<p>একুশে পদক ও স্বাধীনতা পুরস্কারপ্রাপ্ত খ্যাতিমান চিত্রশিল্পী মুর্তজা বশীরের মৃত্যু দেশের শিল্প ও সংস্কৃতি জগতের জন্য এক অপূরণীয় ক্ষতি বলে মন্তব্য করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ।</p> <p>আজ শনিবার (১৫ আগস্ট) এ বরেণ্য চিত্রশিল্পীর মৃত্যুতে দেওয়া শোক বার্তায় এ মন্তব্য করেন রাষ্ট্রপতি।</p> <p>রাষ্ট্রপতি বলেন, মুর্তজা বশীরের মৃত্যু দেশের শিল্প ও সংস্কৃতি জগতের জন্য এক অপূরণীয় ক্ষতি। তাঁর সৃষ্টি ও কর্ম তরুণ প্রজন্মের জন্য চিরকাল অনুপ্রেরণার উৎস হয়ে থাকবে। তিনি মুর্তজা বশিরের রুহের মাগফিরাত কামনা করেন এবং তাঁর শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।</p> <p>রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালের নিবিড় পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ শনিবার (১৫ আগস্ট) মৃত্যুবরণ করেন মুর্তজা বশীর। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৮৮ বছর৷</p> <p>গত বৃহস্পতিবার (১৪ আগস্ট) দিবাগত রাত দেড়টার দিকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালের মেডিক্যাল ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটে (এমআইসিইউ) ভর্তি করা হয় মুর্তজা বশীরকে। গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় এভারকেয়ার হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানায়, মুর্তজা বশীরের শরীরে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। তিনি হৃদরোগ, ফুসফুস ও কিডনি জটিলতায়ও ভুগছিলেন।</p> <p>ভাষাবিদ ড. মুহাম্মদ শহীদুল্লাহর ছেলে চিত্রশিল্পী মুর্তজা বশীর ১৯৩২ সালের ১৭ আগস্ট ঢাকায় জন্মগ্রহণ করেন। চিত্রকলায় গুরুত্বপূর্ণ অবদানের জন্য ১৯৮০ সালে একুশে পদক পান তিনি। একই কাজে স্বাধীনতা পুরস্কার পান ২০১৯ সালে। কর্মজীবনে তিনি দীর্ঘদিন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা বিভাগের অধ্যাপক ও চেয়ারম্যান হিসেবে কর্মরত ছিলেন। </p> <p>বাংলাদেশে বিমূর্ত ধারার চিত্রকলার অন্যতম পথিকৃৎ মুর্তজা বশীরের 'দেয়াল', 'শহীদ শিরোনাম', 'পাখা', 'রক্তাক্ত ২১শে' শিরোনামের চিত্রকর্মগুলো বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। </p>