<p>ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে দেশের মানুষের চাওয়ার অভাব নেই। দিকে দিকে সংস্কারের আওয়াজ উঠেছে। সাংস্কৃতিক অঙ্গনের সবচেয়ে বড় মাধ্যম চলচ্চিত্রের বিভিন্ন ক্ষেত্রে আমূল সংস্কারের কথা বলছেন সংশ্লিষ্টরা। দিয়েছেন মতামত। যাদের মধ্যে রয়েছেন জনপ্রিয় নির্মাতা শিহাব শাহীন।</p> <p>চলচ্চিত্র অঙ্গনে আমূল সংস্কারে বৈষম্য দূর করা জরুরি উল্লেখ করে নির্মাতা শিহাব শাহীন বলেন, ‘প্রদর্শক সমিতির সঙ্গে প্রযোজকদের একটা সহাবস্থান নিয়ে আলোচনা হোক। সিনেমা হলের টিকিটের মাত্র ২০ শতাংশ প্রযোজক পান, এ বৈষম্য দূর হওয়া উচিত। প্রযোজক ও প্রদর্শকদের টিকিট মূল্যের সমান অংশীদারি হলেই প্রযোজকরা সিনেমা নির্মাণে আগ্রহী হবেন।’</p> <p>গ্রেডিং সিস্টেম করার কথা জানিয়ে তিনি বলেন, ‘সেন্সর বোর্ডের প্রচলিত যে নিয়মবিধি, সেটার বাতিল চাই। গ্রেডিং সিস্টেমের ওপর সিনেমার সার্টিফিকেট দেওয়ার নিয়ম চালু হোক। সেই গ্রেডিংয়ের ওপর যাচাই করে দর্শক সিনেমা হলে ছবি দেখতে যাবে। সেন্সর বোর্ড বা চলচ্চিত্র অনুদান নিয়ে বিভিন্ন দুর্নীতির কথা শোনা যায়, আর কেউ যেন এ সুযোগ না পান।’</p> <p>সমিতির সংস্কার প্রয়োজন বলে জানান নির্মাতা। তিনি বলেন, ‘চলচ্চিত্রকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন সমিতির লেজুড়বৃত্তি বন্ধ করতে হবে। কারণ এ সমিতি সিনেমাশিল্পের কোনো উপকারে আসে না। বরং দর্শক এ সমিতির নির্বাচন ঘিরে বিভিন্ন বিতর্কিত কার্যকলাপে হাসাহাসি করে।’</p> <p>কারিগরি উন্নয়ন প্রয়োজন বলে নির্মাতা জানান, ‘চলচ্চিত্রের জন্য জরুরি অবকাঠামোগুলো নির্মাণ করা উচিত। আশা করি কারিগরি বিভাগের উন্নতির জন্য অনুদানের সহজ ব্যবস্থা করা হবে।’</p>