম জীবন। তাই ছোটো ছোটো ছেলে-মেয়েরা নেমে পড়েছে প্রায় শুকিয়ে যাওয়া কুয়োয়। কারণ ওই কুয়ায়রই একেবারে শেষে পানির খোঁজ পেয়েছে তারা। তার পরিমাণ যদিও খুবই সামান্য। কিন্তু, জিভ তো ভেজানো যাবে।</p> <p>শুধু এই শিশুরাই নয়। পানির খোঁজে সকাল সকালই ঘর থেকে বেরিয়ে পড়েন এই গ্রামের মহিলারা। পানির খোঁজে হেঁটে চলেন কয়েক কিলোমিটার। ভাগ্যে থাকলে পানি জোটে। আর ভাগ্যে না থাকলে ফাঁকা কলসি নিয়েই ফিরে আসতে হয় শুকনো মুখে।</p> <p>খরাকবলিত বুন্দেলখণ্ডের বিস্তীর্ণ অংশের মানুষদের এখন এই সমস্যার মধ্যেই দিন কাটাতে হচ্ছে। কোথাও চার দিনে একবার আবার কোথাও কোথাও আট দিনে একবার পানি সরবরাহ করা হয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে। ফলে একফোঁটা পানির জন্য জীবনের ঝুঁকি নিতেও পিছপা হচ্ছে না সেখানকার ছোটো ছোটো ছেলে-মেয়েরাও।</p>