<p>খুলনার নারী ও শিশু নির‌্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মোসাম্মৎ দিলরুবা সুলতানা মারা গেছেন। তাঁর বয়স হয়েছিল ৫১ বছর। <br /> সুপ্রিম কোর্টের গণসংযোগ কর্মকর্তা মো. শফিকুল ইসলাম এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছেন, রবিবার (৭ এপ্রিল) সকাল সোয়া ৮টায় খুলনার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়েছে। সেখানে তাঁর ক্যানসারের চিকিৎসা চলছিল।<br /> জ্যেষ্ঠ জেলা জজ মর্যাদার এ বিচারকের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান ও আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। তাঁরা প্রয়াত বিচারক দিলরুবা সুলতানার শোক সন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন। </p> <p>আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ তথ্য কর্মকর্তা (পিআরও) মো. রেজাউল করিম জানিয়েছেন, দিলরুবা সুলতানার জন্ম ১৯৭৪ সালের ২১ অক্টোবর। তিনি ১৮তম বিসিএসে উত্তীর্ণ হয়ে বিচার বিভাগে যোগ দেন। তাঁর গ্রামের বাড়ি চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলায়। আসর নামাজের পর জানাজা শেষে তাঁকে খুলনার খালিশপুরের গোয়ালখালী গ্রামে দাফন করা হয়েছে বলেও জানান এই কর্মকর্তা।<br />  <br /> ২০১৫ সালের ৩ আগস্ট খুলনার টুটপাড়ায় শরীফ মোটরস নামে এক মোটরসাইকেলের গ্যারেজে মলদ্বারে কম্প্রেসার মেশিনের মাধ্যমে বাতাস ঢুকিয়ে হত্যা করা হয়েছিল শিশু রাকিব হাওলাদারকে। নির্মম এ হত্যাকাণ্ডের বিচার করেছিলেন দিলরুবা সুলতানা। ২১ কার্য দিবসে বিচার শেষ করে ওই বছর ৮ নভেম্বর তিনি এ আলোচিত মামলার রায় দিয়েছিলেন। রায়ে শরীফ মোটর্সের মালিক ওমর শরীফ এবং তার সহযোগী মিন্টু খানকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছিলেন।</p>