ইসলামী অর্থব্যবস্থা কী?
উত্তর : যে অর্থব্যবস্থা ইসলামী শরিয়া অর্থাৎ কোরআন ও হাদিস শরিফ অনুযায়ী পরিচালিত হয়, তাকে ইসলামী অর্থব্যবস্থা বলে।
৯। নির্দেশমূলক অর্থনীতি কী?
উত্তর : যে অর্থনীতিতে সব অর্থনৈতিক কার্যক্রমের সিদ্ধান্ত কেন্দ্রীয় কর্তৃপক্ষ দ্বারা
গৃহীত হয়, তাকে নির্দেশমূলক অর্থব্যবস্থা
বলে।
১০। ধনতান্ত্রিক অর্থব্যবস্থা কী?
উত্তর : যে অর্থব্যবস্থায় সরকারি হস্তক্ষেপ ছাড়া ব্যক্তিস্বাধীনতা বজায় থাকে এবং বাজারপ্রক্রিয়ার মাধ্যমে দাম নির্ধারিত হয়, তাকে ধনতান্ত্রিক অর্থব্যবস্থা বলে।
দ্বিতীয় অধ্যায় : ভোক্তা ও উৎপাদকের আচরণ
১। উপযোগ কাকে বলে?
উত্তর : উপযোগ হলো কোনো দ্রব্যের এমন গুণ বা ক্ষমতা, যা মানুষের অভাব পূরণ করতে পারে।
২। প্রান্তিক উপযোগ কাকে বলে?
উত্তর : কোনো দ্রব্যের অতিরিক্ত এক একক ভোগ করলে অতিরিক্ত যে উপযোগ পাওয়া যায়, তাকে প্রান্তিক উপযোগ বলে।
৩। চলক কী?
উত্তর : গণিতশাস্ত্রে যেসব রাশির মান পরিবর্তনশীল, তাকে চলক বলে।
৪। ধ্রুবক কী?
উত্তর : গণিতশাস্ত্রে যেসব রাশির মান স্থির, তাকে ধ্রুবক বলে।
৫। অপেক্ষক কী?
উত্তর : দুই বা ততোধিক চলকের মধ্যে যে সম্পর্ক তার গাণিতিক প্রকাশকে অপেক্ষক বলে।
৬। চাহিদা কী?
উত্তর : একটি নির্দিষ্ট সময় একটি নির্দিষ্ট দামে একজন ভোক্তা যে পরিমাণ দ্রব্যসামগ্রী ও সেবা ক্রয় করতে প্রস্তুত, তাকে চাহিদা বলে।
৭। জোগান কী?
উত্তর : একটি নির্দিষ্ট সময় নির্দিষ্ট দামে একজন বিক্রেতা যে পরিমাণ দ্রব্যসামগ্রী ও সেবা বিক্রি করতে প্রস্তুত, তাকে জোগান বলে।
৮। ঢাল কাকে বলে?
উত্তর : স্বাধীন চলকের পরিবর্তনের ফলে অধীন চলকের যে পরিবর্তন হয়, এই দুইয়ের অনুপাতকে ঢাল বলে।
৯। চাহিদাবিধি কী?
উত্তর : অন্যান্য অবস্থা অপরিবর্তিত থেকে দ্রব্যের দাম বাড়লে চাহিদার পরিমাণ কমে এবং দাম কমলে চাহিদার পরিমাণ বাড়ে, দাম ও চাহিদার মধ্যে এই বিপরীতমুখী সম্পর্ককে চাহিদাবিধি বলে।
১০। জোগানবিধি কী?
উত্তর : অন্যান্য অবস্থা অপরিবর্তিত থেকে দ্রব্যের দাম বাড়লে জোগানের পরিমাণ বাড়ে এবং দাম কমলে জোগানের পরিমাণ কমে, দাম ও জোগানের মধ্যে এই সরাসরি সম্পর্ককে জোগানবিধি বলে।
১১। চাহিদার দাম স্থিতিস্থাপকতা কী?
উত্তর : অন্যান্য অবস্থা অপরিবর্তিত থেকে দ্রব্যের দামের শতকরা পরিবর্তনের ফলে চাহিদার পরিমাণের যে শতকরা পরিবর্তন হয়, এই দুইয়ের অনুপাতকে চাহিদার দাম স্থিতিস্থাপকতা বলে।
১২। বাজার ভারসাম্য কী?
উত্তর : বাজারে চাহিদা ও জোগানের যখন সমতা হয়, তখন বাজার ভারসাম্য অর্জিত হয়।
তৃতীয় অধ্যায় : উৎপাদন, উৎপাদন ব্যয় ও আয়
১। উৎপাদন কী?
উত্তর : কোনো দ্রব্যের উপযোগ সৃষ্টি করাকে উৎপাদন বলে।
২। উৎপাদন অপেক্ষক কী?
উত্তর : উপকরণের সঙ্গে উৎপাদনের যে সম্পর্ক তার গাণিতিক প্রকাশকে উৎপাদন অপেক্ষক বলে।
৩। প্রান্তিক উৎপাদন কী?
উত্তর : অতিরিক্ত এক একক উপকরণ নিয়োগের ফলে অতিরিক্ত যে উৎপাদন পাওয়া যায়, তাকে প্রান্তিক উৎপাদন বলে।