<article> <p style="text-align: justify;">বাংলাদেশ ব্যাংক আগামী ছয় মাসের, অর্থাৎ জানুয়ারি থেকে জুন সময়ের জন্য মুদ্রানীতি ঘোষণা করেছে। এই মুদ্রানীতিকে আনুষ্ঠানিকভাবে সংকোচনের মুদ্রানীতি হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংক বছরে দুইবার তাদের মুদ্রানীতি ঘোষণা করে থাকে, যা অর্থনৈতিক অস্থিরতার সময় ভালো কাজ করার কথা। সেদিক থেকে বাংলাদেশ ব্যাংকের এটি একটি ভালো উদ্যোগ।</p> </article> <article> <p style="text-align: justify;">তা ছাড়া বছরে দুইবার মুদ্রানীতি ঘোষণা করলেও জানুয়ারি মাসে যে মুদ্রানীতি ঘোষণা করা হয়, তার গুরুত্ব অপেক্ষাকৃত অনেক বেশি। কেননা বছরের প্রথম ছয় মাসের জন্য প্রণীত মুদ্রানীতি সরকারের ফিসক্যাল পলিসি বা বাজেট বাস্তবায়নের ওপর যথেষ্ট প্রভাব ফেলে। কারণ বছরের প্রথম ছয় মাস সরকারের বাজেট বা ফিসক্যাল পলিসি বাস্তবায়নের শেষ সময়। সরকারের বাজেট বাস্তবায়নকে সমর্থন করার বিষয়টি বিবেচনায় রেখে বছরের প্রথম ছয় মাসের জন্য মুদ্রানীতি ঘোষণা করতে হয়।</p> </article> <article> <p style="text-align: justify;">ফলে এবারের মুদ্রানীতির যে বিশেষ গুরুত্ব থাকবে, এটাই স্বাভাবিক।</p> <p style="text-align: justify;">বাংলাদেশ ব্যাংককে এবার এক বিশেষ মুহূর্তে এই মুদ্রানীতি প্রণয়ন করতে হয়েছে। কেননা মাত্রই জাতীয় নির্বাচন শেষে নতুন সরকারের যাত্রা শুরু হয়েছে। সরকারের ধারাবাহিকতা থাকলেও মন্ত্রিপরিষদের ধারাবাহিকতা সেভাবে নেই।</p> </article> <article> <p style="text-align: justify;">অর্থ মন্ত্রণালয়ের ধারাবাহিকতা তো একেবারেই নেই। এখন নতুন মন্ত্রী এই মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পেয়েছেন। তিনি আগামী দিনে ফিসক্যাল পলিসি কিভাবে বাস্তবায়ন করবেন, বাজেট বাস্তবায়ন কিভাবে শেষ করবেন এবং সরকারের শুরুতে কেমন মুদ্রাবাজার চান—সেসব বিষয় জানার সুযোগ বাংলাদেশ ব্যাংক পায়নি; যদিও বাংলাদেশ ব্যাংকের স্বাধীনভাবে মুদ্রানীতি প্রণয়ন করার কথা, কিন্তু তার পরও সরকারের, বিশেষ করে অর্থ মন্ত্রণালয়ের অগ্রাধিকারের বিষয়গুলো বিবেচনায় নিয়েই দেশের মুদ্রানীতি প্রণয়ন করতে হয়। সেদিক থেকে বাংলাদেশ ব্যাংক এবার মুদ্রানীতি প্রণয়নের সময় একটি ভিন্ন বাস্তবতার মধ্যে ছিল।</p> <p style="text-align: justify;"><img alt="মুদ্রানীতি বাস্তবায়নে নীতি সুদ হারের কার্যকারিতা" height="435" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/share/photo/shares/1.Print/2024/january/23-01-2024/Untitled-1%20(1).jpg" width="490" />এবারের মুদ্রানীতিতে নীতি সুদ হার ২৫ বেসিস পয়েন্টস বৃদ্ধি করে ৭.৭৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৮ শতাংশ করা হয়েছে।</p> </article> <article> <p style="text-align: justify;">বিপরীত নীতি সুদ হার ৫.৭৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৬.৫০ শতাংশ করা হয়েছে। পক্ষান্তরে বিশেষ নীতি সুদ হার ৯.৭৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৯.৫০ শতাংশ করা হয়েছে। নীতি সুদ হারের সর্বোচ্চ এবং সর্বনিম্ন সীমার মধ্যকার ব্যবধান ২০০ বেসিস পয়েন্টস থেকে কমিয়ে ১৫০ বেসিস পয়েন্টস নির্ণয় করা হয়েছে। অর্থাৎ আগামী ছয় মাসের জন্য নীতি সুদ হারের সঙ্গে ১৫০ বেসিস পয়েন্টস যোগ করে এসএলএফ (স্ট্যান্ডিং লেন্ডিং ফ্যাসিলিটি) সুদহার এবং ১৫০ বেসিস পয়েন্টস বিয়োগ করে এসডিএফ (স্ট্যান্ডিং ডিপোজিট ফ্যাসিলিটি) সুদহার নির্ধারণ করা হবে। লক্ষণীয় বিষয় হচ্ছে আমাদের দেশের মুদ্রানীতিতে কয়েক ধরনের নীতি সুদ হার ব্যবহার করা হয়ে থাকে; যেমন—নীতি সুদ হার, বিপরীত নীতি সুদ হার, বিশেষ নীতি সুদ হার। এ রকম বিভিন্ন ধরনের নীতি সুদ হার আর কোনো দেশের মুদ্রানীতিতে ব্যবহৃত হয় কি না, আমার জানা নেই। ফেডারেল রিজার্ভসহ কানাডা এবং ইউরোপের বিভিন্ন দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নীতি সুদ হার বা বেঞ্চমার্ক রেট সংক্রান্ত যেসব পরিপত্র বা ঘোষণা জারি করা হয়, সেখানে একটিমাত্র নীতি সুদ হারের উল্লেখই আমরা দেখতে পাই। আমাদের দেশের মতো অর্থনীতিতে এ রকম বিভিন্ন ধরনের নীতি সুদ হার কতটা কাজ করবে বা কিভাবেই বা কাজ করবে, তা আমাদের মতো সাধারণ মানুষের বোঝার সামর্থ্যের বাইরে।</p> <p style="text-align: justify;">নীতি সুদ হারে মাত্র ২৫ বেসিস পয়েন্টস বৃদ্ধি করে সংকোচন মুদ্রা নীতি বাস্তবায়ন এবং মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ করা বেশ কঠিন, বলা চলে প্রায় অসম্ভব। তাত্ত্বিকভাবে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের একমাত্র গ্রহণযোগ্য অস্ত্র হচ্ছে এই নীতি সুদ হার। কিন্তু সে জন্য সুশৃঙ্খল এবং মানসম্পন্ন মুদ্রাবাজার থাকতে হয়। মুদ্রাবাজার হতে হবে ম্যাচিউরড, যেখানে স্টক মার্কেট, বন্ড মার্কেট এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠান একযোগে কাজ করে। কেননা নীতি সুদ হারের সঙ্গে বন্ড মার্কেটের ইন্ডের হ্রাস-বৃদ্ধির ব্যাপার জড়িত থাকে। যখন সুদের হার বৃদ্ধি পায়, তখন বন্ডের দাম পড়ে যায় এবং ইন্ড বেড়ে যায়। ফলে মানুষ তখন বন্ডে ব্যাপক হারে বিনিয়োগ করে, যা বাজারে মুদ্রা সরবরাহ সংকোচন করে থাকে। ঠিক উল্টো অবস্থা বিরাজ করে যখন সুদের হার হ্রাস করা হয়। যুক্তরাষ্ট্রসহ উন্নত বিশ্বে এই নীতি সুদ হার প্রয়োগ করেই সংকোচন মুদ্রা নীতি বাস্তবায়ন এবং মুদ্রাস্ফীতির রাশ টেনে ধরা সম্ভব হয়। কারণ সেখানে আছে ম্যাচিউরড এবং স্ট্র্যাকচারড মুদ্রাবাজার। আমাদের দেশ ম্যাচিউরড এবং স্ট্যাকচারড মুদ্রাবাজার থেকে অনেক পেছনে। তাই এই নীতি সুদ হারের প্রয়োগ যে খুব একটা কার্যকর ভূমিকা রাখে না, তা অতীতে বেশ ভালোই প্রত্যক্ষ করা গেছে।</p> <p style="text-align: justify;">নীতি সুদ হারের মতো বৈদেশিক মুদ্রার বা ডলারের বিনিময় হার নির্ধারণের ক্ষেত্রে এক অভিনব পদ্ধতির কথা উল্লেখ করা হয়েছে এবং তা হচ্ছে ক্রলিং পেগ। ডলারের নতুন এই বিনিময় হার শুনতে শ্রুতিমধুর হলেও বুঝতে মোটেই সহজ নয়। পেশাগত কাজে বৈদেশিক লেনদেনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট থাকা সত্ত্বেও এই টার্মটি বুঝে উঠতে যথেষ্ট বেগ পেতে হয়েছে। জানি না, বাংলাদেশের ব্যাংকাররা এই ক্রলিং পেগ সম্পর্কে কতটা ধারণা রাখেন। আমি বিষয়টি ভালোভাবে জানার জন্য দেশের বেশ কয়েকজন ব্যাংকারের সঙ্গে কথা বলেছি। কিন্তু কেউই আমাকে এই ক্রলিং পেগ সম্পর্কে ভালো ধারণা দিতে পারেননি। এ রকম একটি জটিল এবং দুর্বোধ্য পদ্ধতির প্রচলন করে দেশে ডলারের বিনিয়ম হারের ঊর্ধ্বগতি কতটা আটকানো যাবে, তা আমার কাছে মোটেই বোধগম্য নয়।</p> <p style="text-align: justify;">অবশ্য ক্রলিং পেগ পদ্ধতিটি বেশ অভিনব। কারণ এর মাধ্যেম পূর্বনির্ধারিত একটি রেঞ্জের মধ্যে ডলারের মূল্য ওঠানামা করার সুযোগ করে দেওয়া হয়। ডলারের নির্দিষ্ট একটি বিনিময়মূল্য নির্ধারণ করে দেওয়ার পরিবর্তে একটি সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন বিনিময়মূল্য নির্ধারণ করা হয় এবং এই দুইয়ের মধ্যে যেকোনো মূল্যে ডলার কেনাবেচা করা সম্ভব হবে। ক্রলিং পেগ পদ্ধতি চালু করলে ডলারের মূল্য জোর করে বেঁধে দেওয়ার অভিযোগ থেকে হয়তো কিছুটা রক্ষা পাওয়া যাবে, কিন্তু ডলার সংকটের সমাধান এবং ডলারের বিপরীতে টাকার দরপতন ঠেকানো সম্ভব হবে বলে মনে হয় না। কেননা সংকটের সমাধান করতে হলে সমস্যার মূলে হাত দিতে হবে। অর্থাৎ ডলারের সরবরাহ বৃদ্ধি করতে হবে। যেখানে বছরে রপ্তানির চেয়ে আমদানির পরিমাণ প্রায় ১৫ থেকে ২০ বিলিয়ন ডলার বেশি থাকে, সেখানে ডলারের চাহিদার ওপর প্রচণ্ড চাপ থাকবে, এটাই স্বাভাবিক। ডলারের সরবরাহ ও জোগানের মধ্যকার বিশাল পার্থক্যের কারণে ডলারের মূল্যের ঊর্ধ্বগতি থাকবে এবং এই ঊর্ধ্বগতি ক্রলিং পেগ বা অন্য কোনো পদ্ধতির বিনিময় হার ব্যবহার করে সামাল দেওয়া যাবে না। প্রয়োজন আমদানি কমিয়ে রাখা এবং রপ্তানি বৃদ্ধিসহ ডলার সরবরাহের ওপর সর্বাধিক গুরুত্ব দেওয়া। আর এই কাজ মুদ্রানীতি দিয়ে অর্জন করা সম্ভব নয়। এ জন্য বিশেষ কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। আর এই লক্ষ্য যত দিন অর্জিত না হয়, তত দিন ডলারের বিনিময় হার ফ্রি করে দেওয়া বা বাজারব্যবস্থার ওপর সম্পূর্ণ ছেড়ে দেওয়ার কোনো সুযোগ নেই। তবে বিভিন্ন ধরনের বিনিময় হারের পরিবর্তে একক বিনিময় হার প্রচলন করে প্রতি এক বা দুই মাস অন্তর সমন্বয় করার উদ্যোগ নেওয়া যেতে পারে।</p> <p style="text-align: justify;">এই মুদ্রানীতিকে সংকোচন মুদ্রা নীতি হিসেবে দাবি করা হয়েছে। কারণ মুদ্রাবাজারে ঋণপ্রবাহ সীমিত করে দেওয়া হয়েছে। ২০২৪ সালের জুন মাসে বেসরকারি খাতে ঋণপ্রবাহ বৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা ১১ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১০ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়েছে। পক্ষান্তরে উল্লেখিত সময়ের জন্য সরকারি খাতে ঋণপ্রবাহ বৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা ৩১ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২৭.৮ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়েছে। ঋণপ্রবাহ সীমিত করার নীতি কার্যকর করতে পারলে দেশের মুদ্রাবাজারে অর্থের সরবরাহ যে হ্রাস পাবে, তাতে কোনো সন্দেহ নেই। ফলে মুদ্রা সংকোচন ঘটবে। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে, এই নীতি বাস্তবায়ন করা হবে কিভাবে। সরকারি ঋণের ক্ষেত্রে বিষয়টি সম্পূর্ণ নির্ভর করে সরকারের বাজেট বাস্তবায়নের ওপর। সরকার বাজেটের ঘাটতি মেটানোর জন্য ব্যাংকঋণ নিয়ে থাকে। যদি সরকারের বাজেটের উল্লেখযোগ্য অংশ বাস্তবায়িত না হয়, তাহলে হয়তো সরকারি খাতে ঋণপ্রবাহ এমনিতেই কমে যাবে। কিন্তু বাজেটের পূর্ণ বাস্তবায়ন সম্ভব না হলেও, যদি বেশির ভাগই বাস্তবায়িত হয়, তাহলে তো সরকারি খাতে ব্যাংকের ঋণপ্রবাহ আটকে রাখা সম্ভব হবে না। ফলে মুদ্রানীতির এই লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করা সম্ভব হবে না। বেসরকারি খাতে ঋণপ্রবাহের বিষয়টি আরো জটিল। কেননা বেসরকারি খাতে ঋণপ্রবাহ হয়ে থাকে বাণিজ্যিক ব্যাংকের ঋণ বিতরণের মাধ্যেম। বাণিজ্যিক ব্যাংকের ঋণ বিতরণ নিয়ন্ত্রিত হয় সঞ্চয় এবং ঋণের অনুপাতের মাধ্যমে। বাণিজ্যিক ব্যাংক তাদের আমানত বা সঞ্চয় বৃদ্ধি করে বেসরকারি খাতে ঋণদান খুব সহজেই অব্যাহত রাখতে পারে, যা এই খাতের ঋণপ্রবাহ হ্রাসের পরিবর্তে বৃদ্ধি করতে পারে। যদি অন্য কোনো বিধি-নিষেধ আরোপের সুযোগ না থাকে, সে ক্ষেত্রে মুদ্রানীতিতে ঘোষিত বেসরকারি খাতে ঋণপ্রবাহ হ্রাসের লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হবে কি না, তা নিয়ে যথেষ্ট সন্দেহ থাকাই স্বাভাবিক।</p> <p style="text-align: justify;">সত্যি বলতে কি, আমাদের দেশের মুদ্রাবাজারের যে অবস্থা, সেখানে নীতি সুদ হারের মতো আধুনিক মুদ্রানীতির ইনস্ট্রুমেন্ট প্রয়োগ করে কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্য অর্জন করা বেশ কঠিন। এতৎসত্ত্বেও দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংক হিসেবে বাংলাদেশ ব্যাংককে নিয়মিত একটি মুদ্রানীতি ঘোষণা করতেই হবে এবং সেই দৃষ্টিকোণ থেকেই বাংলাদেশ ব্যাংক আগামী ছয় মাসের জন্য মুদ্রানীতি ঘোষণা করেছে। বাজারে এর প্রভাব দেখার জন্য এখন আমাদের অপেক্ষা করতে হবে। বাস্তবতা হচ্ছে, দেশের মুদ্রাবাজারে প্রথমে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে এনে একে একটি ন্যূনতম মানসম্পন্ন ব্যবস্থার ওপর দাঁড় করাতে হবে। তারপর বিভিন্ন প্রকারের নীতি সুদ হারের পরিবর্তে একটিমাত্র খুবই সাধারণ নীতি সুদ হার চালু রাখার ব্যবস্থা করতে হবে। বাংলাদেশ ব্যাংকের যদি বিভিন্ন ধরনের ইনস্ট্রুমেন্ট বা আর্থিক সুযোগ থাকে; যেমন—রেপো, রিভার্স রেপো, সে ক্ষেত্রে ভিন্ন ধরনের সুদের হার ব্যবহার করা যেতে পারে, তবে অবশ্যই নীতি সুদ হার নয়। এর পাশাপাশি দেশের ব্যাংকিং খাতে ঝুঁকিভিত্তিক ঋণের সুদ চালু করতে হবে। মানসম্পন্ন মুদ্রাবাজার গড়ে তোলার স্বার্থে দেশে খুব দ্রুত কার্যকর একটি বন্ড মার্কেট চালু করা প্রয়োজন। এসব পদক্ষেপের মাধ্যমে দেশের মুদ্রাবাজারকে একটি সুশৃঙ্খল এবং মানসম্পন্ন ভিত্তির ওপর দাঁড় করাতে পারলেই নীতি সুদ হারসহ অন্যান্য আধুনিক ইনস্ট্রুমেন্টের মাধ্যেম প্রণীত মুদ্রানীতি দিয়ে দেশের মুদ্রাবাজার নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হবে।</p> <p style="text-align: justify;"><strong>লেখক : </strong>সার্টিফায়েড অ্যান্টি মানি লন্ডারিং স্পেশালিস্ট ও ব্যাংকার, টরন্টো, কানাডা</p> <p style="text-align: justify;">nironjankumar_roy@yahoo.com</p> </article>