<p>প্রেমিকাকে না পেয়ে তার স্বামী মাদারীপুরের সরকারি নাজিম উদ্দিন বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ ও মাদারীপুর বঙ্গবন্ধু ল‘ কলেজের ছাত্র অহিদুজ্জামানকে হত্যার অভিযোগে প্রেমিকসহ চারজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে দণ্ডিত করেছেন ট্রাইব্যুনাল।</p> <p>গতকাল বুধবার ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইবুনাল তৃতীয় আদালতের বিচারক মনির কামাল মামলার রায় ঘোষণা করেন।</p> <p>দণ্ডিতদের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের পাশাপাশি প্রত্যেকের ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। অনাদায়ে অতিরিক্ত দুই মাস কারাভোগ করতে হবে। </p> <p>দণ্ডিত লেনিন বেপারী, শাহাবুদ্দিন দর্জি ও এম এম ফয়সাল আহমেদ কারাগারে ছিলেন। রায় ঘোষণার আগে তাদের কারাগার থেকে ট্রাইব্যুনালে নিয়ে আসা হয়। রায় ঘোষণার পর তাদের সাজা পরোয়ানা দিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। ইতিপূর্বে আসামিদের মামলায় হাজতবাস প্রদত্ত দণ্ডের মেয়াদ হতে বাদ যাবে। </p> <p>এছাড়া দণ্ডিত পলাতক আসামি রেজাউল বেপারী আত্মসমর্পণ কিংবা গ্রেপ্তার হওয়ার পর থেকে দণ্ড কার্যকর হবে বলে রায়ের আদেশে বলা হয়েছে।</p> <p>পলাতক থাকা আরেক আসামি মহিউদ্দিন দর্জির বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাকে খালাস দেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে মামলার বিচার চলাকালে সেলিম মারা যায়।<br /> মামলার বিবরণে জানা যায়, বিচার চলাকালে চার্জশিটভুক্ত ৪২ জনের মধ্যে ২২ জন সাক্ষি দিয়েছেন। এর আগে ২০১৬ সালের ২৭ নভেম্বর আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করার পর আনুষ্ঠানিকভাবে বিচার শুরু হয়। <br />  <br /> ২০১৪ সালের ২২ নভেম্বর গোয়েন্দা পরিদর্শক মদন মোহন বণিক ছয়জনকে আসামি করে চার্জশিট দাখিল করেন।</p> <p>চার্জশিটে বলা হয়, অহিদুজ্জামান তিথি নামে যে মেয়েকে বিয়ে করেছিলেন তাকে ভালোবাসতেন আসামি রেজাউল ব্যাপারী। প্রেমিকাকে না পেয়ে অহিদুজ্জামানকে মেরে ফেলার পরিকল্পনা করেন রেজাউল। ২০১৩ সালের ৬ মার্চ রেজাউল তার লোকজনকে দিয়ে কৌশলে অহিদুজ্জামানকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যায়।</p> <p>এরপর মানিকগঞ্জের সিঙ্গাইরে নিয়ে ভুট্টা খেতে তাকে শ্বাসরোধে হত্যা করেন। ওই ঘটনায় সিঙ্গাইর থানার এসআই আ. ছালাম বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। গ্রেপ্তার হওয়ার পর আসামি লেনিন বেপারী, শাহাবুদ্দিন দর্জি ও সেলিম অপরাধ স্বীকার করে আদালতে ফৌজদারী কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। </p>