<p>২০০৩ সাল। চীনের জিনজিয়াং প্রদেশের জিয়াওহে সমাধিক্ষেত্রে তখন খননকাজ চলছে। সেখানে হঠাৎ একটা মমি খুঁজে পান গবেষকরা। ৩,৬০০ বছরের পুরনো এক তরুণীর মমি সেটা। গবেষকরা খেয়াল করেন, মমির গলার চারপাশে রহস্যময় কিছু পদার্থ আটকে আছে।</p> <p>তাঁরা ধারণা করেন, এগুলো সম্ভবত গয়না। তবে তারা এটা নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালিয়ে যেতে থাকেন। দীর্ঘ গবেষণা ও পরীক্ষা চলে। এরপর ২১ বছর পেরিয়ে গেছে। সম্প্রতি বিজ্ঞানীরা নিশ্চিত হয়েছেন, মমির গলার সেই বস্তুগুলো আসলে গয়না নয়, বরং প্রাচীনকালের পনির।</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="পৃথিবীর সবচেয়ে বড় সাপ কোনটি?" height="66" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/2024/10/20/1729404195-1fe91f25d6eb93b7571adfddbf37542d.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>পৃথিবীর সবচেয়ে বড় সাপ কোনটি?</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="হাজার কেজির মিষ্টিকুমড়া!" height="66" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/2024/10/19/1729338621-fda162afe27d111aef3ced066e4fc877.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>হাজার কেজির মিষ্টিকুমড়া!</p> </div> </div> </div> </div> </div> </div> </div> </div> </div> </div> <p>চায়নিজ একাডেমি অব সায়েন্সেসের গবেষক কিয়াওমেই ফু এই গবেষণার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। তিনি জানান, পনিরটি নরম ছিল না, সম্পূর্ণ শুকনো এবং কঠিন পদার্থে রূপ নিয়েছিল। ফু ও তাঁর গবেষকদল পরীক্ষা করে নিশ্চিত হন, গরু ও ছাগলের  গাজন করা দুধ থেকে এই পনির তৈরি করা হয়েছিল। আর এ জন্য ব্যবহার করা হয়েছিল কেফির দানা।</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="যেভাবে হেলে পড়ে পিসার টাওয়ার" height="66" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/2024/10/19/1729336182-14939ae5ea7393c2c3d87500dc254a36.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>যেভাবে হেলে পড়ে পিসার টাওয়ার</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/science/2024/10/19/1436800" target="_blank"> </a></div> </div> <p>এই আবিষ্কার থেকে গবেষকরা নিশ্চিত হয়েছেন, ব্রোঞ্জ যুগে দুগ্ধজাত খাবারের ব্যবহার এবং খাদ্য সংরক্ষণের পদ্ধতি কিভাবে গড়ে উঠেছিল। সেই সময়কার মানুষ কিভাবে পরস্পরের সঙ্গে যোগাযোগ করত এবং খাদ্যাভ্যাসে পনিরের ভূমিকা কতটা গুরুত্বপূর্ণ ছিল, সেই বিষয়েও ধারণা পাওয়া যায় এ গবেষণা থেকে।</p> <p>আরো জানা যায়, জিয়াওহের বাসিন্দারা দুগ্ধজাত খাবার হজম করতে সক্ষম ছিলেন। তবে কেফির পনিরের মতো সংরক্ষিত খাবার খেতে অভ্যস্ত ছিলেন।</p> <p>সূত্র : ন্যাশনাল জিওগ্রাফি<br />  </p>