<p style="text-align:justify">কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে সৃষ্ট সহিংসতায় সরকারের নির্দেশনা না মানায় বাংলাদেশে বন্ধ রয়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক ও টিকটক। ইতোমধ্যে ফেসবুক ও টিকটককে চিঠি দিয়েছে সরকার। এই চিঠির যৌক্তিক ব্যাখ্যা দিতে না পারলে আপাতত ফেসবুক-টিকটকসহ সব ধরনের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম বন্ধই থাকবে বলে সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।</p> <p style="text-align:justify">রবিবার (২৮ জুলাই) সারাদেশে দ্রুত ফোর-জি মোবাইল নেটওয়ার্ক পুনঃস্থাপন প্রসঙ্গে এবং প্রবাসীদের বৈধপথে তাদের রেমিট্যান্স পাঠানোর বিষয়ে বিভিন্ন মোবাইল অপারেটর, অ্যাসোসিয়েশন অব মোবাইল টেলিফোন অপারেটর বাংলাদেশ (এমটব) এবং মোবাইল ফিনান্সিয়াল সার্ভিসের সঙ্গে বৈঠক করেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য-প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।</p> <p style="text-align:justify">বৈঠক শেষে তিনি বলেন, ‘ফেসবুক, টিকটকসহ সোশ্যাল মিডিয়ার প্রতিনিধিরা যৌক্তিক ব্যাখ্যা না দেওয়া পর্যন্ত এসব খুলে দেওয়ার ব্যাপারে বর্তমান সিদ্ধান্তে অনড় থাকবে সরকার। সহিংসতার কনটেন্টগুলোর বিরুদ্ধে কেন ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি, সে বিষয়ে তাদের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছে। ৩১ জুলাই ফেসবুক, টিকটকসহ সোশ্যাল মিডিয়ার প্রতিনিধিদের বিটিআরসিতে তলব করা হয়েছে। সশরীরে হাজির হয়ে ব্যাখ্যা দিতে হবে। ব্যাখ্যা না দেওয়া পর্যন্ত ফেসবুক-টিকটকসহ সোশ্যাল মিডিয়া খুলে দেওয়ার ব্যাপারে বর্তমান সিদ্ধান্তে অনড় থাকবে সরকার।’</p> <p style="text-align:justify">ফেসবুক ও টিকটক বাংলাদেশে তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারবে কি না তা জানতে আগামী ৩১ জুলাই পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে ব্যবহারকারীদের। ধারণা করা হচ্ছে, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলো সরকারের দেওয়া চিঠি অনুযায়ী সশরীরে হাজির হাজির হয়ে সন্তোষজনক জবাব দিলে অবস্থান বদলাতে পারে সরকার।</p> <p style="text-align:justify">আর প্রতিষ্ঠানগুলো সরকারের সিদ্ধান্তকে উপেক্ষা করে উপস্থিত না হলে কিংবা তাদের জবাব সরকারের সন্তোষজনক না হলে বাংলাদেশে দীর্ঘময়োদে নিষেধাজ্ঞায়ও পড়তে পারে ফেসবুক-টিকটক। এখন পুরো প্রক্রিয়াটি নির্ভর করছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোর মালিকানা প্রতিষ্ঠানগুলো কি করে তার ওপর।  </p> <p style="text-align:justify">প্রসঙ্গত, বাংলাদেশে রয়েছে ফেসবুকের বিশাল বাজার। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবস্থাপনার প্ল্যাটফর্ম নেপোলিয়নক্যাটের তথ্য বলছে, ২০২৪ সালে বাংলাদেশে ফেসবকু ব্যবহারকারীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৬ কোটি ৩৯ লাখ ৫৫ হাজার ১০০ জন। যা দেশের মোট জনসংখ্যার ৩৬ শতাংশেরও বেশি। এরমধ্যে ১৮ থেকে ২৪ বছর বয়সী ব্যবহারকারী ৩ কোটি ১৪ লাখেরও বেশি। তাদের মধ্যে পুরুষ ২৯ দশমিক ১ শতাংশ এবং নারী ২০ শতাংশ। আর ২৫ থেকে ৩৪ বছর বয়সীদের মধ্যে ২১ দশমিক ৯ শতাংশ পুরুষ এবং ৯ দশমিক ৫ শতাংশ নারী।</p>