<p>ব্যাটিং বিভাগে সেই পুরোন্য চিত্রনাট্য। থিতু হওয়া, ইনিংস বড় করতে না পারার ব্যর্থতা। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচ সিরিজের চতুর্থ টি-টোয়েন্টিতে তবু লড়াই করেছিল উদ্বোধনি জুটি। আজ পঞ্চম ও শেষ ম্যাচে সেটাও দেখা গেল না। চতুর্থ উইকেটে মাহমুদ উল্লাহ রিয়াদ ও ও অধিনায়ক নাজমুল হোসেনের ৬৯ রানের জুটির সৌজ্যনে স্কোর বোর্ডে স্বস্তিদায়ক পুঁজি পেয়েছে বাংলাদেশ দল।</p> <p>ফিফটি করা মাহমুদ উল্লাহ ৫৪ রান করেন। সম্প্রতি রান খরায় ভোগা নাজমুল এই সিরিজে প্রথমবারের মতো ত্রিশোর্ধ্ব রানের ইনিংস খেলে থামেন ৩৬ রানে। শেষ দিকে জাকের ১১ বলে ২৪ রানে ঝোড়ো ইনিংসে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৫৭ রান তোলে বাংলাদেশ।</p> <p>মিরপুরে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে দ্বিতীয় ওভারে প্রথম উইকেট হারায় স্বাগতিকরা। ব্লেসিং মুজারাবানির অফ স্টাম্পের বাইরের লেংথ ডেলিভারি পুল করার চেষ্টায় টাইমিং পাননি তানজিদ হাসান। শর্ট কভারে সহজ ক্যাচ নেন ওয়েলিংটন মাসাকাদজা। ৫ বলে ২ রান করে ফেরেন তানজিদ হাসান। পরের ওভারে ফেরেন সৌম্য সরকার। ৭ বলে ৭ রান করেন এই বাঁহাতি ওপেনার।</p> <p>সুবিধা করতে পারেননি তিনে নামা তাওহিদ হৃদয়ও। ইনিংসের পঞ্চম ওভারে বেনেটের অফ স্টাম্পের বাইরের ডেলিভারি কাট করার চেষ্টায় ব্যাটের বাইরের কানায় লেগে কট বিহাইন্ড হন। এতে ১৫ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে বসে বাংলাদেশ। সেখান থেকে দলকে টানেন মাহমুদ-নাজমুল। যদিও দলীয় শতরান পূর্ণ হওয়ার আগে সাজঘরে ফেরেন নাজমুল। মাসাকাদজার বল লং অন দিয়ে ছক্কায় উড়িয়ে পরের বলেই ডিপ স্কয়ার লেগে দাঁড়ানো রায়ান বার্লের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন তিনি। ৫ চার ও ১ ছক্কায় ২৮ বলে ৩৬ রান করেন বাংলাদেশ অধিনায়ক। </p> <p>নাজমুলের বিদায়ের পর ৩৬ বলে হাফ সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন মাহমুদ। তবে অন্যপ্রান্তে লুক জঙ্গিয়েকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে ১৬ বলে ২১ রান করে আউট হন সাকিব আল হাসান। খানিক পর মাহমুদও ফেরেন ৫৪ রান করে। যেখানে ৬টি চার ও ১টি ছয় মারেন তিনি। শেষ দিকে জাকের আলীর তাণ্ডবে ১৫৭ রান তুলতে পারে বাংলাদেশ দল।</p>