<p>সুনামগঞ্জে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর হেফাজত ইসলামের হামলার ঘটনায়  গভীর উদ্বেগ ,তীব্র নিন্দা ও ক্ষোভ প্রকাশ করে এই ঘটনার দ্রুত, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্ত সাপেক্ষে দোষী ব্যক্তিদের আইনের আওতায় এনে উপযুক্ত শাস্তির দাবি জানিয়ে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ বিবৃতি দিয়েছে।</p> <p>বিবৃতিতে বলা হয়, সুনামগঞ্জের শাল্লার নোয়াগাঁও নামক গ্রামে এক ব্যক্তির সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে স্ট্যাটাস দেয়ার জের ধরে হেফাজত ইসলামের কয়েক হাজার সমর্থক ওই গ্রামে হামলা করে। এ ঘটনায় তারা  ৮৮ টি  বাড়িঘর ও ৭/৮ টি পারিবারিক মন্দির ভাঙচুর করে।  যখন দেশে স্বাধীনতার ৫০ বছর অনেক আনন্দের সাথে উদযাপন করা হচ্ছে তখন এই দেশের হিন্দু সম্প্রদায়ের উপর এই বর্বর, অমানবিক, ন্যক্কারজন ঘটনার মাধ্যমে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টির অপচেষ্টায় বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ গভীর উদ্বেগ, তীব্র নিন্দা  ও ক্ষোভ প্রকাশ করছে।</p> <p>এতে বলা হয়, আমরা আরও জানতে পারলাম যে বিগত কয়েকদিন ধরেই ওই এলাকায় ওয়াজ মাহফিলে হিন্দু সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে কটাক্ষ করে কথা বলা হচ্ছিল। বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ এই ঘটনাগুলোর পেছনের কারণ উদঘাটন, কেন বার বার  এই ধরনের ঘটনা ঘটছে, কারা এর মদদ দাতা তা তদন্তের পাশাপাশি এই ঘটনার দ্রুত, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্ত সাপেক্ষে দোষী ব্যক্তিদের সনাক্তকরণ ও  আইনের আওতায় এনে উপযুক্ত শাস্তির দাবি জানাচ্ছে।  একই সাথে হামলার শিকার পরিবারকে সব রকম সহায়তা ও তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দাবী জানাচ্ছে।</p> <p>মহিলা পরিষদ বিবৃতিতে বলে, আমাদের ঐতিহ্যকে রক্ষা ও মানবিক সংস্কৃতি প্রতিষ্ঠার জন্য বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ হিন্দু, খৃষ্টান, মুসলমান, বৌদ্ধ, আদিবাসী সকল সম্প্রদায়ের মানুষ সহ সমগ্র জাতিকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে দাঁড়িয়ে যার যার অবস্থান থেকে সচেতন, আন্তরিক, দায়িত্বশীল, দায়বদ্ধ ও উদ্যোগী ভূমিকা পালনের আহ্বান জানাচ্ছে। একই সাথে ওয়াজ মাহফিলে অন্য ধর্মাবলম্বী মানুষ  ও নারীদের বিরুদ্ধে যে বক্তব্য প্রচার করা হয় তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার জোর দাবি জানায় মহিলা পরিষদ।</p>