<article> <p style="text-align: justify;">দাঁত মানুষের মূল্যবান সম্পদ। দাঁতের সঠিক যত্ন না নেওয়ার কারণে মানুষ নানা ধরনের দন্ত রোগসহ শারীরিক অন্যান্য রোগে আক্রান্ত হয়। এসব রোগের চিকিৎসা অত্যন্ত জটিল ও ব্যয়বহুল। আর সঠিক পদ্ধতি ও সঠিক সময়ে দাঁতের যত্ন নিলে জটিলতা এড়ানো যায়। নিয়ম মেনে দাঁত ব্রাশ করলে নিঃশ্বাসও থাকে সতেজ।</p> </article> <article> <p style="text-align: justify;"><strong>সঠিক সময়</strong></p> <p style="text-align: justify;">প্রতিদিন সকালে নাশতা করার পর এবং রাতে খাওয়ার পর দুইবার দাঁত ব্রাশ করতে হবে। ঘুম থেকে উঠেই দাঁত ব্রাশ করার দরকার নেই। শুধু পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলা যেতে পারে। দাঁত ব্রাশের সঠিক নিয়ম হলো—নরম ব্রিসলযুক্ত (শলাকা) ব্রাশ দিয়ে ২ মিনিট ধরে দাঁত ব্রাশ করা।</p> </article> <article> <p style="text-align: justify;"><strong>সঠিক পদ্ধতি</strong></p> <p style="text-align: justify;">♦  প্রথমে দাঁত ও মাড়ির সংযোগস্থলে বারবার ৪৫ ডিগ্রি জোনে টুথব্রাশটি ঘোরাতে হবে। তারপর অল্প ঘুরিয়ে প্রতিটি দাঁত হালকাভাবে ব্রাশ করুন।</p> <p style="text-align: justify;">♦  দাঁতের বাইরের অংশ ও মাড়ি ঠিকমতো পরিষ্কার হচ্ছে কি না নিশ্চিত হওয়ার জন্য প্রতিটি দাঁত একইভাবে বারবার ব্রাশ করুন।</p> </article> <p style="text-align: justify;">♦  ব্রাশের ব্রিসল দিয়ে পেছনের দাঁতের পেছনের অংশ থেকে সামনে ক্রস করতে হবে। এভাবে তিনটি দাঁত ব্রাশের সঙ্গে সংযুক্ত থাকবে।</p> <article> <p style="text-align: justify;">♦  ব্রাশের ব্রিসল কম্পনের মাধ্যমে পেছন থেকে সামনে আনতে হবে।</p> <p style="text-align: justify;">♦  একসঙ্গে ১০ বার আলতোভাবে ঘর্ষণ দিতে হবে। তবে মাড়ির যাতে ক্ষতি না হয়, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।</p> </article> <article> <p style="text-align: justify;">♦  সামনের দাঁতের ক্ষেত্রে প্রতিটি দাঁতের ভেতরের অংশ থেকে কিনারা পর্যন্ত হালকাভাবে ক্রস করুন।</p> <p style="text-align: justify;">♦  ব্যাকটেরিয়া বা জীবাণু দূর করার জন্য দাঁত ব্রাশের পাশাপাশি জিহ্বাকেও আলতোভাবে ক্রস করুন। তারপর ভালোভাবে কুলি করে ফেলুন।</p> <p style="text-align: justify;">♦  প্রতিবেলা খাবার পর দাঁত ব্রাশ করার প্রয়োজন নেই। তবে ভালোভাবে কুলি করে নিতে পারেন। তার ফলে আটকে থাকা খাবারের কণাগুলো বের হয়ে যাবে।</p> <p style="text-align: justify;"><strong>কিভাবে ব্রাশ বাছাই করবেন</strong></p> <p style="text-align: justify;">♦  ভালোমানের টুথব্রাশ ব্যবহার করতে হবে। যার শলাকাগুলো যেন খুব বেশি শক্ত বা খুব বেশি নরম না হয়। মিডিয়াম নরম ব্রাশ ব্যবহার করতে হবে।</p> <p style="text-align: justify;">♦  প্রতি তিন মাস অন্তর টুথব্রাশ পরিবর্তন করতে হবে।</p> <p style="text-align: justify;">♦  ব্রাশের শলাকাগুলো বেঁকে গেলেই ব্রাশ পরিবর্তন করুন।</p> <p style="text-align: justify;">♦  মুখে ঘা থাকলে ঘা সেরে যাওয়ার পর নতুন ব্রাশ ব্যবহার করতে হবে।</p> <p style="text-align: justify;">♦  শিশুদের এবং অসুস্থ রোগীদের ইলেকট্রিক্যাল টুথব্রাশ ব্যবহার করা ভালো।</p> <p style="text-align: justify;"> </p> <p style="text-align: justify;">পরামর্শ দিয়েছেন</p> <p style="text-align: justify;">ডা. অনুপম পোদ্দার</p> <p style="text-align: justify;"><strong>অধ্যক্ষ, খুলনা ডেন্টাল কলেজ</strong></p> </article>