<p>নির্মাতা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী ও নুসরাত ইমরোজ তিশার প্রেমের গল্পে আবর্তিত হয়েছে সিনেমা ‘সামথিং লাইক অ্যান অটোবায়োগ্রাফি’। যেখানে পরিচালনার সঙ্গে প্রথমবারের মতো অভিনয়ও করেছেন ফারুকী। সিনেমাটি আগামীকাল মুক্তি পাবে ওটিটিতে।</p> <p>সিনেমাটি প্রসঙ্গে তিশা বলেন,  “ ‘সামথিং লাইক অ্যান অটোবায়োগ্রাফি’ইলহাম হওয়ার পর আমার প্রথম কাজ। রাইটার হিসেবে আমার প্রথম লেখা। ইলহামের প্রথম মিউজিক ভিডিও, একজন ডিরেক্টর ফারুকীর প্রথম অভিনয়- এই ফিল্মে অনেক কিছুই প্রথমবার ঘটেছে। আর যেকোনো প্রথম বিষয় মানুষের জীবনে অনেক স্পেশাল। তাই সিনেমাটি আমার জন্য অনেক স্পেশাল।”</p> <figure class="image"><img alt="888" height="667" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/share/photo/shares/Nifat/Autobiography (5).JPG" width="1000" /> <figcaption>‘সামথিং লাইক অ্যান অটোবায়োগ্রাফি’ সিনেমার একটি দৃশ্যে তিশা</figcaption> </figure> <p>তিশা আরো বলেন, ‘এই সিনেমা নিয়ে যদি আরো কিছু বলতে হয় তাহলে আমি ছোট্ট করে বলব, এই সিনেমাটা হচ্ছে সব সন্তানের প্রতি তার মা-বাবার অনুভূতির উপহার।’</p> <p>প্রথমবার পরিচালনার পাশাপাশি অভিনয়ও করেছেন ফারুকী। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘অনেক দিন তো কাজ করছি। কখনো ভাবি নাই অভিনয় করব। সেটাও করা হয়ে গেল। ফলে এক ধরনের সংকোচ ভাব তো আছেই। একই সঙ্গে উত্তেজনাও কাজ করছে। নিজেদের জীবন থেকে গল্প বের করার মধ্যে একটা দুর্বলতা আছে। আর হৃদয় খুঁড়ে বেদনা বের করে আনাই তো শিল্পীর কাজ।’</p> <figure class="image"><img alt="7678k" height="539" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/share/photo/shares/Nifat/Autobiography (7).jpg" width="1000" /> <figcaption>‘সামথিং লাইক অ্যান অটোবায়োগ্রাফি’ সিনেমা ফারুকী ও তিশা</figcaption> </figure> <p>ফারুকী আরো বলেনে, ‘নিজের সময়টার সাক্ষী হওয়া ছাড়া আমাদের আর কী-ই বা করার আছে। আমরা এখানে সেটাই করার চেষ্টা করেছি। বাবা-মা হিসেবে আমরা বিশেষ কেউ না। সব বাবা-মায়ের গল্পই এক। সন্তানের জন্য সব বাবা-মায়েরই স্পেশাল ত্যাগের গল্প আছে, আনন্দের গল্প আছে, বিব্রতকর গল্প আছে, এই ছবিটা যদি তাদের সেসব অনুভূতির কথা মনে করিয়ে দেয় তাহলেই আমরা খুশি হব।’</p> <p>ফারুকী ও তিশার সঙ্গে এই সিনেমায় অভিনয় করেছেন ইরেশ যাকের, ডলি জহুর, শরাফ আহমেদ জীবনসহ আরো অনেকে।</p> <p>‘অটোবায়োগ্রাফি’র সিনেমাটোগ্রাফি করেছেন তাহসিন রহমান, সম্পাদনার কাজটি করেছেন মোমিন বিশ্বাস। কালার গ্রেডিংয়ে ছিলেন দেবজ্যোতি ঘোষ। সাউন্ড ডিজাইনে ছিলেন রিপন নাথ ও ব্যাকগ্রাউন্ড স্কোর করেছেন পাভেন আরিন। আর্ট ডিরেকশন দিয়েছেন শিহাব নুরুন নবী। সিনেমার শিল্পীদের ক্যামেরায় অনন্য ও বাস্তবরূপে করে তুলেছিলেন দুই নারী। তারা হলেন-মেকআপের আতিয়া রহমান ও কস্টিউম ইদিলা ফরিদ তুরিন।</p> <p>প্রায় ৮২ মিনিটের দৈর্ঘ্যের এই সিনেমাটি আগামীকাল রাত ৮টায় চরকিতে মুক্তি পাবে। চরকির ‘মিনিস্ট্রি অব লাভ’-এর প্রথম সিনেমা এটি।</p>