মুশকান জুবেরির রেস্টুরেন্ট বিখ্যাত হয়েছে দুটি কারণে। প্রথম কারণের নাম- ‘রবীন্দ্রনাথ এখানে কখনো খেতে আসেননি’। রবীন্দ্রনাথের নাম কোথাও জড়িয়ে থাকলে আমাদের বাঙালির আবেগ মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে। নামটা যিনি দিয়েছেন, তাঁর উন্নত রুচির প্রশংসা করি, সেখানে একবার ঢুঁ মারার চেষ্টা করি।
প্যারাডক্স
মুশকান জুবেরির রেস্তোরাঁ
আবদুল গাফফার

পুলিশের ডিটেকটিভ নূরে সফা এসেছেন, কী তদন্ত করতে, আতর আলী জানে না। আতর আলীকে এলাকার লোক বলে বিবিসি। নিশ্চিন্তপুরে যত লোকের বাস, তাদের হাঁড়ির খবর, ঠিকুজিকুষ্ঠী পর্যন্ত আতর আলীর জানা। এমনকি তাদের পাঁচ পুরুষের ইতিহাস পর্যন্ত আতর আলী বলে দিতে পারেন।
নিশ্চিন্তপুরে আবাসিক হোটেল আছে, সেখানে নূরে সফা উঠেছেন, কিন্তু খাওয়া-দাওয়াটা করতে চান ‘রবীন্দ্রনাথে’। এর পেছনে গূঢ় উদ্দেশ্য আছে, আপতত সেটা ভেঙে বললেন না আতর আলীকে। শুধু বললেন, ‘চল আতর আলী, খেয়ে আসি রবীন্দ্রনাথ থেকে।’
‘ওইহানে তো খাওন যাইব না স্যার!’ আতর আলী শঙ্কায় ফেলে দেয় নূরে সফাকে।
‘কেন?’ নূরে সফা জিজ্ঞেস করেন।
‘ওই বেডির রেস্তোরাঁয় কেউ যায় না, স্যার।’
‘যায় না কেন?’
‘সারক্ষণ ভিড় লাইগাই থাহে, স্যার। তাই কেউ যায় না।’
‘কেউ যদি না-ই যায়, তাহলে ভিড় কেন লাগে?’
আতর আলী মাথা চুলকায়, ভাবনায় পড়ে গেছে, ‘ঠিকই তো কইছেন স্যার, কেউ যদি না-ই যাইব, তাইলে ভিড় লাগে ক্যামনে? ভারি ভাবনায় ফালাইয়া দিলেন, স্যার?’
সম্পর্কিত খবর

গ্রাহককেন্দ্রিক অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করল বাংলালিংক
অনলাইন ডেস্ক

গ্রাহককেন্দ্রিক সেবা নিশ্চিতে প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করার মাধ্যমে নিজেদের ২০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন করেছে দেশের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় ডিজিটাল অপারেটর বাংলালিংক। দুই দশকের যাত্রায় ডিজিটাল বৈষম্য হ্রাসে এবং উদ্ভাবনী ও গ্রাহককেন্দ্রিক সেবার মাধ্যমে দেশজুড়ে ব্যবহারকারীদের অভিজ্ঞতা সমৃদ্ধ করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে প্রতিষ্ঠানটি।
উদযাপনের অংশ হিসেবে দীর্ঘদিন বাংলালিংকের সঙ্গে রয়েছেন এমন গ্রাহকদের সম্মান জানাতে নানা উদ্যোগ গ্রহণ করে অপারেটরটি। যার মধ্যে রয়েছে- ভ্রমণের সুযোগসহ বিশেষ অফার।
রবিবার (১৩ জুলাই) এর ধারাবাহিকতায় ২০ বছর পূর্তিতে গ্রাহকদের নিয়েই নানা আয়োজন করে বাংলালিংক।
গ্রাহকদের প্রতি কৃতজ্ঞতাস্বরূপ নিজেদের সবচেয়ে পুরোনো গ্রাহক ও তাদের প্রিয়জনদের পৃথিবীর দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত কক্সবাজারে ভ্রমণের যাওয়ার সুযোগ করে দেওয়া হয়। সেখানে প্রতিষ্ঠানটির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের আনন্দঘন সময় কাটান গ্রাহকেরা এবং বাংলালিংকের সঙ্গে নিজেদের যাত্রার স্মৃতিচারণা করেন।
উদযাপন এখানেই থেমে থাকেনি। বাংলালিংকের কর্মীরা গ্রাহকদের ফোন করে তাদের দীর্ঘদিনের আস্থা ও বাংলালিংকের সঙ্গে থাকার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন।
পাশাপাশি, বাংলালিংকের প্রতিনিধিরা কিছু গ্রাহকের সঙ্গে সরাসরি দেখা করেছেন।
বাংলালিংকের ২০ বছর পূর্তি উপলক্ষে প্রতিষ্ঠানটির চিফ করপোরেট ও রেগুলেটরি অ্যাফেয়ার্স অফিসার তাইমুর রহমান বলেন, ‘আমাদের সবকিছুর কেন্দ্রে রয়েছেন আমাদের গ্রাহকেরা। বাংলালিংকের দুই দশকের এই যাত্রা আমাদের গ্রাহকদের আস্থা, ভালোবাসা এবং ভবিষ্যতের পথে একসঙ্গে এগিয়ে যাওয়ার প্রতিফলন। এ মাইলফলক শুধুমাত্র বাংলালিংকের প্রবৃদ্ধির যাত্রাই নয়, বরং এটি একটি সম্মিলিত অগ্রযাত্রা ও সম্ভাবনার গল্প।

২০৪৫ সালের মধ্যে ৩ পেশা বাদে সবাই চাকরি হারাবে : গবেষক
অনলাইন ডেস্ক

এআই গবেষণায় উন্নতির সূচনালগ্ন থেকেই অনেকেই এমন আশঙ্কা করে আসছেন যে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা কি তাহলে সবার চাকরি কেড়ে নেবে? শুনতে অবিশ্বাস্য মনে হলেও এমনটাই সত্য বলছেন এআই গবেষকরা। এক এআই গবেষকের দাবি, ২০৪৫ সালের মধ্যেই মানুষের প্রায় সব কাজই কেড়ে নেবে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা। তবে থেকে যাবে তিনটি কাজ।
অ্যাডাম ডর নামের ওই বিশেষজ্ঞ ‘দ্য গার্ডিয়ান’-এর সঙ্গে কথা বলার সময় জানিয়েছেন, আগামী ২০ বছরের মধ্যে সব চাকরি হারাতে হবে।
ডরের হুঁশিয়ারি, ভাবতে পারেন এমন যন্ত্র ইতোমধ্যেই চলে এসেছে।
এদিকে এআই এর গডফাদার খ্যাত জিওফ্রে হিন্টন এই বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।
উল্লেখ্য, বিশ্ববাজারে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ব্যবহার যে ব্যাপকভাবে বেড়েছে, তা আলাদা করে বলার অপেক্ষা রাখে না। বিশেষজ্ঞদের দাবি, এর জেরে চাকরির বাজারে সংকট তৈরি হবে এটা ঠিক, তবে তার সঙ্গে চাকরির বিকল্প রাস্তাও খুলে যাবে, এটাও অস্বীকার করার জায়গা নেই।
সূত্র : সংবাদ প্রতিদিন

ক্রোমের জনপ্রিয়তা কমিয়ে দিতে পারে ওপেনএআইয়ের যে ব্রাউজার, কবে আসছে
অনলাইন ডেস্ক

চ্যাটজিপিটির তৈরিকারক প্রতিষ্ঠান ওপেনএআই নিয়ে আসছে নতুন ব্রাউজার। এআই চালিত এই ওয়েব ব্রাউজার লঞ্চ হওয়ার পূর্বেই গুগলের অন্যতম দাপুটে ব্রাউজার ক্রোমের বিরুদ্ধে বড়সড় চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিতে চলেছে। ব্রাউজারটি শুধু সার্ফিংয়ের অভিজ্ঞতাই বদলে দেবে না, বরং ব্যবহারকারীর পক্ষ থেকে নানা কাজ নিজে থেকেই করতে পারবে।
রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই এই ব্রাউজার বাজারে আসতে চলেছে বলে জানিয়েছে তিন ঘনিষ্ঠ সূত্র।
বিশ্বজুড়ে ৩ বিলিয়নেরও বেশি মানুষ বর্তমানে গুগল ক্রোম ব্যবহার করেন। ব্রাউজারটি গুগল প্যারেন্ট কম্পানি অ্যালফাবেট-এর বিজ্ঞাপন ব্যবসার একটি বড় অংশ। কারণ, ক্রোম ব্যবহারকারীর তথ্য সংগ্রহ করে টার্গেটেড বিজ্ঞাপন দেখাতে সাহায্য করে, যা কম্পানির রাজস্বের প্রায় তিন-চতুর্থাংশ।
কেমন হবে এই ব্রাউজার
সূত্র জানিয়েছে, ওপেনএআই-এর এই ব্রাউজার তৈরি হচ্ছে গুগলেরই ওপেন সোর্স প্ল্যাটফরম ক্রোমিয়ামের ওপর ভিত্তি করে। একই প্ল্যাটফরম ব্যবহার করে তৈরি হয় মাইক্রোসফট এজ এবং অপেরা মতো অন্যান্য ব্রাউজারও। নতুন ব্রাউজারে কম্পানিটির এআই এজেন্ট যেমন ওপারেটরকে সরাসরি কাজে লাগাতে পারবে। যা ব্যবহারকারীর হয়ে ফর্ম পূরণ করা, রিজারভেশন বুক করা কিংবা ই-মেইল লেখা—এই ধরনের কাজ করে দিতে পারবে।
গত বছর মার্কিন আদালত গুগলের বিরুদ্ধে অনলাইন সার্চে অবৈধ একচেটিয়া দখলের অভিযোগে রায় দিয়েছিলেন। মার্কিন বিচার বিভাগ ক্রোম বিক্রি করার নির্দেশনা দেওয়ার কথা জানায়। যদিও গুগল সেই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করতে চায়। এমন সময়ে ওপেনএআই-এর নিজস্ব ব্রাউজার আনার পরিকল্পনা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
প্রসঙ্গত, ওপেনএআই ইতোমধ্যেই অ্যাপলের প্রাক্তন ডিজাইন প্রধান জনি ইভ-এর এআই ডিভাইস স্টার্ট-আপ ‘আইও’ কিনে নিয়েছে।
সূত্র : দ্য ওয়াল

ইন্টারনেট ছাড়াই চলবে মেসেজ আদান-প্রদান, আসছে ভিন্ন এক প্ল্যাটফরম
অনলাইন ডেস্ক

বর্তমানে আমরা মেসেজ আদান-প্রদানের জন্য ইন্টারনেটের ওপরই ভরসা করে থাকি। মোবাইল নেটওয়ার্ক-নির্ভর সাধারণ মেসেজ পাঠানোর ব্যবস্থা এখন অতীত। কারণ মেসেজ এখন আর শুধুই শব্দনির্ভর নয়। এতে থাকে বহু ছবি, ভিডিও কিংবা লিংক বা অন্যান্য অ্যাটাচমেন্ট।
তবে এবার আসছে ভিন্নতর প্ল্যাটফরম। মেসেজ পাঠাতে মোটেই লাগবে না ইন্টারনেট! সামাজিক মাধ্যম টুইটার (বর্তমান এক্স)-এর উদ্ভাবক জ্যাক ডরসির হাত ধরেই বাজারে আসছে অ্যাপটি।
ইন্টারনেট নয়, ব্লুটুথ ব্যবহার করেই এখানে পাঠানো যাবে মেসেজ। তবে মেসেজ প্রাপককে থাকতে হবে প্রেরকের ৩০০ মিটারের মধ্যে। টরেন্ট যেভাবে দুই প্রান্তের মধ্যে সংযোগ স্থাপন করে তথ্য আদান-প্রদান করে সেভাবেই বিটচ্যাট ডেটা লেনদেন করবে।
কিভাবে কাজ করবে এই বিটচ্যাট
জানা যাচ্ছে স্টোর অ্যান্ড ফরোয়ার্ড মডেল হিসেবে কাজ করবে এই প্ল্যাটফর্ম। যতক্ষণ সেই ইউজার ‘অ্যাভলেবল’ থাকবেন ততক্ষণ মেসেজটি সেখানে স্টোর থাকবে। আর এ ক্ষেত্রে মেসেজ চালাচালি করতে কোনো ইন্টারনেট সংযোগ থাকার প্রয়োজন পড়বে না।
পাশাপাশি এ ক্ষেত্রে মেসেজ থাকবে ‘এন্ড টু এন্ড এনক্রিপ্টেড’। আর মেসেজ পাঠাতে কোনো ফোন নম্বর কিংবা ই-মেইল অ্যাড্রেস, কিছুই লাগবে না।
কেন বিটচ্যাটের আগমনকে এত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে
মূলত এই মুহূর্তে পৃথিবীতে ডিজিটাল প্রাইভেসি নিয়ে নানা আশঙ্কার পরিবেশ তৈরি হয়েছে। নানা ভাবে হ্যাকারদের দাপট কিংবা আরো নানা ফ্যাক্টর রয়েছে। সে ক্ষেত্রে ইন্টারনেট সংযোগ ছাড়াই বার্তা বিনিময়কে অত্যন্ত গুরুত্ব দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।
কেবল তাই নয়, হোয়াটসঅ্যাপের দৌরাত্ম্যের মাঝে বিটচ্যাট চেষ্টা করছে মেসেজিংয়ের এক নতুন দিগন্ত খোঁজার। যেখানে স্থানীয়, অজ্ঞাত ও ইন্টারনেটবিহীন বার্তা বিনিময় করা যাবে।
সূত্র : সংবাদ প্রতিদিন