<p>বিশ্ব শিশু দিবস ও অধিকার সপ্তাহ উদযাপন উপলক্ষে আয়োজিত সেমিনারে বক্তারা বরেছেন, শিশুর জন্য বিনিয়োগ করলে বহুগুণে ফিরে আসে। আক্ষরিক ও বাস্তবিক অর্থে শিশুরা আমাদের ভবিষ্যৎ। তাই সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের দক্ষ জনশক্তিতে পরিণত করতে সকলে মিলে কাজ করতে হবে।</p> <p>আজ শনিবার ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশন আয়োজিত ওই ভার্চুয়াল সেমিনারে প্রধান অতিথি ছিলেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. সায়েদুল ইসলাম। ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশনের প্রেসিডেন্টট কাজী রফিকুল আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশনের সাধারণ সম্পাদক ড. এস.এম খলিলুর রহমান ও অপরাজেয় বাংলাদেশ-এর নির্বাহী পরিচালক ওয়াহিদা বানু। ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশনের নির্বাহী পরিচালক ড. এম. এহ্ছানুর রহমানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে দু’জন শিশু প্রতিনিধি তাদের অভিজ্ঞতা শেয়ার করেন।</p> <p>সেমিনারে সচিব মো. সায়েদুল ইসলাম বলেন, শিশুরা রাস্তায় চলে আসার মূল কারণ দারিদ্র্য। সম্প্রতি সরকার এ সম্পর্কিত একটি সমন্বয় কমিটি গঠন করেছে। প্রধানমন্ত্রীর মুখ্যসচিবকে এ কমিটির প্রধান করা হয়েছে। এখানে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি, এনজিও ব্যুরোর ডিজি ও বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থার প্রতিনিধিবৃন্দ যারা শিশুদের নিয়ে কাজ করছেন তারা এ কমিটিতে রয়েছেন। এ কমিটির উপদেষ্টা হিসেবে কাজ করছেন সায়মা ওয়াজেদ। তিনি বলেন, দেশে সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের সুনির্দিষ্ট কোনো সংখ্যা নেই। সেক্ষেত্রে দেশের বিভাগীয় শহরসহ সারাদেশের পথশিশুর সংখ্যা নির্ণয়ের জন্য বিবিএসকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তিনি ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশন পরিচালিত শিশুনগরী ও অন্যান্য প্রকল্পের মাধ্যমে পথশিশুদের জন্য যে কার্যক্রম পরিচালনা করছে সেগুলো সরেজমিনে পরিদর্শনের আগ্রহ প্রকাশ করেন।  </p> <p>মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনাকালে ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশনের প্রোগ্রাম কো-অর্ডিনেটর শেখ মহব্বত হোসেন বলেন, প্রত্যেকটি পথশিশু যাদের অভিভাবক নেই, তাদের জন্মনিবন্ধন ও লিগ্যাল আইডেন্টি নিশ্চিত করতে হবে। পথশিশুদের নির্যাতন বন্ধে প্রিভেন্টিং ও রেসপন্ডিং ম্যাকানিজম তৈরি করে প্রয়োজনে আইনের সহায়তা প্রদান করতে হবে। তিনি বলেন, শিশুদের যত্নে এডহক সার্ভিসের পরিবর্তে স্পেশালাইজড সার্ভিসের প্রতি গুরুত্বারোপ করতে হবে, যেখানে সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের খাবারের পাশাপাশি মানসিক স্বাস্থ্য, শিক্ষা, কাউন্সেলিং, ক্যারিয়ার ডেভেলপমেন্ট প্ল্যান, লাইফস্কিল ও ভকেশনাল ট্রেনিংসহ জব প্লেসমেন্টের ব্যবস্থা থাকবে।</p>