<p>অধিকৃত পশ্চিম তীরের ওফার কারাগার থেকে বৃহস্পতিবার দুই নারী ও ছয় পুরুষকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর হাত থেকে মুক্তি পাওয়ার পর এই আট ফিলিস্তিনি বন্দি জানান, হেফাজতে থাকার সময় তাদের নির্যাতন ও হুমকি দেওয়া হয়েছিল। বন্দিদের মধ্যে কিছু পুরুষ শারীরিক নির্যাতনের লক্ষণ দেখান, তারা যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছিলেন। আলজাজিরার প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।</p> <p>মধ্য গাজা উপত্যকার দেইর এল-বালাহ থেকে আলজাজিরার হিন্দ খুউদারি জানান, মুক্তিপ্রাপ্ত বন্দিরা ‘সম্পূর্ণভাবে ক্লান্ত’। তিনি বলেন, ‘এক নারী হাঁটতে পারছিলেন না। তাকে স্ট্রেচারে জরুরি বিভাগে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল।’</p> <p>একই সময় এ বন্দিদের গ্রেপ্তার করা হয়নি জানিয়ে তিনি আরো বলেন, কেরেম শালোম ক্রসিংয় থেকে এক ত্রাণবাহী ট্রাকচালককে আটক করা হয়েছিল। এক নারীকে তার সন্তানের সঙ্গে অধিকৃত পশ্চিম তীর পরিদর্শনের পর গ্রেপ্তার করা হয়েছিল।</p> <p>ফিলিস্তিনি রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি বলেছে, তারা কিসুফিম সামরিক চেক পয়েন্টের সামনে মুক্তিপ্রাপ্ত বন্দিদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে মধ্য গাজার আল-আকসা হাসপাতালে স্থানান্তর করেছে।</p> <p>খুদারি জানান, বন্দিরা সবাই তাদের নির্যাতন করার ও হুমকি দেওয়ার কথা জানিয়েছেন। তাদের ওষুধ ও কাপড় থেকেও বঞ্চিত রাখা হয়েছিল।</p> <p>তিনি আরো বলেন, ‘তাদের (বন্দিদের) গাজা উপত্যকায় হামাস সদস্য ও ইসরায়েলি বন্দিদের সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল।’</p> <p>গণমাধ্যমটির তথ্য অনুসারে, এর আগে ইসরায়েল জুলাইয়ের শুরুতে আটক কয়েক ডজন ফিলিস্তিনিকে মুক্তি দিয়েছে, যার মধ্যে আল-শিফা হাসপাতালের পরিচালক মুহাম্মদ আবু সালমিয়া রয়েছেন। তিনি বলেছিলেন, ফিলিস্তিনিরা কারাগারে প্রতিদিন নির্যাতনের শিকার হচ্ছে। মুক্তির পর সালমিয়া এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘বেশ কিছু বন্দি জিজ্ঞাসাবাদকেন্দ্রে মারা গেছে এবং খাবার ও ওষুধ থেকে বঞ্চিত হয়েছে।’ তিনি বন্দিদের মারধরের কথাও জানিয়েছিলেন।</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="মুক্তির পর আল-শিফা পরিচালকের মুখে ইসরায়েলি নির্যাতনের বর্ণনা" height="66" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/2024/07/01/1719831951-7a25f2c27c9f18dc7365bf105fa90a4f.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>মুক্তির পর আল-শিফা পরিচালকের মুখে ইসরায়েলি নির্যাতনের বর্ণনা</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/world/2024/07/01/1402251" target="_blank"> </a></div> </div> <p>হামাস আল-শিফা হাসপাতালকে তাদের ঘাঁটি হিসেবে ব্যবহার করছে বলে ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর অভিযোগের মধ্যে সালমিয়াকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। সাত মাসেরও বেশি সময় হেফাজতে থাকার পর তিনি মুক্তি পান।</p> <p>ইসরায়েলের সরকারি সম্প্রচার করপোরেশন জুলাই মাসে এক প্রতিবেদনে জানায়, দক্ষিণ ইসরায়েলে ৭ অক্টোবর হামাস নেতৃত্বাধীন হামলার পর প্রচুরসংখ্যক ফিলিস্তিনিকে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে বলে কারাগারগুলো ‘পূর্ণ’ ছিল৷ অন্যদিকে ফিলিস্তিন প্রিজনার্স সোসাইটি এবং বন্দি ও সাবেক বন্দি কমিশন বৃহস্পতিবার বলেছে, গাজায় ইসরায়েলের যুদ্ধ শুরুর পর থেকে অধিকৃত পশ্চিম তীরে ৯ হাজার ৮০০ ফিলিস্তিনিকে আটক করা হয়েছে।</p>