<p>নাশকতার দুই মামলায় বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ও চট্টগ্রাম মহানগর উত্তর জেলা বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক মোহাম্মদ আসলাম চৌধুরীকে দেওয়া হাইকোর্টের জামিন আদেশ স্থগিত করেছেন আপিল বিভাগ। রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের শুনানি শেষে রবিবার (২০ জুন) প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে আপিল বিভাগ এ আদেশ দেন।</p> <p>আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন। আসলামের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল। এই দুই মামলায় গত ৩০ মে বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন সেলিম ও বিচারপতি মহিউদ্দিন শামীমের ভার্চ্যুয়াল হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ তাকে অন্তর্বর্তীকালীন জামিন দেন।</p> <p>এ জামিনাদেশ স্থগিত চেয়ে আপিল বিভাগে আবেদন করে রাষ্ট্রপক্ষ। ৬ জুন আসলাম চৌধুরীকে হাইকোর্টে দেওয়া জামিন ২০ জুন পর্যন্ত স্থগিত করে রাষ্ট্রপক্ষকে লিভ টু আপিল করতে বলা হয়েছিলো। সেই আবেদনের শুনানি করে আজ জামিন স্থগিত রাখা হয়।</p> <p>২০১৩ সালে নাশকতার এই দুই মামলায় শ্যোন অরেস্ট দেখানো হয়েছিলো আসলাম চৌধুরীকে।</p> <p>নাশকতার অভিযোগে আসলাম চৌধুরীর বিরুদ্ধে রাজধানী ঢাকার কোতোয়ালী থানায় ২০১৩ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি এবং শাহবাগ থানায় একইবছরের ২২ এপ্রিল পৃথক দুটি মামলা হয়। এ দুটি মামলায় কারাবন্দি আসলাম চৌধুরীকে আসামি হিসেবে চলতি বছরের ১১ জানুয়ারি গ্রেপ্তার দেখানো হয়। পরে সেগুলোতে তিনি হাইকোর্ট থেকে জামিন পান।</p> <p>২০১৬ সালের ২৬ মে নগরীর গুলশান থানায় আসলাম চৌধুরীর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে মামলা করে পুলিশ। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অনুমতি পাওয়ার পর দণ্ডবিধির ১২০/বি (রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র), ১২১/এ (রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণার ষড়যন্ত্র) এবং ১২৪/এ (রাষ্ট্রদ্রোহ) ধারায় মামলাটি করা হয়। দণ্ডবিধির ১২০ (বি), ১২১ (৩) ও ১২৪ (এ) ধারায় রাষ্ট্রদ্রোহ আইনে মামলায় আসলামের বিরুদ্ধে ইসরায়েলের গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের এজেন্টের সদস্যের সঙ্গে বৈঠক করে ‘বাংলাদেশ সরকার উৎখাত ষড়যন্ত্রের অভিযোগ’ আনা হয়।</p> <p>ওই মামলায় নিম্ন আদালতে জামিন নামঞ্জুর হলে আসলাম চৌধুরী হাইকোর্টে আবেদন করেন। এরপর ২০১৬ সালের ডিসেম্বর মাসে রুল জারি করে আসলামকে কেন জামিন দেয়া হবে না, তা জানতে চান হাইকোর্ট। পরে ২০১৭ সালের ১৮ মে ওই রুলের শুনানি নিয়ে তার জামিন মঞ্জুর করেন হাইকোর্ট বেঞ্চ।</p> <p>আসলাম চৌধুরীকে ২০১৬ সালের ১৫ মে ঢাকার খিলক্ষেত এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। সেই থেকে তিনি কারাবন্দী।</p>