<p style="margin-bottom:13px"><span style="font-size:11pt"><span style="line-height:115%"><span style="font-family:Calibri,"sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="line-height:115%"><span style="font-family:Kalpurush">এমন একটা কল্পনা করুণ যখন কিছুই ছিল না। পৃথিবী ছিল না, সূর্য ছিল না, সৌরজগৎ ছিল না, মিল্কিওয়ে গ্যালাক্সি ছিল না। এমনকী কোনো গ্যালাক্সিই নয়, মহাকাশ নয়, ব্ল্যাকহোল বা অন্যকিছু্ নয়। এমনকী আমরা যেটা মহাবিশ্ব বলছি সেটাও ছিল না। </span></span></span></span></span></span></p> <p style="margin-bottom:13px"><span style="font-size:11pt"><span style="line-height:115%"><span style="font-family:Calibri,"sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="line-height:115%"><span style="font-family:Kalpurush">এমন একটা ব্যাপার, কল্পনা করাও মুশকিল। ঠিক সেই সময় কোথাও একটা বিন্দুর জন্ম হলো। উৎতপ্ত বিন্দু। তারপর হঠাৎই বিস্ফোরণ। সেই বিস্ফোরণের ফলে জন্ম হলো শক্তির, জন্ম হলো স্থানের এবং জন্ম হলো সময়েরও। এরই মধ্যে অবিশ্বাস্য গতিতে ছড়িয়ে পড়ল শক্তি আর কণাগুলো। দ্রুতই শক্তি থেকে জন্ম হলো মূল কণাদের (অর্থাৎ ইলেকট্রন, কোয়ার্ক, মিউওন, ফোটন, গ্লুয়ন ইত্যাদি)। </span></span></span></span></span></span></p> <p style="margin-bottom:13px"><span style="font-size:11pt"><span style="line-height:115%"><span style="font-family:Calibri,"sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="line-height:115%"><span style="font-family:Kalpurush">এটাই আসলে মহাবিশ্বের একেবারে জন্মমুহর্তের কথা। এরপর সেই শিশু মহাবিশ্ব যত দ্রুত প্রসারিত হয়, তত এর তাপমাত্রা কমতে থাকে। উৎপপ্ত মূল কণাগুলো পরস্পরের সঙ্গে যুক্ত হয়ে তৈরি করে জটিল কণা প্রোটন ও নিউট্রন। সেগুলো যুক্ত হয়ে তৈরি করে হাইড্রোজেনের পরমাণু।</span></span></span></span></span></span></p> <p style="margin-bottom:13px"><span style="font-size:11pt"><span style="line-height:115%"><span style="font-family:Calibri,"sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="line-height:115%"><span style="font-family:Kalpurush">হাইড্রোজেন পরমাণুগুলো কোথাও কোথাও ঘন মেঘের মতো করে একত্রিত হয়। সেই মেঘের ভেতর মহাকর্ষ বল আর নিউক্লিয় বল সক্রিয় হয়ে ওঠে, শক্তি তৈরি হয়। তৈরি হয় নক্ষত্র। কালের বিবর্তনে নক্ষত্রদের সমাবেশ আর গ্রহ-উপগ্রহের মিলনমেলায় তৈরি হয় গ্যালাক্সি। অবশ্য শুধু গ্রহ-উপগ্রহের সমাবেশে গ্যালাক্সি তৈরি হয়নি। এর জন্য দরকার ছিল খুব ভারী ব্ল্যাকহোল। </span></span></span></span></span></span></p> <p style="margin-bottom:13px"><span style="font-size:11pt"><span style="line-height:115%"><span style="font-family:Calibri,"sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="line-height:115%"><span style="font-family:Kalpurush">এ ধরনের ব্ল্যাকহোল তখনই তৈরি হতে পারে, যদি বড়সড় কোনো নক্ষত্রের মৃত্যু ঘটে। অর্থাৎ প্রথমদিকের নক্ষত্রগুলো মৃত্যুর পর ব্ল্যাকহোল তৈরি করেছে। তাদের চারপাশে এসে ভিড় করেছে অসংখ্য তারা আর গ্রহ-উপগ্রহ। এমন কোটি কোটি নক্ষত্র (গ্রহ-উপগ্রহসহ) ব্ল্যাকহোলকে কেন্দ্র করেই ঘুরতে ঘুরতে গঠন করেছে গ্যালাক্সি।</span></span></span></span></span></span></p> <p style="margin-bottom:13px"><font face="Kalpurush"><span style="font-size: 18.6667px;">এই বিগ ব্যাং কখন ঘটিছিল। বিজ্ঞানীদের হিসাব বলে, আজ থেকে ১৩৮০ কোটি বছর আগে। </span></font></p> <p style="margin-bottom:13px"><font face="Kalpurush"><span style="font-size: 18.6667px;">এত আগের খবর কীভাবে পেলাম আমরা?</span></font><font face="Kalpurush"><span style="font-size: 18.6667px;"> এ নিয়ে বিস্তারিত লেখা আরও আসছে।</span></font></p>