<p style="text-align: justify;">দেশের সর্ববৃহৎ শিল্প গোষ্ঠি বসুন্ধরা গ্রুপের উদ্যোগে বসুন্ধরা শুভ সংঘের মাধ্যমে ৫ হাজার পরিবারের মাঝে কম্বল বিতরণ করা হয়।  <br /> আজ শনিবার ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর উপজেলার দূর্গারামপুর বসুন্ধরা ফাউন্ডেশনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এ কম্বল বিতরণ কার্যক্রম উদ্বোধন করা হয়।</p> <p style="text-align: justify;">এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বসুন্ধরা গ্রুপের উপদেষ্টা এবং ইস্ট ওয়েস্ট মিডিয়া গ্রুপের প্রকাশক ময়নাল হোসেন চৌধুরী।</p> <p style="text-align: justify;">এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন বসুন্ধরা ফাউন্ডেশনের ডিজিএম মাইমুন কবির, বাঞ্ছারামপুর সরকারি কলেজের হিসাব বিজ্ঞান বিভাগের বিভাগীয় প্রধান মো. চাঁন মিয়া সরকার, বসুন্ধরা ফাউন্ডেশনের ব্যবস্থাপক মো. মোশাররফ হোসেন, সিনিয়র অফিসার আমির হোসেন আনোয়ার, বসুন্ধরা গ্রুপের অফিসার মো. জামাল উদ্দিন, মো. রমজান আলী প্রমুখ।</p> <p style="text-align: justify;">প্রধান অতিথি ময়নাল হোসেন চৌধুরী বলেন, ‘বসুন্ধরা গ্রুপ শুভ কাজে সবার পাশে। এই প্রতিপাদ্য বিষয়কে সামনে রেখে দেশের বিভিন্ন ক্লান্তিকালে দেশ ও দেশের জনগণের কল্যাণে সহায়তা হাত বাড়িয়ে দেয়। তারই ধারাবাহিতায় মাসব্যাপী সারা বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানে অসহায় ও হতদরিদ্র শীতার্থদের মাঝে শীতবস্ত্র হিসেবে কম্বল তুলে দিচ্ছে বসুন্ধরা গ্রুপ।’</p> <p style="text-align: justify;">অনুষ্ঠানে তিনি বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান আহমেদ আকবর সোবহান ও তাঁর পরিবারের সকল সদস্যের জন্যে দোয়া চান।</p> <p style="text-align: justify;">শনিবার সকালে বসুন্ধরা ফাউন্ডেশনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ২ হাজার কম্বল বিতরণ করা হয়। পরবর্তীতে পাহাড়িয়াকান্দি, ছয়ফুল্লাকান্দি এবং সফিরকান্দিতে বাকি ৩ হাজার কম্বল ১৩টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভার ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে বিতরণ করা হয়। </p> <p style="text-align: justify;">দরিয়াদৌলত খানে পাড়ার আয়েশা (১২) কম্বল পেয়ে সাথে সাথে গায়ে জরিয়ে বলে, ‘আমার আর ঝার করতো না। বসুন্ধরার হগলের জন্যে দোয়া করি বলে হাসতে হাসতে বেড়িয়ে যায়।’</p> <p style="text-align: justify;">আইয়ূবপুরের আছিয়া বেগম (৬৫) বলেন, ‘এইবারের ঝারের মতো এমন ঝার আর দেহি নাই। এই ঝারে কম্বলডা অনেক কাজে লাগবে। যেরা কম্বলডা দিতেছে হগলের লাগি দোয়া করি।’<br />  <br /> বাঞ্ছারামপুরের মনছুর আলী(৬০) প্রতিবন্ধী বলে, ‘এই ঝারের মধ্যেও তাওরাইয়া তাওরাইয়া ভিক্ষা করি। কম্বলডা আমার শীত কমাইবো। আমার শরীরের শীত কমার লগে লগে আল্লায় যেনো হেগরে খুশি করে।’</p>