<p>মাঠ গরম রাখা কিংবা শক্তি দেখানো নয়, ভোটের প্রচারে বেশি সমাগম না করা, চুপচাপ থাকা, ভোটের দিন ভোটারদের কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া, ভোট দিয়ে অনেকটা নিঃশব্দে কেন্দ্র থেকে চলে আসা—কৌশলের নাম ‘বোবা ভোট’। এই বোবা ভোট কৌশলেই আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী নেতা আজমত উল্লা খানকে পরাজিত করেছেন বিজয়ী স্বতন্ত্র প্রার্থী জায়েদা খাতুনের অনুসারীরা।</p> <p>‘বোবা ভোট’ কৌশলের কাছে হার ১৬ হাজার ১৯৭ ভোটের ব্যবধানে সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আলমের মায়ের কাছে পরাজয়ের কারণ বিশ্লেষণ করছেন স্থানীয় ও কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ নেতারাও। তাঁদের চোখে নৌকার পরাজয়ের পেছনে দলের ওয়ার্ড পর্যায়ের নেতাদের বিশ্বাস ভঙ্গ করা, নির্বাচন পরিচালনার কাজে সমন্বয়হীনতা এবং দল ও প্রার্থীর অতি আত্মবিশ্বাস বড় কারণ। এর বাইরে আছে বিএনপি সমর্থকদের ভোট।</p> <p><img alt="নির্বাচব" height="283" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/share/photo/shares/Harun/May-2023/27-05-2023/Skin-01.jpg" style="float:left" width="200" />ঢাকা বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম কালের কণ্ঠকে বলেন, নৌকার পরাজয়ের বড় কারণ কয়েকটি থানার ওয়ার্ড কমিটির নেতাদের বিশ্বাস ভঙ্গ করা। এ ছাড়া নির্বাচন পরিচালনার কাজে কিছু ত্রুটি ছিল।</p> <p>গতকাল টঙ্গী কলেজের সামনে কথা হয় জায়েদা খাতুনের সমর্থক মাসুদ রানা দুলালের সঙ্গে।</p> <p>টঙ্গীতে কিভাবে জায়েদা খাতুন এত ভোট পেলেন, তা জানতে চাইলেই মুচকি হাসলেন তিনি। কালের কণ্ঠকে তিনি বললেন, ‘আমরা বোবা ভোট করেছি।’ বিষয়টির ব্যাখ্যা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমরা নিঃশব্দে কাজ করেছি। প্রকাশ্যে তেমন কোনো তৎপরতা দেখাইনি।</p> <p>কারণ এটা দেখালেই প্রশাসনের চাপে পড়তে হতো। ভেতরে ভেতরে নিজেরা যোগাযোগ করেছি। অপেক্ষায় ছিলাম সুষ্ঠু ভোটের। ভোট সুষ্ঠু হওয়ার সুযোগটা আমরা কাজে লাগিয়েছি।’</p> <p>জায়েদা খাতুনের নির্বাচনী কাজে সম্পৃক্ত একাধিক নেতা জানান, জায়েদা খাতুনের ছেলে সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আলম গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।</p> <p>তিনি ছাত্রলীগেরও সাবেক নেতা। দলের ওয়ার্ড পর্যায়ে তাঁর অনেক অনুসারী রয়েছেন। এঁরা নীরবে জায়েদা খাতুনের টেবিলঘড়ি প্রতীককে জয়ী করতে কাজ করেছেন।</p> <p>আওয়ামী লীগের একাধিক নেতা কালের কণ্ঠকে বলেন, জাহাঙ্গীর মেয়র থাকাকালে অনেককে সহযোগিতা করেছেন। সেই সুবিধাভোগীরা জাহাঙ্গীরের সঙ্গে বেইমানি করেননি। মেয়র থাকাকালে জাহাঙ্গীর আলম দৃশ্যমান বেশ কিছু উন্নয়ন কর্মকাণ্ড করেন। এগুলোর জন্যও সাধারণ ভোটারদের অনেকে জায়েদা খাতুনকে ভোট দিয়েছেন। সরকারবিরোধী দল ও সংগঠনগুলোর সমর্থকরাও জায়েদা খাতুনকে একচেটিয়া ভোট দিয়েছেন।</p> <p>মা জায়েদা খাতুনকে জয়ী করতে সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আলমের মরিয়া চেষ্টার বিপরীতে আওয়ামী লীগের প্রস্তুতি ছিল অনেকটাই ঢিলেঢালা। আওয়ামী লীগের প্রার্থী আজমত উল্লা খানের নির্বাচনী কাজে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা অনেকটাই জায়েদাকে হালকাভাবে নিয়েছিলেন।</p> <p>গাজীপুর আওয়ামী লীগের কয়েকজন নেতা কালের কণ্ঠকে জানান, স্থানীয় আওয়ামী লীগের গুরুত্বপূর্ণ নেতারা সবাই মিলে যদি আন্তরিকভাবে কাজ করতেন তাহলে এই পরাজয় হতো না। মাত্র ১৬ হাজার ১৯৭ ভোটের ব্যবধানে নৌকার হার হয়েছে। নির্বাচনী কার্যক্রম ভালোভাবে সমন্বয় করলে এই ব্যবধান পূরণ করে আওয়ামী লীগের পক্ষে জয় পাওয়া সম্ভব ছিল।</p> <p><strong>তৃণমূলের নেতাদের বিশ্বাসভঙ্গের শিকার আজমত উল্লা :</strong> গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের একাধিক সূত্র কালের কণ্ঠকে জানায়, দলের নেতারা মনে করেছিলেন, জাহাঙ্গীরের ঘনিষ্ঠ আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের চাপ দিয়ে দূরে সরিয়ে রাখলেই নৌকার বিজয় নিশ্চিত হবে। কেন্দ্র থেকে চাপ দিয়ে, বহিষ্কার করে পদধারী আওয়ামী লীগের নেতাদের জাহাঙ্গীরের কাছ থেকে দূরে সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তাঁদের অনেকেই গোপনে জাহাঙ্গীরের পক্ষে কাজ করেছেন।</p> <p>আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে প্রচারকাজে যুক্ত ছিলেন। তিনি গতকাল কালের কণ্ঠকে বলেন, দলের ভেতরের মোনাফেক ও খন্দকার মোশতাকের মতো যাঁরা আছেন তাঁরা নৌকার প্রার্থীর সঙ্গে বেইমানি করেছেন। তাঁরা গলায় নৌকার ব্যাজ ঝুলিয়ে ভোট দিয়েছেন জায়েদা খাতুনের টেবিলঘড়িতে।</p> <p>৩৫ নম্বর ওয়ার্ডের ফোরকানিয়া মাদরাসার কেন্দ্র ২-এ নৌকার নির্বাচন সমন্বয় কমিটির সদস্যসচিব ছিলেন আশরাফুল শাওন। তাঁকে গতকাল জাহাঙ্গীর আলমের সঙ্গে বিজয় মিছিলে দেখা গেছে।</p> <p>গাছা উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক রিনা হালিম ছিলেন নৌকার উপজেলা নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সদস্য। সংরক্ষিত ওয়ার্ডের সাবেক এই কাউন্সিলর বৃহস্পতিবার জায়েদা খাতুনের বিজয়ের পর ফেসবুকে একটি পোস্ট দেন। সেখানে তিনি লেখেন, ‘জায়েদা খাতুন পাস। আমরা আর কিছু চাই না। এতে আমি অনেক খুশি। আলহামদুলিল্লাহ।’</p> <p>আওয়ামী লীগের সূত্রগুলো জানায়, গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের ৫৭ নম্বর ওয়ার্ড কমিটির বেশির ভাগ নেতাই একসময় জাহাঙ্গীর আলমের ঘনিষ্ঠ ছিলেন। ২০২১ সালে জাহাঙ্গীরকে দল থেকে বহিষ্কারের পর এঁদের অনেককেই বহিষ্কারের জন্য কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছিল। পরে আজমত উল্লা খান এঁদের ক্ষমা করে দেন। তিনি ভেবেছিলেন, ক্ষমা পাওয়া এসব নেতা নৌকার পক্ষে আন্তরিকভাবে কাজ করবেন। এ জন্য নির্বাচন পরিচালনার কাজও তিনি এঁদের দিয়েছিলেন।</p> <p>সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র জানায়, গাছা, জয়দেবপুর, বাসন, পুবাইল—এই চার থানার অধীন ওয়ার্ডগুলোর বেশির ভাগ নেতাই গোপনে জায়েদা খাতুনের পক্ষে কাজ করেছেন।</p> <p>আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থীর পক্ষে গঠিত কেন্দ্রীয় সমন্বয় টিমের সমন্বয়ক ছিলেন। তিনি কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘আমাদের প্রার্থী তৃণমূলের নেতাদের বিশ্বাসভঙ্গের শিকার হয়েছেন। গাজীপুর মহানগরের ওয়ার্ড কমিটির নেতারা অনেকেই গোপনে জাহাঙ্গীরের পক্ষে কাজ করেছেন, কিন্তু তাঁরা ওপরে ওপরে নৌকার পক্ষে আছেন বলে দেখিয়েছেন।’</p> <p><strong>বিএনপির ভোটারদের পাশে পেয়েছেন জায়েদা :</strong> গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বিএনপির ভোটাররা বেশির ভাগই জায়েদা খাতুনকে ভোট দিয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় একাধিক নেতা। মির্জা আজম কালের কণ্ঠকে বলেন, বিএনপি সরাসরি প্রার্থী না দিলেও তাঁরা জাহাঙ্গীরের পেছনে থেকে কাজ করেছে। জাহাঙ্গীরকে দিয়ে নির্বাচনকে বিতর্কিত করারও চেষ্টা করেছেন।</p> <p>মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেন, আওয়ামী লীগবিরোধী রাজনীতিকরা ঐক্যবদ্ধভাবে নৌকার প্রার্থীকে ঠেকাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন।</p> <p>বৃহস্পতিবার ভোটের মাঠেও এই অভিযোগের সত্যতা মিলেছে। এদিন সকাল ১১টার দিকে টঙ্গী কলেজের বিপরীতে সরকারবাড়ির গলিতে আট থেকে ১০ জন বিএনপির নেতাকর্মীর সঙ্গে এই প্রতিবেদকের আলাপ হয়।</p> <p>নাম প্রকাশ না করার শর্তে টঙ্গী বিএনপির একজন নেতা কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘আমরা নৌকা পরাজিত হলেই খুশি। আজমত উল্লার চেয়ে জাহাঙ্গীর আলম অনেক কম দলবাজি করেন। সে কারণে আমরা জায়েদা খাতুনকে ভোট দিচ্ছি।’</p> <p>বৃহস্পতিবার গভীর রাত পর্যন্ত যখন বঙ্গতাজ অডিটরিয়াম থেকে ভোটের ফলাফল ঘোষণা চলছিল, তখন সেখানে দেখা গেছে যুবদলের ওয়ার্ড পর্যায়ের একাধিক নেতাকে। তাঁরা কালের কণ্ঠকে জানান, জাহাঙ্গীর আলমের সঙ্গে তাঁরা এখানে এসেছেন। চূড়ান্ত ফলাফল ঘোষণা না হওয়া পর্যন্ত তাঁরা এখানেই থাকবেন।</p> <p>জানতে চাইলে গাজীপুর মহানগর বিএনপির সদস্যসচিব শওকত হোসেন সরকার কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘হামলা, মামলা, নির্যাতনসহ নানা ঘটনায় আমাদের নেতাকর্মী ও সমর্থকরা এই সরকারের ওপর চরমভাবে ক্ষুব্ধ। গাজীপুর সিটি নির্বাচনে বিএনপি অংশ নেয়নি, তার পরও দলটির নেতাকর্মীদের বাড়িঘরে তল্লাশি চালানো হয়েছে। অনেক নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। যেহেতু বিএনপির অনেক কাউন্সিলর প্রার্থী ছিল, তাঁদের সবাইকে বহিষ্কার করা হয়েছে। তার পরও ওই কাউন্সিলর প্রার্থীরা তাঁদের আত্মীয়-স্বজন, বন্ধু-বান্ধব ও বিএনপি সমর্থকদের ভোটের মাঠে এনেছেন। ওই ভোটগুলো নৌকার বিরুদ্ধে রায় দিতে গিয়ে জায়েদা খাতুন পেয়েছেন বলে আমি মনে করি।’</p> <p><strong>আ. লীগের ঢিলেঢালা প্রস্তুতি ও সমন্বয়হীনতা : </strong>স্থানীয় ও কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের একাধিক নেতা কালের কণ্ঠকে জানান, জাহাঙ্গীর যে ভোটগুলো আশা করেছিলেন তা তিনি সফলভাবেই টানতে পেরেছেন। কিন্তু নৌকা যে পরিমাণ ভোট পাওয়ার কথা, তা পায়নি। গাজীপুরের প্রভাবশালী একাধিক মন্ত্রী, সংসদ সদস্যের নিজ এলাকায়ও নৌকা কাঙ্ক্ষিত ভোট পায়নি। যে টঙ্গীতে নৌকার শক্ত অবস্থান আছে বলে মনে করা হয়, সেখানকার কেন্দ্রগুলোতে ৫০ থেকে ১০০ ভোটের ব্যবধানে নৌকা জয় পেয়েছে। টঙ্গীর কয়েকটি কেন্দ্রে নৌকা পরাজিতও হয়েছে। নির্বাচনকে হালকাভাবে নেওয়ার কারণে এমনটা ঘটেছে বলে এখন নেতারা মনে করছেন।</p> <p>গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সাবেক একজন নেতা কালের কণ্ঠকে বলেন, নিজের অস্তিত্ব রক্ষায় জয়ের জন্য মরিয়া ছিলেন জাহাঙ্গীর আলম। কিন্তু নৌকার শিবিরে প্রস্তুতিতে ছিল ঢিলেঢালা ভাব। নির্বাচনী কাজেও সমন্বয়ে ঘাটতি ছিল। ভোটের দিনে ভোটারদের ভোটকেন্দ্রে নিয়ে আসার জন্য বেশির ভাগ নেতাকর্মীর তৎপরতা ছিল না।</p> <p>গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচন পরিচালনায় কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের কমিটির উপদেষ্টা ছিলেন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী ও গাজীপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আ ক ম মোজাম্মেল হক। তিনি বলেন, ‘আমাদের দলের নেতাকর্মীরা অতি আত্মবিশ্বাসী ছিল। যতটা গুরুত্ব দিয়ে মাঠে কাজ করার দরকার, তারা তা করেনি। একটা শৈথিল্য ভাব ছিল।’</p> <p>গাজীপুর মহানগর ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ তৌহিদুল ইসলাম দীপ নৌকার প্রার্থীর পক্ষে মাঠে সক্রিয় ছিলেন। তিনি গতকাল কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘৩৩ নম্বর ওয়ার্ডের গাজীপুর আদর্শ কেন্দ্রে গিয়ে আমি কোনো নৌকার এজেন্ট পাইনি। গাছার কয়েকটি কেন্দ্রে গেছি, সেখানে অনেককে নৌকার ব্যাজ পরে ঘুরতে দেখেছি, কিন্তু তাদের অনেকেই ভেতরে ভেতরে জাহাঙ্গীরের পক্ষে কাজ করেছে।’</p> <p><strong>ব্যবধান গড়ে দিয়েছে গাছা থানা : </strong>আওয়ামী লীগের স্থানীয় একাধিক সূত্র জানায়, গাছা থানার ওয়ার্ডগুলোতে ১৫ হাজারের বেশি ভোটে পিছিয়ে পড়েছিলেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী আজমত উল্লা খান। এ ওয়ার্ডগুলোর নেতাকর্মীরা জাহাঙ্গীর আলমের পক্ষে বেশি কাজ করেছেন বলে মনে করছে আওয়ামী লীগ। গতকাল শুক্রবার দলের এ থানার একাধিক নেতাকে জাহাঙ্গীর আলমের বিজয় মিছিলে দেখা গেছে।</p> <p>আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম বলেন, ‘আমরা যে তিনটি থানায় খারাপ করেছি তার মধ্যে গাছা অন্যতম। এখানকার স্থানীয় নেতাদের আমরা ঐক্যবদ্ধ রাখতে পারিনি। তাঁরা বিশ্বাসঘাতকতা করেছেন। এটা আমাদের সাংগঠনিক ব্যর্থতা।’</p> <p><strong>সুষ্ঠু ভোটই আ. লীগের অর্জন : </strong>আওয়ামী লীগের প্রার্থী পরাজিত হলেও সুষ্ঠু নির্বাচন হওয়াকে সরকারের জন্য বড় অর্জন বলে মনে করছেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় গুরুত্বপূর্ণ একাধিক নেতা।</p> <p>আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম বলেন, বিএনপি অভিযোগ তুলত যে ইভিএমে ফল পাল্টে দেওয়া যায়, সেটা মিথ্যা প্রমাণিত হয়েছে। এই সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব—এটাও প্রমাণ হলো।</p> <p>আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী বলেন, জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে এই নির্বাচন দৃষ্টি কেড়েছে। এই ভোটে দলের প্রার্থী হারলেও সরকারের জন্য ভালো হয়েছে।</p>