<p>স্বাভাবিক সম্পর্ক চুক্তির আড়ালে ম্যধপ্রাচ্যে মানবতালঙ্ঘনকারীদের কাছে সমরাস্ত্র বিক্রির জন্য ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসনের তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের হাউজ অব রিপ্রেজেন্টেটিভ সদস্য কংগ্রেস প্রতিনিধি ইলহান ওমর।</p> <p>যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদ মাধ্যম সাপ্তাহিক দ্য ন্যাশন-এ প্রকাশিত এক নিবন্ধে ওমর বলেন, ট্রাম্প ঘোষিত চুক্তি পরিবর্তন এবং আঞ্চলিক সংঘাতে ইরান ও অন্য কারো পক্ষাবলম্বন না করার সুবর্ণ সুযোগ এসেছে নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের।</p> <p>প্রকশিত নিবন্ধে ওমর আরো বলেন, ‘স্বৈরশাসকের পক্ষে নেওয়ার বদলে আমাদের উভয়ের কাছ থেকে সমান দূরুত্ব বজায় রাখা দরকার। আমাদের জাতীয় নিরাপত্তা, মানাবধিকার ও গণতন্ত্রের ভিত্তিতে আমাদের স্বার্থ রক্ষায় কাজ করতে হবে।’</p> <p>নভেম্বর নির্বাচনকে সামনে রেখে ট্রাম্প প্রশাসন ইসরায়েলের সঙ্গে আরব রাষ্ট্রের স্বাভাবিক সম্পর্ক চুক্তির পৃষ্ঠপোষকতা করে। এতে আরব আমিরাত, বাহরাইন ও সুদান ইসরায়েলের সঙ্গে স্বাভাবিক সম্পর্ক চুক্তির ঘোষণা দেয়। ইসরায়েলের সঙ্গে স্বাভাবিক সম্পর্কের পর যুক্তরাষ্ট্র আমিরাতের কাছে এফ-৩৫ যুদ্ধবিমানসহ ২৩ বিলিয়ন ডলার অস্ত্র বিক্রয়ের কথা জানায়।</p> <p>ইরানের বিরুদ্ধে সামরিক জোট গঠনের প্রচেষ্টায় ট্রাম্পের সমালোচনা করেন ওমর। অন্যদিকে ইয়েমেনে সৌদি আরবের অবৈধ হস্তক্ষেপ, লিবিয়ায় আমিরাতের সামরিক ভূমিকা এবং বিরোধী দল দমনে বাহরাইনের বিরুদ্ধে নীরব ভূমিকা পালন করে।</p> <p>ইলহান ওমর বলেন, ইসরায়েলের দখলদার বাহিনীর কতৃত্ব বজায় থাকলে স্বাভাবিক সম্পর্ক লাখ লাখ ফিলিস্তিনিদের কী কাজে আসবে? মূলত স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র গঠন বাদ দিয়ে মূলত তারা ইসরায়েলের দখলদারিত্বকে স্বাভাবিক করে তুলেছে। তা মূল ইসরায়েলের জন্য শান্তি প্রতিষ্ঠা করবে। ফিলিস্তিনিদের যন্ত্রণা আরো বাড়াবে।’</p> <p>ইলহান ওমর আরো বলেন, ‘ফিলিস্তিনিদের দুঃখ-কষ্টকে উপেক্ষা আমাদের মৌলিক মূল্যবোধের পরিপন্থী। দ্রুততর সময়ে পূর্ণ মানবাধিকার ও স্বাধীকার নিশ্চিত করে ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনের মধ্যে দ্বিরাষ্ট্রীয় সমাধানের আহ্বান করা আমাদের কর্তব্য।’</p> <p>ইসরায়েলের সঙ্গে আমিরাতের স্বাভাবিক সম্পর্কের ঘোষণার পর প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এটিকে সমর্থন জানিয়েছিলেন। উভয় দেশের এ সম্পর্ককে তিনি ‘মধ্যপ্রাচ্যে গভীর বিভক্তির মধ্যে সম্পর্ক তৈরির ঐতিহাসিক পদক্ষেপ’ বলে আখ্যায়িত করেছিলেন।  </p> <p>সূত্র : মিডল ইস্ট আই</p>