<p>রোদ, দূষণ, অস্বাস্থ্যকর জীবনযাপন, অপর্যাপ্ত ঘুম এবং মানসিক চাপ অপনার ত্বক নষ্ট করে দেয়। আস্তে আস্তে করে তোলে অমসৃণ, রুক্ষ, শুষ্ক। যার ফলে খুব দ্রুত বয়সের ছাপ পড়ে যায়। </p> <p>বয়সের ছাপের মধ্যে পড়ে ত্বকের রং পরিবর্তন, শুষ্ক ত্বক, বলিরেখা, লোমকূপ বড় হয়ে যাওয়া ইত্যাদি। সমস্যাগুলো দূর করতে বাজারে রয়েছে বিভিন্ন ধরনের প্রসাধনী। এর চাহিদাও অনেক। </p> <p>অ্যান্টি এজিং ক্রিম এক ধরনের প্রসাধনী, যা আপনার মুখের বয়সের ছাপ পড়া এবং বলিরেখা নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে। আলফা এবং বিটা হাইড্রক্স উপাদান, রেটিনল এবং ভিটামিন এ এবং সি সবই অ্যান্টি এজিং পণ্যগুলোতে উপস্থিত থাকে। এই ক্রিমের ব্যবহার আপনার হারানো মসৃণ এবং উজ্জ্বল ত্বক ফিরে পেতে সাহায্য করবে। </p> <p>ভারতের সৌন্দর্য্বিশেষজ্ঞ শাহনাজ হোসেন জানিয়েছেন, কখন অ্যান্টি এজিং ক্রিম ব্যবহার শুরু করবেন। আরো জানিয়েছেন এর উপকারিতা সম্পর্কে।</p> <p><strong>সঠিক বয়স</strong><br /> সাধারণত বিশের কোঠার শেষে এবং ত্রিশের শুরুতে অ্যান্টি এজিং ক্রিম ব্যবহার করতে বলা হয়। কয়েক বছর আগে থেকেই আপনি বয়সের ছাপ আপনার মুখে দেখতে পাবেন। তখন থেকেই যদি ব্যবহার শুরু করেন তবে এই বয়সের ছাপটা ধীর ধীরে আসবে। সঠিক নিয়ম এবং স্বাস্থ্যকর অভ্যাস আপনার বয়স কমিয়ে দেবে বহুগুণ।</p> <p><strong>অ্যান্টি এজিং ক্রিমের উপকারিতা-</strong><br /> ১. নিয়মিত ব্যবহারে ত্বক হাইড্রেট এবং টানটান করে। শুষ্কতা দূর করে। অ্যান্টি এজিং ক্রিমে সিড অয়েল থাকে, যা ত্বক ঝুলে যাওয়া থেকে রক্ষা করে।</p> <p>২. মুখের দাগ, বিবর্ণতা থকে রক্ষা করে ত্বক উজ্জ্বল ও সতেজ করে আপনার আত্মবিশ্বাস বাড়িয়ে দেবে।</p> <p>৩. বেশির ভাগ অ্যান্টি এজিং ক্রিমে এসপিএফ ১৫ থাকে। এই সানস্ক্রিন আপনার ত্বককে 'ইউভি এ' এবং 'ইউভি বি' রশ্মি থেকে রক্ষা করে। বয়সের দাগ এবং বিবর্ণতা প্রতিরোধ করে। এটিতে সাধারণত ভিটামিন 'ই' এবং 'সি'-এর মতো অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট থাকে, যা ত্বকের ক্ষতিকারক কোষগুলোর বিরুদ্ধে কাজ করে।</p> <p>সূত্র : টাইমস অব ইন্ডিয়া।</p>